লিখেছেন লাইট ম্যান
মেয়েদের ঋতুস্রাব একটি স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া প্রতিটি সুস্থ সবল নারীর জন্য। যদিও তারা এই সময় শারীরিকভাবে দুর্বলতা অনুভব করে, তার মানে এই নয়, তারা সম্পূর্ণ পচে দুর্গন্ধযুক্ত হয়। কিন্তু এই স্বাভবিক প্রক্রিয়াটিকে অস্বাভাবিক ঘৃণ্য, নিষিদ্ধ ও দূষিত বলে গণ্য করে প্রায় সমস্ত পবিত্র ধর্মীয়গ্রন্থ।
বাইবেলে আছে:
যে স্ত্রী রজঃস্বলা হয় সে সাতদিন অশৌচ থাকবে, যে তাকে স্পর্শ করে সেও সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে এবং অশৌচ কালে যে পুরুষ তার সাথে শোয় ও তার রজঃ যদি পুরুষটির গায়ে লাগে, সে পুরুষও সাত দিন অশুচি থাকবে।
(লেবীয় পুস্তকঃ ১৫)
কোরানে আছে:
লোকে তোমাকে রজঃক্ষরণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে, তুমি বল তা অশুচি। তাই রজঃক্ষর কালে স্ত্রীসঙ্গ বর্জন করবে, আর যতদিন না তারা পবিত্র হয় তাদের কাছে যেও না
(কোরানঃ ২:২২২)
হিন্দুধর্মে আছে আরো কঠোর বিধি-নিষেধ। যেমন, ঋতুকালে নারী অস্পৃশ্য থাকবে। তাকে কেউ স্পর্শ করবে না। সে এমনভাবে থাকবে যাতে ভোজনরত কোনো ব্রাহ্মণের চোখে না পড়ে। ক্ষরণের প্রথম দিনে সে নারীকে গণ্য করা হবে চণ্ডালী, দ্বিতীয় দিনে ব্রহ্মঘাতিনী, তৃতীয় দিনে রজকী। তাকে কোনো ধর্মীয় সামাজিক অনুষ্ঠানে ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে দেওয়া হবে না।
হিন্দু পরমপুরুষ মনুর মতে:
হিন্দু পরমপুরুষ মনুর মতে:
রজস্বলা নারীতে যে পুরুষ সঙ্গত হয় তার বুদ্ধি, তেজ, বল, আয়ু ও চক্ষু ক্ষয় পায়।
(মনু সংহিতা ৪:৪১)
সব ধর্মই নারীকে দিয়েছে সর্বোচ্চ সম্মান ও মর্যাদা।
(১৪.১০.১০ তারিখে প্রথম প্রকাশিত)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন