লিখেছেন আনোয়ার খান
বাংলাদেশ আসলে একটি কাফের রাষ্ট্র। কারণ ইসলামী শরীয়া আইনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিধান বাংলাদেশে চালু নেই। যেমন:
১. ইসলামী শরীয়া আইন অনুযায়ী - কোনো মুসলমান ইসলাম ত্যাগ করে অন্য ধর্ম গ্রহণ করলে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, এটি বাংলাদেশে চালু নেই
২. ইসলামী শরীয়া আইন অনুযায়ী - অন্য ধর্মের পক্ষে প্রকাশ্যে প্রচার-প্রচারণা চালানোর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, এটি বাংলাদেশে চালু নেই
৩. ইসলামী শরীয়া আইন অনুযায়ী - অমুসলিমদের জিজিয়া কর দিতে হয়, কিন্তু এটি বাংলাদেশে চালু নেই
৪. ইসলামী শরীয়া আইন অনুয়ায়ী - ব্যভিচারের শাস্তি পাথর ছুঁড়ে হত্যা করা, এটি বাংলাদেশে চালু নেই
৫. ইসলামী শরীয়া আইন অনুযায়ী - ইসলামিক পোশাক না পরলে শাস্তির বিধান আছে, কিন্তু বাংলাদেশে এটি চালু নেই
৬. ইসলামী শরীয়া আইন অনুযায়ী - কোনো মানুষের মৃত্যুদণ্ড প্রকাশ্যে কার্যকর করতে হবে, কিন্তু এটি বাংলাদেশে চালু নেই
৭. ইসলামী শরীয়া আইন অনুযায়ী - কোনো ব্যক্তি তার কন্যা অথবা স্ত্রীকে হত্যা করলে তার সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন (সৌদি আরব), কিন্তু বাংলাদেশে এটি চালু নেই
৮. ইসলামী শরীয়া আইন অনুযায়ী - কোনো মেয়েকে ঘর থেকে বের হতে হলে তার পিতা বা স্বামীর অনুমতি নিতে হয়, কিন্তু বাংলাদেশে এটি চালু নেই
৯. ইসলামী শরীয়া আইন অনুযায়ী - স্বামী মুখে 'তালাক' বললেই তালাক হয়, কিন্তু বাংলাদেশে এটি চালু নেই
১০. ইসলামী শরীয়া আইন অনুযায়ী - হিল্লা বিবাহের বিধান আছে, কিন্তু বাংলাদেশের আইনে এর বৈধতা নেই
১১. ইসলামী শরীয়া আইন অনুযায়ী - স্বামীর একাধিক বিয়ের ক্ষেত্রে স্ত্রীর কোনো অনুমতি নিতে হয় না, অথচ বাংলাদেশে নিতে হয়
১২. ইসলামী শরীয়া আইন অনুযায়ী - কোনো স্বামী তার বউকে পেটালে সেটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ নয়, অথচ বাংলাদেশে এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ
১৩. ইসলামী শরীয়া আইন অনুযায়ী - বিবাহের ক্ষেত্রে কোনো বয়স সীমা নেই, অথচ বাংলাদেশে আছে
১৪. ইসলামী শরীয়া আইন অনুযায়ী - কোনো ধর্ষণ প্রমাণের জন্য তিন জন পুরুষ অথবা দুই জন পুরুষ ও দুই জন নারী প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য লাগে, কিন্তু বাংলাদেশে এই পদ্ধতি চালু নেই
১৫. ইসলামী শরীয়া আইন অনুযায়ী - নারী ও অমুসলিমদের জন্য রাষ্ট্রপ্রধানের পদ নিষিদ্ধ, অথচ বাংলাদেশে নিষিদ্ধ নয়
১৬. ইসলামী শরীয়া আইন অনুযায়ী - নারীদের ঘরের বাইরে গিয়ে উপার্জন করা নিষিদ্ধ, অথচ বাংলাদেশে বহু নারী ঘরের বাইরে গিয়ে উপার্জন করছে
১৭. ইসলামী শরীয়া আইন অনুযায়ী - দাস-দাসী ক্রয়-বিক্রয়ের বৈধতা আছে, অথচ বাংলাদেশে এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ
১৮. ইসলামী শরীয়া আইন অনুযায়ী - গান-বাজনা শোনা হারাম, অথচ বাংলাদেশে সরকারীভাবে এর পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়
১৯. ইসলামী শরীয়া আইন অনুযায়ী - ছবি আঁকা, কবিতা লেখা হারাম, অথচ বাংলাদেশে এসব বৈধ
২০. ইসলামী শরীয়া আইন অনুযায়ী - রোজার সময় অমুসলিমরা প্রকাশ্যে খাবার খেলে তাদেরকে কঠোর শাস্তি দেয়া হয়, অথচ বাংলাদেশে এটিকে অপরাধ বলেই গণ্য করা হয় না
২১. ইসলামী শরীয়া আইন অনুযায়ী - হত্যার ঘটনা ক্ষতিপূরণ প্রদানের মাধ্যমে মীমাংসা কর সম্ভব, অথচ বাংলাদেশের সরকারী আইনে এর বৈধতা নেই
২২. ইসলামী শরীয়া আইন অনুযায়ী - জন্মনিয়ন্ত্রণ হারাম, অথচ বাংলাদেশ সরকার জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য প্রচার প্রচারণা চালায়...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন