আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

বানু কুরাইজার গণহত্যা – ৭: "তাঁদের মা-বোন-স্ত্রী-কন্যাদের ভাগাভাগি ও বিক্রি!” কুরানে বিগ্যান (পর্ব- ৯৩) ত্রাস, হত্যা ও হামলার আদেশ – সাতষট্টি

লিখেছেন গোলাপ

পর্ব ১ > পর্ব ২ > পর্ব ৩ > পর্ব ৪ > পর্ব ৫ > পর্ব ৬ > পর্ব ৭ > পর্ব ৮ > পর্ব ৯ > পর্ব ১০ > পর্ব ১১ > পর্ব ১২ > পর্ব ১৩ > পর্ব ১৪ > পর্ব ১৫ > পর্ব ১৬ > পর্ব ১৭ > পর্ব ১৮ > পর্ব ১৯ > পর্ব ২০ > পর্ব ২১ > পর্ব ২২ > পর্ব ২৩ > পর্ব ২৪ > পর্ব ২৫ > পর্ব ২৬ > পর্ব ২৭ > পর্ব ২৮ > পর্ব ২৯ > পর্ব ৩০ > পর্ব ৩১ > পর্ব ৩২ > পর্ব ৩৩ > পর্ব ৩৪ > পর্ব ৩৫ > পর্ব ৩৬ > পর্ব ৩৭ > পর্ব ৩৮ > পর্ব ৩৯ পর্ব ৪০ > পর্ব ৪১ > পর্ব ৪২ > পর্ব ৪৩ > পর্ব ৪৪ > পর্ব ৪৫ > পর্ব ৪৬ > পর্ব ৪৭ > পর্ব ৪৮ > পর্ব ৪৯ > পর্ব ৫০ > পর্ব ৫১ > পর্ব ৫২ > পর্ব ৫৩ > পর্ব ৫৪ > পর্ব ৫৫ > পর্ব ৫৬ > পর্ব ৫৭ > পর্ব ৫৮ > পর্ব ৫৯ > পর্ব ৬০ > পর্ব ৬১ > পর্ব ৬২ > পর্ব ৬৩ > পর্ব ৬৪ > পর্ব ৬৫ > পর্ব ৬৬ > পর্ব ৬৭ > পর্ব ৬৮ > পর্ব ৬৯ > পর্ব ৭০ > পর্ব ৭১ > পর্ব ৭২ > পর্ব ৭৩ > পর্ব ৭৪ > পর্ব ৭৫ > পর্ব ৭৬ > পর্ব ৭৭ > পর্ব ৭৮ > পর্ব ৭৯ > পর্ব ৮০ > পর্ব ৮১ > পর্ব ৮২ > পর্ব ৮৩ > পর্ব ৮৪ > পর্ব ৮৫ > পর্ব ৮৬ > পর্ব ৮৭ > পর্ব ৮৮ > পর্ব ৮৯ > পর্ব ৯০ > পর্ব ৯১ > পর্ব ৯২

থাবিত বিন কায়েস বিন আল-শামমাস নামের এক মুহাম্মদ অনুসারী কী কারণে স্বঘোষিত আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর কাছে বনি কুরাইজা গোত্রের আল-যাবির বিন বাটা আল-কুরাজি নামের এক বয়োবৃদ্ধ লোকের প্রাণভিক্ষার সুপারিশ করেছিলেন, মুহাম্মদ সেই সুপারিশে রাজি হওয়ার পর যখন থাবিত সেই লোকটিকে ঐ সুসংবাদটি জানান, তখন সেই বয়োবৃদ্ধ লোকটি থাবিত কে কী জবাব দিয়েছিলেন, থাবিতের সুপারিশে  মুহাম্মদ সেই লোকটি ও তাঁর সমস্ত পরিবারের প্রাণভিক্ষা ও তাঁর সমস্ত সম্পদ তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও আল-যাবির বিন বাটা আল-কুরাজি কী কারণে তা প্রত্যাখ্যান করে মৃত্যুকে বেছে নিয়েছিলেন ও তাঁর সেই সিদ্ধান্তের পর থাবিত নিজেই তার কল্লা কেটে ফেটেছিলেন - ইত্যাদি বিষয়ের বিস্তারিত আলোচনা আগের পর্বে করা হয়েছে।

মুহাম্মদ ইবনে ইশাকের (৭০৪-৭৬৮ সাল) বর্ণনার পুনরারম্ভ: [1] [2]

পূর্ব প্রকাশিতের (পর্ব: ৯২) পর:

‘অতঃপর আল্লাহর নবী বনি কুরাইজা গোত্রের সম্পদ, মহিলা ও শিশুদের মুসলমানদের মধ্যে ভাগ করে দেন,  ঘোড়া ও মানুষের শেয়ারের পরিমাণ  জানিয়ে দেন,

ও তার এক-পঞ্চমাংশ তিনি নিজে গ্রহণ করেন (খুমুস)।

[আল্লাহর উদ্ধৃতি দিয়ে মুহাম্মদ তাঁর এই হিস্যা ৮:৪১ (কুরান) ঘোষণার মাধ্যমে নিশ্চিত করেন। বলা হয়, মুহাম্মদের এই ঘোষণা ছিল বদর যুদ্ধের পর। (পর্ব: ২৮)।]

একজন অশ্বারোহীর জন্য তিন ভাগ - দু'টি তার ঘোড়ার জন্য ও একটি অশ্বচালকের জন্য। যে-ব্যক্তির ঘোড়া ছিল না, তার জন্য এক ভাগ। বনি কুরাইজার ঐ দিনটিতে ঘোড়ার সংখ্যা ছিল ছত্রিশ। এটিই ছিল লুটের মালের (গণিমত) প্রথম যা লটারির মাধ্যমে ভাগাভাগিকরে এক-পঞ্চমাংশ গ্রহণ করা হয়েছিল। অতীতের উদাহরণ ও আল্লাহর নবী যা করেছিলেন, তার ভিত্তিতে ভাগাভাগি সম্পন্ন হয় এবং এটিই অতর্কিত হামলার (raid) রীতি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। [3]

অতঃপর আল্লাহর নবী সা'দ বিন যায়েদ আল-আনসারি নামের বনি আবদুল আশাল গোত্রের এক ভাইকে, বনি কুরাইজার কিছু বন্দী নারীকে সঙ্গে দিয়ে নাজাদ অঞ্চলে প্রেরণ করেন ও তাদেরকে তিনি ঘোড়া ও যুদ্ধাস্ত্রের বিনিময়ে বিক্রি করেন।আল্লাহর নবী তাদের মহিলাদের একজনকে নিজের জন্য বাছাই করেন, যার নাম ছিল রায়হানা বিনতে আমর বিন খুনাফা ও যিনি ছিলেন বানু আমর বিন কুরাইজা গোত্রের এক মহিলা।

তার [রায়হানা] মৃত্যুকাল পর্যন্ত তিনি তাঁর অধিকারে ছিলেন। আল্লাহর নবী তাকে বিবাহের প্রস্তাব দিয়েছিলেন ও তার ওপর পর্দা (veil) আরোপ করেছিলেন। কিন্তু তিনি বলেন, "না, আমাকে (দাসী হিসাবে) আপনার অধিকারে রাখেন; কারণ সেটাই আমার জন্য ও আপনার জন্য সহজ হবে।" সুতরাং তিনি তাই করেন। তাঁকে যখন বন্দী করা হয়, তখন তিনি ইসলামের প্রতি তার ঘৃণা প্রদর্শন করেন ও ইহুদি ধর্মেই অনুরক্ত থাকেন। তাই আল্লাহর নবী তাঁকে সেভাবেই রাখেন ও তার প্রতি কিছুটা বিরক্তি অনুভব করেন। তাঁর অনুসারীদের সঙ্গে অবস্থানরত অবস্থায় যখন তিনি তাঁর পেছনে পায়ের আওয়াজ শুনতে পান, তখন তিনি বলেন, "এটি হলো থালাবা বিন সা'য়া যে আমাকে রায়হানার ইসলাম গ্রহণের সুসংবাদ দেয়ার জন্য আসছে, সে সেখানে আসে ও ঘটনাটি ঘোষণা করে। এই সংবাদটি তাঁকে আনন্দিত করে।’ [4]      

ইমাম বুখারীর (৮১০-৮৭০ সাল) বর্ণনা:

আনাস বিন মালিক হতে বর্ণিত:
বনি নাদির ও বনি কুরাইজা গোত্র কে পরাভূত করার পূর্ব পর্যন্ত কিছু লোক আল্লাহর নবীকে কিছু খেজুর ও পাম (তাল জাতীয়) গাছ ইজারা স্বরূপ উপহার দিয়েছিল, তারপর তিনি তাদের সেই খেজুর ও পাম গাছগুলো ফেরত দেয়া শুরু করেন। [5]

(অনুবাদ, টাইটেল ও [**] যোগ - লেখক।)

>>> মুহাম্মদ ইবনে ইশাক, আল-তাবারী, আল-ওয়াকিদি প্রমুখ ইসলামে নিবেদিতপ্রাণ আদি ও বিশিষ্ট মুসলিম ঐতিহাসিকদেরই ওপরে বর্ণিত বর্ণনায় আমরা জানতে পারি যে, মুহাম্মদের আদেশে বনি কুরাইজা গোত্রের সকল প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষকে (যৌনাঙ্গের লোম গজানো শুরু হয়েছে, এমন কাউকেই রেহায় দেয়া হয় নাই) দলে দলে গর্ত পাশে ধরে এনে অমানুষিক নৃশংসতায় এক এক করে গলা কেটে খুন করার পর মুহাম্মদ তাঁদের সমস্ত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ও তাঁদের স্ত্রী, কন্যা, মাতা, ভগ্নি ও শিশুদের নিজেদের মধ্যে এক বিশেষ নিয়মে ভাগাভাগি করে নেন। 

সেই বিশেষ নিয়মটি হলো, দলপতির অধিকার বলে মুহাম্মদ এই লুটের মালের এক-পঞ্চমাংশ হিস্যা একাই গ্রহণ করেন। তারপর অবশিষ্ট বাকি চার-পঞ্চমাংশ সম্পদ ও তাঁদের মহিলা ও শিশুদের এই হামলায় অংশগ্রহণকারী সকল অনুসারীর মধ্যে ভাগ করে দেন। তাঁর যে-অনুসারীরা ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে এই হামলায় অংশগ্রহণ করেছিলেন, তাদের হিস্যা ছিল ঘোড়াবিহীন অবস্থায় অংশগ্রহণকারী অনুসারীদের হিস্যার তুলনায় তিন গুন বেশী।

যে হতভাগ্য মহিলাদের একান্ত পরিজনদের অল্প কিছুক্ষণ আগে মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীরা খুন করেছেন, সেই মহিলাদেরকে মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীরা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়ে যৌনদাসী রূপে ব্যবহার ও ধর্ষণ করেন। এই মহিলাদের মধ্য থেকে রায়হানা নামের এক সুন্দরী রমণীকে মুহাম্মদ নিজের জন্য মনোনীত করেন।

পরবর্তীতে এই মহিলাদের অনেককে নাজাত অঞ্চলে (মধ্য সৌদি আরব) ধরে নিয়ে গিয়ে বাজারে বিক্রি করেন। তারপর এই বিক্রয়লব্ধ অর্থে মুহাম্মদ যুদ্ধের জন্য ঘোড়া ও অস্ত্রসস্ত্র ক্রয় করেন।

ইমাম বুখারীর ওপরে বর্ণিত বর্ণনায় আমরা জানতে পারি যে, মুহাম্মদ এই বনি কুরাইজা গোত্রের লোকদের গণহত্যা ও তাঁদের সম্পদ লুট এবং বনি নাদির গোত্রের সমস্ত মানুষকে তাঁদের শত শত বছরের আবাসস্থল থেকে উচ্ছেদ ও তাঁদের সম্পদ লুটের মাধ্যমে এত বিশাল গনিমতের অধিকারী হয়েছিলেন যে, তিনি এই লুটের মালের সাহায্যে তাঁর প্রতি আনসারদের পূর্ব-অনুগ্রহ পরিশোধ করা শুরু করেন। [পর্ব: ৫২]।

[ইসলামী ইতিহাসের ঊষালগ্ন থেকে আজ অবধি প্রায় প্রতিটি ইসলাম বিশ্বাসী প্রকৃত ইতিহাস জেনে বা না জেনে ইতিহাসের এ সকল অমানবিক অধ্যায়গুলো যাবতীয় চতুরতার মাধ্যমে বৈধতা দিয়ে এসেছেন। বিষয়গুলো অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিধায় আদি উৎসের বর্ণনার বাংলা অনুবাদের সাথে মূল ইংরেজি অনুবাদের অংশটিও সংযুক্ত করছি।]

The resumption of narratives of Muhammad Ibne Ishaq (704-768 AD): [1] [2]

‘Then the apostle divided the property, wives, and children of B. Qurayza among the Muslims, and he made known on that day the shares of horse and men, and took out the fifth [Khums]. A horseman got three shares, two for the horse and one for his rider. A man without a horse got one share. On the day of B. Qurayza there were thirty-six horses. It was the first booty on which lots were cast and the fifth was taken. According to its precedent and what the apostle did the divisions were made, and it remained the custom for raids. [3].

Then the apostle sent Sa'd b. Zayd al-Ansari brother of b. 'Abdu'l Ashhal with some of the captive women of B. Qurayza to Najd and he sold them for horses and weapons. The apostle had chosen one of their women for himself, Rayhana d. 'Amr b. Khunafa, one of the women of B. 'Amr b. Qurayza, and she remained with him until she died, in his power.

The apostle had proposed to marry her and put the veil on her, but she said: 'Nay, leave me in your power (as a concubine), for that will be easier for me and for you.' So he left her. She had shown repugnance towards Islam when she was captured and clung to Judaism. So the apostle put her aside and felt some displeasure. While he was with his companions he heard the sound of sandals behind him and said, 'This is Thal'laba b. Sa'ya coming to give me the good news of Rayhana's acceptance of Islam' and he came up to announce the fact. This gave him pleasure.’ [4]

Sahih Bukhari Volume 005, Book 059, Hadith Number 364.
Narrated By Anas bin Malik: Some people used to allot some date palm trees to the Prophet as gift till he conquered Banu Quraiza and Bani An-Nadir, where upon he started returning their date palms to them. [5]

(চলবে)

তথ্যসূত্র ও পাদটীকা:

[1] “সিরাত রসুল আল্লাহ”- লেখক: মুহাম্মদ ইবনে ইশাক (৭০৪-৭৬৮ খৃষ্টাব্দ), সম্পাদনা: ইবনে হিশাম (মৃত্যু ৮৩৩ খৃষ্টাব্দ), ইংরেজি অনুবাদ:  A. GUILLAUME, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, করাচী, ১৯৫৫, ISBN 0-19-636033-1, পৃষ্ঠা ৪৬৬

[2] “তারিক আল রসুল ওয়াল মুলুক”- লেখক: আল-তাবারী (৮৩৮-৯২৩ খৃষ্টাব্দ), ভলুউম ৮, ইংরেজী অনুবাদ: Michael Fishbein, University of California, Los Angeles, নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি প্রেস, ১৯৮৭, ISBN 0-7914-3150—9 (pbk), পৃষ্ঠা (Leiden) ১৪৯৭-১৪৯৮ http://books.google.com/books?id=sD8_ePcl1UoC&printsec=frontcover&source=gbs_ge_summary_r&cad=0#v=onepage&q&f=false

[3] খুমুস (Khums) - লুটের মালের এক পঞ্চমাংশ মুহাম্মদের জন্য সংরক্ষিত থাকতো।

[4] তিনি কখনোই তাঁর স্ত্রী হতে সম্মত হন নাই।

[5] সহি বুখারী: ভলুম ৫, বই নম্বর ৫৯, হাদিস নম্বর ৩৬৪

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন