লিখেছেন গোলাপ
পর্ব ১ > পর্ব ২ > পর্ব ৩ > পর্ব ৪ > পর্ব ৫ > পর্ব ৬ > পর্ব ৭ > পর্ব ৮ > পর্ব ৯ > পর্ব ১০ > পর্ব ১১ > পর্ব ১২ > পর্ব ১৩ > পর্ব ১৪ > পর্ব ১৫ > পর্ব ১৬ > পর্ব ১৭ > পর্ব ১৮ > পর্ব ১৯ > পর্ব ২০ > পর্ব ২১ > পর্ব ২২ > পর্ব ২৩ > পর্ব ২৪ > পর্ব ২৫ > পর্ব ২৬ > পর্ব ২৭ > পর্ব ২৮ > পর্ব ২৯ > পর্ব ৩০ > পর্ব ৩১ > পর্ব ৩২ > পর্ব ৩৩ > পর্ব ৩৪ > পর্ব ৩৫ > পর্ব ৩৬ > পর্ব ৩৭ > পর্ব ৩৮ > পর্ব ৩৯> পর্ব ৪০ > পর্ব ৪১ > পর্ব ৪২ > পর্ব ৪৩ > পর্ব ৪৪ > পর্ব ৪৫ > পর্ব ৪৬ > পর্ব ৪৭ > পর্ব ৪৮ > পর্ব ৪৯ > পর্ব ৫০ > পর্ব ৫১ > পর্ব ৫২ > পর্ব ৫৩ > পর্ব ৫৪ > পর্ব ৫৫ > পর্ব ৫৬ > পর্ব ৫৭ > পর্ব ৫৮ > পর্ব ৫৯ > পর্ব ৬০ > পর্ব ৬১ > পর্ব ৬২ > পর্ব ৬৩ > পর্ব ৬৪ > পর্ব ৬৫ > পর্ব ৬৬ > পর্ব ৬৭ > পর্ব ৬৮ > পর্ব ৬৯ > পর্ব ৭০ > পর্ব ৭১ > পর্ব ৭২ > পর্ব ৭৩ > পর্ব ৭৪
স্বঘোষিত আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর কর্মময় নবী জীবনে ওহুদ যুদ্ধের চরম ব্যর্থতার পর ওহুদ যুদ্ধ পরবর্তী চারটি মাসে আবু সুফিয়ান বিন হারব-কে হত্যা চেষ্টা, 'আল-রাজী’ও বীর মাউনা-র অভিযান কীরূপ করুণ ব্যর্থতায় সম্পন্ন হয়েছিল, তার আলোচনা গত তিনটি পর্বে করা হয়েছে।
বীর মাউনা অভিযানে আমর বিন উমাইয়া আল-দামরি নামের এক মুহাম্মদ অনুসারী কীভাবে বানু আমির গোত্রের দুইজন নিরীহ লোককে ঘুমন্ত অবস্থায় খুন করেছিলেন এবং সেই খুনের রক্তমুল্য পরিশোধ করতে মুহাম্মদ কেন বাধ্য ছিলেন, তার আলোচনা আগের পর্বে করা হয়েছে।
বীর মাউনার ঘটনার পর স্বঘোষিত আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কী অজুহাতে মদিনায় অবস্থিত 'বনি-নাদির' নামক এক ইহুদি গোত্রের সমস্ত মানুষ কে তাঁদের শত শত বছরের পৈত্রিক ভিটে-মাটি থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত করে তাঁদের সমস্ত সম্পত্তি করায়ত্ত করার মাধ্যমে বনি আমির গোত্রের রক্ত-মূল্য, তাঁর পরিবার পরিজনদের ভরন-পোষণের অর্থ এবং তাঁর নেতৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করছিলেন - তার আংশিক আলোচনা "বনি নাদির গোত্রকে উচ্ছেদ ও তাদের সম্পত্তি লুট!" পর্বে করা হয়েছে।
মুহাম্মদের কর্মময় নবী জীবনের পরবর্তী অংশের ঘটনাপ্রবাহের সঙ্গে 'বনি নাদির গোত্র উচ্ছেদ’ ঘটনা সরাসরি সম্পর্কযুক্ত!
তাই উৎসাহী পাঠকদের কাছে আমার অনুরোধ এই যে, তাঁরা যেন এই নৃশংস হৃদয়বিদারক উপাখ্যানের শেষ অংশটি পড়ার আগে এই উপাখ্যানের প্রথম অংশটির (পর্ব-৫২) উপর আর একবার চোখ বুলিয়ে নেন।
বনি নাদির গোত্র উচ্ছেদ উপাখ্যানের পরবর্তী অংশ
মুহাম্মদ ইবনে ইশাক (৭০৪-৭৬৮ সাল) ও আল তাবারীর বর্ণনা: [1]
পূর্ব প্রকাশিতের পর (Resumption of the narrative):
'তাই তারা তাদের উঠগুলোর পিঠ যথাসম্ভব বহনযোগ্য জিনিস-পত্র দিয়ে বোঝাই করে। লোকেরা তাদের বসত বাড়ীর দরজার চৌকাঠ পর্যন্ত ধ্বংস করে তার যা কিছু সম্ভব তা তাদের উঠের পিঠের উপর স্থাপন করে ও তা নিয়ে রওনা হয়। কিছু লোক যায় খাইবার, অন্যরা যায় সিরিয়ায়।
যে লোকগুলো খাইবারে গমন করে তাদের নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিল সাললাম ইবনে আবুল হুকায়েক [পর্ব-৫০], কিনানা বিন আল-রাবি বিন আবুল হুকায়েক ও হুয়েই বিন আখতাব। সেখানে যাওয়ার পর তারা হয় পরাধীন বাসিন্দা।
আবদুল্লাহ বিন আবু বকর আমাকে [মুহাম্মদ ইবনে ইশাক] বলেছেন যে, তারা তাদের সঙ্গে নিয়ে আসে তাদের মহিলাদের, সন্তানদের, কিছু সম্পদ; খঞ্জনি ও বাঁশি, তাদের পিছনে গায়িকারা তা বাজাতে বাজাতে আসে।
তাদের মধ্যে ছিল উরওয়া বিন আল-ওয়ারদ আল-আবসির স্ত্রী উম্মে 'আমর', যাকে তারা তার কাছ থেকে খরিদ করেছিল; সে ছিল বনি গিফার গোত্রের এক মহিলা। এমন ধুমধাম ও জাঁকজমক সহকারে (তারা গমন করে), যা সেই সময়ে অন্য কোন গোত্রের ক্ষেত্রে কখনো পরিলক্ষিত হয় নাই।
তারা তাদের ধন-সম্পদ আল্লাহর নবীর কাছে ফেলে আসে এবং তা তাঁর ব্যক্তিগত ধন-সম্পদে পরিণত হয়, যা তিনি তাঁর ইচ্ছামত বিক্রি বা হস্তান্তর করতে পারেন।
আনসারদের বঞ্চিত করে তিনি সেগুলো মুহাজিরদের মধ্যে বণ্টন করেন। ব্যতিক্রম শুধু সাহল বিন হুনায়েফ এবং আবু দুজানা সিমাক বিন খারাশা নামের দুই আনসার, যারা তাদের দারিদ্র্যতার অভিযোগ আনে ও সে কারণে তিনি তাদেরকেও কিছু দান করেন।
সম্পদ রক্ষার উদ্দেশ্যে বনি নাদির গোত্রের মাত্র দু’জন লোক মুসলমান হন: ইয়ামিন বিন উমায়ের আবু কা'ব বিন 'আমর' বিন জিহাশ, ও আবু সা'দ বিন ওহাব।
ইয়ামিন পরিবারের লোকদের একজন আমাকে বলেছেন যে আল্লাহর নবী ইয়ামিন কে বলেন, "তুমি কী জানো যে তোমার জ্ঞাতিভাই (cousin) আমার সাথে কী রূপ ব্যবহার করেছে ও সে কী প্রস্তাব করেছে?
তার পরিপ্রেক্ষিতে, ইয়ামিন এক লোককে অর্থের বিনিময়ে 'আমর' বিন জিহাশ কে খুন করার জন্য পাঠায়; ঐ লোকটি তাকে খুন করে, যা তারা জানিয়েছে।'
(আল তাবারী হইতে বর্ণিত: 'আল-ওয়াকিদির উদ্ধৃতি: তারা যখন আল্লাহর নবীর উপর পাথর নিক্ষেপের ষড়যন্ত্র করে, --'আমর' বিন জিহাশ পাথর নিক্ষেপের জন্য ছাদের উপর উঠে। এই খবরটি আরশ থেকে আল্লাহর নবী কাছে পৌঁছে (News of this came to the Prophet from Heaven)--।') [2][3]
আল্লাহ নাজিল করে
৫৯:২ - "তিনিই কিতাবধারীদের মধ্যে যারা কাফের, তাদেরকে প্রথমবার একত্রিত করে তাদের বাড়ী-ঘর থেকে বহিষ্কার করেছেন। তোমরা ধারণাও করতে পারনি যে, তারা বের হবে এবং তারা মনে করেছিল যে, তাদের দূর্গগুলো তাদেরকে আল্লাহর কবল থেকে রক্ষা করবে। অতঃপর আল্লাহর শাস্তি তাদের উপর এমন দিক থেকে আসল, যার কল্পনাও তারা করেনি। আল্লাহ তাদের অন্তরে ত্রাস সঞ্চার করে দিলেন। তারা তাদের বাড়ী-ঘর নিজেদের হাতে এবং মুসলমানদের হাতে ধ্বংস করছিল। অতএব, হে চক্ষুষ্মান ব্যক্তিগণ, তোমরা শিক্ষা গ্রহণ কর।"
>>> এখানে যা উল্লেখ করা হয়েছে, তা হলো, লোকেরা তাদের বসত বাড়ীর দরজার চৌকাঠ পর্যন্ত ধ্বংস করে এবং তা তাদের উটির পিঠের ওপর স্থাপন করে রওনা হয়; যেটি ছিল আল্লাহর প্রতিহিংসার গ্রহণ।
৫৯:৩ - "আল্লাহ যদি তাদের জন্যে নির্বাসন অবধারিত না করতেন, তবে তাদেরকে দুনিয়াতে শাস্তি দিতেন।"
>>> অর্থাৎ, তরবারি মারফত।
"আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে জাহান্নামের আযাব।"
>>> আরও আছে জাহান্নাম।
৫৯:৪-৫ - "এটা এ কারণে যে, তারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধাচরণ করেছে। যে আল্লাহর বিরুদ্ধাচরণ করে, তার জানা উচিত যে, আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা। (৫) -তোমরা যে কিছু কিছু খর্জুর বৃক্ষ কেটে দিয়েছ এবং কতক না কেটে ছেড়ে দিয়েছ, তা তো আল্লাহরই আদেশ এবং যাতে তিনি অবাধ্যদেরকে লাঞ্ছিত করেন।"
>>> অর্থাৎ আল্লাহর হুকুমেই সেগুলো কাটা হয়েছিল; এটি কোনো ধ্বংস নয়, বরং আল্লাহর প্রতিশোধ গ্রহণ ও অবাধ্যদেরকে লাঞ্ছিত করণ।
৫৯:৬- "আল্লাহ বনু-বনুযায়রের কাছ থেকে তাঁর রসূলকে যে ধন-সম্পদ দিয়েছেন,তজ্জন্যে তোমরা ঘোড়ায় কিংবা উটে চড়ে যুদ্ধ করনি, কিন্তু আল্লাহ যার উপর ইচ্ছা, তাঁর রসূলগণকে প্রাধান্য দান করেন। আল্লাহ সবকিছুর উপর সর্বশক্তিমান।"
>>> অর্থাৎ বনি নাদির গোত্রের কাছ থেকে।
৫৯:৭ - "আল্লাহ জনপদবাসীদের কাছ থেকে তাঁর রসূলকে যা দিয়েছেন, তা আল্লাহর, রসূলের, তাঁর আত্নীয়-স্বজনের, ইয়াতীমদের, অভাবগ্রস্তদের এবং মুসাফিরদের জন্যে, যাতে ধনৈশ্বর্য্য কেবল তোমাদের বিত্তশালীদের মধ্যেই পুঞ্জীভূত না হয়। রসূল তোমাদেরকে যা দেন, তা গ্রহণ কর এবং যা নিষেধ করেন, তা থেকে বিরত থাক এবং আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা।"
>>> মুসলিমরা জোরপূর্বক যে কৃষি-জমি ও বসত-বাড়ি (farms) হস্তগত করেছে, তার মালিক হলো আল্লাহ ও তার রসুল।
৫৯:৮-১০ - "এই ধন-সম্পদ দেশত্যাগী নিঃস্বদের জন্যে, যারা আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টিলাভের অন্বেষণে এবং আল্লাহ তাঁর রসূলের সাহায্যার্থে নিজেদের বাস্তুভিটা ও ধন-সম্পদ থেকে বহিস্কৃত হয়েছে। তারাই সত্যবাদী। (৯) -যারা মুহাজিরদের আগমনের পূর্বে মদীনায় বসবাস করেছিল এবং বিশ্বাস স্থাপন করেছিল, তারা মুহাজিরদের ভালবাসে, মুহাজিরদেরকে যা দেয়া হয়েছে, তজ্জন্যে তারা অন্তরে ঈর্ষাপোষণ করে না এবং নিজেরা অভাবগ্রস্ত হলেও তাদেরকে অগ্রাধিকার দান করে। যারা মনের কার্পণ্য থেকে মুক্ত, তারাই সফলকাম। (১০) -আর এই সম্পদ তাদের জন্যে, যারা তাদের পরে আগমন করেছে। তারা বলেঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদেরকে এবং ঈমানে আগ্রহী আমাদের ভ্রাতাগণকে ক্ষমা কর এবং ঈমানদারদের বিরুদ্ধে আমাদের অন্তরে কোন বিদ্বেষ রেখো না। হে আমাদের পালনকর্তা, আপনি দয়ালু, পরম করুণাময়।"
>>> তাই আল্লাহর নবী এই সম্পদ মুহাজিরদের মধ্যে বণ্টন করেন; ব্যতিক্রম শুধু সাহল বিন হুনায়েফ এবং আবু দুজানা সিমাক বিন খারাশা যারা তাদের দারিদ্র্যের অভিযোগ আনে ও তাই তিনি তাদেরকেও কিছু দান করেন।
৫৯:১১–১৪- "আপনি কি মুনাফিকদেরকে দেখেন নি?"
>>> এর মানে হলো, আবদুল্লাহ বিন উবাই ও তাঁর সহকারী ও যারা তাদের মতই মানসিকতার অধিকারী [বিস্তারিত, পর্ব: ৫২]।
"তারা তাদের কিতাবধারী কাফের ভাইদেরকে বলেঃ তোমরা যদি বহিস্কৃত হও, তবে আমরা অবশ্যই তোমাদের সাথে দেশ থেকে বের হয়ে যাব এবং তোমাদের ব্যাপারে আমরা কখনও কারও কথা মানব না। আর যদি তোমরা আক্রান্ত হও, তবে আমরা অবশ্যই তোমাদেরকে সাহায্য করব। আল্লাহ তা’আলা সাক্ষ্য দেন যে, ওরা নিশ্চয়ই মিথ্যাবাদী। (১২)- যদি তারা বহিস্কৃত হয়, তবে মুনাফিকরা তাদের সাথে দেশত্যাগ করবে না আর যদি তারা আক্রান্ত হয়, তবে তারা তাদেরকে সাহায্য করবে না। যদি তাদেরকে সাহায্য করে, তবে অবশ্যই পৃষ্ঠপ্রদর্শন করে পলায়ন করবে। এরপর কাফেররা কোন সাহায্য পাবে না। (১৩)- নিশ্চয় তোমরা তাদের অন্তরে আল্লাহ তা’আলা অপেক্ষা অধিকতর ভয়াবহ। এটা এ কারণে যে, তারা এক নির্বোধ সম্প্রদায়। (১৪)- তারা সংঘবদ্ধভাবেও তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারবে না। তারা যুদ্ধ করবে কেবল সুরক্ষিত জনপদে অথবা দুর্গ প্রাচীরের আড়াল থেকে। তাদের পারস্পরিক যুদ্ধই প্রচন্ড হয়ে থাকে। আপনি তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ মনে করবেন; কিন্তু তাদের অন্তর শতধাবিচ্ছিন্ন। এটা এ কারণে যে, তারা এক কান্ডজ্ঞানহীণ সম্প্রদায়।"
>>> অর্থাৎ বনি আল-নাদির
৫৯:১৫ -"তারা সেই লোকদের মত, যারা তাদের নিকট অতীতে নিজেদের কর্মের শাস্তিভোগ করেছে। তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।"
>>> অর্থাৎ বনি কেইনুকা গোত্রের পরিণতি [বিস্তারিত, পর্ব: ৫১]।
৫৯:১৬ -১৭ - "তারা শয়তানের মত, যে মানুষকে কাফের হতে বলে। অতঃপর যখন সে কাফের হয়, তখন শয়তান বলেঃ তোমার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। আমি বিশ্বপালনকর্তা আল্লাহ তা’আলাকে ভয় করি। (১৭]) অতঃপর উভয়ের পরিণতি হবে এই যে, তারা জাহান্নামে যাবে এবং চিরকাল তথায় বসবাস করবে। এটাই জালেমদের শাস্তি।" [4][5]
[ইসলামী ইতিহাসের ঊষালগ্ন থেকে আজ অবধি প্রায় প্রতিটি ইসলাম বিশ্বাসী প্রকৃত ইতিহাস জেনে বা না জেনে ইতিহাসের এ সকল অমানবিক অধ্যায়গুলো যাবতীয় চতুরতার মাধ্যমে বৈধতা দিয়ে এসেছেন। বিষয়গুলো অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিধায় বাংলা অনুবাদের সাথে মূল ইংরেজি অনুবাদের অংশটিও সংযুক্ত করছি। - অনুবাদ, টাইটেল, আয়াত নম্বর, >>> ও [**] যোগ - লেখক।]
Resumption of Ibne Ishaq’s narrative:
‘So they loaded their camels with what they could carry. Men were destroying their houses down to the lintel of the door which they put upon the back of their camels and went off with it. Some went to Khaybar and others went to Syria. Among their chiefs who went to Khaybar were Sallam b. Abu'l-Huqayq, Kinana b. al-Rabi b. Abu'l-Huqayq, and Huyayy b. Akhtab. When they got there the inhabitants became subject to them.
'Abdullah b. Abu Bakr told me that he was told that they carried off the women and children and property with tambourines and pipes and singing-girls playing behind them. Among them was Umm 'Amr, wife of 'Urwa b. al-Ward al-'Absi, whom they had bought from him, she being one of the women of B. Ghifar. (They went) with such pomp and splendour as had never been seen in any tribe in their days.
They left their property to the apostle and it became his personal property which he could dispose of as he wished.
He divided it among the first emigrants to the exclusion of the Ansar, except that Sahl b. Hunayf and Abu Dujana Simak b. Kharasha complained of poverty and so he gave them some.
Only two of B. al-Nadir became Muslims: Yamin b. 'Umayr Abu K'b b. 'Amr (W. has 'a cousin of 'Amr') b. Jihash, and Abu Sa'd b. Wahb who became Muslims in order to retain their property. One of Yamin's family told me that the apostle said to Yamin, 'Have you seen the way your cousin has treated me and what he proposed to do?' Thereupon Yamin gave a man money to kill 'Amr b. Jihash and he did kill him, or so they allege.
Concerning B. al-Nadir the Sura of Exile came down in which is recorded how Allah wreaked His vengeance on them and gave His apostle power over them and how He dealt with them.
Allah said:
'He it is who turned out those who disbelieved of the scripture people from their homes to the first exile. You did not think that they would go out and they thought that their forts would protect them from Allah. But Allah came upon them from a direction they had not reckoned and He cast terror into their hearts so that they destroyed their houses with their own hands and the hands of the believers.' (Sura 59). That refers to their destroying their houses to extract the lintels of the doors when they carried them away.
'So consider this, you who have understanding. Had not Allah prescribed deportation against them,' which was vengeance from Allah, 'He would have punished them in this world,' i.e. with the sword, 'and in the next world there would be the punishment of hell' as well.
'The palm-trees which you cut down or left standing upon their roots. It was by Allah's permission, and to humble evildoers' i.e. they were cut down by Allah's order; it was not destruction but was vengeance from Allah,
'The spoil which Allah gave the apostle from them,' i.e. from B. al-Nadir.
'You did not urge on your cavalry or riding camels for the sake of it, but Allah gives His apostle power over whom He wills and Allah is Almighty,' i.e. it was peculiar to him,
'The spoil which Allah gave the apostle from the people of the towns belongs to Allah and His apostle'. What the Muslims gallop against with horses and camels and what is captured by force of farms belongs to Allah and the apostle.
'And is for the next of kin and orphans and the poor and the wayfarer so that it should not circulate among your rich men; and what the apostle gives you take and abstain from what he forbids you.' He says this is another division between Muslims concerning what is taken in war according to what Allah prescribed to him.
Then Allah said,
'Have you seen those who are disaffected,'meaning 'Abdullah b. Ubayyand his companions and those who are like-minded 'who say to their brothers of the scripture people who disbelieve,' i.e. the B. al-Nadir, up to the words
'Like those who a short time before them tasted the misery of their acts and had a painful punishment,' i.e. the B.Qaynuqa'. Then as far as the words
'Like Satan when he said to man Disbelieve, and when man disbelieved he said, I am quit of you. I fear Allah the Lord of the worlds and the punishment of both is that they will be in hell everlastingly. That is the reward of the evildoers.'
>>> ইসলামের ইতিহাসের প্রাপ্তিসাধ্য (Available) দলিলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য দলিল হলো মুহাম্মদের স্বরচিত গ্রন্থ কুরান। অবিশ্বাসী কাফেররা মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের ঠিক কী অত্যাচার করতেন, তার সুনির্দিষ্ট (Specific) উল্লেখ কুরানের কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না; কথিত অত্যাচারের বর্ণনা অত্যন্ত ভাসা-ভাসা।
অবিশ্বাসীরা মুহাম্মদ কিংবা তাঁর কোনো অনুসারীকে কোনোরূপ শারীরিক আঘাত করেছেন, এমন উদাহরণ সমগ্র কুরানে একটিও নেই।
অন্য দিকে,
স্বঘোষিত আখেরি নবী মুহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ ও তাঁর অনুসারীরা তাঁদের প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে যে অমানুষিক নৃশংসতা দেখিয়েছেন, তাঁদেরকে খুন করেছেন; সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়ে তাঁদের যাবতীয় স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি লুট করেছেন; তাঁদের কে ভিটে মাটি থেকে উৎখাত করেছেন; মুক্ত মানুষকে বন্দী করে দাস ও দাসীতে (যৌনদাসী) রূপান্তরিত করে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন - সেই সব চরম অমানবিক কর্মকাণ্ডের ইতিহাস "আল্লাহর উদ্ধৃতি" দিয়ে মুহাম্মদ তাঁর নিজস্ব জবানবন্দিতে (কুরান) সুস্পষ্টরূপে বর্ণনা করেছেন! মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের কৃত এমনি বহু নৃশংসতার একটির সাক্ষ্য হলো সুরা আল-হাশরের এই ২-১৭ নম্বর আয়াত!
সাক্ষ্যদাতা স্বয়ং মুহাম্মদ!
(চলবে)
[কুরানের উদ্ধৃতিগুলো সৌদি আরবের বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ (হেরেম শরীফের খাদেম) কর্তৃক বিতরণকৃত বাংলা তরজমা থেকে নেয়া; অনুবাদে ত্রুটি-বিচ্যুতির দায় অনুবাদকারীর। কুরানের ছয়জন বিশিষ্ট অনুবাদকারীর পাশাপাশি অনুবাদ এখানে।]
তথ্যসূত্র ও পাদটীকা:
[1] “সিরাত রসুল আল্লাহ”- লেখক: মুহাম্মদ ইবনে ইশাক (৭০৪-৭৬৮ খৃষ্টাব্দ), সম্পাদনা: ইবনে হিশাম (মৃত্যু ৮৩৩ খৃষ্টাব্দ), ইংরেজি অনুবাদ: A. GUILLAUME, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, করাচী, ১৯৫৫, ISBN 0-19-636033-1, পৃষ্ঠা ৪৩৭-৪৩৯
[2] “তারিক আল রসুল ওয়াল মুলুক”- লেখক: আল-তাবারী (৮৩৮-৯২৩ খৃষ্টাব্দ), ভলুউম ৭,ইংরেজী অনুবাদ: W. Montogomery Watt and M.V. McDonald, নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি প্রেস, ১৯৮৭, পৃষ্ঠা (Leiden) ১৪৪৮-১৪৫৩
[3]“কিতাব আল-মাগাজি”- লেখক: আল-ওয়াকিদি (৭৪৮-৮২২), ed. Marsden Jones, লন্ডন ১৯৬৬, পৃষ্ঠা ৩৬৩-৩৮৩
[4] ইবনে কাথিরের কুরান তফসির:
[5] তাফসীর যালালীন ও অন্যান্য:
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন