আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

রবিবার, ৮ মার্চ, ২০১৫

স্রষ্টার অস্তিত্ব যখন অনুভবে

লিখেছেন অর্ণব খান

অনেকের ধারণা, আমরা যা দেখি, শুনি বা অনুভব করি, সেগুলো বিশ্বাস না করে তো উপায় নেই। আসলে আমরা মস্তিষ্কের মাধ্যমে যা অনুধাবন করি, তা আমাদের কাছে একেবারে প্রত্যক্ষ বা নিরেট বাস্তব মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে সেটা বাস্তব না-ও হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ: গোলাপি কিংবা মেজেন্টা রংগুলোর বাস্তব কোনো অস্তিত্ব না থাকার পরও আমরা একেবারে দিব্য সত্যের মত এই রংগুলো অনুধাবন করি। এ জন্য কোনোকিছুর সত্যতা জানার জন্য বৈজ্ঞানিক নিরীক্ষা করা ছাড়া শুধুমাত্র পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের তথ্যে বিশ্বাস করাটা মারাত্মক ভুল। 

যুক্তিতে হেরে গিয়ে অনেক ধার্মিককে বলতে শোনা যায় যে, তারা স্রষ্টাকে অন্তর থেকে অনুভব করেছে। এক্ষেত্রে তারা আসলে মিথ্যা বলে না। কিন্তু মূল কথা হচ্ছে, কেউ অনুভব করলেই স্রষ্টার অস্তিত্ব প্রমাণ হয়ে যায় না। মনোদৈহিক ও পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন কারণে মানুষ হেল্যুসিনেশনে আক্রান্ত হতে পারে, যে-অভিজ্ঞতা আক্রান্ত ব্যক্তির নিকট একেবারে বাস্তব মনে হয়, কিন্তু যার কোন বাস্তবতা নেই। 


আবার এমন অনেক সত্যবাদী মানুষও আছে, যারা নিজ চোখে ভূত দেখেছে বলে দাবি করে। কিন্তু এই ব্যাপারগুলো সবই হচ্ছে মস্তিষ্কের ভুল বিশ্লেষণ। কারণ আজ পর্যন্ত বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা করে জ্বীন-ভূতের কোনো অস্তিত্ব আবিষ্কার করা যায়নি। বাস্তবে হলুদ রংটির অস্তিত্ব থাকলেও মানবমস্তিষ্ক প্রকৃত হলুদ রং-এর অনুপস্থিতিতে লাল সবুজের মিশ্রণকেও হলুদ হিসেবে অনুধাবন করতে পারে। লাল বা সবুজ আলো ফিল্টার করতে পারে, এমন কাঁচ দিয়ে দেখলেই কেবল বোঝা যাবে, রংটি আসলেই হলুদ, নাকি লাল সবুজের মিশ্রণ। তেমনি যারা ভূত দেখেছে মনে করে ভয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়, তারা যদি না পালিয়ে আরেকটু ভাল করে বোঝার চেষ্টা করত, তাহলে বুঝতে পারত, সেটা ভূত ছিল না।

মানব মস্তিষ্ক একটি জৈবিক কম্পিউটারের সাথে তুলনীয়। কম্পিউটারে ডাটা ইনপুট হয় মূলত কিবোর্ড আর মাউসের মাধ্যমে। অন্যদিকে পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত ডাটা প্রসেস করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে মস্তিষ্ক। এই পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের বাইরে যদি কৃত্রিমভাবে কোনো সংকেত মস্তিষ্কে পৌঁছে দেয়া যায়, তবে সেটাই বাস্তব বলে মনে হবে। কৌতুক শুনলে আমরা হাসি, কারণ কান দিয়ে কৌতুক শোনার পর মস্তিষ্ক তা অনুধাবন করে কৌতুকটির মাঝে হাস্যকর অস্বাভাবিকতা আবিষ্কার করে, ফলে মস্তিষ্কের একটি বিশেষ স্থান উদ্দীপ্ত হয় আর আমরা হাসি। 

কিন্তু নিশ্বাসের সাথে লাফিং গ্যাস আমাদের মস্তিষ্কে গেলে তা মস্তিষ্কের সেই বিশেষ স্থানে উদ্দীপনার সৃষ্টি করে, যার কারণে পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের কোনো প্রভাব না থাকলেও অর্থাৎ কৌতুক না শুনলেও আমরা হাসতে বাধ্য হই। মস্তিষ্কের এই অনুধাবনকে মানুষ বিকৃত করতে পারে বিভিন্ন রকম নেশাদ্রব্য গ্রহণ করার মাধ্যমে। গাঁজা খেলে মানুষ অপার্থিব সব নজর কাড়া রং দেখে, আর যেন ভিন্ন এক জগতে চলে যায়, যার কোনোকিছুই আসলে বাস্তব নয়। তাই স্রষ্টাকে যদি কেউ অনুভব করে থাকে, তাহলে বুঝতে হবে, সেটা মানসিক বা পারিপার্শ্বিক কোনো অসামঞ্জস্যতার ফলে মস্তিষ্কের অনুধাবনের বিভ্রাট ছাড়া অন্য কিছু নয়। শুধুমাত্র এই কারণে স্রষ্টা বিশ্বাস করা মানে নিজেকে ঠকানো।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন