লিখেছেন লিটন লিটু
অনেকে বলেন, নাস্তিকতা আজকাল ফ্যাশন হয়ে গেছে। বর্তমান পোলাপাইন ভাব ধরার জন্য বলে, সে একজন নাস্তিক।
আমি বলি, কিছু কিছু ধর্মের উৎপত্তি ১৪০০ বছর, ২৫০০ বছর আগে, আবার কিছু কিছু ধর্ম এত আদিম ও প্রাচীন যে, এগুলোর নির্দিষ্ট কোনো উৎপত্তি কালই নেই। এই সব পুরনো জিনিস কি ফ্যাশনের যোগ্য? এই যুগে বাস করে আপনাকে যদি আমি কাপড় না পরে গাছের বাকল পরতে বলি কিংবা নগ্ন থাকতে বলি, আপনি আমাকে বন্য ও অনাধুনিক বলে ঠিকই গালি দেবেন । কিন্তু বিশ্বাসের ক্ষেত্রে আপনি ঠিকই এইসব প্রাচীন ধারণা অক্সিজেনের মত ফুসফুসে ধারণ করে আছেন। এমনকি এই সব ধর্মীয় ধারণায় যে ভুল থাকতে পারে, সেটাই অধিকাংশ লোক বিশ্বাস করে না। তাহলে আপনি কীভাবে আধুনিক হলেন? অনাধুনিক বিশ্বাস ধারণ করে আধুনিক কাপড় চোপড় পরিধান করলেই কি আধুনিক হওয়া যায়?
এই ক্ষেত্রে নাস্তিকতা ফ্যাশন হলে সমস্যা কী? নাস্তিকতার পেছনে যুক্তি ও প্রমাণ আছে। আর ধার্মিক অনাধুনিকদের আছে শুধু ভিত্তি-প্রমাণহীন বিশ্বাস। ধর্মবিশ্বাসীরা হাগু করা থেকে শুরু করে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত সবকিছুতেই বিজ্ঞানের মজা উপভোগ করে, কিন্তু ধর্মের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানকে অস্বীকার করে... হা হা হা! তাহলে এরা কীভাবে আধুনিক হয়?
নাস্তিকতা নিয়ে ফ্যাশন করার কিছু নেই, কারণ নাস্তিকতা হল চিন্তার যৌক্তিক পরিবর্তন। তারপরও যারা নাস্তিকতা নিয়ে ভাব দেখায় কিংবা ফ্যাশন দেখায়, তারাও কিন্তু ধর্মবিশ্বাসীদের চাইতে কোটি কোটি গুণ এগিয়ে। কারণ তারা আপনাদের মত আধুনিক পোশাক পরিধান করে হাজার হাজার বছরের পুরাতন ধর্মীয় বিশ্বাস ধারণ করে ফ্যাশন দেখায় না। তারা আধুনিক পোশাক পরিধান করে আধুনিক ধ্যান-ধারণা ধারণ করে ফ্যাশন দেখায়।
আধুনিক মানুষ হওয়ার জন্য বৈজ্ঞানিক ও যৌক্তিক চিন্তা আধুনিক পোশাকের চাইতে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
* ২৫.১২.১২ তারিখে প্রকাশিত
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন