লিখেছেন গোলাপ
পর্ব ১ > পর্ব ২ > পর্ব ৩ > পর্ব ৪ > পর্ব ৫ > পর্ব ৬ > পর্ব ৭ > পর্ব ৮ > পর্ব ৯ > পর্ব ১০ > পর্ব ১১ > পর্ব ১২ > পর্ব ১৩ > পর্ব ১৪ > পর্ব ১৫ > পর্ব ১৬ > পর্ব ১৭ > পর্ব ১৮ > পর্ব ১৯ > পর্ব ২০ > পর্ব ২১ > পর্ব ২২ > পর্ব ২৩ > পর্ব ২৪ > পর্ব ২৫ > পর্ব ২৬ > পর্ব ২৭ > পর্ব ২৮ > পর্ব ২৯ > পর্ব ৩০ > পর্ব ৩১ > পর্ব ৩২ > পর্ব ৩৩ > পর্ব ৩৪ > পর্ব ৩৫ > পর্ব ৩৬ > পর্ব ৩৭ > পর্ব ৩৮ > পর্ব ৩৯> পর্ব ৪০ > পর্ব ৪১ > পর্ব ৪২ > পর্ব ৪৩ > পর্ব ৪৪ > পর্ব ৪৫ > পর্ব ৪৬ > পর্ব ৪৭ > পর্ব ৪৮ > পর্ব ৪৯ > পর্ব ৫০ > পর্ব ৫১ > পর্ব ৫২ > পর্ব ৫৩ > পর্ব ৫৪ > পর্ব ৫৫ > পর্ব ৫৬ > পর্ব ৫৭ > পর্ব ৫৮ > পর্ব ৫৯ > পর্ব ৬০ > পর্ব ৬১ > পর্ব ৬২ > পর্ব ৬৩ > পর্ব ৬৪ > পর্ব ৬৫ > পর্ব ৬৬ > পর্ব ৬৭ > পর্ব ৬৮ > পর্ব ৬৯ > পর্ব ৭০ > পর্ব ৭১ > পর্ব ৭২ > পর্ব ৭৩ > পর্ব ৭৪ > পর্ব ৭৫ > পর্ব ৭৬ > পর্ব ৭৭ > পর্ব ৭৮ > পর্ব ৭৯ > পর্ব ৮০ > পর্ব ৮১
স্বঘোষিত আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও তাঁর অনুসারীরা খন্দক যুদ্ধে কীরূপ চরম বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছিলেন; মুহাম্মদের বহু অনুসারী ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে ওহুদ যুদ্ধের মতই খন্দক যুদ্ধেও কীভাবে মুহাম্মদের ওপর আস্থা হারিয়েছিলেন; অবস্থা দুঃসহ আকার ধারণ করার পর মুহাম্মদ ঘাতাফান গোত্রের দলপতি ইউয়েনা বিন হিসন ও আল-হারিথ বিন আউফ নামের দুই ব্যক্তির কাছে কী শর্তে উৎকোচ (ঘুষ) প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন; কী কারণে তিনি সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করেছিলেন - ইত্যাদি বিষয়ের বিস্তারিত আলোচনা আগের পর্বে করা হয়েছে।
মুহাম্মদ ইবনে ইশাকের (৭০৪-৭৬৮ সাল) বর্ণনার পুনরারম্ভ: [1] [2]
পূর্ব প্রকাশিতের (পর্ব: ৮১) পর:
‘কোনোরূপ যুদ্ধ ছাড়াই অবরোধ অব্যাহত থাকে। কিন্তু কুরাইশদের কিছু অশ্বারোহী, যাদের মধ্যে ছিল আমর বিন আবদু উদ্দ বিন আবু কায়েস (Amr b. 'Abdu Wudd b. Abu Qays) নামের বানু আমির বিন লুয়াভির (B. 'Amir b. Lu'ayy) গোত্রের এক ভাই; মাখযুম গোত্রের ইকরিমাবিন আবু জেহেল ও হুবায়েরাবিন আবু ওহাব; কবি দিরারবিন আল-খাত্তাব ও বানু মুহারিব বিন ফিহির গোত্রের ইবনে মিরদাস নামের এক ভাই তাদের বর্ম-আবরণ পরিধান করে ঘোড়ার পিঠে সওয়ার হয়ে বানু কিনানা গোত্রের ঘাঁটিতে গমন করে ও বলে, "তোমরা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হও ও তারপর জেনে নাও কারা আজ সত্যিকারের বীর যোদ্ধা।" [3]
খন্দকের কিনারে এসে থামার পূর্ব পর্যন্ত তারা দ্রুতগতিতে সামনে অগ্রসর হয়। যখন তারা তা দেখতে পায় তখন তারা বিস্ময়ে বলে ওঠে, "এটি একটি কৌশল, যা আরবরা কখনোই ব্যবহার করে নাই!"
তারপর তারা খন্দকের এক সংকীর্ণ অংশের কাছে আসে ও তাদের ঘোড়াদের তাড়ন করে সবেগে এমনভাবে ধাবন করায়, যাতে তারা তা অতিক্রম করে খন্দক ও সা'ল [পর্বত] এর মধ্যবর্তী জলাভূমি-সদৃশ (swampy) স্থানে এসে পৌঁছে।
যে স্থানটির ভেতর দিয়ে তারা অতিক্রম করেছিল, সেই স্থানটি আটকে রাখার জন্য কিছু মুসলমানদের সঙ্গে আলী সেখানে আসে; আর তাদের সম্মুখে দ্রুতবেগে এসে হাজির হয় ঐ অশ্বারোহীরা। আমর বিন আবদু উদ্দ ছিল সেই লোক, যে বদর যুদ্ধে জখম হয়ে বিকলাঙ্গ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত যুদ্ধ করেছিল ও সেই কারণে সে ওহুদ যুদ্ধে অংশ নেয়নি। খন্দক যুদ্ধে সে তার পদমর্যাদা প্রকাশের জন্য এক বিশেষ রণসজ্জায় সজ্জিত হয়ে আসে। তার সঙ্গের লোকজনকে নিয়ে সে সেখানে এসে থামে ও মুসলমানদের যে কাউকে তার সাথে দ্বন্দ্বযুদ্ধের চ্যালেঞ্জ করে।
আলী সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে ও তাকে বলে, "আমর, তুমি কী আল্লাহর কসম কেটে প্রতিজ্ঞা করেছ যে, যদি কোনো কুরাইশ তোমাকে দু'টি বিকল্প প্রস্তাব করে, তবে তুমি তার যে কোন একটি গ্রহণ করবে?"
"হ্যাঁ, আমি তা করেছি," সে বলে।
আলী জবাবে বলে, "তাহলে, আমি তোমাকে আল্লাহ ও তার রসুল এবং ইসলামে দীক্ষিত হওয়ার আহ্বান করি।"
সে বলে যে, এসবে তার কোনো প্রয়োজন নেই।
আলী বলে, "তাহলে, আমি তোমাকে যুদ্ধের জন্য তলব করি।"
সে জবাবে বলে, "হে আমার ভাতিজা, আমি তোমাকে হত্যা করতে চাই না।" (ইবনে হিশাম: 'আমর তাকে জিজ্ঞাসা করে জানতে চায় যে সে কে। যখন আলী তাকে তা জানায়, তখন সে বলে, "তোমার কোন আংকেল কে পাঠাও, যে কিনা তোমার চেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ; হে আমার ভাতিজা, আমি তোমার রক্ত ঝরাতে চাই না।”)
আলী বলে, "কিন্তু আমি তোমাকে হত্যা করতে চাই।"
এতে আমর এতই ক্রুদ্ধ হয় যে, সে তার ঘোড়া থেকে নেমে আসে ও ঘোড়াটির পেছনের পায়ের শিরা কেটে তাকে বিকলাঙ্গ করে (তাবারী: 'অথবা তার মুখে প্রহার করে'); তারপর সে আলীর দিকে অগ্রসর হয় ও তারা একে অপরের সাথে দ্বন্দ্ব যুদ্ধ করে। [4]
আলী তাকে হত্যা করে ও তার সঙ্গের অন্যান্য অশ্বারোহীরা খন্দকের ভেতর দিয়ে দ্রুতবেগে পলায়ন করে।’
আল-তাবারীর (৮৩৯-৯২৩ সাল) অতিরিক্ত বর্ণনা:
'আমরের সাথে আর যে-দু'জন ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়, তারা হলো: মুনাববি বিন উসমান বিন উবায়েদ বিন আল-সাববাক বিন আবদুল-দার (যে তীরবিদ্ধ হয়েছিল ও মক্কায় আসার পর মৃত্যুবরণ করেছিল); ও বানু মাখজুম গোত্রের নওফল বিন আবদুল্লাহ বিন আল-মুঘিরা। নওফল খন্দকের মধ্যে ঝাঁপ দেয় ও সেখানে আটকে পড়ে।
তারা তাকে পাথর বর্ষণ করে।
সে বলে, “হে আরববাসী, খুন করা এর চেয়ে অধিক শ্রেয়!"
তাই আলী নিচে নেমে আসে ও তাকে হত্যা করে।
মুসলমানেরা তার মৃতদেহ তুলে আনে। তারা আল্লাহর নবীকে জিজ্ঞাসা করে জানতে চায় যে, তারা এই মৃতদেহ তাদের কাছে বিক্রি করবে কিনা।
আল্লাহর নবী বলেন: "তার মৃতদেহ ও তার মূল্যের আমার কোনো প্রয়োজন নেই। তোমরা যা ভাল মনে করো, এটি দিয়ে তা-ই করো।" এভাবে তিনি এটি [তার মৃতদেহ] দিয়ে যা তাদের ইচ্ছা, তাইই করার অনুমতি প্রদান করেন।’
- অনুবাদ, টাইটেল, ও [**] যোগ - লেখক।]
(‘------Ali accepted the challengeand said to him: "Amr, you swore by God that if any man of Quraysh offered you two alternatives you would accept one of them?'
'Yes, I did,' he said. Ali replied, 'Then I invite you to God and His apostle and to Islam.' He said that he had no use for them. Ali went on, 'Then, I call on you to dismount.
He replied, 'O son of my brother, I do not want to kill you.' (I.H: 'Amr asked him who he was, and when he told him he said: 'Let it be one of your uncles who is older than you, my nephew, for I don't want to shed your blood.')
Ali said, 'But I want to kill you.'
This so enraged 'Amr that he got off his horse and hamstrung it and (Tabari. or beat its face); then he advanced on 'Ali, and they fought, the one circling round the other.
Ali killed him and their cavalry fled, bursting headlong in flight across the trench”.) [1]
Al-Tabari added:
(‘Two men were killed along with Amr: Munabbih b. 'Uthman b. 'Ubayd b. al-Sabbaq b.'Abdu'l –Dar [he was hit by an arrow and died in Mecca]; and Naufal b. 'Abdullah b. al-Mughira of the Banu Makhzum.
Nawfal plunged into the trench and became trapped down in it.
They pelted him with stones.
He said, 'People of the Arabs, a slaying is better than this!'
So 'Ali went down and killed him.
The Muslims took the body. They asked the Messenger of God to sell them his body. The Messenger of God said: “We have no need of his body or its price. Do with it as you like.” So he left them to do as they pleased with it.’) [2]
>>> আদি উৎসে ইসলামে নিবেদিতপ্রাণ বিশিষ্ট মুসলিম ঐতিহাসিকদেরই ওপরে উল্লেখিত বর্ণনায় যে বিষয়টি অত্যন্ত স্পষ্ট, তা হলো:
খন্দক যুদ্ধে আমর বিন আবদু উদ্দ নামের এক কুরাইশ আলী ইবনে আবু তালিবের সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে আলীকে রক্তাক্ত অথবা হত্যা করতে রাজি ছিলেন না। অন্যদিকে, আলী ইবনে আবু তালিব তাঁকে হত্যা করার জন্য ছিলেন উদগ্রীব, যদি না তিনি মুহাম্মদকে নবী হিসাবে স্বীকার করে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হন।
মুহাম্মদের দীক্ষায় দীক্ষিত অনুসারীরা কীরূপ অবলীলায় তাদেরই একান্ত নিকটাত্মীয়দেরও প্রচণ্ড নিষ্ঠুরতায় খুন করার অভিপ্রায়ে উজ্জীবিত তার বিস্তারিত আলোচনা পর্ব: ৩৬-এ করা হয়েছে। আলী ইবনে আবু তালিবও এর ব্যতিক্রম ছিলেন না।
কে এই আমর বিন আবদু উদ্দ? তাঁর সাথে কি আলীর কোনো রক্তের সম্পর্ক ছিল, যে সম্পর্কের কারণে তিনি আলীকে হত্যা করতে চাননি?
ইবনে হিশামের বর্ণনায় আমরা জানতে পারি যে, আমর বিন আবদু উদ্দ ছিলেন আলীর পিতা আবু তালিবের বন্ধু! সেই সূত্রে আলী ছিলেন তাঁর "ভাতিজা সমতুল্য”; আলীর সাথে তাঁর কোনো রক্তের সম্পর্ক ছিল না। তথাপি, এই কুরাইশ তাঁর বন্ধুপুত্রের সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে তাঁকে রক্তাক্ত অথবা হত্যা করতে চাননি।
>>> কোনো মুহাম্মদ অনুসারী তথাকথিত মডারেট (ইসলামে কোনো কোমল, মডারেট বা উগ্রবাদী শ্রেণীবিভাগ নেই) পণ্ডিত কিংবা অপণ্ডিতকে যখন “কুরান” নামক মুহাম্মদের স্বরচিত ব্যক্তিমানস জীবনীগ্রন্থে অবিশ্বাসী কাফেরদের বিরুদ্ধে মুহাম্মদের শত শত হিংস্র, অমানবিক ও নৃশংস নির্দেশ ও শাপ-অভিশাপ, হুমকি-শাসানী, ভীতি-প্রদর্শন এবং আদি উৎসের নিবেদিতপ্রাণ মুহাম্মদ অনুসারীদেরই (লেখক ও বর্ণনাকারী) বর্ণিত মুহাম্মদের জীবনীগ্রন্থ সিরাত ও হাদিস গ্রন্থে মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের সংঘটিত সন্ত্রাস, খুন, জখম, নৃশংসতা ও দাসত্ব-বন্ধন (Enslavement) বিষয়ে আলোকপাত করা হয়, তখন তাঁরা প্রায় সঙ্গে সঙ্গে যে দু'টি অজুহাত পেশ করেন তা হলো:
১) ঐ সমস্ত নির্দেশ ও কার্যকলাপ শুধু মাত্র যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে প্রযোজ্য।
২) তৎকালীন সমাজে এটিই ছিল রীতি!
প্রথম অজুহাত সম্পূর্ণ মিথ্যা, কারণ:
"ত্রাস, হত্যা ও হামলার আদেশ" এর গত পঞ্চান্নটি পর্বের আলোচনায় আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি, রাতের অন্ধকারে বাণিজ্যফেরত নিরীহ কুরাইশ বাণিজ্যবহরের ওপর মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের আগ্রাসী আক্রমণ; আবু আফাক, আসমা-বিনতে মারওয়ান, ক্বাব বিন আল-আশরাফ ও আবু রাফিকে খুন; বনি কেইনুকা ও বনি নাদির ইহুদি গোত্রকে উচ্ছেদ (পর্ব: ৪৬-৫২) - ইত্যাদি অত্যন্ত অমানাবিক, গর্হিত ও নৃশংস কর্মকাণ্ডের কোনোটিই কোনো যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সম্পন্ন হয়নি।
তাঁরা মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীকে কখনো কোনো শারীরিক আঘাত অথবা আক্রমণ করেননি। বনি কেইনুকা গোত্রকে উচ্ছেদের ঘটনায় প্রথম হত্যাকারী ব্যক্তিটি ছিলেন একজন মুহাম্মদ অনুসারী, বনি কেইনুকা গোত্রের লোকেরা নয় (পর্ব: ৫১)।
বদর যুদ্ধের উপাখ্যানের (পর্ব: ৩০-৪৩)বর্ণনায় আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি যে, মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীরাই ছিলেন আগ্রাসী ও আক্রমণকারী, কুরাইশরা নয়।
ওহুদ যুদ্ধের কারণ হলো, বদর যুদ্ধে কুরাইশদের ওপর মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের নৃশংসতার প্রতিশোধ স্পৃহায় কুরাইশদের প্রতি-আক্রমণ। আর খন্দক যুদ্ধের কারণ হলো, মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের দ্বারা বনি নাদির (ও বনি কেইনুকা) গোত্রকে উচ্ছেদ, ঘাতাফান গোত্রের ওপর আক্রমণ, বদর যুদ্ধের নৃশংসতা ও কুরাইশ বাণিজ্যবহরের ওপর মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের অব্যাহত আক্রমণ! "ত্রাস, হত্যা ও হামলার আদেশ" এর পরবর্তী পর্বগুলোতে পাঠকরা এরূপ আরও অনেক উদাহরণ জানতে পারবেন।
প্রশ্ন হলো, “ইসলামের ইতিহাসের আদি উৎসে এমনই শত শত প্রামাণিক তথ্যের (Evidence) উপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও মুহাম্মদ-অনুসারীরা কী কারণে দাবী করেন যে, মুহাম্মদের এই সকল হিংসাত্মক বাণী, আদেশ, নিষেধ ও কর্মকাণ্ড শুধু মাত্র যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে প্রযোজ্য?"
উত্তর হলো, "দুটি কারণে।"
এক: সিংহভাগ মুহাম্মদ-অনুসারীই ইসলামের ইতিহাসের এ সকল অমানবিক অধ্যায় সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ!
দুই: ইসলামী পরিভাষার মারপ্যাঁচ! ন্যায়-অন্যায়ের সর্বজনগ্রাহ্য পরিচিত রূপ ও শব্দমালার অর্থ ইসলামিক পরিভাষায় সম্পূর্ণ বিপরীত অর্থ বহন করতে পারে। (পর্ব: ৩৩)। অবিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে ইসলাম-বিশ্বাসীদের আক্রমণাত্মক আগ্রাসী হামলা বা যুদ্ধ পরিচালনার পর যদি অবিশ্বাসীরা তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও প্রতি-আক্রমণে সামিল হয়, তবে তা হবে "যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি"! সেই পরিস্থিতিতে একজন সাচ্চা মুহাম্মদ-অনুসারীর একান্ত কর্তব্য হলো 'জিহাদ’!
আর দ্বিতীয় অজুহাতও সত্য নয়, কারণ:
নিজ ধর্মের প্রচার ও প্রতিষ্ঠার অভিপ্রায়ে তৎকালীন আরবের লোকেরা ভিন্ন ধর্ম মতাবলম্বী কোনো ব্যক্তি বা জনপদের ওপর আগ্রাসী আক্রমণ, খুন, জখম, লুট (গণিমত), দমন, নিপীড়ন ও দাস ও দাসী-করণের মত গর্হিত কর্মে সচরাচর লিপ্ত হতেন, এমন দাবি সম্পূর্ণরূপে অসত্য!(পর্ব: ৩২)।
বদর যুদ্ধ উপাখ্যানের বিস্তারিত বর্ণনায় আমরা আরও জেনেছি যে, যুদ্ধের সেই সময় ও তার পরবর্তী পরিস্থিতিতে মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের আচরণের তুলনায় কুরাইশদের আচরণ ছিল অধিক শালীন ও মানবিক (পর্ব: ৩১ ও ৩৯); খন্দক যুদ্ধ উপাখ্যানের ওপরে বর্ণিত বর্ণনায় আমরা আবার ও সেই একই দৃশ্য দেখতে পেয়েছি।
>>> ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দের জুন মাসে মুহাম্মদের মৃত্যুর পর শুরু হয় ইসলামের ইতিহাসের খুলাফায়ে রাশেদিনের রাজত্বকাল (৬৩২-৬৬১ সাল); যা মূলত মুহাম্মদের দুই শ্বশুর ও দুই জামাইয়ের রাজত্বকাল (শ্বশুর: আবু বকর ও ওমর; জামাই: ওসমান ও আলী)।
আবু বকর ইবনে কাহাফা, ওমর ইবনে খাত্তাব ও ওসমান ইবনে আফফানের নেতৃত্বে মুহাম্মদ-অনুসারীরা ইসলাম প্রচার ও প্রসারের নামেপৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অবিশ্বাসী কাফের রাষ্ট্র ও জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ৬৩২ সাল থেকে ৬৫৪ সাল পর্যন্ত কমপক্ষে ১৯ টি আগ্রাসী ও আক্রমণাত্মক যুদ্ধ পরিচালনা করে। আবু বকরের দুই বছরের (৬৩২-৬৩৪ সাল) শাসন আমলে ৩টি, ওমর ইবনে খাত্তাবের দশ বছরের (৬৩৪-৬৪৪ সাল) শাসন আমলে ১২টি ও ওসমান ইবনে আফফানের বার বছরের (৬৪৪-৬৫৬) শাসন আমলে ৪টি। (বিস্তারিত আলোচনা পরবর্তীতে করা হবে)।
যুদ্ধ মানেই হলো আক্রমণ, দমন, নিপীড়ন, খুন, জখম, রক্তপাত, লুট (গণিমত), দখল ও সেকালের দাস ও দাসী-করণ! উদ্দেশ্য যাইই হোক না কেন, ফলাফল প্রচুর রক্তপাত!
এই সব যুদ্ধে অগণিত অবিশ্বাসী কাফেরদের খুন, জখম ও দাস ও দাসী-করণের ফসল - ইসলাম ধর্ম প্রতিষ্ঠা নামের আড়ালে আরব সাম্রাজ্যবাদের সূচনা ও প্রতিষ্ঠা!
আবু বকর ও ওমর ছিলেন ভাগ্যবান! কারণ তাদের আমলে “মুসলমান-মুসলমানদের মধ্যে” কোনো বড় ধরণের সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ভাগ্যবান আবু বকর কোনো আততায়ীর ছুরির আঘাতে খুন হননি!
ওমর কোন মুসলমান আততায়ীর ছুরির আঘাতে খুন হননি; তিনি নির্মমভাবে খুন হয়েছিলেন আবু লুলু ফিরোজ নামের আদি পারস্যবাসী এক ক্রীতদাস কাফেরের ছুরির আঘাতে!
মুসলমান-মুসলমানদের মধ্যে সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনার সূত্রপাত ও প্রসার ঘটে ওসমান ইবনে আফফান ও আলী ইবনে আবু তালিবের রাজত্বকালে (৬৪৪-৬৬১ সাল)। ওসমান ইবনে আফফানের শাসন আমলের শেষাংশ থকে শুরু হয়ে ক্রমান্বয়ে তা অত্যন্ত পাশবিক ও সহিংস রূপ ধারণ করে। পরিণতিতে ৬৫৬ সালে আবু বকর পুত্র মুহাম্মদ ইবনে আবু বকর-এর নেতৃত্বে একদল মুহাম্মদ অনুসারী ৭৯ বছরের বৃদ্ধ ওসমান ইবনে আফফানকে কুরান পাঠ অবস্থায় নির্মমভাবে খুন করে।
ওসমান হত্যার পর আরব সাম্রাজ্যবাদের অধিপতি হন আলী ইবনে আবু তালিব। আলীর ক্ষমতায় আহরণের পর মুসলমানদের মধ্যে প্রথম গৃহযুদ্ধ (ফিতনা) শুরু হয়। ক্ষমতায় আসার পর পরই এক রক্তাক্ত যুদ্ধের মাধ্যমে প্রথমেই আলীকে যার সাথে মোকাবিলা করতে হয়, তিনি হলেন তার নিজেরই শাশুড়ি; নবীপত্নী আয়েশা বিনতে আবু বকর ও তার অনুসারী। ইসলামের ইতিহাসে যা "উটের যুদ্ধ” (Battle of the Camel /‘Jange Zamal’) নামে সুবিখ্যাত। তারিখটি ছিল: ডিসেম্বর, ৬৫৬ সাল। আলী ও আয়েশার নেতৃত্বে দু'পক্ষের অসংখ্য মুহাম্মদ-অনুসারী হন খুন ও জখম। জয়লাভ হয় আলীর। [5]
এরপরেই আলীকে যুদ্ধের মাধ্যমে মোকাবিলা করতে হয় মুহাম্মদের আর এক বিশিষ্ট অনুসারী মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান ও তার অনুসারীদের সাথে। ইসলামের ইতিহাসে যা "সিফফিনের যুদ্ধ” (Battle of Siffin) নামে বিখ্যাত। তারিখটি ছিল: জুলাই, ৬৫৭ সাল। দুই পক্ষের অগণিত নিবেদিত প্রাণ মুহাম্মদ-অনুসারী হন খুন ও জখম।
এই যুদ্ধের শেষে আলীর সাথে মতভেদের কারণে একদল মুহাম্মদ অনুসারী আলী ও তার অনুসারীদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ইসলামের ইতিহাসে যাদেরকে "খারেজী” (Kharijites) নামে আখ্যায়িত করা হয়। [6]
তারা বিদ্রোহ করে আলী ও তার অনুসারীদের (শিয়া মুসলমান) বিরুদ্ধে। তাদেরকে দমনের উদ্দেশ্যে ৬৫৮-৬৫৯ সালে (হিজরি: ৩৮ সাল) আলী ও তার অনুসারীরা যে যুদ্ধ পরিচালনা করে, ইসলামের ইতিহাসে তা "নাহরাওয়ানের যুদ্ধ” (Battle of Nahrawan) নামে বিখ্যাত। অমানুষিক নৃশংসতায় তারা ২৪০০ মুহাম্মদ অনুসারীকে (খারেজী) হত্যা করে। ২৮০০ জন খারেজীর মাত্র ৪০০জন জীবিত ফিরে যেতে সক্ষম হয়। [7]
সিফফিন যুদ্ধের পরে আলী ওসমান হত্যার নায়ক মুহাম্মদ ইবনে আবু বকরকে মিশরের গভর্নর নিযুক্ত করেন!
পরবর্তীতে মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ানের সেনাপ্রধান আমর বিন আল-আসের (Amr bin Al As) নেতৃত্বে মুয়াবিয়ার সৈন্যরা মুহাম্মদ ইবনে আবু বকর ও তাঁর সৈন্যদের পরাস্ত করে মিশরের শাসনভার গ্রহণ করে (জুলাই-আগস্ট, ৬৫৮ সাল)। আমর বিন আল-আসের সেনাদলের মুয়াবিয়া বিন হুদায়েজ (Muawiyah bin Hudayj) নামের এক সৈন্য মুহাম্মদ ইবনে আবু বকরকে নৃশংসভাবে খুন করে তার মৃতদেহ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে। [8]
মুহাম্মদ ইবনে আবু বকরকে হত্যার পর মুয়াবিয়া বিন আবু সুফিয়ান, আবদুল্লাহ বিন আমর বিন আল-হাদরামি (Abdallah bin Amr bin al-Hadrami) নামের তার এক প্রতিনিধিকে সিরিয়া থেকে বসরায় পাঠান। উদ্দেশ্য, সে যেন সেখানকার তামিম (Tamim) গোত্র ও অন্যান্য বসরা-বাসীকে আমর বিন আল-আস ও তার শাসন গ্রহণ করার আহ্বান জানায়।
ইবনে হাদরামি বসরায় এসে ওসমানের নির্মম হত্যার জন্য শোক প্রকাশ করে এবং তামিম গোত্রবাসী ও বসরার জনগণকে আলীর বিরুদ্ধে যুদ্ধের আহ্বান করে। তারা তার প্রস্তাব সমর্থন করে ও আমর বিন আল-আস ও মুয়াবিয়ার আনুগত্যের শপথ নেয়।
সেই সাময় আলীর পক্ষে বসরার ডেপুটি গভর্নর ছিলেন যিয়াদ বিন আবিহি (Ziyad bin Abihi) নামের এক আলী-পৃষ্ঠপোষক। এক চিঠি মারফত তিনি আলীকে এই খবরটি অবহিত করান। তিনি আলীকে আরও জানান যে, তার পক্ষে বসরায় এমন কেউ নেই, যে তার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পারে। [9]
এই খবরটি পাওয়ার পর আলী আয়ান বিন দুবায়াহ আল-মুজাশি(Ayan bin Dubay’ah al-Mujashi) নামের এক তামিমি-কে বসরায় প্রেরণ করেন। উদ্দেশ্য সে যেন তার গোত্রের লোকদের ইবনে হাদরামির পক্ষ থেকে আলীর পক্ষে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে। আয়ান বসরায় এসে তার গোত্রের কিছু লোকদের একত্র করে ইবনে হাদরামি ও তার অনুসারীদের কাছে গমন করে ও ইবনে হাদরামির সমর্থকদের আলীর দলে ফিরে আসার আহ্বান জানায়। কিন্তু তারা তার প্রস্তাবে শুধু যে অসম্মতি প্রকাশ করে তাইই নয়, তারা তাকে গালাগালি করে ও তার সাথে দাঙ্গায় লিপ্ত হয়। আয়ান সেখান থেকে ফিরে আসতে বাধ্য হয়। পরবর্তীতে সেখানকার একদল লোক আয়ানের ওপর চড়াও হয় ও তাকে হত্যা করে।
যিয়াদ আলীকে চিঠির মাধ্যমে এই খবরটি জানান। আলী ঘটনাটি জানার পর বানু তামিম গোত্রের ৫০জন (মতান্তরে ৫০০জন) লোককে সঙ্গে দিয়ে জারিয়া বিন কুদামা আল-সাদি (Jariyah bin Qudamah al-Sa’di) নামের তার এক প্রতিনিধিকে বসরায় পাঠান।
জারিয়া বসরায় এসে জিয়াদের সাথে পরামর্শ করে। তারপর সে তার নিজ গোত্রের লোকদের কাছে গমন করে ও আলীর দেয়া চিঠিটি তাদের পড়ে শোনায়। সে তাদেরকে প্রতিশ্রুতি পাশে আবদ্ধ করে ও অধিকাংশ লোকই তার আহ্বানে সাড়া দেয়।
তারপর সে ইবনে হাদরামির কাছে আসে এবং ইবনে হাদরামি ও তার সমর্থকরা যে-বাড়িতে অবস্থান করছিল, সেই বাড়িটি ঘেরাও করে তাদেরকে আত্মসমর্পণ ও আলীর বশ্যতা স্বীকারের আহ্বান জানায়। তারা তাতে রাজি হয় না। তাই জারিয়া ঐ বাড়িটিতে আগুন দিয়ে ইবনে হাদরামী ও তার ৭০জন (মতান্তরে ৪০জন) সমর্থককে জ্যান্ত পুড়িয়ে হত্যা করে। যিয়াদ এই খবরটি আলীকে এক চিঠি মারফত অবহিত করায়। [10]
এ সমস্ত নৃশংস ঘটনার ধারাবাহিকতায় কুফা নগরীতে ৬৬১ সালের জানুয়ারি মাসে ইবনে মুলজাম আল-মুরাদি ও শাবিব বিন বাজারাহ নামের দুই মুহাম্মদ অনুসারীর (খারেজী) বিষ মিশ্রিত তলোয়ারের আঘাতে আলী ইবনে আবু তালিবের জীবনের নির্মম পরিসমাপ্তি ঘটে! [11]
ক্ষমতায় আসার পর আলী, ওসমান হত্যার কোনো বিচার করেননি। ওসমানের হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে তিনি যে কোনোরূপ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি তাইই নয়, হত্যাকারীকে তিনি মিশরের গভর্নর পদে নিযুক্ত করে করেছেন পুরস্কৃত! আলী ও তাঁর সমর্থকদের বিরুদ্ধে মুয়াবিয়া বিন আবু সুফিয়ান ও তার সমর্থকদের বিবাদ, যুদ্ধ ও সহিংসতার প্রধান কারণ হলো, "ওসমান হত্যার বিচার ও হত্যাকারীদের শাস্তি নিশ্চিত না করা।"
আলী তার পাঁচ বছরের শাসন আমলে (৬৫৬-৬৬১ সাল) যে সমস্ত যুদ্ধ বিগ্রহের সাথে জড়িত ছিলেন, তার সিংহভাগই ছিল মুসলমান মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ও নৃশংসতা!
ওপরের ঘটনাগুলো আলী ইবনে আবু তালিব ও তার সমর্থকদের দ্বারা সংঘটিত বহু নৃশংস ঘটনার অল্প কিছু উদাহরণ।
আবু তালিব ও আবু লাহাব সহ হাশেমী বংশের "কোনো পৌত্তলিক সদস্য" ধর্মের কারণেকোন মানুষকে কখনো হত্যা করেছেন, রক্তাক্ত করেছেন কিংবা নিদেনপক্ষে কাউকে কোনো শারীরিক আঘাত করেছেন, এমন ইতিহাস কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। একমাত্র ব্যতিক্রম, হামজা ইবনে আবদুল মুত্তালিব। (পর্ব-৬৩) ।
অন্যদিকে, মুহাম্মদের মতবাদে উদ্বুদ্ধ আবু তালিব পুত্র আলী ইবনে আবু তালিব বদর, ওহুদ, ও খন্দক সহ ইসলামের ইতিহাসের অন্যান্য বহু যুদ্ধ/হামলায় অংশ গ্রহণ করেন ও অমানুষিক নৃশংসতায় অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেন। আলী একান্ত শিশুকাল থেকেই মুহাম্মদ-খাদিজা পরিবারে আশ্রিত ও পালিত হন (পর্ব: ৩৮); তিনি মুহাম্মদের জীবনের শেষ দিনটি পর্যন্ত ছায়ার মত তাঁর পাশে ছিলেন।
হামজা বিন আবদুল মুত্তালিবের মতই আলীর চরিত্রের এই বিশেষ পরিবর্তনের কারণ নিঃসন্দেহে, “মুহাম্মদের সান্নিধ্য ও তাঁর মতবাদে দীক্ষালাভ!"
(চলবে)
তথ্যসূত্র ও পাদটীকা:
[1] “সিরাত রসুল আল্লাহ”- লেখক: মুহাম্মদ ইবনে ইশাক (৭০৪-৭৬৮ খৃষ্টাব্দ), সম্পাদনা: ইবনে হিশাম (মৃত্যু ৮৩৩ খৃষ্টাব্দ), ইংরেজি অনুবাদ: A. GUILLAUME, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, করাচী, ১৯৫৫, ISBN 0-19-636033-1, পৃষ্ঠা ৪৫৪-৪৫৭
[2] “তারিক আল রসুল ওয়াল মুলুক”- লেখক: আল-তাবারী (৮৩৮-৯২৩ খৃষ্টাব্দ), ভলুউম ৮, ইংরেজী অনুবাদ: Michael Fishbein, University of California, Los Angeles, নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি প্রেস, ১৯৮৭, ISBN 0-7914-3150—9 (pbk), পৃষ্ঠা (Leiden) ১৪৭৫ -১৪৭৬
[3] অনুরূপ ও আরও বিস্তারিত বর্ণনা: কিতাব আল-মাগাজি”- লেখক: আল-ওয়াকিদি (৭৪৮-৮২২), ed. Marsden Jones, লন্ডন ১৯৬৬, পৃষ্ঠা ৪৭০-৪৭২
[4] সওয়ারী তার ঘোড়াকে পিছনের পায়ের শিরা কেটে বিকলাঙ্গ (Hamstring) করেন ঐ সময়ে যখন তিনি এই মর্মে স্থিরসঙ্কল্প হন যে তিনি পলায়ন না করে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত যুদ্ধ করবেন।
[5] কিতাব আল-তাবাকাত আল-কাবির – লেখক: মুহাম্মদ ইবনে সা'দ (৭৮৪-৮৪৫ খৃষ্টাব্দ), ইংরেজী অনুবাদ: Aisha Bewley. Ta-Ha publication, London, 1997, ভলুউম ৭,
ISBN 1-897940-62—9 (pbk), পৃষ্ঠা xxi
[6] “The first Kharijites were those who separated from the body of the Muslims in the Great Fitna in the wake up of the Battle of Siffin, refusing to acknowledge Ali after he had agreed to arbitration. They broke away, hence their name, ‘al-khawarij’, and elected their own khalif.”
[7] “তারিক আল রসুল ওয়াল মুলুক”- লেখক: আল-তাবারী (৮৩৮-৯২৩ খৃষ্টাব্দ), ভলুউম ১৭, ইংরেজী অনুবাদ: G. R Hawting, School of Oriental and African Studies, University of London, Published by - State University of New York press, Albany
ISBN 0-7914-2394—8 (pbk), পৃষ্ঠা (Leiden) ৩৩৮০-৩৩৯০ http://www.amazon.com/The-History-Al-Tabari-Eastern-Studies/dp/0791423948#reader_0791423948
[8] Ibid, পৃষ্ঠা ৩৪০৪-৩৪০৭
[9] আলীর মৃত্যুর পর যিয়াদ বিন আবিহি মুয়াবিয়ার আনুগত্য মেনে নেন। মুয়াবিয়া তাকে তার সৎ ভাই (half brother) হিসাবে স্বীকৃতি প্রদান করেন। পরবর্তীতে যিয়াদ ইরাকের বিখ্যাত গভর্নরদের একজন হিসাবে প্রসিদ্ধ লাভ করেন।
[10] Ibid, পৃষ্ঠা ৩৪১৩-৩৪১৮
[11] Ibid, পৃষ্ঠা ৩৪৫৯-৩৪৬০
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন