[ফেইসবুকে একটা মজাদার পেইজ খোলা হয়েছে "ধর্মীয় প্রশ্নের ব্যাঙগানিক উত্তর" নামে। কেউ একজন একটা মজাদার, বিটকেলে বা আপাত নিরীহ প্রশ্ন করছে, আর অমনি অন্যেরা ঝাঁপিয়ে পড়ে সরবরাহ করছে সেটার বৈচিত্র্যময় ব্যাঙগানিক (ব্যঙ্গ + বৈজ্ঞানিক) উত্তর।
সেই পেইজ থেকে নির্বাচিত প্রশ্নোত্তরের ধারাবাহিক সংকলন প্রশ্নকারী ও উত্তরদাতাদের নামসহ ধর্মকারীতে প্রকাশ করা হবে নিয়মিত। বলে রাখা প্রয়োজন, এই নির্বাচনটি একান্তভাবেই ধর্মপচারকের পছন্দভিত্তিক। ফলে ভালো কোনও প্রশ্নোত্তর আমার চোখ এড়িয়ে যাবার সম্ভাবনা তো আছেই, তবে সবচেয়ে বেশি আছে অন্যদের সঙ্গে মতভেদের সম্ভাবনা। নিজ গুণে (ভাগে, যোগে, বিয়োগে) মাফ কইরা দিয়েন।]
১৯১.
- ইসলামে মানুষের ছবি আঁকা হারাম! অথচ গাছের ছবি আঁকা হালাল! এমন কেন? (পার্থ সেন)
- জগদীশদা' নবীজীর অাগে জন্মাইলে গাছের ছবি অাকা হারাম হত। (সরল মানুষ)
১৯২.
- ঘণ্টা বাজিয়ে, ধূপধুনো জ্বালিয়ে, আরতি আর সন্ধ্যা-আহ্নিক করে পুজা করাই বলি বা মাইক বাজিয়ে লোক জানিয়ে ওয়াক্তে ওয়াক্তে নামাজ আদায়ই বলি... উভয়ের মুল উদ্দেশ্য - সৃষ্টিকর্তা ভজন। এক বাক্যে এ আচার যেন ঈশ্বরকেই ঘুষ দেয়া, যাতে পরকালে কোনোরকম সমস্যায় পড়তে না হয়। এ নাকি আবার সৃষ্টিকর্তারই নির্দেশ। নিপীড়নকারি ও নিপীড়ক, উভয়ের জন্য ওই একই নির্দেশ। কিউরিয়াস মাইন্ড ওয়ান্টস টু নো - আল্লাহ নিজে কেন এত খোলাখুলিভাবে ঘুষখোর? কেন তিনি নিজ প্রশংসার জন্য এত কাঙাল? কেন তিনি পৃথিবীতে নির্দ্বিধায় সকল অন্যায় হতে দেন? আদতে কি তিনি অথর্ব? (সেক্যুলার ফ্রাইডে)
- এত প্রশ্ন করলে উত্তর একটাই - আল্যায় প্রশ্ন করতে নিষেধ করেছেন। (দাঁড়িপাল্লা ধমাধম)
১৯৩.
- আল্লায় সব বুদ্ধি নাস্তিক, ইহুদিদের দিলো কেন? তার অনুসারীদের কিছুই দিলো না কেন? (অনিক সরকার)
- বুদ্ধি থাকলে গোলামি করবে না যে। (বসন্ত রাও)
১৯৪.
- ধরা যাক একটি ৬ বছর বয়সের সন্তান মারা গেলো এবং এই ৬ বছরে সে কোনো পাপ কাজ করে নাই এবং তার সাধ্যমতো ধর্ম মেনেই চলেছে। সুতরাং হিসাবমতো তার স্থান জান্নাতে হওয়া উচিত। আমার প্রশ্ন হলো: জান্নাতে যাওয়ার পর
১. সে কি ৭২টি হুরের একটি পাবে?
২. সে কোন হুরটি পাবে?
৩. হুর দিয়ে সে কী করবে?
৪. সে কী জান্নাতে গিয়ে সুরা পান করবে? (সৌরভ সরকার)
- আরে না, তারে বেহেস্তের মাদ্রাসায় ভর্তি করা হবে। (অ্যাডওয়ার্ড রাহুল)
১৯৫.
- আচ্ছা, শিবলিঙ্গকে দুগ্ধস্নান করানো হয় কেন? (অন্তক আরাফাত)
- ওই মাপের কোন কনডম এখনো বাজারে আসে নাই, তাই। (রুহুল আমিন)
১৯৬.
- বজ্রপাত হয় কখন? (ঔপপত্তিক ঐকপত্য)
- আল্যাফাক বায়ু ছাড়লে। (মুফাসা দ্যা গ্রেট)
১৯৭.
- ইয়ে... মসজিদ মাদ্রাসায় যখন রেপ হয়, তখন আল্লাহ মিয়া কী করেন? কই থাকেন? (মশিউর রহমান)
- বালের প্রস্থ মাপে স্লাইড ক্যালিপার্স দিয়া। (মাহমুদ স্মিতাভ)
১৯৮.
- যদি বুরখা পরা থাকত, তাইলে ব্রহ্মা কি তার মাইয়ারে রেপ করিতে পারিত? (দাঁড়িপাল্লা ধমাধম)
- রেপ করতে হবে কেন, তখন সহি উপায়ে করিত। (শহীদুজ্জামান সরকার)
১৯৯.
- হযরত মোহাম্মদ বলেছিলেন আল্লাহ্র কোনো আকার নাই, আকৃতি নাই। আমার প্রশ্ন হচ্ছে - যেহেতু আকার আকৃতি নাই তা হলে মেরাজে গিয়ে সে তার সাথে কীভাবে দেখা করলো? (সাদা কাগজ)
- আকার নাই তো কী হয়েছে? গন্ধ (দুর্গন্ধ) তো আছে। মহাবদ সেই দুর্গন্ধ অনুসরণ করেই আল্যার কাছে গিয়েছিলেন। (অনিক সরকার)
২০০.
- ঈশ্বর কোথায় থাকেন? কী খান? না খেলে শক্তি কীভাবে পান? (মাষ্টার মশাই)
- স্রষ্টার বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন কিছু ছাগু এবং কাঁঠাল পাতা। (পুতুল হক)
আগের পর্বগুলো:
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন