লিখেছেন জুলিয়াস সিজার
পুলিশের আইজিপি আগেই বলেছেন, এর পরে বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী:
- তোমরা ধর্মানুভূতি তথা মুসলমানদের অনুভূতিতে আঘাত দিও না। অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে লেখালেখি করলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে হ্যাঁ, শীতকালীন চটি মাহফিল তথা ওয়াজ মাহফিলের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। শীতের ঠাণ্ডার দিনে ওজু করে বসে বসে যৌন সুড়সুড়ি দেওয়া চটি বয়ান শোনার মজাই আলাদা। ওয়াজে রাধা-কৃষ্ণকে নিয়ে ক্লাসিক পর্ন বলে যাওয়া কিংবা গৌতম বুদ্ধ কেন সংসার করেননি, সেটাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ইঙ্গিত করে বয়ান দেওয়া কখনোই ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেওয়া বলে গণ্য হবে না।
আইজিপি বলেছেন, কারও লেখালেখি যেন সীমা ছাড়িয়ে না যায়। মানে হচ্ছে - ইসলাম নিয়ে কোন লেখালেখি সহ্য করা হবে না। তবে মন্দির ভাঙা, বৌদ্ধ বিহার ভাঙা, মন্দিরের জায়গা দখল করা, গৌতম বুদ্ধের মূর্তির সামনে মলমূত্র রেখে আসা দুর্বৃত্তদের কাজ। যেহেতু এসব সহী ইসলাম নয় এবং সহী মুসলমানের কাজ নয় তাই এসব নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। এটা ধর্মানুভূতিতে আঘাত বলেও গণ্য হবে না।
আইজিপি চাপাতিবাহিনীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন:
- দুষ্ট ছেলের দল! এভাবে কোপাতে নেই। তবে তোমরা কোপালেও আমরা ব্যবস্থা নেব না। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য তোমরাই তো আমাদের সোনার ডিম-পাড়া হাঁস। তোমরা না কুপিয়ে মামলা করো। তোমরা কি জানো না, মদিনার সরকার আইন করেছে - ধর্ম নিয়ে লিখলেই ১৪ বছরের জেল? শফি হুজুরের দোয়ায় আমাদের আমরা ইসলামের জন্য কী না করছি!
ব্লগারদের হুঁশিয়ারি দিয়ে আইজিপি বলেছেন, ধর্ম থুক্কু ইসলাম ধর্ম নিয়ে কেউ কটূক্তি করলেই গ্রেপ্তার করা হবে।
আমাদের গোয়েন্দারা অনেক বুদ্ধিমান। তাঁরা তিন বছরেও সাংবাদিক সাগর-রুনি দম্পতির খুনের রহস্যের কোনো কুলকিনারা করতে পারেন না। কিন্তু বাংলাদেশের কোন গ্রামের চিপায় বসে কোন ছেলে আল্লাহর রাসুল নবী মোহাম্মদকে নিয়ে ফেইসবুক পেইজ চালায়, তা ঠিকই খুঁজে বের করে ফেলেন।
এই দেশে খুন করেন, সমস্যা নেই। ধর্ষণ করেন, সমস্যা নেই। ডাকাতি করেন, সমস্যা নেই। দুর্নীতি করেন, সমস্যা নেই। শুধু ইসলাম ধর্ম নিয়ে কোনো কিছু লিখলেই কল্লা ফেলে দেবে। কোপানোর জন্য আছে মডারেট মোল্লারা। আর খুনকে হালাল করার জন্য আছে মডারেটরা। তারাও যদি না পারে, তাহলে আছে সরকার ও আইন।
ফুটন্ত কড়াই নাকি জ্বলন্ত উনুন? কোনটাতে গিয়ে পড়বেন?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন