কিছু মানুষের অনিঃশেষ আহাম্মকি অপরিসীম বিস্ময় ও বিবমিষা জাগায়। মক্কার ক্কাবায় সংঘটিত ট্র্যাজেডি পর মমিনীয় আবালত্বের একটি নিদর্শন দেখুন:
চলতি মাসের শেষদিকে পবিত্র হজ উদ্যাপনে লাখো মুসল্লি জড়ো হতে শুরু করেন পবিত্র মক্কা নগরীতে। পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগেই ঘটে গেল এত বড় দুর্ঘটনা। তবে এ দুর্ঘটনায় যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা শহীদের মর্যাদা পাবেন।
এ মর্যাদা পাওয়ার কারণগুলো হলো : এ মৃত্যু সাধারণ মৃত্যু নয়; বরং শাহাদাতের মৃত্যু ইনশাল্লাহ, যে মৃত্যু প্রত্যেক মুমিনের প্রত্যাশা। কারণ, এ মৃত্যু সংঘটিত হয়েছে-
১. জুমার দিনে (রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমার দিনে বা জুমার রাতে মৃত্যুকে কবরের আজাব থেকে নিষ্কৃতি লাভের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন; তিরমিজি, হাসান)।
২. জুমার দিনের শেষ সময়ে (যা দোয়া কবুলের সময়)।
৩. পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম এবং আল্লাহর সবচেয়ে পছন্দনীয় শহরে।
৪. পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ঘর কাবার পাশে।
৫. হজের মতো অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইবাদতের মধ্যে।
৬. হজের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আমল তওয়াফরত অবস্থায়।
৭. ইহরাম পরিহিত অবস্থায় (রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ইহরাম অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে, কিয়ামতের দিন সে লাব্বাইক… পাঠ করতে করতে উঠবে)।
৮. বৃষ্টিরত অবস্থায় (বৃষ্টি হলো আল্লাহর রহমত); বৃষ্টির পানি শহীদের রক্ত ধুয়ে দিচ্ছে!
৯. ক্রেন ধসে মৃত্যু (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো কিছু ধসে বা কোনো কিছুতে চাপা পড়ে মৃত্যুকে শহীদী মৃত্যু হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন)।
১০. সারা বিশ্বের অগণিত মুসলিম এ দুর্ঘটনায় নিহতদের জন্য দোয়া করছেন, আল্লাহতায়ালা যেন তাঁদের ক্ষমা করে দেন এবং তাঁদের শহীদ হিসেবে কবুল করে নেন।
লেখাটি পড়ে এক ভিডিওর কথা মনে পড়লো। যে কোনও মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর ধর্মবিশ্বাসীরা সচরাচর যা বলে, তা প্রায়শই প্রবল পরস্পরবিরোধিতাময় - অপরিমেয় দুঃখ ও পারলৌকিক পরিতৃপ্তির কুৎসিত সংশ্লেষ। সেটিকে তীব্র ভাষায় ব্যঙ্গ ও পরিহাস করেছেন Doug Stanhope - এক ফায়ারব্র্যান্ড (আস্তিক ও সুশীল নাস্তিকদের ভাষায় 'উগ্র') নাস্তিক স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান।
ওপরের ঘটনার সঙ্গে প্রাসঙ্গিক বক্তব্য শুরু হয় ২ মিনিট ১৭ সেকেন্ডে। তবে শুরু থেকেই দেখা যেতে পারে। ভারি মজাদার!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন