আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শুক্রবার, ১৭ জুলাই, ২০১৫

খেলাফতের স্বপ্ন

লিখেছেন পুতুল হক

১.
খেলাফতের স্বপ্ন প্রত্যেকটা মুসলমান তার অন্তরে লালন করে। আমি উচ্চশিক্ষিত মুসলমানকে আক্ষেপ করতে শুনেছি খেয়ালফতহীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করতে হবে বলে। আরব হোক কিংবা অনারব হোক, সারা দুনিয়ায় মুসলমানদের একক খলিফার আশায় তারা দিন কাঁটায়।এটা কতোটা বাস্তবসম্মত বা আদৌ সম্ভব কি না, সে বাছবিচারে তারা যায় না। সীমাহীন আবেগ আর ভক্তি তাদের মনে থাকে ইসলামের খলিফা আর খেলাফতের জন্য। 

নবী মোহাম্মদের মৃত্যুর সাথে সাথে ক্ষমতা নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। শুধু তা-ই নয়, মোহাম্মদের মক্কা বিজয়ের আগ পর্যন্ত কুরাইশ বংশের দুই গোত্র বনু উমাইয়া এবং বনু হাশেমি গোত্রের মধ্যে মক্কার আধিপত্য নিয়ে যে-দ্বন্দ্ব, মোহাম্মদের বংশের অসংখ্য লাশের বিনিময়েও তার পরিসমাপ্তি ঘটেনি। 

ইসলামের প্রথম চার খলিফার কেউই সর্বসম্মতভাবে নির্বাচিত হননি। তাঁদের মধ্যে মাত্র একজন স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেছিলেন। ইসলামের রক্তাক্ত ইতিহাস জানার পরেও মুসলমান সব সময় অসত্যভাষণ করে "ইসলাম শান্তির ধর্ম।" খেলাফতের জন্য একটা অদ্ভুত দুর্বলতা সব চাইতে আধুনিক যে মুসলমান তার মনেও কাজ করে।

নানা চড়াই-উতরাই ঘাত-প্রতিঘাতের পর আজকের ইসলাম। কট্টর সালাফি যেমন আছে, তেমনই আছে মডারেট মুসলমান। এই "অতি" দুই গোত্রের মুসলমানের মাঝখানে আছে আরো নানা স্তরের মুসলমান। আছে শিয়া-সুন্নি আবার সুন্নিদের চার মযহাব। আইন-কানুন, জীবনাচার, ধর্মীয় রীতিনীতি পালন ইত্যাদি নানা বিষয়ে তাদের মধ্যে প্রবল মতভেদ বিদ্যমান। কিন্তু খেলাফতের প্রশ্নে তাঁদের মনে কোন দ্বিমত নেই। হাজার বছরের ওপরে নানা সংস্কারের পর মডারেট মুসলমান নামে যারা পরিচিত, তারাও এই ইউটোপিয়াকে সমর্থন করে।

এ কারণেই তৈরি হয় তালেবান, আইএস, বোকো হারাম বা হেফাজতে ইসলাম। উগ্র মুসলিম জঙ্গি গোষ্ঠী তৈরির পেছনে আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং অপরাপর রাষ্ট্রের ভূমিকা যদি থেকে থাকে, তবে সেটা খুবই গৌণ। মূল কারণ - ইসলামের অন্তর্ভুক্ত খেলাফতের প্রতি বিশ্বাস এবং ভালোবাসা।

২.
যে-দেশে অধিকাংশ মানুষের ধর্ম ইসলাম, সে দেশের পক্ষে সম্ভব হয় না ধর্মকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখা। নিজ গৃহে বা উপাসনালয়ে নিজের মনে ধর্মীয় আচার পালন করার ধর্ম ইসলাম নয়। ইসলামের প্রসার ঘটেছিলো রাজনীতিকে মাধ্যম করে। ইসলাম এমনই শান্তির ধর্ম, যেখানে কাফেরের দেশে হুমকি পাঠানো হয়েছিলো ইসলাম গ্রহণ করতে। যারা ইসলাম গ্রহণ করেনি, তারাই ইসলামের শত্রু। 

সব ইবাদতের চাইতে বড় ইবাদত আল্লাহ্‌র আইন প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ করা। শহীদের চাইতে বেশি মর্যাদাবান ইহকালে এবং পরকালে কেউ নেই। মুসলমান তার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত আল্লাহ্‌র রাস্তায় সঁপে দিয়েই মুসলমান হয়। শুধু নামাজ পড়লে, রোজা রাখলে বা হজ্জ-যাকাত আদায় হলেই মুসলমানের দায়িত্ব শেষ হয় না। মুসলমানের চাই আল্লাহ্‌র আইন। 

আমরা ছিলাম 'কম মুসলমান'-এর একটি দেশ। কিন্তু এখন আমরা এই অপবাদ থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টায় মশগুল। আমাদের সহি মুসলমান হতেই হবে। হিন্দুয়ানীতে প্রভাবিত বাংলাদেশে ঈমান নিরাপদ নয়। এই প্রভাব কাটিয়ে উঠতে হবে। আমাদের চাই মরুর লু হাওয়া। মৌসুমি বায়ুতে শরীর খারাপ করে। মরণচাঁদের মিষ্টির দোকানে আগুন দিই, চাই শুকনো খেজুরের স্বাদ। গানবাজনা শয়তানের মোহ, তাই বোমা মেরে পহেলা বৈশাখ পণ্ড করি। 

আমাদের জিভ লকলক করছে রক্তের নোনা স্বাদের জন্য। কান পেতে আছি কখন আসবে ঘোড়সওয়ার, যে কাফেরের মুণ্ডু কেটে এই দেশে  আনবে আল্লাহ্‌র আইন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন