মুছলিমরা ঢঙ্কা-নিনাদ (শব্দটা কি হিন্দুয়ানি?) সহযোগে যতো প্রচারই চালাক না কেন, ইছলাম সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ধর্ম তো নয়ই, বরং সমস্ত তথ্য-উপাত্ত এটাই নির্দেশ করে যে, মুছলিমদের সংখ্যা প্রকৃতপক্ষে কমে আসছে। অপপ্রচারের সময় যে-তথ্যসূত্রগুলো মুছলিমরা ব্যবহার করে, সেগুলো নিয়ে একটু গবেষণা করলেই ধরা পড়ে যায় শুভঙ্করের ফাঁকি... (হিন্দুয়ানি শব্দ ব্যবহার করার জন্য দুঃখিত)।
নিচের সতেরো মিনিটের ভিডিওতে নিখুঁতভাবে ধরিয়ে দেয়া হয়েছে ইছলামী প্রচারের সেই ভণ্ডামি এবং শেষে দেখানো হয়েছে, ইছলাম কেন সংকোচনশীল।
ভিডিও লিংক: https://youtu.be/K90byS3Dw6E
আরও একটি ব্যাপার। শিয়া, আহমেদিয়া, ওয়াহাবি, কাদিয়ানি বা সুফি মুছলিমদের ছহীহ মুছলিম হিসেবে গণ্যই করা হয় না। এমনকি যারা কোরানে বর্ণিত নানান বিধি-বিধান সমর্থন ও পালন করে না, তারাও নিজেদের মুছলিম বলে দাবি করতে পারে না। তবু এদেরকে মুছলিম-তালিকাভুক্ত করা হয় সংখ্যা বাড়াতে।
নিচের ভিডিওতে ডায়াগ্রাম এঁকে গানে-গানে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে, ছহীহ মুছলিমরা পৃথিবীতে অত্যন্ত সংখ্যালঘু।
ভিডিও লিংক: https://youtu.be/RJAL6xgViqg
আরও দেখুন। ব্রিটিশ দ্য টাইমস পত্রিকার রিপোর্টে স্পষ্ট করেই বলা হচ্ছে, মুছলিমরা ধর্মত্যাগ করছে। এমনকি খোদ চৌদি আজবের জনসংখ্যার শতকরা ১৯ শতাংশ ধর্মবিশ্বাসী নয়। আরেকটি নিবন্ধে বলা হচ্ছে, চৌদিরা আশঙ্কাজনক হারে ধর্মত্যাগ করে নাস্তিকতা গ্রহণ করছে। ধর্মত্যাগী মুছলিমদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যার কথা বলেছে দ্য ইকোনমিস্ট পত্রিকাও। অন্য একটি পত্রিকা লিখছে, সরকারী নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও চৌদি আজবে নাস্তিকদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। মিসর ও অন্যান্য আরব দেশগুলো নাস্তিকতাভীতিতে ভুগছে বলে জানিয়েছে জার্মান Deutsche Welle.'অদৃশ্য নাস্তিকেরা' নামের নিবন্ধে বর্ণিত হয়েছে আরব দেশগুলোয় অবিশ্বাস প্রসারের কাহিনী। মধ্যপ্রাচ্যে আরব্য নাস্তিকতার উত্থান বিষয়ে আরেকটি নিবন্ধ। বৃহত্তম মুছলিম দেশ ইন্দোনেশিয়াতেও বাড়ছে নাস্তিকদের সংখ্যা।... তবু মনে হচ্ছে, ইছলাম প্রসারমাণ?
প্রকৃত বাস্তবতা হচ্ছে: বর্তমানে গোটা বিশ্বে অবিশ্বাস সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন