লিখেছেন গোলাপ
"যে মুহাম্মদ (সাঃ) কে জানে সে ইসলাম জানে, যে তাঁকে জানে না সে ইসলাম জানে না।"
মক্কার হারাম শরীফের অদূরে হুদাইবিয়া নামক স্থানে অবস্থানকালে স্বঘোষিত আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তাঁর আগমনের কারণ কুরাইশদের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য তাঁর প্রিয় অনুসারী উমর ইবনে খাত্তাবকে যখন তাঁদের কাছে যাওয়ার আহ্বান করেছিলেন, তখন উমর তা কী কারণে করতে রাজি ছিলেন না; উমরের পরামর্শে যখন মুহাম্মদ তাঁর জামাতা উসমান ইবনে আফফান-কে যখন সেই একই প্রয়োজনে কুরাইশদের কাছে পাঠিয়েছিলেন, তখন কুরাইশরা তাঁর সঙ্গে কীরূপ ব্যবহার করেছিলেন; মুহাম্মদের অনুমতিক্রমে উসমান ছাড়াও আরও কিছু মুহাম্মদ অনুসারী কী কারণে মক্কা শহরে প্রবেশ করেছিলেন; উসমান ও অন্যান্য মুহাম্মদ অনুসারী যারা মক্কায় প্রবেশ করেছিলেন, তাঁরা কতদিন যাবত সেখানে অবস্থান করেছিলেন; উসমান ও অন্যান্য অনুসারীদের মক্কা থেকে মুসলিম শিবিরে প্রত্যাবর্তনে বিলম্ব ও উসমান হত্যার গুজব শোনার পর মুহাম্মদ তাঁর অনুসারীদের উদ্দেশ্যে কী আদেশ জারি করেছিলেন - ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনা আগের পর্বে করা হয়েছে।
উসমান হত্যার গুজব শোনার পর মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ তাঁর অনুসারীদের কাছ থেকে যে অঙ্গীকার আদায় করেছিলেন, ইসলামের ইতিহাসে তা ‘আল-রিযওয়ানের অঙ্গীকার বা শপথ (The pledge of al-Ridwan)' নামে বিখ্যাত। আবু মুহাম্মদ আবদ আল-মালিক বিন হিশাম তাঁর সম্পাদিত “সিরাত রসুল আল্লাহ” বইটিতে (পর্ব: ৪৪) এই বিষয়ের বিস্তারিত বর্ণনা লিপিবদ্ধ করেননি। বিভিন্ন উৎসের রেফারেন্সে তা লিপিবদ্ধ করেছেন আল-তাবারী ও আল-ওয়াকিদি।
আল-তাবারীর (৮৩৯-৯২৩ সাল) বর্ণনা: [1] [2][3]
ইবনে উমারাহ আল-আসাদি <উবায়েদুল্লাহ বিন মুসা <মুসা বিন উবায়েদা <আইয়াস বিন সালামাহ <সালামাহ বিন আল-আকওয়া [পর্ব: ১১০] হইতে বর্ণিত:
'যখন আমরা হুদাইবিয়া থেকে প্রত্যাবর্তন করছিলাম, আল্লাহর নবীর ঘোষক ঘোষণা করেন, "হে লোকসকল, আনুগত্যের শপথ! আনুগত্যের শপথ! পবিত্র ওহী নাজিল হয়েছে [4]!" তাই আমরা দ্রুতবেগে আল্লাহর নবীর কাছে আসি; তাঁর কাছে আমরা আনুগত্যের শপথ করেছিলাম যখন তিনি এক বাবলা গাছের (Acacia tree) নিচে বসেছিলেন। সেই বিষয়ে আল্লাহ যা নাজিল করেছে, তা তিনি আমাদের বলেন, "আল্লাহ মুমিনদের প্রতি সন্তুষ্ট হলেন, যখন তারা বৃক্ষের নিচে আপনার কাছে শপথ করল [কুরান: ৪৮:১৮]।"
আবি আল-হামিদ বিন বায়ান [5]<মুহাম্মদ বিন ইয়াযিদ [6]<ইসমাইল বিন আবি খালিদ [7]<আমির [8] হইতে বর্ণিত: যে ব্যক্তি সর্বপ্রথম আল-রিযওয়ানের শপথ গ্রহণ করেন, তিনি হলেন আবু সিনান বিন ওহাব (Abu Sinan b Wahb) নামের বানু আসাদ গোত্রের এক লোক।
ইউনুস বিন আবদ আল-আলা <ইবনে ওহাব <আল-কাসিম বিন আবদুল্লাহ বিন উমর [9] <মুহাম্মদ বিন আল-মুনকাদির [10] <জাবির বিন আবদুল্লাহ হইতে বর্ণিত: আল-হুদাইবিয়ার দিন লোক সংখ্যা ছিল ১৪০০ জন। [জাবির] বলেন, 'আমরা আল্লাহর নবীর কাছে আনুগত্যের শপথ করি, সে সময় এক গাছের নিচে উমর আল্লাহর নবীর হাতটি ধরে ছিলেন; সেটি ছিল এক বাবলা গাছ। আমরা সকলেই তাঁর কাছে আনুগত্যের শপথ করি; ব্যতিক্রম শুধু আল-জাদ বিন কায়েস আল আনসারি (al-Jadd b Qays al Ansari), তিনি তার উটের পেটের নিচে লুকিয়েছিলেন।' জাবির বলেন, 'আমরা আল্লাহর নবীর কাছে এই অঙ্গীকার করেছিলাম যে, আমরা পালিয়ে যাব না; আমরা তাঁর কাছে আমৃত্যুর শপথ করিনি।'
অন্য একটি উৎসের বর্ণনা নিম্নরূপ। আল-হাসান বিন ইয়াহিয়া < আবু আমির <ইকরিমা বিন আম্মার আল-ইয়ামামি <আইয়াস বিন সালামাহ < তাঁর পিতা (সালামাহ বিন আল-আকওয়া) হইতে বর্ণিত: 'আল্লাহর নবী গাছের তলে এসে আনুগত্যের শপথ নেয়ার জন্য লোকদের ডেকে পাঠান। আমি প্রথম দিকের লোকদের মধ্যে একজন, যে তাঁর আনুগত্যের শপথ করি; অতঃপর তিনি অধিক থেকে অধিকতর সংখ্যক লোকের অঙ্গীকারের শপথ গ্রহণ করেন। মাঝের লোকদের শপথ গ্রহণকালে তিনি বলেন, "সালামাহ, আনুগত্যের শপথ করো!" আমি বলি, "হে আল্লাহর নবী, আমি প্রথম দিকের লোকদের মধ্যে একজন, যে আপনার আনুগত্যের শপথ করেছি।" তিনি বলেন, "আবার করো!"
আমাকে নিরস্ত্র দেখে আল্লাহর নবী আমাকে এক হাজাফা বা দারাকাহ (hajafa or daraqah (এক ধরনের ঢাল]) প্রদান করেন [11]। আল্লাহর নবী লোকদের আনুগত্যের শপথ নিতে নিতে যখন শেষের দিকে, তখন তিনি বলেন, "সালামাহ, তুমি কি আনুগত্যের শপথ নেবে না?" আমি বলি, "হে আল্লাহর নবী, আমি প্রথম ও মাঝের দিকের লোকদের সাথে আপনার আনুগত্যের শপথ করেছি।" তিনি বলেন, "আবার করো!" তাই আমি তৃতীয় বার তাঁর আনুগত্যের শপথ করি।'---
আল-ওয়াকিদিরি (৭৪৮-৮২২ খ্রিষ্টাব্দ) অতিরিক্ত বর্ণনা:
'দশ জন মুহাজির তাঁদের আত্মীয় স্বজনদের সাথে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন।তাঁরা হলেন: কুরয বিন জাবির আল-ফিহরি, আবদুল্লাহ বিন সুহায়েল বিন আমর, আয়াশ বিন আবি রাবিয়া, হিশাম বিন আল-আস বিন ওয়ালি, হাতিব বিন আবি বালতা, আবু হাতিব বিন আমর বিন আবদ শামস, আবদুল্লাহ বিন হুধাফা, আবুল-রুম বিন উমায়ের, উমায়ের বিন ওহাব, বানু আসাদ বিন আবদ উজ্জা গোত্রের সুহায়েলের এক মিত্র।---
যখন উসমান প্রত্যাবর্তন করেন, তখন আল্লাহর নবী যে-গাছটির নিচে আনুগত্যের শপথ পড়ানো হয়েছিল, সেখানে তাকে নিয়ে আসেন। কিন্তু তার আসার আগে, যখন লোকেরা তাদের অঙ্গীকারের শপথ নিচ্ছিল, আল্লাহর নবী বলেছিলেন: উসমান অবশ্যই আল্লাহ ও তার রসুলের প্রয়োজন ও চাহিদা অনুযায়ী কাজ করে, সুতরাং আমি তার হয়ে অঙ্গীকারের শপথ করবো; অতঃপর তিনি তাঁর ডান হাত বাম হাতের ওপর চেপে ধরেন।---' [2]
(‘Ten Muhajirin visted their families. They were Kurz bin Jabir al-Fihri, Abdullah b Suhayl b Amr, Ayyash b Abi Rabia, Hisham b Al-As b Wail, Hatib b Abi-Balta, Abu Hatib b Amr b Abd Shams, Abdullah b Hudhafa, Abul-Rum b Umayr, Umayr b Wahb al-Jumahi and Abdullah b Abi Umayya b Wahb, an ally of Suhayl in the Banu Asad b Abd Al-Uzza. --- When Uthman returned, the Messenger of God brought him to the tree for allegiance. But, before that, when the people gave their pledge, the Prophet said: Indeed Uthman acts in accordance with the needs of God and His messenger, so I shall pledge for him, and he struck his right hand on his left.----’) [2]
- অনুবাদ, টাইটেল, ও [**] যোগ - লেখক।
ইমাম বুখারীর (৮১০-৮৭০ সাল) বর্ণনা:
‘আল-রিযওয়ানের শপথ' প্রসঙ্গে ইমাম বুখারীর বর্ণনা আল-তাবারীর ওপরে উদ্ধৃত শেষের উৎসের সালামাহ বিন আল-আকওয়া হতে বর্ণিত বর্ণনার অনুরূপ (৪:৫২:২০৭)। তিনি তাঁর বর্ণিত এই হাদিসে 'হাজাফা বা দারাকাহ' এর ব্যাপারে কিছু উল্লেখ করেননি, আর নতুন যে তথ্যটি তিনি যোগ করেছেন, তা হলো, এই শপথটি ছিল 'মৃত্যু' অবধি। [12]
এই প্রসঙ্গে অন্য এক হাদিসের (৫:৫৭:৪৮) বর্ণনায় যা তিনি লিপিবদ্ধ করেছেন, তা হলো: উসমান ইবনে আফফান বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেননি, ওহুদ যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে তিনি পালিয়ে গিয়েছিলেন ও আল-আল-রিযওয়ানের মূল শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানেও তিনি অংশ নিতে পারেননি [13]।
Ø বদর যুদ্ধ কালে (পর্ব: ৩০-৪৩) উসমান ইবনে আফফান স্ত্রী নবী কন্যা রুকাইয়া বিনতে মুহাম্মদ ছিলেন গুরুতর অসুস্থ; তিনি বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করে তাঁর এই স্ত্রীর সেবা-শুশ্রূষার জন্য ছিলেন মদিনায়, বদর যুদ্ধকালে তাঁর এই স্ত্রীর মৃত্যু হয়। উসমান ও তাঁর এই স্ত্রী মুহাম্মদের পরামর্শে অন্যান্য মুসলমানদের সঙ্গে ৬১৫ সালে আবিসিনায় হিজরত করেন (পর্ব: ৪১) ও এই হিজরতের দুই বছর পর যখন মুহাম্মদের ওপর “শয়তানের বাণী” নাজিল হয় তখন তিনি আর এই স্ত্রী অন্যান্য মুসলমানদের সাথে মক্কায় ফেরত আসেন (পর্ব: ৪২)। এই ফিরে আসা মুসলমানদের ওপর কুরাইশরা কোনোরূপ অত্যাচার করেননি, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণে কুরাইশরা সংঘবদ্ধভাবে নব্য মুসলমানদের ওপর যথেচ্ছ অত্যাচার করতেন - এই দাবির কোনো ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই (পর্ব: ৪০)। উসমান ইবনে আফফান ওহুদ যুদ্ধে (পর্ব: ৫৪-৭১)অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি যুদ্ধের মাঠে মুহাম্মদ-কে পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে মুহাম্মদের অন্যান্য অনুসারীদের সঙ্গে পালিয়ে বেঁচেছিলেন। যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে পালিয়ে গিয়ে তিনি মদিনায় ও ফিরে আসেননি, সম্ভবত: ভীত হয়ে এই ভেবে যে, কুরাইশরা মদিনা আক্রমণ করতে পারে; নাওকবা বিন উসমান এবং সা'দ বিন উসমান নামের দুইজন আনসারের সাথে তিনি সুদূর আল-জালাব পাহাড় পর্যন্ত গমন করেন, মদিনায় ফিরে আসেন তিন দিন পর। এই বিষয়ের বিস্তারিত আলোচনা "নবী গৌরব ধূলিসাৎ!" পর্বে করা হয়েছে (পর্ব ৬৯)।
>>> মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ "আল-রিযওয়ানের শপথ" অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন করেছিলেন উসমান হত্যার মিথ্যা খবরটি শোনার পর। এই খবরটি যে মিথ্যা, তা তিনি জানতেন না, তাই স্বাভাবিক কারণেই 'জিবরাইল' ও তাঁর কাছে কোনো খবর নিয়ে আসেননি। এই মিথ্যা খবরটি সত্য ভেবে তিনি তাঁর অনুসারীদের আনুগত্যের শপথ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি জানতে পারেন যে, এই খবরটি সম্পূর্ণ মিথ্যা! উসমান ও ওপরে বর্ণিত আরও দশজন মুহাম্মদ অনুসারীর সকলেই নিশ্চিন্তে ও নিরাপদেই তাঁদের আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছিলেন, কোনো কুরাইশ তাঁদেরকে কোনোরূপ আক্রমণ কিংবা কটুবাক্য বর্ষণের মাধ্যমে শারীরিক অথবা মানসিক যন্ত্রণা দিয়েছিলেন (পর্ব: ১১৫), এমন ইতিহাস আদি উৎসের মুসলিম ঐতিহাসিকদের বর্ণনায় কোথাও উল্লেখিত হয়নি। তাঁরা সকলেই বহাল তবিয়তে মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের কাছে ফিরে আসেন।
আদি উৎসের ওপরে বর্ণিত বর্ণনায় আমরা জানতে পারি যে, কুরাইশদের সঙ্গে ‘হুদাইবিয়া সন্ধি’ পত্রে স্বাক্ষর করার পর যখন মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীরা মদিনায় প্রত্যাবর্তন করছিলেন, তখন মুহাম্মদের ঘোষক ঘোষণা দেন যে "আল-রিযওয়ানের শপথ" বিষয়ে ওহী নাজিল হয়েছে; মুহাম্মদের ভাষায় তা হলো:
৪৮:১৮ - "আল্লাহ মুমিনদের প্রতি সন্তুষ্ট হলেন, যখন তারা বৃক্ষের নীচে আপনার কাছে শপথ করল। আল্লাহ অবগত ছিলেন যা তাদের অন্তরে ছিল। অতঃপর তিনি তাদের প্রতি প্রশান্তি নাযিল করলেন এবং তাদেরকে আসন্ন বিজয় পুরস্কার দিলেন।"
Ø “কী সেই আসন্ন বিজয়?” তা মুহাম্মদ ব্যক্ত করেছেন তাঁর এই বাণীর পরের বাণীগুলোতে:
৪৮:১৯-২০– “(১৯) এবং বিপুল পরিমাণে যুদ্ধলব্ধ সম্পদ, যা তারা লাভ করবে। আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (২০) আল্লাহ তোমাদেরকে বিপুল পরিমাণ যুদ্ধলব্ধ সম্পদের ওয়াদা দিয়েছেন, যা তোমরা লাভ করবে। তিনি তা তোমাদের জন্যে ত্বরান্বিত করবেন। তিনি তোমাদের থেকে শত্রুদের স্তব্দ করে দিয়েছেন-যাতে এটা মুমিনদের জন্যে এক নিদর্শন হয় এবং তোমাদেরকে সরল পথে পরিচালিত করেন”। ---
আল্লাহর নামে স্বঘোষিত আখেরি নবী মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল মুত্তালিব তাঁর অনুসারীদের "লুটের মাল-এর ওয়াদা দিচ্ছেন!” কী সেই আসন্ন বিজয় ও বিপুল পরিমাণ যুদ্ধলব্ধ সম্পদ, তার বিস্তারিত আলোচনা 'সূরা আল ফাতহ' পর্ব ও হুদাইবিয়া সন্ধি পরবর্তী অধ্যায়গুলোতে করা হবে।
কী প্রক্রিয়ায় মুহাম্মদ তাঁর ওহী নাজিল করতেন, তার আলোচনা "বিনষ্ট গৌরব পুনরুদ্ধারে কলা-কৌশল!" পর্বে (পর্ব: ৭০)করা হয়েছে । মুহাম্মদের এই ঐশী বাণী অবতারণার মুখ্য উদ্দেশ্য হলো, তাঁর অনুসারীদের মনোবল চাঙ্গা করা ও নিজের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করা!
(চলবে)
[কুরানের উদ্ধৃতিগুলো সৌদি আরবের বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ (হারাম শরীফের খাদেম) কর্তৃক বিতরণকৃত বাংলা তরজমা থেকে নেয়া, অনুবাদে ত্রুটি-বিচ্যুতির দায় অনুবাদকারীর। কুরানের ছয়জন বিশিষ্ট অনুবাদকারীর পাশাপাশি অনুবাদ এখানে।]
তথ্যসূত্র ও পাদটীকা:
[1]“তারিক আল রসুল ওয়াল মুলুক”- লেখক: আল-তাবারী (৮৩৮-৯২৩ খৃষ্টাব্দ), ভলুউম ৮, ইংরেজী অনুবাদ: Michael Fishbein, University of California, Los Angeles, নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি প্রেস, ১৯৮৭, ISBN 0-7914-3150—9 (pbk), পৃষ্ঠা (Leiden) ১৫৪৩-১৫৪৫ http://books.google.com/books?id=sD8_ePcl1UoC&printsec=frontcover&source=gbs_ge_summary_r&cad=0#v=onepage&q&f=false
[2] অনুরূপ বর্ণনা (Parallel): “কিতাব আল-মাগাজি”- লেখক: আল-ওয়াকিদি (৭৪৮-৮২২ খৃষ্টাব্দ), ed. Marsden Jones, লন্ডন ১৯৬৬; ভলুম ২, পৃষ্ঠা ৬০৩-৬০৫ http://www.britannica.com/biography/al-Waqidi
ইংরেজি অনুবাদ: Rizwi Faizer, Amal Ismail and Abdul Kader Tayob; ISBN: 978-0-415-86485-5 (pbk); পৃষ্ঠা ২৯৬-২৯৭
[3] অনুরূপ বর্ণনা(Parallel): ইবনে কাথিরের কুরান তফসির: http://www.qtafsir.com/index.php?option=com_content&task=view&id=2014&Itemid=104
[4] ফেরেশতা জিবরাইলের মধ্যস্থতায় আল্লাহ তার কুরানের বানী মুহাম্মদের কাছে প্রেরণ করে।
[5] ‘আবি আল-হামিদ বিন বায়ান- মৃত্যু ৮৫৮ সাল’।
[6] ‘মুহাম্মদ বিন ইয়াযিদ: তিনি ছিলেন এক আশ্রিত (Mawla) আদি সিরিয়া-বাসী, ৮০৩-৮০৪ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন’।
[7] ‘ইসমাইল বিন আবি খালিদ - মৃত্যু ৭৬৩ সাল’।
[8] ‘আবু আমর আমির বিন শারাহিল বিন আমর আল শাবি ছিলেন দক্ষিন আরবের হামদান গোত্রের সদস্য, তিনি ৬৪০ সালে কুফায় জন্মগ্রহণ ও ৭২১ সালে মৃত্যুবরণ করেন। রাজনীতিতে সম্পৃক্ততা ছাড়াও তিনি ছিলেন এক হাদিস বর্ণনাকারী (transmitter of hadith), পরবর্তী ইতিহাসবিদদের রেফারেন্সের এক প্রধান উৎস’। - Ibid আল-তাবারী: নোট নম্বর ৩৬১।
[9] ‘আল-কাসিম বিন আবদুল্লাহ বিন উমর- মৃত্যু ৭৬৭-৭৭৬ সাল।
[10] ‘মুহাম্মদ বিন আল-মুনকাদির - মৃত্যু ৭৪৭-৭৪৮ সাল।
[11] ‘হাজাফা বা দারাকাহ: এই দুইটি শব্দের অর্থই হলো এক ধরনের ঢাল, যা কাঠ ছাড়াই পশুর ভারী চামড়া দিয়ে তৈরি’। - Ibid আল-তাবারী: নোট নম্বর ৩৬৫।
[12] সহি বুখারী: ভলিউম ৪, বই ৫২, নম্বর ২০৭ http://hadithcollection.com/sahihbukhari/85-/3685-sahih-bukhari-volume-004-book-052-hadith-number-207.html
Narated By Yazid bin Ubaid : Salama said, "I gave the Pledge of allegiance (Al-Ridwan) to Allah's Apostle and then I moved to the shade of a tree. When the number of people around the Prophet diminished, he said, 'O Ibn Al-Akwa ! Will you not give to me the pledge of Allegiance?' I replied, 'O Allah's Apostle! I have already given to you the pledge of Allegiance.' He said, 'Do it again.' So I gave the pledge of allegiance for the second time." I asked 'O Abu Muslim! For what did you give the pledge of Allegiance on that day?" He replied, "We gave the pledge of Allegiance for death.
[13] সহি বুখারী: ভলিউম ৫, বই ৫৭, নম্বর ৪৮
Narated By 'Uthman: (The son of Muhib) An Egyptian who came and performed the Hajj to the Kaba saw some people sitting. He enquire, "Who are these people?" Somebody said, "They are the tribe of Quraish." He said, "Who is the old man sitting amongst them?" The people replied, "He is 'Abdullah bin 'Umar." He said, "O Ibn Umar! I want to ask you about something; please tell me about it. Do you know that 'Uthman fled away on the day (of the battle) of Uhud?" Ibn 'Umar said, "Yes." The (Egyptian) man said, "Do you know that 'Uthman was absent on the day (of the battle) of Badr and did not join it?" Ibn 'Umar said, "Yes." The man said, "Do you know that he failed to attend the Ar Ridwan pledge and did not witness it (i.e. Hudaibiya pledge of allegiance)?"—
Ibn 'Umar said, "Yes." The man said, "Allahu Akbar!" Ibn 'Umar said, "Let me explain to you (all these three things). As for his flight on the day of Uhud, I testify that Allah has excused him and forgiven him; and as for his absence from the battle of Badr, it was due to the fact that the daughter of Allah's Apostle was his wife and she was sick then. Allah's Apostle said to him, "You will receive the same reward and share (of the booty) as anyone of those who participated in the battle of Badr (if you stay with her).' As for his absence from the Ar-Ridwan pledge of allegiance, had there been any person in Mecca more respectable than 'Uthman (to be sent as a representative). Allah's Apostle would have sent him instead of him. No doubt, Allah's Apostle had sent him, and the incident of the Ar-Ridwan pledge of Allegiance happened after 'Uthman had gone to Mecca. Allah's Apostle held out his right hand saying, 'This is 'Uthman's hand.' He stroke his (other) hand with it saying, 'This (pledge of allegiance) is on the behalf of 'Uthman.' Then Ibn 'Umar said to the man, 'Bear (these) excuses in mind with you.'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন