মঙ্গলবার, ৩ মার্চ, ২০১৫

ফাতেমা দেবীর ফতোয়া - ০৮

লিখেছেন ফাতেমা দেবী (সঃ)

৩৬.
নবীজি ছিলেন মাঝারি উচ্চতার, বেশি লম্বাও ছিলেন না, বেশি খাটোও ছিলেন না। একদম পুরোপুরি সাদা ছিলেন না, আবার গাঢ় তামাটেও ছিলেন না। তার চুল পুরোপুরি কোঁকড়ানো ছিল না আবার তা সরলও ছিল না। - ছহী বুখারী ৪,৫৬,৭৮৭

আরে! নবীজি দেখতে এক্কেবারে আমার মত ছিলেন! আমিও নবীজির মত মাঝারি উচ্চতার, বেশি লম্বাও নই, খাটোও নই। গায়ের রঙ পুরোপুরি সাদাও নয়, আবার গাঢ় তামাটেও নয়। আমার চুল পুরোপুরি কোঁকড়ানো নয়, আবার সরলও নয়। নবীজি হবার সকল বাহ্যিক গুণই দেখছি আমার মধ্যে রয়েছে। এখন শুধু নবীর অভ্যন্তরীণ দোষগুলি অর্জন করতে পারলে আমাকে নবী হওয়া থেকে আর ঠেকায় কে?

৩৭.
- প্রমাণ করো যে, য়াল্ল্যাপাক হারাম।
- য়াল্ল্যাপাক বলেছেন, তিনি সর্বব্যাপী। তিনি আরো বলেছেন, মদ হারাম। তিনি মদেও আছেন। মদ হারাম। অতএব য়াল্ল্যাপাক হারাম।

৩৮.
গতকাল জনৈক হাজ্জি সাহেব জম জমের পানির মাহাত্ম্য বর্ণনা করছিলেন খুব জমিয়ে। 

আমি তাকে বললাম, আপনার অসুখ-বিসুখের জন্য ডাক্তার দেখান কেন? ওষুধ খান কেন? জম জমের মহান পানি খেয়ে নিলেই তো পারেন।

এবং জিজ্ঞেস করলাম, জম জমের পাক পানি ও গঙ্গার পবিত্র জলের মধ্যে পার্থক্য কী? 

তাঁর নূরানী মুখখানা মুহূর্তেই জ'মে হাজরে আসওয়াদ পাথরের মত কঠিন হয়ে গেল। দেখে কিছুটা মায়া লাগলো আমার। 

আমি তাকে বললাম, জম জমের পানি আসলেই অন্য পানির চেয়ে পাক। 

উনার মুখের আসওয়াদি ভাব কিছুটা গ'লে আসতে লাগলো আমার কথা শুনে। আমার ভালো লাগলো। তার মুখের প্রস্তর-কাঠিন্য পুরোপুরি দূর করার জন্য আমি একটি সত্যি কথা বললাম তাকে। 

বললাম, আমাকে কোনো হাজ্জি জম জমের পানি উপহার দিলে আমি তা দিয়ে কাপড় কাচি, এবং বাথরুম পরিষ্কার করি। এবং আমি লক্ষ্য করেছি যে, সাধারণ পানির চেয়ে জম জমের পাক পানির পরিষ্কার করার ক্ষমতা অনেক বেশি। এ কথা শোনার পর তাঁর চোখে জম জমের পানির মত কিছু একটা ঝম ঝম করতে লাগলো।

৩৯.
মহাবদ যদি নবীজি না হতেন, তাহলে য়াল্ল্যাতালাকে কে বানাতেন? তিনি য়াল্ল্যাতালাকে যদি না বানাতেন তাহলে নাস্তেকদিগকে কে বানাতো?

৪০.
নাস্তেকরা মরার পর অতি অবশ্যই দোজখে যাবে। তবে ওরা কোন দোজখে যাবে? হিন্দু দোজখ, মুছলিম দোজখ, ইহুদি দোজখ, শিখ দোজখ, খ্রিষ্টান দোজখ, নাকি ব্রাহ্ম দোজখ, নাকি অন্য কোনো দোজখ?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন