৮৬.
থাবা বাবা, অভিজিৎ রায়, ওয়াশিকুর বাবু, অনন্ত বিজয়, নিলয় নীল - এঁরা সবাই প্রচলিত সকল ধর্ম তথা অন্ধ বানোয়াট ক্ষতিকর বিশ্বাসের বিরুদ্ধে লিখতেন। কিন্তু এঁদের সবাইকে খুন করেছে ইছলামিস্টরা। অন্য কোনো ধর্মের অন্ধবিশ্বাসীরা নয়। এটার কারণ কী? ইছলামিস্টরা ছাড়া আর সবাই জানে ও মানে যে, অন্য সবকিছুর মত ধর্মেরও সমালোচনা করা যায়; এটা অসম্ভব বা অন্যায় কিছু নয়। কিন্তু সবাই সভ্য হলেও ইছলামিস্টরা কোনোদিন সভ্য হবে না। অন্তত কোরান-হাদিছ পৃথিবীতে যতদিন থাকবে, ততদিন না। তার প্রমাণ আমরা পাই প্রতিদিন, দুনিয়াব্যাপী।
৮৭.
লুইচ্চাকে লুইচ্চা বলো না। শিশুধর্ষককে শিশুধর্ষক বলো না। ডাকাতকে ডাকাত বলো না। খুনিকে খুনি বলো না। ধোঁকাবাজকে ধোঁকাবাজ বলো না। বললে তুমি খুন হবে।
৮৮.
হে মানুষ, তোমরা কখনো সীমা লঙ্ঘন করো না। বৌ পেটাও, কিন্তু সীমা লঙ্ঘন করো না। দাসী সম্ভোগ করো, কিন্তু সীমা লঙ্ঘন করো না। শিশুবিবাহ করে ধর্ষণ করো আরাম ক'রে, কিন্তু সীমা লঙ্ঘন করো না। মানুষের হাত কেটে ফেলে দাও, কিন্তু সীমা লঙ্ঘন করো না। মানুষের মাথা কেটে ফেলে দাও, কিন্তু সীমা লঙ্ঘন করো না। মানুষকে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করো, কিন্তু সীমা লঙ্ঘন করো না।
৮৯.
সব ধর্মই খারাপ। সব ধর্মগ্রন্থই জঘন্য। এক সময় সব ধর্মের অনুসারীরই বিষাক্ত নখ-দাঁত ছিল। এখন সবাই বিষ নখ-দাঁত ছেঁটে নির্বিষ হয়ে গেছে - একমাত্র ইছলামিস্টরা ছাড়া। ইহুদি, খ্রিষ্টান, হিন্দু, শিখ ইত্যাদি সবার সাথে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান সম্ভব। সম্ভব নয় শুধুমাত্র ইছলামিস্টদের সাথে। তার প্রমাণ আমরা এ পর্যন্ত প্রয়োজনের অতিরিক্ত পরিমানে পেয়েছি ও পেয়ে চলেছি। ইছলামিস্টরা এ পৃথিবীর মানুষদের সাথে বাস করার অনুপযুক্ত। এরা সীমাহীন বিষধর। মানবসভ্যতা টিকিয়ে রাখতে হলে এদেরকে ধরে ধরে সূর্য কিংবা আরো দূরবর্তী জ্বলন্ত নক্ষত্রে নির্বাসিত করা জরুরি।
৯০.
এক আল্যা পাক দেড় হাজার বছর আগে ওহী নাজিল করেছিল, সীমা লঙ্ঘন করো না। এখন বাংলাদেশে প্রতিদিন নতুন নতুন আল্যাপাক সৃষ্টি হচ্ছেন। আর প্রতিদিন নতুন নতুন ওহী নাজিল করে চলেছেন - সীমা লঙ্ঘন করো না, সীমা লঙ্ঘন করো না। এত আল্যাপাক আর এত ওহীর ভারে ও ভীড়ে আমরা যাই কই?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন