লিখেছেন জর্জ মিয়া
অর্থাৎ সাহাবীদের কাছেও এই হাজরে আসওয়াদ পাথর টার আলাদা কোনো গুরুত্ব ছিল না।
হজ্বের আর পালনীয় রীতিগুলোর মধ্যে আর একটা হচ্ছে মুযদালিফায় রাত্রিযাপন। জিলহজ্ব মাসের ৯ তারিখে আরাফাত থেকে প্রত্যাবর্তন করে মুযদালিফায় রাত কাটাতে হয়। এখানে একটা জিনিস লক্ষণীয়, এশার নামাজের সময় মাগরিব ও এশার নামাজ একই আযানে সাথে সাথে আদায় করা লাগে। মানে এক আযানে দুই নামাজ। এটা কেমনে ঠিক হয়? এরকম অন্য আর কোন সময় দেখা যায় না। বলা হয় যে, এটা বিশেষ নিয়ম, তবে এই বিশেষ ব্যক্তি (পয়গম্বর ) ব্যতীত সাধারণের এই কর্ম পালন করার যৌক্তিকতা কোথায়?
হজ্বের আর একটা ব্যাপার হচ্ছে শয়তান কে লক্ষ করে পাথর নিক্ষেপ। এখানেও সেই একই পৌত্তলিকতার ছোঁয়া। কথিত আছে, ইব্রাহীম (আঃ) নাকি শয়তানকে উদ্দেশ্য করে পাথর মেরেছিলেন। তাই ১০ তারিখ জামরাতুল আকাবাতে শয়তানকে উদ্দেশ্য করে প্রত্যকের ৭টা করে পাথর মারা লাগে। ১১ ও ১২ তারিখেও কয়েকটি নির্দিষ্ট স্থানে একইভাবে পাথর মারতে হয়। শয়তানকে প্রতি বছর এইভাবে পাথর মারতে গিয়ে যে, কত লোক যে মারা যায়! এ বছর ও এই পাথর মারতে গিয়ে ৭১৭ জন নিহত ও ১০০০+ গুরুতর আহত যদিও এই কম সংখ্যক তথ্যের সত্যতা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে।
কিন্তু এই পাথর মারায় শয়তানের মৃত্যু হয়েছে বলে আদৌ শোনা যায় না। পৌত্তলিক রীতি বলেই এখনো এগুলোকে অনুসরণ করা হয়।
আবার দেখি মুছলিমদের মধ্যে সিয়াম বা রোজা রাখার বিধান রাখা হয়েছে। এই রোজার নিয়ম ইহুদিদের থেকে ধার করা। ইছলাম-পূর্ব আরবে আরবি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী মহরম মাসের (হিব্রু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ‘তিশরি’ মাস) দশম দিনে ইহুদিরা রোজা রাখতেন। আরবি ভাষায় ‘আশুরার দিন (হিব্রু ভাষায় আশর)’ নামে এই দিবস পরিচিত। ইহুদি ধর্মে এদিনের অনুষ্ঠানের নাম ‘জম কিপার’; ইহুদিরা জম কিপারের সময় ২৫ ঘণ্টা উপবাস পালন করে এবং সিনাগগে গিয়ে প্রার্থনা করেন এবং দান খয়রাত করে।
নবী মুহাম্মদ মদিনায় গমনের পরে এবং প্রার্থনার দিক তখন জেরুজালেমে থেকে মক্কার দিকে পরিবর্তিত হল, রোজার সময়সীমা তখন একদিন থেকে বেড়ে দাড়ালো দশ দিনে, অর্থাৎ মহরম মাসের দশ দিন নামে পরিচিত হলো। পরবর্তীতে মুসলমান ও ইহুদিদের মাঝে যখন চূড়ান্ত বিচ্ছেদ হয়, তখন পুরো রমজান মাসকে রোজা পালনের জন্য সংরক্ষণ করা হলো।
নামাজ বেহেশতের চাবি, কিন্তু এই চাবির ব্যাপারে কোরানে কোনো প্রকার বিস্তারিত নির্দেশনা দেয়া হয়নি। মদিনায় হিজরতের প্রথম দেড় বছর মুসলমানরা ইহুদিদের মতো একই দিক অভিমুখ (কিবলা) প্রার্থনা করতেন, যা মূলত জেরুজালেমে অবস্থিত সবচেয়ে দূরের মসজিদ (বা প্রার্থনাস্থান) হিসেবে পরিচিত ছিলো।
ইছলামী মতে নাকি প্রত্যেক পুরুষ সর্বোচ্চ ৪ জন স্ত্রী রাখতে পারবেন। আদতেই কি তাই? দেখি কোরান কি বলে।
মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত। (সুরা নিসা-৩)
খাদিজা, সাওদা, আয়েশা,হাফসা, যায়নাব, উম্ম সালমা, যায়নাব বিনত জাহাশ – পুত্রবধু, জুয়াইরিয়া, উম্ম হাবিবা, রায়হানা, সাফিয়া, মায়মুনা। মোহাম্মদ তার জীবনে এই নারীদের নিয়ে সংসার করেন। আসলে এটাকে সংসার না বলে হেরেম বলাই যুতসই মনে হয়। আরও নিন্দুকের মুখে শোনা যায়, উম্মে হানির সাথেও নাকি তার প্রেম চলছিলো।
শুধু তাই নয়। খলিফাদের মধ্যে সবচেয়ে কম স্ত্রী ছিলো প্রথম খলিফা হযরত আবু বক্করের - মোট ৪ জন স্ত্রী।
আবু বক্কর কন্যা আয়েশা ছিলেন মোহাম্মদের প্রিয় স্ত্রী। দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমরের ১০ জন স্ত্রী ছিলেন। এদের মধ্যে উম্মে কুলসুমের বয়স যখন ৪/৫ বছর, ওমর তাকে বিয়ে করেন। আবার ওমর কন্যা হাফসা ছিলেন মোহাম্মদের স্ত্রী। তৃতীয় খলিফা হযরত ওসমানের মোট স্ত্রীর সংখ্যা ৮ এবং হযরত মোহাম্মদের দুই মেয়ে রুকাইয়া এবং উম্মে কুলসুম দু'জনেই তার স্ত্রী। চতুর্থ খলিফা হযরত আলীর মোট ৮জন স্ত্রী ছিল। তিনি চাচাত ভাই হযরত মোহাম্মদ কন্যা ফাতিমাকে বিয়ে করেন। আবার তিনি হযরত মোহাম্মদের বড় মেয়ে জয়নবের মেয়ে উমামা-কেও বিয়ে করেন, অর্থাৎ তিনি চাচাতো ভাই মোহাম্মদের নাতনীকেও বিয়ে করেন। ইমাম হাসানের ৩ জন স্বীকৃত স্ত্রী ছিল, তাদের মধ্যে একজন তাকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করে ।
শুধু তাই নয়, ইছলামের আঁতুড়ঘর সৌদি আরবের রাজ পরিবারে এমন বিয়ের রীতি এখনও প্রচলিত আছে, এখন প্রশ্ন হচ্ছে ইছলাম বলছে ৪ বিয়ের কথা কিন্তু এখানে এমন কেন?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন