লিখেছেন গোলাপ
পর্ব ১ > পর্ব ২ > পর্ব ৩ > পর্ব ৪ > পর্ব ৫ > পর্ব ৬ > পর্ব ৭ > পর্ব ৮ > পর্ব ৯ > পর্ব ১০ > পর্ব ১১ > পর্ব ১২ > পর্ব ১৩ > পর্ব ১৪ > পর্ব ১৫ > পর্ব ১৬ > পর্ব ১৭ > পর্ব ১৮ > পর্ব ১৯ > পর্ব ২০ > পর্ব ২১ > পর্ব ২২ > পর্ব ২৩ > পর্ব ২৪ > পর্ব ২৫ > পর্ব ২৬ > পর্ব ২৭ > পর্ব ২৮ > পর্ব ২৯ > পর্ব ৩০ > পর্ব ৩১ > পর্ব ৩২ > পর্ব ৩৩ > পর্ব ৩৪ > পর্ব ৩৫ > পর্ব ৩৬ > পর্ব ৩৭ > পর্ব ৩৮ > পর্ব ৩৯ > পর্ব ৪০ > পর্ব ৪১ > পর্ব ৪২ > পর্ব ৪৩ > পর্ব ৪৪ > পর্ব ৪৫ > পর্ব ৪৬ > পর্ব ৪৭ > পর্ব ৪৮ > পর্ব ৪৯ > পর্ব ৫০ > পর্ব ৫১ > পর্ব ৫২ > পর্ব ৫৩ > পর্ব ৫৪ > পর্ব ৫৫ > পর্ব ৫৬ > পর্ব ৫৭ > পর্ব ৫৮ > পর্ব ৫৯ > পর্ব ৬০ > পর্ব ৬১ > পর্ব ৬২ > পর্ব ৬৩ > পর্ব ৬৪ > পর্ব ৬৫ > পর্ব ৬৬ > পর্ব ৬৭ > পর্ব ৬৮ > পর্ব ৬৯ > পর্ব ৭০ > পর্ব ৭১ > পর্ব ৭২ > পর্ব ৭৩ > পর্ব ৭৪ > পর্ব ৭৫ > পর্ব ৭৬ > পর্ব ৭৭ > পর্ব ৭৮ > পর্ব ৭৯ > পর্ব ৮০ > পর্ব ৮১ > পর্ব ৮২ > পর্ব ৮৩ > পর্ব ৮৪ > পর্ব ৮৫ > পর্ব ৮৬ > পর্ব ৮৭ > পর্ব ৮৮ > পর্ব ৮৯ > পর্ব ৯০ > পর্ব ৯১ > পর্ব ৯২ > পর্ব ৯৩ > পর্ব ৯৪ > পর্ব ৯৫ > পর্ব ৯৬ > পর্ব ৯৭ > পর্ব ৯৮ > পর্ব ৯৯ > পর্ব ১০০ > পর্ব ১০১ > পর্ব ১০২ > পর্ব ১০৩ > পর্ব ১০৪
বনি আল-মুসতালিক গোত্রের ওপর আগ্রাসী হামলা শেষে মদিনায় প্রত্যাবর্তনের পর একদল মুহাম্মদ-অনুসারী নবী-পত্নী আয়েশা বিনতে আবু বকরের ওপর যে-অপবাদ আরোপ করেছিলেন, তার সুরাহা কল্পে স্বঘোষিত আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) প্রায় একমাস যাবত আল্লাহর রেফারেন্সে কেন কোনো ঐশী বাণীর অবতারণা করেননি; অতঃপর আত্মপক্ষ সমর্থনে আয়েশার দৃঢ়প্রত্যয় শ্রবণ করার পর তিনি তা কী কারণে অতি দ্রুততার সঙ্গে অবতারণা করিয়ে আয়েশাকে নির্দোষ বলে ঘোষণা দেন; প্রায় সমস্ত ইসলাম-বিশ্বাসী পণ্ডিত ও অপণ্ডিতরা শতাব্দীর পর শতাব্দী যাবত "আয়েশার প্রতি অপবাদ" লেপনের অভিযোগে এককভাবেআবদুল্লাহ বিন উবাই ও তাঁর সহচরদের যেভাবে দোষী সাব্যস্ত করেন, তা কী কারণে মিথ্যাচার; মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহর স্বরচিত জবানবন্দিতে (কুরান) বর্ণিত "যারা মিথ্যা অপবাদ রটনা করেছে, তারা তোমাদেরই একটি দল (২৪:১১)" এর মুখ্য সদস্যরা কারা ছিলেন, এই সদস্যদের সঙ্গে আয়েশা ও মুহাম্মদের পারিবারিক সম্পর্ক কী ছিল - ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনা আগের পর্বে করা হয়েছে।
মুহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ তাঁর স্বরচিত (পর্ব-১৪) ব্যক্তিমানস জীবনীগ্রন্থ কুরানে তাঁর যৌনসমস্যা ও পারিবারিক সমস্যা সমাধানের প্রয়োজনে অনেক বাণী বর্ষণ করেছেন (পর্ব: ২ ও ১৬); তাঁর প্রিয় পত্নী আয়েশার প্রতি তাঁর অনুসারীদেরই আরোপিত এই অভিযোগটি নিঃসন্দেহে তাঁর একান্ত পারিবারিক বিষয়। তাঁর এই একান্ত পারিবারিক সমস্যা সমাধানের প্রয়োজনে তিনি তাঁর সৃষ্ট আল্লাহর নামে যে-বাণীগুলো বর্ষণ করেছেন, তা সঙ্কলিত কুরানের যে-সুরাটিতে উল্লেখ আছে, তার নাম হলো "সূরা আন-নূর (চ্যাপ্টার ২৪)।"
এই সুরাটিতে মুহাম্মদ তাঁর আল্লাহর নামে জগতের সমস্ত নারী ও পুরুষ সম্প্রদায় কীভাবে তাঁদের যৌনাঙ্গের হেফাজত করবেন; তাঁদের যৌনাঙ্গের হেফাজতের প্রয়োজনে তাঁরা কীভাবে সমাজে চলাফেরা করবেন; তাঁর অনুমোদিত প্রক্রিয়ার বাহিরে যদি কোনো নর-নারী তাঁদের জৈবিক যৌনচাহিদা সম্পন্ন করেন, তবে কীভাবে সেই ধর্ষণ ও ব্যভিচারের প্রমাণ মিলবে; সেই ধর্ষণ ও ব্যভিচার প্রমাণের পর ঐ ব্যভিচারী ও ব্যভিচারিণীর শাস্তি কী হবে - ইত্যাদি বিষয়ে মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ সমগ্র মানবজাতিকে তাঁর আদেশ ও উপদেশ বর্ষণ করেছেন।
মুহাম্মদের ভাষায়:
[বাগাড়ম্বরপূর্ণ, স্বেচ্ছাচারী, হুমকি-শাসানি ও শাপ-অভিশাপ জাতীয় বাক্য পরিহার]
২৪:১ - "এটা একটা সূরা যা আমি নাযিল করেছি, এবং দায়িত্বে অপরিহার্য করেছি। এতে আমি সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ অবতীর্ণ করেছি, যাতে তোমরা স্মরণ রাখ।"
২৪:২ – “ব্যভিচারিণী নারী ব্যভিচারী পুরুষ; তাদের প্রত্যেককে একশ’ করে বেত্রাঘাত কর। আল্লাহর বিধান কার্যকর কারণে তাদের প্রতি যেন তোমাদের মনে দয়ার উদ্রেক না হয়, যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি ও পরকালের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে থাক। মুসলমানদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে।”
২৪:৪-৫ “যারা সতী-সাধ্বী নারীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে অতঃপর স্বপক্ষে চার জন পুরুষ সাক্ষী উপস্থিত করে না, তাদেরকে আশিটি বেত্রাঘাত করবে এবং কখনও তাদের সাক্ষ্য কবুল করবে না।এরাই না’ফারমান। (৫) কিন্তু যারা এরপর তওবা করে এবং সংশোধিত হয়, আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম মেহেরবান।”
>>> ইতিপূর্বেব্যভিচারিণী নারী ব্যভিচারী পুরুষদের ব্যভিচার প্রমাণের পদ্ধতি ও শাস্তির বিষয়ে মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ যে-আদেশ জারি করেছিলেন, তা হলো:
৪:১৫-১৬ (সুরা আন-নিসা) – “আর তোমাদের নারীদের মধ্যে যারা ব্যভিচারিণী তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের মধ্য থেকে চার জন পুরুষকে সাক্ষী হিসেবে তলব কর| অত:পর যদি তারা সাক্ষ্য প্রদান করে তবে সংশ্লিষ্টদেরকে গৃহে আবদ্ধ রাখ, যে পর্যন্ত মৃত্যু তাদেরকে তুলে না নেয় অথবা আল্লাহ্ তাদের জন্য অন্য কোন পথ নির্দেশ না করেন| (১৬) তোমাদের মধ্য থেকে যে দু’জন সেই কুকর্মে লিপ্ত হয়, তাদেরকে শাস্তি প্রদান কর| অত:পর যদি উভয়ে তওবা করে এবং নিজেদের সংশোধন করে, তবে তাদের থেকে হাত গুটিয়ে নাও| নিশ্চয় আল্লাহ্ তওবা কবুলকারী, দয়ালু|”
মুহাম্মদ তাঁর সমগ্র নবী-জীবনে (৬১০ -৬৩২ সাল) তাঁর আবিষ্কৃত আল্লাহর রেফারেন্সে যে-সমস্ত বাণী বর্ষণ করেছেন, ক্রমিক সময়ের মান অনুসারে "সূরা আন-নূর" এর অবস্থান হলো ১০২ নম্বর ও "সুরা নিসা" এর অবস্থান হলো ৯২ নম্বরে। [1]
ইবনে কাথির ও অন্যান্য বিশিষ্ট মুসলিম স্কলারদের ভাষ্য মোতাবেক আমরা জনাতে পারি যে, ইসলামের প্রাথমিক যুগে আদেশকৃত "সংশ্লিষ্টদেরকে গৃহে আবদ্ধ রাখ, যে পর্যন্ত মৃত্যু তাদেরকে তুলে না নেয় অথবা আল্লাহ্ তাদের জন্য অন্য কোন পথ নির্দেশ না করেন (৪:১৫)" শাস্তিটি পরবর্তীতে আদেশ কৃত আদেশ "তাদের প্রত্যেককে একশ’ করে বেত্রাঘাত কর (কুরান: ২৪:২) অথবা তাদেরকে প্রস্তর নিক্ষেপে হত্যা কর (হাদিস)" এর আদেশের দ্বারা বাতিল করা হয়েছে (পর্ব: ১৬)।
অর্থাৎ, পূর্বে জারিকৃত সুরা আন-নিসায় মুহাম্মদের ৪:১৫ আয়াতের শেষের অংশ, "অথবা আল্লাহ তাদের জন্য অন্য কোন পথ নির্দেশ না করেন" এর অর্থ হলো পরবর্তীতে জারিকৃত আদেশ "তাদের প্রত্যেককে একশ’ করে বেত্রাঘাত কর (২৪:২) অথবাতাদেরকে প্রস্তর নিক্ষেপে হত্যা কর (হাদিস)” এর এই অনুশাসন। [2]
"তাদেরকে প্রস্তর নিক্ষেপে হত্যা কর", যাকে বলা হয় 'রজম' এর শাস্তি বিধানের আয়াত (verse of stoning), সংকলিত কুরান (বর্তমান কুরান)-এর কোথাও নেই। এটি আছে হাদিসে। বিভিন্ন হাদিসের বর্ণনায়, উমর ইবনে খাত্তাবের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, "তাদেরকে প্রস্তর নিক্ষেপে হত্যা কর", যাকে বলা হয় 'রজম'-এর শাস্তির বিধানের আয়াত মুহাম্মদ তাঁর আল্লাহর রেফারেন্সে জারি করেছিলেন এবং মুহাম্মদ অনুসারীরা তা তেলাওয়াত, মুখস্থ ও কার্যকর করতেন। [3] [4]
'রজম'-এর এই শাস্তির বিধান প্রসঙ্গে বিভিন্ন হাদিসে যা বর্ণিত আছে, তা হলো, ব্যভিচারিণী নারী বা ব্যভিচারী পুরুষের শাস্তি কী হবে, তা নির্ধারিত হবে "সেই ব্যক্তিটি কি বিবাহিত, নাকি অবিবাহিত”, এই বিবেচনায়। [5]
যদি ব্যক্তিটি বিবাহিত হয়: “তাঁকে এক শত দোররা মারার পর মাটিতে তাঁর শরীরের নিচের অংশটি পুঁতে রেখে প্রস্তর নিক্ষেপে হত্যা করা!”
যদি ব্যক্তিটি অবিবাহিত হয়: “তাঁকে এক শত দোররা মারার পর এক বছরের জন্য নির্বাসন।”
রজমের বিচার ও শাস্তি বিধানের সবচেয়ে ভয়াবহ রূপটি হলো, "ব্যভিচার প্রমাণের শর্ত!” তেমন শর্ত হলো তিনটি: [6]
১) মুহাম্মদের স্বরচিত কুরান এবং মুহাম্মদ অনুসারীদের রচিত 'সিরাত' ও হাদিসের বিধান অনুযায়ী তা হলো, "চার জন পুরুষ সাক্ষী!”
>> এটি প্রায় অসম্ভব একটি শর্ত! কারণ, পৃথিবীর প্রায় সকল সভ্য সমাজেই নারী-পুরুষের দৈহিক প্রেম ও যৌন মিলন সংঘটিত হয় একান্ত নিভৃতে, লোকচক্ষুর অন্তরালে। একইভাবে ধরা পড়ার সম্ভাবনার চিন্তা মাথায় রেখে ধর্ষকরা ও তাদের ধর্ষণকর্ম সম্পন্ন করে লোকচক্ষুর আড়ালে, নিরিবিলি ও জনমানবশূন্য স্থানে; কিংবা কোনো নিভৃত বাসস্থানে। এমত অবস্থায় ব্যভিচার প্রমাণের জন্য চার জন পুরুষ সাক্ষী জোগাড় প্রায় অসম্ভব একটি ব্যাপার; যদি না সেই নর ও নারীকে জনতা হাতেনাতে ধরে ফেলেন, অথবা দুষ্ট লোকেরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাউকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন।
২) প্রথম শর্তটি (প্রমাণ) হাজির করতে না পারলে, ব্যভিচার প্রমাণের জন্য মুহাম্মদ অনুসারীদের রচিত 'সিরাত' ও হাদিসের বিধান অনুযায়ী যে-শর্তটি অবশ্য প্রয়োজনীয়, তা হলো - “অভিযুক্ত ব্যক্তিটি স্বতঃস্ফূর্তভাবে 'চার বার' এই বলে সাক্ষ্য প্রদান করবেন যে, তিনি ব্যভিচার করেছেন।"
>> "একশত ঘা দোররা মেরে সমস্ত শরীর ক্ষত-বিক্ষত করার পর তাকে এক বছরের জন্য নির্বাসনে পাঠানো হবে (অবিবাহিত ব্যক্তি) অথবা একশত ঘা দোররা মারার পর তার অর্ধেক শরীর মাটিতে পুঁতে রেখে প্রস্তর নিক্ষেপে হত্যা করা হবে (বিবাহিত ব্যক্তি)", এমন ভয়াবহ শাস্তি নিঃসন্দেহে কার্যকর হবে জানা সত্ত্বেও কোনো সত্যবাদী যুধিষ্ঠির নিজে এসে তাঁর অপরাধ স্বীকার করেন, এমন ঘটনা গল্প-উপন্যাস-কবিতায়-নাটক-সিনেমায় দেখা যায় সত্য, কিন্তু বাস্তব জীবনে এমন ঘটনা নিঃসন্দেহে এক অতি বিরল উদাহরণ মাত্র!
তারচেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে-বিষয়টি, তা হলো, "কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তি তাঁর দোষ স্বীকার করে ভয়াবহ শাস্তি মাথা পেতে গ্রহণ করবেন কি করবেন না, তা অভিযুক্ত ব্যক্তির একান্ত ব্যক্তিগত অভিপ্রায়! কোনো অভিযোগকারীর পক্ষে এই শর্ত পূরণ করা অসম্ভব!"
৩) ওপরে উল্লেখিত প্রথম ও দ্বিতীয় শর্তটি (প্রমাণ) হাজির করতে না পারলে, ব্যভিচার প্রমাণের জন্য মুহাম্মদ-অনুসারীদের রচিত 'সিরাত' ও হাদিসের বিধান অনুযায়ী যে-শর্তটি অবশ্য প্রয়োজনীয়, তা হলো "অভিযুক্তের গর্ভধারণ অবস্থা!"
>> এটি এমন একটি শর্ত যা নিঃসন্দেহে শুধুমাত্র নারীর জন্যই প্রযোজ্য! কারণ জগতের কোনো পুরুষের পক্ষে গর্ভধারণ একেবারেই অসম্ভব। এ ছাড়াও এই প্রমাণটি এমন একটি প্রমাণ, যা অভিযুক্তের অপরাধের সুনির্দিষ্ট ও সুনিশ্চিত সাক্ষী! আর এটি এমন একটি মোক্ষম প্রমাণ, যা কোনো অভিযোগকারীর অভিযোগের ভিত্তির ওপর নির্ভরশীল নয়। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী কোনো অবিবাহিত, স্বামীবঞ্চিত কিংবা তালাকপ্রাপ্তা নারীর ব্যভিচারের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নিয়ে হাজির হোক কিংবা না হোক; নারীর এই গর্ভধারণ সুনিশ্চিতভাবেই তাঁর ব্যভিচারের সাক্ষ্য। একইভাবে, নারীর এই গর্ভধারণ তাঁর সম্মতি কিংবা অসম্মতির ওপর নির্ভরশীল নয়। তাঁর একান্ত অসম্মতিতে কোনো ধর্ষকের ধর্ষণের কারণেই হোক কিংবা তাঁর একান্ত সম্মতিতে কোনো প্রেমিকের প্রেমের কারণেই হোক, অভিযুক্ত নারীর এই গর্ভধারণ সুনিশ্চিতভাবেই তাঁর ব্যভিচারের সাক্ষ্য বহন করে।
এমত অবস্থায় মুহাম্মদের আদেশকৃত বিধানে কোনো নারীর পক্ষে "চার জন পুরুষ সাক্ষী" যোগাড় করে তাঁর নিষ্কলুষতা প্রমাণ করা প্রায় অসম্ভব একটি শর্ত। আর এই প্রমাণ হাজির করতে না পারলে মুহাম্মদের আদেশকৃত বিধানে এই নারীর শাস্তি হলো: তিনি অবিবাহিত হলে, "একশত ঘা দোররা মেরে তাঁর সমস্ত শরীর ক্ষত-বিক্ষত করা হবে"; বিবাহিত হলে, "একশত ঘা দোররা মারার পর তার অর্ধেক শরীর মাটিতে পুঁতে রেখে প্রস্তর নিক্ষেপে হত্যা করা হবে (২৪:২)।"
আর যদি এই নারী অত্যাবশ্যকীয় "চার জন পুরুষ সাক্ষী" ব্যতিরেকে কোনো পুরুষের বিরুদ্ধে তাঁর এই গর্ভধারণের কারণ উল্লেখ করে অভিযোগ আনেন, তবে মুহাম্মদের আদেশকৃত বিধানে "তাকে আশিটি বেত্রাঘাত করা হবে এবং কখনও তার সাক্ষ্য কবুল করা হবে না (২৪:৪)"।
যে-কারণে ইসলাম নামক আদর্শে, মুহাম্মদের আদেশকৃত বিধানে ইসলামের ঊষালগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় সমস্ত ক্ষেত্রেই “ধর্ষকরা পায় ছাড়া! আর নারীরা করে শাস্তি ভোগ!”
(চলবে)
[কুরানের উদ্ধৃতিগুলো সৌদি আরবের বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ (হারাম শরীফের খাদেম) কর্তৃক বিতরণকৃত বাংলা তরজমা (http://www.quraanshareef.org/) থেকে নেয়া, অনুবাদে ত্রুটি-বিচ্যুতির দায় অনুবাদকারীর। কুরানের ছয়জন বিশিষ্ট অনুবাদকারীর পাশাপাশি অনুবাদ এখানে।]
[1] ক্রমিক সময় অনুসারে কুরানের সুরার নাম
[2] ইবনে কাথিরের কুরান তফসির: http://www.qtafsir.com/index.php?option=com_content&task=view&id=698&Itemid=59
At the begining of Islam, the ruling was that if a woman commits adultery as stipulated by sufficient proof, she was confined to her home, without leave, until she died. Allah said, “And those of your women who commit illegal sexual intercourse, take the evidence of four witnesses from among you against them; and if they testify, confine them (i.e. women) to houses until death comes to them or Allah ordains for them some (other) way.)` Some other way' mentioned here is the abrogation of this ruling that came later. Ibn `Abbas said, "The early ruling was confinement, until Allah sent down Surat An-Nur (chapter 24) which abrogated that ruling with the ruling of flogging (for fornication) or stoning to death (for adultery).''
তাফসীর যালালীন ও অন্যান্য:
[3]সহি মুসলিম: বই নম্বর ১৭, হাদিস নম্বর ৪১৯৪
'Abdullah b. 'Abbas reported that 'Umar b. Khattab sat on the pulpit of Allah's Messenger (may peace be upon him) and said: Verily Allah sent Muhammad (may peace be upon him) with truth and He sent down the Book upon him, and the verse of stoning was included in what was sent down to him. We recited it, retained it in our memory and understood it. Allah's Messenger (may peace be upon him) awarded the punishment of stoning to death (to the married adulterer and adulteress) and, after him, we also awarded the punishment of stoning, I am afraid that with the lapse of time, the people (may forget it) and may say: We do not find the punishment of stoning in the Book of Allah, and thus go astray by abandoning this duty prescribed by Allah..
[4] সহি বুখারী: ভলুম ৮, বই ৮২, হাদিস নম্বর ৮১৭
(অনেক বড় হাদিস, প্রাসঙ্গিক অংশ) “---- Allah sent Muhammad with the Truth and revealed the Holy Book to him, and among what Allah revealed, was the Verse of the Rajam (the stoning of married person (male & female) who commits illegal sexual intercourse, and we did recite this Verse and understood and memorized it. Allah's Apostle did carry out the punishment of stoning and so did we after him. --
[5] সহি মুসলিম: বই নম্বর ১৭, হাদিস নম্বর ৪১৯২: http://www.usc.edu/org/cmje/religious-texts/hadith/muslim/017-smt.php#017.4192
(প্রাসঙ্গিক অংশ)----- Verily Allah has ordained a way for them (the women who commit fornication),: (When) a married man (commits adultery) with a married woman, and an unmarried male with an unmarried woman, then in case of married (persons) there is (a punishment) of one hundred lashes and then stoning (to death). And in case of unmarried persons, (the punishment) is one hundred lashes and exile for one year.
[6] ব্যভিচার প্রমাণের শর্ত হলো তিনটি:
সহি মুসলিম: বই নম্বর ১৭, হাদিস নম্বর ৪১৯৪
(প্রাসঙ্গিক অংশ) ---- Stoning is a duty laid down in Allah's Book for married men and women who commit adultery when proof is established, or it there is pregnancy, or a confession.
সহি মুসলিম: বই নম্বর ১৭, হাদিস নম্বর ৪১৯৬
(প্রাসঙ্গিক অংশ) -- and as he testified four times against his own self, Allah's Messenger (may peace be upon him) called him and said: Are you mad? He said: No. He (again) said: Are you married? He said: Yes. Thereupon Allah's Messenger (may peace be upon him) said: Take him and stone him. Ibn Shihab (one of the narrators) said: One who had heard Jabir b. 'Abdullah saying this informed me thus: I was one of those who stoned him. We stoned him at the place of prayer (either that of 'Id or a funeral). When the stones hurt him, he ran away. We caught him in the Harra and stoned him (to death). This hadith has been narrated through another chain of transmitters.
সহি মুসলিম: বই নম্বর ১৭, হাদিস নম্বর ৪২০৬
When it was the fourth time, a ditch was dug for him and he (the Holy Prophet) pronounced judg- ment about him and he was stoned. ---And she was put in a ditch up to her chest and he commanded people and they stoned her. Khalid b Walid came forward with a stone which he flung at her head and there spurted blood on the face of Khalid and so he abused her. Allah's Apostle (may peace be upon him) heard his (Khalid's) curse that he had huried upon her. Thereupon he (the Holy Prophet) said: Khalid, be gentle. By Him in Whose Hand is my life, she has made such a repentance that even if a wrongful tax-collector were to repent, he would have been forgiven. Then giving command regarding her, he prayed over her and she was buried.
সহি মুসলিম: বই নম্বর ১৭, হাদিস নম্বর ৪২০৯
(প্রাসঙ্গিক অংশ) --I asked the scholars (if this could serve as an expiation for this offence). They informed me that my son deserved one hundred lathes and exile for one year. and this woman deserved stoning (as she was married).Thereupon Allah's Messenger (may peace he upon him) said: By Him in Whose Hand is my life. I will decide between you according to the Book of Allah. The slave-girl and the goats should be given back, and your son is to be punished with one hundred lashes and exile for one year. And, O Unais (b. Zuhaq al-Aslami), go to this woman in the morning, and if she makes a confession, then stone her. --she made a confession. And Allah's Messenger (may peace be upon him) made pronouncement about her and she was stoned to death.
কৃতজ্ঞতা:
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন