লিখেছেন পুতুল হক
মুসলমানদের চ্যারিটি মানে দ্বীন শিক্ষার জন্য মাদ্রাসা-মক্তব প্রতিষ্ঠা বা তাতে দান করা, মসজিদ বানানো। মাঝে মাঝে কোনো মুসলিম ছাত্রকে বিদ্যার্জনে সাহায্য করা, মুসল্লিদের জন্য প্রস্রাবখানা, পায়খানা তৈরি করা।
মোটকথা দ্বীনের পথের বাইরে মুসলমান একটা ফুটো পয়সাও খরচ করার কথা ভাবতে পারে না। এর ব্যতিক্রম কিছু যদি থাকে, তা সঙ্গদোষ, কাফের-নাস্তিকের সাথে মেশামেশির ফল।
মাদ্রাসা ও এতিমখানাগুলো জঙ্গি তৎপরতার সাথে জড়িত জেনেও আমাদের দান কিন্তু থেমে নেই। আর থামবেই বা কেনো? এতিমখানার দরিদ্র শিক্ষার্থীরা জঙ্গি নয়। তারা তৈরি হচ্ছে সারাবিশ্বে আল্লার আইন চালু করার জন্য জিহাদিরূপে। সাধারণ মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব এই সমস্ত জিহাদিকে সাহায্য করা। আল্লার রাস্তায় খরচ করার জন্য মোহাম্মদ তাঁর অনুসারীদের উৎসাহ দিয়েছে, লোভ দেখিয়েছে। আর তাতেও যখন আশানুরূপ ফল পায়নি তখন হুমকি দিয়েছে।
নবীকে তো পরবর্তীতে ইহুদি-নাসারারাও চটাতে সাহস পেত না, আর মুসলমান কীভাবে নবীকে অমান্য করবে! মদিনার বাইরে কীভাবে ইসলাম তার জাল বিস্তার করেছে? নবী ভালবেসে কতজন পৌত্তলিককে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করেছে? কতজন ইহুদি আর খ্রিষ্টানকে মুসলমান করেছে? পেশাদার লুটেরা, ডাকাত যেভাবে ভয় দেখিয়ে লুট করে, ডাকাতি করে, মোহাম্মদ ঠিক একইভাবে তার ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করে।
মোহাম্মদ মদিনায় যেয়ে প্রথমেই লুট আর খুনের মাধ্যমে বিধর্মীদের মনে এক ত্রাসের সৃষ্টি করে। এই ত্রাসকে বাড়িয়ে মোহাম্মদ এমন আতংকে পরিণত করে যে, বিধর্মীরা যে কোনোভাবে হোক মোহাম্মদের সাথে সংঘর্ষ এড়ানোর চেষ্টা করতো। মোহাম্মদকে নিয়ে স্যাটায়ার লেখার কারণে সে ১২০ বছর বয়স্ক কবিকে হত্যার নির্দেশ দেয়। যতরকমের মিথ্যা, কূটকৌশল আর ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেয়া যায়, মোহাম্মদ তাঁর সবই করেছে।
আজও মোহাম্মদের অনুসারীরা মোহাম্মদের দেখিয়ে যাওয়া পথেই হাঁটে। খুন, ধর্ষণ, বোমাবাজি আর অপহরণের মাধ্যমে প্রথমেই একটা ত্রাসের সৃষ্টি করা। এমন প্রচণ্ড ভয় তৈরি করে মানুষের মনে, যাতে করে কেউ সেসব ইসলামী জঙ্গিদের প্রতিরোধ/প্রতিবাদ করার কথা না ভাবতে পারে। শিরশ্ছেদের ফুটেজগুলো তারা ইন্টারনেটে প্রচার করে ভয়কে ছড়িয়ে দেবার জন্য। কিন্তু এখনকার পৃথিবী আর ১৪০০ বছর আগের পৃথিবী এক নয়। এখন ইহুদিরা শুধু কর্মী নয়, পৃথিবীর অন্যতম সেরা যোদ্ধা। এখনকার পৌত্তলিকেরা তাদের দেবতার মূর্তি রক্ষা করতে পারে।
সব ধর্ম মানব সমাজকে বিভক্ত করে। নিজেকে শ্রেষ্ঠ দাবি করার মাধ্যমে অন্যকে হেয় করে। ধর্মকে নির্বাসনে যেতে হবে। কিন্তু এক ধর্ম আর এক ধর্মের বল প্রয়োগের দারা প্রতিস্থাপিত হবে - সেটা কাম্য নয়। ধর্মের নির্বাসন হবে বিজ্ঞানের দ্বারা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন