লিখেছেন গোলাপ
পর্ব ১ > পর্ব ২ > পর্ব ৩ > পর্ব ৪ > পর্ব ৫ > পর্ব ৬ > পর্ব ৭ > পর্ব ৮ > পর্ব ৯ > পর্ব ১০ > পর্ব ১১ > পর্ব ১২ > পর্ব ১৩ > পর্ব ১৪ > পর্ব ১৫ > পর্ব ১৬ > পর্ব ১৭ > পর্ব ১৮ > পর্ব ১৯ > পর্ব ২০ > পর্ব ২১ > পর্ব ২২ > পর্ব ২৩ > পর্ব ২৪ > পর্ব ২৫ > পর্ব ২৬ > পর্ব ২৭ > পর্ব ২৮ > পর্ব ২৯ > পর্ব ৩০ > পর্ব ৩১ > পর্ব ৩২ > পর্ব ৩৩ > পর্ব ৩৪ > পর্ব ৩৫ > পর্ব ৩৬ > পর্ব ৩৭ > পর্ব ৩৮ > পর্ব ৩৯> পর্ব ৪০ > পর্ব ৪১ > পর্ব ৪২ > পর্ব ৪৩ > পর্ব ৪৪ > পর্ব ৪৫ > পর্ব ৪৬ > পর্ব ৪৭ > পর্ব ৪৮ > পর্ব ৪৯ > পর্ব ৫০ > পর্ব ৫১ > পর্ব ৫২ > পর্ব ৫৩ > পর্ব ৫৪ > পর্ব ৫৫ > পর্ব ৫৬ > পর্ব ৫৭ > পর্ব ৫৮ > পর্ব ৫৯ > পর্ব ৬০ > পর্ব ৬১ > পর্ব ৬২ > পর্ব ৬৩ > পর্ব ৬৪ > পর্ব ৬৫ > পর্ব ৬৬ > পর্ব ৬৭ > পর্ব ৬৮ > পর্ব ৬৯ > পর্ব ৭০ > পর্ব ৭১ > পর্ব ৭২ > পর্ব ৭৩ > পর্ব ৭৪ > পর্ব ৭৫ > পর্ব ৭৬ > পর্ব ৭৭ > পর্ব ৭৮ > পর্ব ৭৯ > পর্ব ৮০
ইসলামের ইতিহাসে খন্দক যুদ্ধটি কী কারণে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ; মদিনায় একমাত্র অবশিষ্ট ইহুদি বনি কুরাইজার গোত্র প্রধান কাব বিন আসাদ আল-কুরাজির নিকট এই যুদ্ধের বছর দেড়েক আগে মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের মারফত জোরপূর্বক মদিনা থেকে বিতাড়িত ইহুদি বনি নাদির গোত্রের হুয়েই বিন আখতাব নামের এক নেতার আগমন ও কথোপকথন কীভাবে সম্পন্ন হয়েছিল; হুয়েইয়ের প্রচণ্ড জেদাজেদির কারণে কাব কীভাবে "হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন" ও এই ঘটনাটি শোনার পর স্বঘোষিত আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর প্রেরিত চারজন অনুসারী সেখানে গমন করার পর কীভাবে নিশ্চিত হয়েছিলেন যে, তারা যা শুনেছিল তার চেয়ে অবস্থা আরও শোচনীয় - ইত্যাদি বিষয়ের বিস্তারিত আলোচনা আগের পর্বে করা হয়েছে।
আদি উৎসে ইসলামে নিবেদিতপ্রাণ বিশিষ্ট মুসলমান ঐতিহাসিকদের বর্ণনায় আমরা জানতে পারি যে, ওহুদ যুদ্ধের মতই খন্দক যুদ্ধেও মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীরা কঠিন সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছিলেন। (পর্ব: ৫৪-৭১)
আরবের বিভিন্ন গোত্রের সম্মিলিত মিত্রবাহিনীর আক্রমণ নিজ শক্তিবলে মোকাবিলা করার ক্ষমতা তাদের ছিল না। আদি পারস্যবাসী সালমান ফারসীর পরামর্শে খন্দক খনন, মদিনার ভৌগলিক পরিবেশ ও আবহাওয়াজনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তারা মিত্রবাহিনীর আক্রমণ থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন সত্যি, কিন্তু মিত্রবাহিনীর বিশাল সৈন্যবহরের আগমন প্রত্যক্ষ করে মুহাম্মদের বহু অনুসারী অত্যন্ত ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন।
মিত্রবাহিনীর দশ হাজার সৈন্যের সেনা ছাউনিটি ছিল খন্দকটির উত্তরে, আর মুসলমান বাহিনীর তিন হাজার সৈন্যের সেনা ছাউনিটি ছিল খন্দকটির দক্ষিণ দিকে। মুসলমান বাহিনীর সৈন্যরা খন্দকের কিনারায় সর্বক্ষণ পাহারায় ছিলেন।
মিত্রবাহিনী প্রায় এক মাস যাবত খন্দকের ওপাশে অবস্থান করেছিলেন। কিন্তু তারা সদলবলে খন্দক অতিক্রমে ব্যর্থ হওয়ার কারণে দুই পক্ষের মধ্যে কিছু তীর নিক্ষেপের ঘটনা ছাড়া কোনোরূপ যুদ্ধ সংঘটিত হয়নি।
ওহুদ যুদ্ধের মতই এই যুদ্ধেও মুহাম্মদ-অনুসারীদের অনেকেই মুহাম্মদের ওপর বিশ্বাস হারিয়েছিলেন। যথারীতি, আল্লাহর নামে মুহাম্মদ তাদেরকে 'আনুগত্যহীন' (মুনাফিক) ঘোষণা দিয়ে হুমকি ও ভীতি প্রদর্শন করেন। (পর্ব- ৬৯)।
মুহাম্মদ ইবনে ইশাকের (৭০৪-৭৬৮ সাল) বর্ণনার পুনরারম্ভ: [1] [2]
পূর্ব প্রকাশিতের (পর্ব: ৮০) পর:
‘পরিস্থিতি সঙ্কটজনক হয়ে ওঠে ও ভীতি সর্বত্রই বিরাজ করতে থাকে। তাদের কাছে শত্রুর আগমন ঘটে উচ্চভূমি ও নিম্নভূমি থেকে যতক্ষণে না বিশ্বাসীরা অলীক কল্পনায় মগ্ন হয় ও আনুগত্যহীন লোকদের আনুগত্যহীনতা এতই বৃদ্ধি পায় যে, বানু আমর বিন আউফ গোত্রের মুয়াত্তিব বিন কুসিয়ার (Mu'attib b. Qusyahr) নামের এক ভাই বলে,
"মুহাম্মদ আমাদের কাছে অঙ্গীকার করতো এই বলে যে, আমরা খসরু ও সিজারের কোষাগারের মালিক হবো; কিন্তু আমাদের কেউই আজ পায়খানায় (privy) যেতেও নিরাপদ বোধ করি না!" [3] [4] [5]
('Muhammad used to promise us that we should eat the treasures of Chosroes and Caesar and today not one of us can feel safe in going to the privy!')
পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে, বানু হারিথা বিন আল-হারিথ গোত্রের আউস বিন কেইজি (Aus b. Qayzi) নামের এক লোক তার লোকদের এক বিরাট জনসমাবেশে আল্লাহর নবীকে বলে,
"আমাদের বাড়িঘর শত্রুর নিকট উন্মুক্ত; সুতরাং চলো, আমরা আমাদের বাড়িঘরে ফিরে যাই, কারণ তা মদিনার বাইরে।"
আল্লাহর নবী ও মুশরিকরা (polytheists) বিশ দিনেরও বেশি, প্রায় এক মাস, সেখানে অবস্থান করে; সামান্য কিছু তীর নিক্ষেপ ও অবরোধের ঘটনা ছাড়া কোনো যুদ্ধ সংঘটিত হয়নি।
যখন লোকদের অবস্থা আরও দুঃসহ হয়ে ওঠে, তখন আল্লাহর নবী ঘাতাফান গোত্রের দলপতি ইউয়েনা বিন হিসন বিন হুদায়েফা বিন বদর ও আল-হারিথ বিন আউফ বিন আবু হারিথা আল-মুররির [পর্ব: ৭৭] কাছে প্রস্তাব করেন যে, যদি তারা তাঁকে ও তাঁর অনুসারীদের আক্রমণ না করে ও তাদের দলের জনগণদের নিয়ে ফিরে যায়, তবে তার বিনিময়ে তিনি তাদেরকে মদিনার এক-তৃতীয়াংশ খেজুর প্রদান করবেন; যা মুহাম্মদ বিন মুসলিম বিন উবায়েদুল্লাহ বিন শিহাব আল-জুহরীর কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আসিম বিন উমর বিন কাতাদা ও অন্য একজন আমাকে [মুহাম্মদ ইবনে ইশাক] জানিয়েছেন। (আল তাবারী: 'ইবনে হুমায়েদ <সালামাহ < মুহাম্মদ বিন ইশাক <আসিম বিন উমর বিন কাতাদা ও মুহাম্মদ বিন মুসলিম বিন শিহাব আল-জুহরী [পর্ব:৪৪] হইতে বর্ণিত:')। [6]
অতঃপর তাদের মধ্যে এক চুক্তি (peace) সম্পাদিত হয়, যা লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল। এটিতে কোনো স্বাক্ষর করা হয়নি ও এটি কোনো সুনির্দিষ্ট চুক্তিপত্র ছিল না, ছিল নিছক এক চুক্তি-আলোচনা।
(“When conditions pressed hard upon the people the apostle - according to what 'Asim b. 'Umar b. Qatada and one whom I do not suspect told me from Muhammad b. Muslim b. 'Ubaydullah b. Shihab al-Zuhri - sent to 'Uyayna b. Hisn b. Hudhayfa b. Badr and to al- Harith b. 'Auf b. Abu Haritha al-Murri who were leaders of Ghatafan and offered them a third of the dates of Medina on condition that they would go back with their followers and leave him and his men, so peace was made between them so far as the writing of a document. It was not signed and was not a definite peace, merely peace negotiations (T. and they did so).--”).
যখন আল্লাহর নবী তা বাস্তবায়নের মনস্থ করেন, তিনি দুই সা'দ-কে ডেকে পাঠান, তাদেরকে তিনি এ বিষয়ে অবহিত করেন ও তাদের পরামর্শ আহ্বান করেন।
তারা বলে: "এই কর্মটি কি আপনি আমাদের করতে বলেন, নাকি এটি আপনার মাধ্যমে আল্লাহর হুকুম, যা আমাদের অবশ্য পালনীয়? নাকি, এটি এমন যা আপনি আমাদের জন্য করছেন?" [পর্ব: ৩২]।
তিনি বলেন: "এটি এমন যা, তোমাদের উপকারের জন্য আমি করছি।আল্লাহর কসম, আমি এটি করতাম না, যদি না আমি দেখতাম যে, আরবরা একত্রে তোমাদের দিকে তীর নিক্ষেপ করছে ও তারা সমস্ত দিক থেকে তোমাদের বিরুদ্ধে সমবেত হয়েছে; তোমাদের বিরুদ্ধে তাদের এই আক্রমণ আমি বিনষ্ট করতে চাই!"
সা'দ বিন মুয়াধ বলে: "আমরা ও এই লোকেরা ছিলাম মুশরিক ও মূর্তিপূজারী, আল্লাহকে জানতে না পারায় আমরা তাকে মানতাম না এবং তারা কস্মিনকালেও একমাত্র কিনে নিয়ে খাওয়া ছাড়া (তাবারী: 'আমাদের) একটি খেজুরও খাওয়ার আশা করে নাই। এখন আল্লাহ আমাদের ইসলামের মাধ্যমে পথপ্রদর্শন করেছে, সম্মানিত করেছে ও আপনার মাধ্যমে আমাদেরকে করেছে সুবিখ্যাত; আমাদের সম্পত্তি কি আমরা তাদের দিতে পারি? আমরা অবশ্যই তা দেব না। আমরা তাদেরকে তরবারির আঘাত ছাড়া আর কিছুই দেব না, যতক্ষণে না আল্লাহ আমাদের মধ্যে মীমাংসা করে।"
আল্লাহর নবী বলেন, 'You shall have it so।"
সা'দ চুক্তি-পত্রটি নেয়, তাতে যা লিখা ছিল তা মুছে ফেলে ও বলে: "আমাদের বিরুদ্ধে তারা সবচেয়ে খারাপ যা করতে পারে, করুক!"’
- (অনুবাদ ও [**] যোগ – লেখক)
মুহাম্মদ তাঁর নিজস্ব জবানবন্দীতে (কুরান) যা উল্লেখ করেছেন:
[যা ঘটেছিল]
৩৩:১০ - যখন তারা তোমাদের নিকটবর্তী হয়েছিল উচ্চ ভূমি ও নিম্নভূমি থেকে এবং যখন তোমাদের দৃষ্টিভ্রম হচ্ছিল, প্রাণ কন্ঠাগত হয়েছিল এবং তোমরা আল্লাহ সম্পর্কে নানা বিরূপ ধারণা পোষণ করতে শুরু করছিলে।
৩৩:১১ - সে সময়ে মুমিনগণ পরীক্ষিত হয়েছিল এবং ভীষণভাবে প্রকম্পিত হচ্ছিল।
৩৩: ১২- এবং যখন মুনাফিক ও যাদের অন্তরে রোগ ছিল তারা বলছিল, আমাদেরকে প্রদত্ত আল্লাহ ও রসূলের প্রতিশ্রুতি প্রতারণা বৈ নয়।
৩৩:১৩ -এবং যখন তাদের একদল বলেছিল, হে ইয়াসরেববাসী, এটা টিকবার মত জায়গা নয়, তোমরা ফিরে চল। তাদেরই একদল নবীর কাছে অনুমতি প্রার্থনা করে বলেছিল, আমাদের বাড়ী-ঘর খালি, অথচ সেগুলো খালি ছিল না, পলায়ন করাই ছিল তাদের ইচ্ছা।
৩৩:১৪ - যদি শত্রুপক্ষ চতুর্দিক থেকে নগরে প্রবেশ করে তাদের সাথে মিলিত হত, অতঃপর বিদ্রোহ করতে প্ররোচিত করত, তবে তারা অবশ্যই বিদ্রোহ করত এবং তারা মোটেই বিলম্ব করত না।
৩৩:১৫ - অথচ তারা পূর্বে আল্লাহর সাথে অঙ্গীকার করেছিল যে, তারা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করবে না। আল্লাহর অঙ্গীকার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে।
[অত:পর, হুমকি!]
৩:১৬-১৭ - বলুন! তোমরা যদি মৃত্যু অথবা হত্যা থেকে পলায়ন কর, তবে এ পলায়ন তোমাদের কাজে আসবে না। তখন তোমাদেরকে সামান্যই ভোগ করতে দেয়া হবে।
৩:১৭ - বলুন! কে তোমাদেরকে আল্লাহ থেকে রক্ষা করবে যদি তিনি তোমাদের অমঙ্গল ইচ্ছা করেন অথবা তোমাদের প্রতি অনুকম্পার ইচ্ছা? তারা আল্লাহ ব্যতীত নিজেদের কোন অভিভাবক ও সাহায্যদাতা পাবে না। [7] [8]
ইমাম বুখারীর (৮১০-৮৭০ সাল) বর্ণনা (৫:৫৯:৪২৯):
‘আয়েশা হইতে বর্ণিত:
নিম্নোক্ত কোরানের আয়াতটি প্রসঙ্গে: "যখন তারা তোমাদের নিকটবর্তী হয়েছিল উচ্চভূমি ও নিম্নভূমি থেকে (উপত্যকার পূর্ব ও পশ্চিম দিক থেকে) এবং যখন তোমাদের দৃষ্টিভ্রম হচ্ছিল, প্রাণ কণ্ঠাগত হয়েছিল-"(৩৩:১০)। এই ঘটনাটি ঘটেছিল খন্দক যুদ্ধের দিন।’ [9]
- (অনুবাদ – লেখক)
>>> মুহাম্মদের স্বরচিত ব্যক্তিমানস জীবনীগ্রন্থ (Psycho-biography) কুরান ও আদি উৎসের ওপরে বর্ণিত উপাখ্যানের বর্ণনায় যে-বিষয়টি অত্যন্ত স্পষ্ট, তা হলো - শুধু আনুগত্যহীনেরাই নয়, এই যুদ্ধে মুহাম্মদের প্রতি একান্ত বিশ্বাসীরাও জীবনের এক চরম পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছিলেন এবং মুহাম্মদ নিজেও এর ব্যতিক্রম ছিলেন না!
যে কারণে, তিনি সেই দুঃসহ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের চেষ্টায় নিজ উদ্যোগে মিত্র বাহিনীর ঘাতাফান গোত্রের দুই নেতাকে উৎকোচ (ঘুষ) প্রদানের সিদ্ধান্ত নেন।
উৎকোচ প্রদানের মাধ্যমে শত্রুর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির এই কার্যক্রমকে যদি "মুহাম্মদের কূটনীতি (Diplomacy)"নামে আখ্যায়িত করা হয়, তবে মানতেই হবে যে মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ ছিলেন একজন "কূট কূটনীতিক", যে-কূটনীতিকদের একমাত্র নীতি হলো,
“উদ্দেশ্য সাধনের প্রয়োজনে যা কিছু করণীয়, তার সবই বৈধ (The end justifies the means)!” (পর্ব- ৭০)।
(চলবে)
[কুরানের উদ্ধৃতিগুলো সৌদি আরবের বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ (হেরেম শরীফের খাদেম) কর্তৃক বিতরণকৃত বাংলা তরজমা থেকে নেয়া, অনুবাদে ত্রুটি-বিচ্যুতির দায় অনুবাদকারীর। কুরানের ছয়জন বিশিষ্ট অনুবাদকারীর পাশাপাশি অনুবাদ এখানে।]
তথ্যসূত্র ও পাদটীকা:
[1] “সিরাত রসুল আল্লাহ”- লেখক: মুহাম্মদ ইবনে ইশাক (৭০৪-৭৬৮ খৃষ্টাব্দ), সম্পাদনা: ইবনে হিশাম (মৃত্যু ৮৩৩ খৃষ্টাব্দ), ইংরেজি অনুবাদ: A. GUILLAUME, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, করাচী, ১৯৫৫, ISBN 0-19-636033-1, পৃষ্ঠা ৪৫৩-৪৫৪
[2] “তারিক আল রসুল ওয়াল মুলুক”- লেখক: আল-তাবারী (৮৩৮-৯২৩ খৃষ্টাব্দ), ভলুউম ৮, ইংরেজী অনুবাদ: Michael Fishbein, University of California, Los Angeles, নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি প্রেস, ১৯৮৭, ISBN 0-7914-3150—9 (pbk), পৃষ্ঠা (Leiden) ১৪৭৩-১৪৭৫
[3] আল-তাবারীর মতে, যারা "উচ্চভূমি"থেকে আগমন করেছিল অর্থে ইউয়েনা বিন হিসনের গোত্রের লোকদের প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, যারা নাজাদের উচ্চভূমি থেকে এসেছিল। আর যারা "নিম্নভূমি" থেকে আগমন করেছিল অর্থে মক্কার কুরাদের প্রসঙ্গে বলা হয়েছে।
[4] খসরু পারভিজ (খসরু -২) [CHOSROES /KHOSRU II]) ছিলেন সাসানিদ সাম্রাজ্যের (Sasanian Empire) এক পারস্য সম্রাট, রাজত্ব কাল ৫৯৮-৬২৮ সাল। সাসানিদ সাম্রাজ্যের রাজত্ব কাল ছিল ৪২৭ বৎসর (২২৪ -৬৫১ সাল)। ৬৩৭ সালে খলিফা উমর ইবনে খাত্তাবের শাসন আমলে মুসলমানরা প্রথম পারস্যের কিয়দংশ দখল করে; তারপর, পর পর বেশ কয়েকটি যুদ্ধের পর ৬৫১ সালে মুসলমানরা সম্পূর্ণ পারস্য দখল করে ও সাসানিদ সাম্রাজ্যের পতন ঘটায়।
[5] 'সিজার (Caesar)' – রোমান একনায়ক জুলিয়াস সিজার (খ্রিষ্টপূর্ব ২০৮ সাল) এর নামানুসারে আহরিত খেতাব, সম্রাট পক্ষীয় ব্যক্তির উপাধি।
[6] অনুরূপ বর্ণনা: “কিতাব আল-মাগাজি”- লেখক: আল-ওয়াকিদি (৭৪৮-৮২২), ed. Marsden Jones, লন্ডন ১৯৬৬, পৃষ্ঠা ৪৭৭-৪৮০
[7] ইবনে কাথিরের কুরান তফসির:
[8]তাফসীর যালালীন ও অন্যান্য:
[9] সহি বুখারী: ভলুম ৫, বই নম্বর ৫৯, হাদিস নম্বর ৪২৯: http://www.hadithcollection.com/sahihbukhari/92--sp-608/5626-sahih-bukhari-volume-005-book-059-hadith-number-429.html
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন