লিখেছেন রহমান পৃথু
কুরানে ক্ষতিকর কথা, কিছু হেঁয়ালি অস্পষ্ট ও অর্থহীন বাক্য ছাড়া কিছু নেই।
নিত্যদিন পাঁচবার পড়ার মত কোনো তথ্য কুরানে নেই, যা পড়ার জন্য মাদ্রাসা-মসজিদ লাগবে।
তবু মুসলমানরা আজান দিয়ে তা সুর করে পড়তে দল বেঁধে বারবার মসজিদে যায়। এমন একটি ক্ষতিকর বই পড়তে মাদ্রাসা বানায়, যা পুষতে দরিদ্র মুসলমানরা আরো হতদরিদ্র হয়। ভাবুন, যে টাকা মানুষের কত কর্মসংস্থান ও বিনোদনের সুবিধা তৈরী করতে পারত। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ব্যয় করা যেত।
এই বইয়ের পেছনে সারা বিশ্বের মসজিদ-মাদ্রাসায় মুসলমানদের অর্থ ও জনবল খরচ - মুসলমানদের বঞ্চনার মূল কারণ।
মুসলমানরা মনে করে, কুরানে যে-কথা আছে, তার চেয়ে ভাল কথা, প্রয়োজনীয় কথা, দরকারী কথা, গুরুত্বপূর্ণ ও সুন্দর কথা আর নেই। কুরানের চেয়ে ভাল বই আর লেখা হয়নি। কুরান মুক্তির সনদ।
এই ভ্রম পৃথিবীর সেরা ট্র্যাজেডি।
কিন্তু মুসলমানরা খুঁজে দেখে না, কী সে-কথা যা পড়ে সে উপকৃত হয়েছে, ... মুক্তি দূরে থাক। শুধু একটি আয়াত খুঁজে দিন, যা অন্য কোনো বইয়ে নেই বা আগে মানুষ জানত না, পরে কুরান থেকে জেনে উপকার পেয়েছে।
হাস্যকর একটা ধারণা - কুরান আল্লার মুখের কথা, যা জিব্রাইল এসে মুহাম্মদকে শুনিয়ে গিয়েছিল। মুসলমানরা জানে না, কুরানের ভাষা, বাক্যবিন্যাস ও বচনে সে-প্রমাণ মেলে না।
বুঝে কুরান পড়লে দেখা যাবে, প্রতিটি আয়াতে প্রমাণ আছে - কুরান মুহাম্মদের লেখা। কুরানের মূল আইডিয়াকারী - খাদিজার চাচাতো ভাই, ওয়ারাকা ইবনে নাফিল। যিনি তোরাহ ও বাইবেলকে আরবি ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন। তিনি ইহুদি ও পরে খ্রীষ্টান পাদ্রী হয়েছিলেন।
দু'-একটি উদাহরণ:
১. কুরানে "বিসমিল্লাহ" বলে আয়াত শুরু - নিশ্চই আল্লাহ করেনি।
২. প্রথম সুরা - ফাতেহা। বলা হয়েছে: "হে আল্লাহ, আপনি আমাকে সৎ পথে পরিচালিত করুন".... ইত্যাদি। - এ কথা কি আল্লাহর? নাকি মুহাম্মদের? আল্লাহর হলে আল্লাহরও আল্লাহ আছে, বুঝতে হবে। আর যদি তা জিব্রাইলের হয়, তাঁর কি অধিকার ছিল আল্লাহর বাণী পরিবর্তন করার? তাঁর তো হুবহু বর্ণনা করার কথা ছিল। মুহাম্মদকে শেখানো নয়।
৩. কুরানের প্রথম কথা "ইকরা" অর্থাৎ পড়ো। জিব্রাইল বা আল্লাহ কি জানত না যে, মুহাম্মদ লিখতে-পড়তে জানে না? জানলে পড়তে বলবে কেন? যে জন্য জিব্রাইলের মুহাম্মদকে বুকে চেপে ধরতে হল!
৪. সুরা আবু লাহাব। ... আবু লাহাব আগুনে ধ্বংস হোক বলে কুরানে অভিশাপ দেন আল্লাহ। আল্লাহর এত ক্ষমতা - হও বল্লে সব হয়ে যায় - আকাশ, ভূমণ্ডল। তবু আবু লাহাব বেঁচে থাকে, স্বাভাবিক বৃদ্ধ হয়ে মরে।
৫. নামাজ। প্রশ্ন করুন: মুহাম্মদ কি নামাজের মধ্যে নিজেই নিজেকে সালাম, দরূদ পাঠ করে নিজের ওপর বর্ষণ করত? তাহলে নামাজের মধ্যে দরূদ ও সানা কোথা থেকে এলো?
অপরাধী তাঁর অপরাধের চিহ্ন মুছতে পারে না। কুরানে মুহাম্মদ তার সারা জীবনের অপরাধের ছাপ রেখে গেছে, খুব সাধারণ চোখেও যা ধরা যায়। মক্কার লোকেরা মুহাম্মদকে বিশ্বাস করেনি। নবী ১৩ বছর ধরে চেষ্টা করেছে। পরে মদিনায় পালিয়ে বাঁচতে হল। আল্লাহ তাকে সাহায্য করেনি, মক্কার লোকেরা সে প্রমাণ পেয়ে নিশ্চিত হয়েছিল।
আমরা কেন প্রশ্ন করতে ভয় পাব?
মুসলিম নারী বা পুরুষ দিনে পাঁচবার নামাজ পড়ে। তাদের একজনকে জিজ্ঞেস করুন, সে যা পড়ছে, তার কিছুমাত্র অর্থ জানে কি না। আমার ধারণা - কলেমার অর্থ জানে, এমন মুসলমান খুঁজে পাওয়াও কঠিন হবে।
তবে এরা সবাই ইসলামের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত!
আমরা নাস্তিক হয়েছি, জেনেছি কুরান-হাদিসের ক্ষতিকর দিক। সেই সব হাদিস ও কুরানের উদ্ধৃতি দিই বলে ইসলামের অবমাননা হয়। আমাদেরকে হত্যা করা হয়।
কিন্তু একই আয়াত পড়ে ইসলামি জঙ্গি আইএস, বাংলা ভাই, জেএমবি, আনসারুল্লা বাহিনী গড়ে ওঠে। আমরা জঙ্গি হই না, ইসলামের প্রকৃত সত্য প্রকাশ করি। এটাই আমাদের অপরাধ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন