লিখেছেন জর্জ মিয়া
শুরুতে একটু ভূমিকা:
তোমাদের কিছু লোক নিরক্ষর। তারা মিথ্যা আকাঙ্খা ছাড়া আল্লাহর গ্রন্থের কিছুই জানে না। তাদের কাছে কল্পনা ছাড়া কিছুই নেই। [সুরা বাকারা: ৭৮]
- একদম ঠিক। তাদের কাছে আল্যার কল্পনা ছাড়া কিছুই নেই। আর আল্যার গ্রন্থেরও কিছু না জেনেই হুদাই নাস্তিকদের গালমন্দ করে। বস্তুত এরা জানে না, গড়পড়তাভাবে এক একজন নাস্তিক মূলত একজন আলেমের থেকেও কোরান এবং হাদিস বেশি জানে। এবারে মূল প্রসঙ্গ।
সুরা বাকারার আয়াত ৮৭-১২১ হযরত মুসা (আঃ) ও হযরত ঈসা (আঃ) সম্পর্কে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে - আল্যা অসহায় মাজেজা দেখাইতে পারেন। কিন্তু তার নবী-রাসুলকে নিজে হেফাজত করতে পারেন না।
যখন তাদেরকে বলা হয়, আল্লাহ যা পাঠিয়েছেন, তা মেনে নাও, তখন তারা বলে, আমরা মানি যা আমাদের প্রতি অবর্তীণ হয়েছে। সেটি ছাড়া সবগুলোকে তারা অস্বীকার করে। অথচ এ গ্রন্থটি সত্য এবং সত্যায়ন করে ঐ গ্রন্থের যা তাদের কাছে রয়েছে। বলে দিন, তবে তোমরা ইতিপূর্বে পয়গম্বরদের হত্যা করতে কেন যদি তোমরা বিশ্বাসী ছিলে? সুস্পষ্ট মু'জেযাসহ মূসা তোমাদের কাছে এসেছেন। এরপর তার অনুপস্থিতিতে তোমরা গোবৎস বানিয়েছ। বাস্তবিকই তোমরা অত্যাচারী। [সুরা বাকারা: ৯১-৯২]
এখানে দু'টি ব্যাপার স্পষ্ট:
- আল্যা আগের পয়গম্বর ও কিতাব পাঠাইছেন, কিন্তু সেগুলা একটা সময়ে গ্রহণযোগ্যতা হারায়। এখানে আল্যার চিন্তাশক্তির দীনতা প্রকাশিত।
- মোজেজা দিলেন মুসাকে, অথচ মুসা যার উম্মত হইতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, তাকে দিলেন মোজেজা ছাড়া কতগুলো যুদ্ধের নেতা বানিয়ে। যার তামাম জীবদ্দশায় কোনো মোজেজা বা অলৌকিকতা দেখাতে পারেন নাই। এটা একটা স্যাড কাহিনী বটে।
আমরা কি এমন মোজেজা ছাড়া পয়গম্বর চেয়েছিলাম? আসুন দেখি, এরপরে কী বলা আছে:
আপনি বলে দিন, যে কেউ জিবরাঈলের শত্রু হয় - যেহেতু তিনি আল্লাহর আদেশে এ কালাম আপনার অন্তরে নাযিল করেছেন, যা সত্যায়নকারী তাদের সম্মুখস্থ কালামের এবং মুমিনদের জন্য পথপ্রদর্শক ও সুসংবাদদাতা। [সুরা বাকারা: ৯৭]
- ইয়েস, মোজেজা বলতে খালি এইটুকুই!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন