সৃষ্টিকর্তা আছে নাকি নাই। বর্জন তত্ত্ব কিংবা মিউচুয়ালি এক্সক্লুসিভ ইভেন্ট।
দুনিয়াদারি ইহুদি-খেরেষ্টান-মুমিন-হেঁদু-জায়োনিক-সায়োনিক-প্লেটনিক-হাগুনিক-মুতুনিক-পাদুনিক সৃষ্টিকর্তায় ভরপুর। লুতুপুতু ভাবে বলতে গেলে এত্তগুলা সিষ্টিকর্তা কি মিষ্টি কথা!
এবার আসি কোনটা আসল।
বর্জন তত্ত্ব ১:
মুমিনরা আল্লাহ বাদে সকলকে বর্জন করতে বলে। আচ্ছা, করলাম। কিন্তু ইতিহাস আর হতচ্ছাড়া নাস্তিকেরা এই আল্লাহরই পাছা উদোম করে দেয়, যখন বলে, আরে আল্লাহ তো প্যাগান দেবতা, যার তিনটি মেয়ে আছে - লাত, মানাত, উজ্জা। আর কুরাইশরা সেই আল্লাহর পুজা করতো। মানে, মোহাম্মদের পূর্ব পুরুষেরা যেই দেবতার পূজা করত সেই ভদ্রলোক হচ্ছেন আল্লাহ। এতে মুমিনেরা জিব কেটে বলে, "ছি, ছি, এসব কী বলছেন! উনি ইব্রাহিম-এর গড মুহাম্মদের পূর্ব পুরুষ ফাদার অব মুসলিমস। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে কিংবা ইতিহাসেও আব্রাহামের গড-এর সাথে মুহাম্মদের আল্লাহর মিল পাওয়া যায় না। এতে মুমিনরা এক ডিগ্রি ক্ষেপে গিয়ে বলে, "তুই নাস্তিক, তুর কল্লা কাটুম।"
বর্জন তত্ত্ব ২:
ইহুদী খেরেষ্টানেরা মুমিনদের এই তত্ত্বের উপ্রে মুতু করে দিয়ে বলে, "শালা ইশমাইলিটিস-এর বেজন্মাগুলা আমাদের গড নিয়া টানাটানি করিস। এই ব্যাটা মুহাম্মদ কোনো মান-ইজ্জত রাখলো না। বর্বর আরব বেদুইনদের এক দেবতাকে বানিয়ে দিলো আমাদের গড।" এখন মুমিনরা বলে, "সব ইহুদি-নাছাড়াদের চক্রান্ত। আল্লাহপাক বলেছেন যে, বাকি সব বাদ। আমিই শেষ সিষ্টিকত্তা যাকে তুমরা মিষ্টি করে ডাকবা। ওরা পথভ্রষ্ট।" ইহুদী খেরেষ্টানেরা বলে, "তর আল্লার *****!"
বর্জন তত্ত্বে উভয়পক্ষই একে অপরকে বর্জন করছে। অতএব প্রোবাবিলিটি শূন্য।
পাদটিকা: এক্ষেত্রে গৌতম বুদ্ধ বেশ ধূর্ত ছিলেন। যদিও যোগাযোগের অনুন্নতায় বেশি প্রসার করতে পারেন নাই। সে বলেছে " ঈশ্বরকে খুঁজতে হলে নিজের মাঝে খুঁজো।"
এখন মোহাম্মদ কিংবা যিশু তার খোঁজ পায় নাই। পেলে আগেই তার ঈশ্বরকে বর্জন করতো।
অতএব সকল দিক দিয়ে ঈশ্বর বর্জনীয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন