লিখেছেন তৌহিদুল ইসলাম
মানুষ এত জানে, তার পরেও লাভ তো দেখি না! এই যে কুরবানী গেল, রক্তে-বর্জ্যে পরিবেশের হাহাকার অবস্থা! আবার পূজাশেষে ঐ যে লাউ সেই কদু!
পেশাগত দিক থেকে আমি সমুদ্রচারী। 'পানি' ও 'পরিবেশ'-কে রক্ষার জন্য প্রতিনিয়ত নতুন নতুন নিয়ম আরোপ হচ্ছে এ দুনিয়ায়। উদ্দেশ্য একটাই - পৃথিবী বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও।
ধর্মের দোহাই দিয়ে আর কতকাল এমন চলবে? আগে শুধু মাটি আর খড় দিয়ে হত "প্রতিমা", যা দেখে আমাদের মত দুষ্টু ছেলের দল রাতে হাত মারত। আর এখন প্রতিমা বানানোর সময় ব্যবহার করা হয় কত শত উপাদান, যা পানিতে ঠিক ভাবে মিশতে পারে না।
ফলে ব্রাক্ষণের মাল বের করে "প্রতিমা" যখন পানিতে নামে অথবা দামাল ছেলেরা যখন বির্সজনের নামে শ্লীলতাহানি শেষে "প্রতিমা"-কে পানিতে ত্যাজ্য করে বাড়ি ফিরে যায়, পানির যে ততক্ষনে 'দ্বাদশ' ঘটিকা বেজে আরও সর্বনাশা ঘটিকা বাজতে চলেছে - তা কি দেবতারা কাউকে বলে না?
জাহাজ যখন ভারতে যায়, তখন "মারপল" (MARPOL) নিয়ে কত টানাটানি, অথচ এখন নিজেরাই "মারপল'-এর পোঁদ মেরে ব্যথায় 'থলথলে' করে দিচ্ছে! সত্যিই, সেলুকাস!
"বির্সজন" দিনকে আজ থেকে "আর্ন্তজাতিক পানি দূষণ" দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হোক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন