১.
কী মুশকিল!
নাস্তিকদের বিরোধিতা করতে গিয়ে দেখি অনেকে বিজ্ঞানকেও শত্রু বানিয়ে ফেলছে! বিজ্ঞানমনস্কতা মানুষের শত্রু, বিবর্তনতত্ত্ব বর্ণবাদী এসব বক্তব্যও দেখতে হচ্ছে!
এমনিতেই এদেশের সাধারণ মানুষের বিজ্ঞান সম্পর্কে ধারনা ভাসাভাসা। তারা মনে করে, বিজ্ঞানীরা কোরান পড়ে সব আবিষ্কার করে। আর যেসব আবিষ্কার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে যায়, সেগুলো ইহুদি-নাসারাদের ষড়যন্ত্র; মুসলিমদের ঈমান ধ্বংসের নীল নকশা। কিন্তু মডারেট, সুশীলরাও এরকম চিন্তা করে, ভাবতে পারিনি।
এখন বুঝলাম, বিজ্ঞানের আসলেই কিছু সমস্যা আছে। গুটিবসন্ত, প্লেগের মতো মহামারী নির্মূল এবং অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কারের ফলে কোটি কোটি মানুষের পাশাপাশি অনেক মানুষরূপী ছাগলও অকাল মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গেছে। এ জন্যই এরা এখন জোর গলায় ম্যাৎকার করে বলতে পারে: 'বিজ্ঞানের চেয়ে ধর্মের অবদান বেশি।'
২.
'মেয়েরা পর্দা না করলে তো ধর্ষণ হবেই।'
'লেখায় পর্দা না করলে তো কোপ খাবেই।'
আপনি এই দু'টি বাক্যের একটি সমর্থন করেন মানেই আপনি বলদা। আর আপনার এই বলদামিকে লাত্থি মেরে অনুভূতি নিহত করাই আমার লক্ষ্য।
৩.
ফারাবি একবার জেলে গিয়ে বীরের বেশে ফেরত এসেছিলো।
২১ টাকা ভিক্ষা চাওয়া, মেয়েদের ইনবক্সে বিরক্ত করে বেড়ানো একটা নেড়ি কুকুর রাতারাতি নেকড়ে বনে গেল। তারপর থেকে সে-ই টাকা দিয়ে বেড়ায়, বন্দী থাকাকালীন কতো উচ্চপদস্থ পুলিশ-আর্মি তার ভক্ত হয়েছে, তার বর্ণনা দেয়। পাশাপাশি ধর্মান্ধতা এবং খুনের হুমকি তো আছেই।
এবার জেল থেকে ঘুরে এসে তার দৌড় কত দূর বাড়ে, তা-ই দেখার বিষয়।
৪.
ইসলামী মতে, কেয়ামতের দিন আলাহ মীযান নিয়ে পাপপুণ্যের ওজন করবে। আমাদের সুশীলরা দুনিয়াতেই অদৃশ্য মীযান হাতে অপরাধ মাপে। এই মীযানের মাপদণ্ডে সবচেয়ে ভারী অপরাধ হলো ধর্মকে গালাগাল।
তাই তারা এক পাল্লায় উগ্র আস্তিকদের জঙ্গিবাদ, হত্যা, ধর্ষণ, হিল্লা, সাম্প্রদায়িকতা উঠিয়ে অন্য পাল্লায় উগ্র নাস্তিকদের গালাগাল দিয়ে ব্যালেন্স সমান দেখিয়ে দাবি করে উগ্র নাস্তিক ও উগ্র আস্তিক - দুইই সমান অপরাধী।
অতপর সুশীল চুতিয়াদের কোন অবদানকে বিশ্বাসীরা অস্বীকার করবে?
৫.
এক থাবা বাবার মৃত্যু হাজার থাবা বাবা জন্ম দিয়েছে।
এক অভিজিৎ রায়ের মৃত্যু লাখো অভিজিৎ রায়কে জন্ম দেবে।
কলম চলবে, চলতেই থাকবে। তোদের বিশ্বাসের মৃত্যু না ঘটা পর্যন্ত।
ইসলাম ধ্বংস হোক,
ইসলাম ধ্বংস হোক,
ইসলাম ধ্বংস হোক...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন