আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বৃহস্পতিবার, ১৯ মার্চ, ২০১৫

ছিন্নভিন্ন ভিন্নমত

লিখেছেন রহমান পৃথু

১.
এ এক অদ্ভুত রোগ মুসলমানদের! তারা যা বিশ্বাস করে, সে মতবাদের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলা যাবে না। মুহাম্মদও তার মতের বিরুদ্ধে মতবাদের কারণে কবি ও সমালোচকদের হত্যা করেছিল।

মুসলমানদের বুঝতে হবে - যে কোনো মতবাদের বিরুদ্ধে মত থাকতে পারে এবং তা বলতে দিতে হবে। মুহাম্মদের মতবাদের মালিকানা একমাত্র মুহাম্মদের। কোনো মতবাদে আমি বিশ্বাস করি বলে সেই মতবাদের মালিকানা আমার হয় না।

মত প্রকাশের জন্য ধর্মানুভূতিতে আঘাত - বায়বীয় বিষয়। সে আঘাত মাপা যায় না। মালিকানা না থাকলে আঘাত হয় না।

তুমি যা খুশি বিশ্বাস কর - যেমন, বট গাছে ভূত আছে। কোনো আপত্তি নাই। কিন্তু আমি কেন বলতে পারব না - ঐ বট গাছে আসলে ভূত বলে কিছু নাই? 

যেমন, আল্লা বলে কিছু নাই শুনলে মুসলমানরা রেগে যায়। মুহাম্মদ ঠক, জোচ্চোর, মিথ্যাবাদী, প্রতারক, খুনী, লুচ্চা ছিল শুনলে মুমিনদের গায়ে জ্বালা ধরে।

আমি যা সত্য বলে জানি, তা বলতে বাধা দেওয়া যাবে না। মুসলমানদের সত্য শোনার অভ্যাস করতে হবে।

এ যুগে ১৪০০ বছর আগের মুহাম্মদের শাসন চলবে না।

২.
মুহাম্মদের যোগ্যতা, কার্য্যকলাপ, তার মতবাদ ও তার দাবিকৃত আল্লাহর বিরুদ্ধে নাস্তিকদের কিছু বলার আছে।

নাস্তিকরা মুহাম্মদ, তার কার্যকলাপ ও তার লোক-ঠকানো মতবাদের সমালোচনা করে। আপনি যিনি মুসলমান, আপনি তো মুহাম্মদের সমকক্ষ কেউ নন। তাই আপনার বিরুদ্ধে নাস্তিকদের কোনো কথা নাই।

অথচ আপনি বিশ্বাস করেন, আমি মুহাম্মদের যোগ্যতা, কার্যকলাপ, মতবাদ নিয়ে প্রশ্ন করলে আমাকে হত্যা করার অধিকার আপনার আছে। আমাকে হত্যা করতে পারলে আপনার জন্য বেহেশতে বিছানা রেডি।

তাহলে আপনার আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য আত্মরক্ষার্থে নাস্তিকদের কী করণীয় আছে? আপনি যাতে আমাকে হত্যা করতে না পারেন, সে জন্য আপনি বলুন, আমাকে কী করতে হবে?

আগে ভাবুন, কথামতো আমাকে নিশ্চিহ্ন করার মতো এত বড় বিপদে পড়বেন কেন? কুরানের আদেশে নাস্তিক, কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন কেন? আগে-পিছে ভাবুন।

মুষ্টিমেয় ইহুদিদের সাথে লড়ার ক্ষমতা নাই আপনাদের। তাহলে খ্রিষ্টান, নাস্তিক, বিধর্মী, কাফের, হিন্দুদের সবার সামনে কীভাবে দাঁড়াবেন? আপনাদের সবাইকে তো সাগরে ঝাঁপ দিতে হবে!!

তাই মুহাম্মদের কথায় নাস্তিক, কাফের, ইহুদি, খ্রিষ্টান, বিধর্মী, হিন্দুদের প্রতি ঘৃণা আর নয়। হত্যা আর নয়। বর্ণ, ধর্ম, বিশ্বাস, মতবাদের কারণে কোনো বিভক্তি নয়। আমরা সবাই মানুষ। আমাদের সবার মন আছে, অনুভূতি আছে, সবার রক্তই লাল।

মুসলমান ভাইয়েরা, ভিন্নমতের প্রতি সহনশীল হোন। মানুষকে ভালবাসতে শিখুন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন