লিখেছেন শ্মশানবাসী
অনেক রহস্য লুকিয়ে আছে কোরআনের পাতায় পাতায় আর মুসলিমদের জীবনধারায়। তাই বাদ দেয়া যাক বরং। এখানে বিজ্ঞানের সাথে রহস্যের আলোচনা করে বিদঘুটে জগাখিচুড়ি পাকানোর ইচ্ছে নেই। সহজ-সরলভাবে দুটি কথা বলি।
যাঁরা প্রতিদিন কোরআন পড়েন ও অর্থ বোঝেন, তাঁরা হয়তো লক্ষ্য করবেন, কোরআনের প্রতিটি আয়াত দু'ভাবে বিভক্ত, যার প্রথম ভাগে আছে কথিত আল্লাহর স্পষ্ট বাণী আর দ্বিতীয় ভাগে রয়েছে আমাদের পেয়ারের নবীর আল্লাহকে তেল মারা। আজকের এই আলোচনায় যদি আল্লাহর অস্তিত্বের সাথে পেয়ারের নবীর মুখোশও খুলে আসে, তবে লেখক দায়ী না।
লক্ষ করলে দেখবেন, প্রায় প্রতিটা আয়াতেই আল্লাহ তার নিজের গুণগান গেয়েছেন। যেমন, তিনি দয়ালু, ক্ষমাশীল, উদার, সর্বজ্ঞ ইত্যাদি ইত্যাদি। এই কথাগুলো যদি আল্লাহ জিব্রাইলের দ্বারা নবীর কাছে প্রেরণ করে থাকেন, তবে বলতেই হয় - আল্লাহ জিব্রাইল ও তার নবীর দ্বারা নিজের ঢোলটা পিটিয়ে নিয়েছেন। যা হয়তো বিশ্বাসযোগ্য নয়। কারণ সৃষ্টিকর্তা কেমন হবে কোমলে কঠোরে মিশ্রিত, তা সহজেই অনুমেয়। প্রতি আয়াতে আয়াতে তা প্রকাশ করতে হয় না। বিদ্বান লোকের একটা কথা আছে, "মিথ্যা কথা বারবার বলতে হয়।" তাই বলে কোরআনের আয়াতকে মিথ্যা বলতে পারি না। ৫৭ ধারার ভয় আছে!
আসুন, সুরা ফাতিহার ব্যবচ্ছেদ করি, তাহলেই অনেকটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
সুরা ফাতিহার সাতটি আয়াত: ১) শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু। ২) যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা। ৩) যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু। ৪) যিনি বিচার দিনের মালিক। ৫) আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। ৬) আমাদেরকে সরল পথ দেখাও, ৭) সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।
যার মধ্যে চারটিতেই আল্লাহ তার ভাঙা ঢোলখানা পিটিয়েছেন। বাকি তিনটি আয়াতে স্পষ্ট বোঝা যায়, এগুলো কোনো খোদাবিশ্বাসী ব্যক্তির তার উপাস্যের কাছে আত্মসমর্পণের আকুতি, যা কোনোভাবেই আল্লাহর বাণী হতে পারে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন