ইসলামি রে-নিসা থুক্কু রেনেসাঁ যুগের কবি ফররুখ আহমেদের কবিতা "পাঞ্জেরী" প্যারেডি করেছেন নাস্তিকথন
রাত পোহাবার বাকি কতখানি, হানি?
এখনো আমার আসমান ভরা মেঘে
কাফিরেরা সব এখনো ওঠেনি জেগে?
তুমি মাস্তলে, আমি দাঁড় টানি সুখে;
অসীম খায়েশে জাগে অতৃপ্তির গ্লানি।
রাত পোহাবার বাকি কতখানি, হানি?
দীঘল রাতের শ্রান্ত মেরাজ শেষে
কোন আসমানের নীল দিগন্তে আমরা পড়েছি এসে?
এ কী ঘন-মণি জিন্দেগানীর বা’ব
তোলে মর্সিয়া ব্যথিত দিলের তুফান-শ্রান্ত খা’ব
অস্ফুট হয়ে ক্রমে যায় ডুবে ইমানদণ্ডখানি।
তুমি মাস্তুলে, আমি দাঁড় টানি সুখে;
গড়িয়ে পড়ছে শুভ্র নোনতা পানি
রাত পোহাবার বাকি কতখানি, হানি?
হিজরে বসে সাহাবারা ক্ষণ গোনে,
বুঝি মৌসুমী হাওয়ায় মোদের মেরাজের ধ্বনি শোনে,
বুঝি কুয়াশায়, জোছনা-মায়ায় ইমানদণ্ড দেখে।
আহা, পেরেশান সাহাবার দল।
হিজর কিনারে জাগে বঞ্চিত
কামনায় ছবি এঁকে!
মরু-সুন্দরী শুভ্র বোরাকে চড়ে
চলেছি কোথায়? কোন সীমাহীন দূরে?
তুমি মাস্তুলে, আমি পানি সেচি সুখে;
মেরাজ রাতের কামনার দাঁড় টানি!
রাত পোহাবার বাকি কতখানি, হানি?
শুধু গাফলতে শুধু খেয়ালের ভুলে,
টানাটানি করে জোব্বা নিয়াছ খুলে,
আমাদেরি ভুলে ক্বাবার কিনারে সাহাবার দল বসি
দেখেছে সভয়ে অস্ত গিয়াছে তাদের সেতার, শশী
মোদের ভাবিয়া ধুলায় লুটায়ে পড়ি।
কেটেছে তাদের হস্তসুখের বিস্বাদ শর্বরী।
আকাশ ঘুরেছি, আকসা দেখেছি ওঠায়েছি আহাজারি,
ভাঁওতাবাজি ধরা পড়ে গেছে, আওয়াজ শুনছি তারি।
ওকি বাতাসের হাহাকার, ও কি
রোনাজারি কাফিরের!
একক রমণী মেটাতে পারে না পিয়াস মুসলিমের!
ও কি ধাতুর থলেতে বাজে কামনার জয়ধ্বনি।
ওগো হানি!
চল মেরাজ করি, বুড়ি পত্নীর নিষেধ থোরাই মানি
দেখ দশ বছরের ক্ষুধিত নবীর গোপন চাহিদাখানি !
দেখ চেয়ে দেখ সূর্য ওঠার বাকি আছে কতখানি, আহ্, হানি!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন