চার নম্বর প্রতীকটি দেখে কোনও ধর্মের নাম মাথায় যদি আসে (এবং অবশ্যই এসেছে আপনার মাথায়), তো সেই ধর্মকে ভয় পাবার ভিত্তি নিশ্চিতভাবেই থাকে। কিন্তু বাধ সেধেছে 'ইসলামোফোবিয়া' নামের একটি ধান্দাবাজ শব্দ।
Phobia হচ্ছে irratonal fear অর্থাৎ অযৌক্তিক বা ভিত্তিহীন ভীতি। এই যেমন, Alliumphobia - রসুনভীতি, Papyrophobia - কাগজভীতি, Geliophobia - হাসিভীতি। অর্থাৎ রসুন, কাগজ বা হাসিকে ভয় পাবার কিছু নেই বলেই সেই তথাকথিত ভীতিগুলোকে ফোবিয়া বলা হয়।
কিন্তু ইসলামোফোবিয়া শব্দটি অত্যন্ত সুচতুরভাবে আবিষ্কার করা হয়েছে প্রপাগাণ্ডা ছড়ানোর উদ্দেশ্যে। যেন ইছলাম একেবারে আপাদমস্তক নিরীহ ও শান্তিপূর্ণ - রসুন, কাগজ বা হাসির মতোই। ইছলামের শিং নেই, নোখ নেই, > ছোটে না কি হাঁটে না, > কাউকে যে কাটে না, > করে না কো ফোঁসফাঁস > মারে নাকো ঢুঁশঢাঁশ, > নেই কোন উৎপাত...
অর্থাৎ কিনা প্রমাণ করার চেষ্টা, ইসলামোফোবিয়া হলো ইছলাম বিষয়ে বেহুদা ভীতি। তবে বাস্তবে ইছলাম এখন একটি আতঙ্কের নাম। আর তাই ইছলামের নামে ঘটানো সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের প্রেক্ষাপটে ইছলাম নামের দানবটিকে ভয় পাওয়া কি অযৌক্তিক? আসলে অমুছলিমদের যুক্তিযুক্ত ইছলামভীতিকে ভিত্তিহীন প্রমাণ করতে 'ইসলামোফোবিয়া' শব্দটি উদ্ভাবন করা হয়েছে।
টেক্সাসের মুছলিম বালক আহমেদের ঘড়ি-কাহিনী অনেক দূর গড়িয়েছে। আপাতভাবে বালকটি নির্দোষ বলেই মনে হয়। কিশোর বয়সে ঘড়িনির্মাণতৃপ্তির আতিশয্যে সে হয়তো সেটিকে নিয়ে গেছে স্কুলে। কিন্তু ঘড়িটার এমনই চেহারা, সেটা যদি কাউকে আতঙ্কিত করে তোলে, তাকে দোষ দেয়া যাবে না।
এমন একটি ডিভাইস নিয়ে এয়ারপোর্ট পেরোতে গেলে নিরাপত্তা কর্মীরাও অবধারিতভাবে সন্ত্রস্ত হয়ে উঠবেন। সন্দেহজনক কোনও বস্তু দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়াটাই তো স্বাভাবিক। অথচ স্যুটকেস-বোমা সদৃশ ওই ডিভাইসটি মুছলিম কিশোরের হাতে দেখে কোনও শিক্ষকের ভীত হতে পড়ার ব্যাপারটিকে ইছলামোফোবিয়া বলে চালিয়ে দেয়ার ধূর্ত চেষ্টা শুরু হয়েছে শুরু থেকেই। যদিও ওই শিক্ষকের ভীতি দ্বিবিধ কারণে যুক্তিযুক্ত: ওটির চেহারা স্যুটকেস বোমার কথা মনে করিয়ে দেয় এবং সেটি বহন করেছে এক মুছলিম বালক - যার বয়সী ইছলামী জঙ্গি এই ধরাধামে কম নেই। তদুপরি, ইছলামের এহেন জঙ্গি ইমেজ ইছলামের স্বোপার্জিত।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে আমেরিকার ঠোঁটকাটা কমেডিয়ান বিল মারের কথাগুলো সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত ঠেকেছে।
ভিডিও লিংক: https://youtu.be/aGit-XltUB4
সংযোজন: আহমেদের পিতা 'ইসলামোফোবিয়া' নামের ধূর্ত ধারণাটির প্রচার, প্রসার ও প্রতিষ্ঠায় প্রায় প্রাণপাত করছেন (২০১১ সালে তাঁর অংশগ্রহণে একটি টিভি-বিতর্ক - মূল বিতর্ক শুরু হয় ৩১.৪৮ মিনিটে), তার বোনকে একবার স্কুল থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল বোমা মেরে স্কুল উড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়ার অভিযোগে। এর পরে আহমেদের বোমাসদৃশ ঘড়ির ঘটনা... হুমমমমমমমমমম!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন