আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

রবিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৬

হুদাইবিয়া সন্ধি - ১২ : চুক্তি স্বাক্ষর - কী ছিল তার শর্তাবলী?: কুরানে বিগ্যান (পর্ব- ১২২): ত্রাস, হত্যা ও হামলার আদেশ – ছিয়ানব্বুই

লিখেছেন গোলাপ

(আগের পর্বগুলোর সূচী: এখানে)

"যে মুহাম্মদ (সাঃ) কে জানে সে ইসলাম জানে, যে তাঁকে জানে না সে ইসলাম জানে না।"

কুরাইশ প্রতিনিধি সুহায়েল বিন আমর যখন তাঁর পুত্র আবু জানদাল-কে মক্কায় ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করছিলেন, তখন স্বঘোষিত আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর বিশিষ্ট অনুসারী উমর ইবনে খাত্তাব কী উদ্দেশ্যে আবু জানদাল বিন সুহায়েলের পাশে হেঁটে গিয়েছিলেন, তাঁর সেই উদ্দেশ্য কী কারণে ব্যর্থ হয়েছিল; আদি উৎসের সকল 'সিরাত' গ্রন্থকারদের রচিত এই উপাখ্যান ও অনুরূপ উপাখ্যানের বর্ণনার সঙ্গে 'হাদিস' গ্রন্থকারদের রচিত বর্ণনায় কী ধরণেরপার্থক্য পরিলক্ষিত হয়; এই পার্থক্যগুলোর আলোচনাকালে ইসলাম বিশ্বাসী পণ্ডিত ও অপণ্ডিতরা 'সিরাত' গ্রন্থকারদের বিরুদ্ধে সাধারণত কোন দু'টি অভিযোগ উত্থাপন করেন; কী কারণে তাঁদের সেই অভিযোগগুলো অযৌক্তিক ও অভিসন্ধিমূলক; ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনা আগের পর্বে করা হয়েছে।

মুহাম্মদ ইবনে ইশাক (৭০৪-৭৬৮ খৃষ্টাব্দ), আল ওয়াকিদি (৭৪৮-৮২২ খৃষ্টাব্দ), আল-তাবারী (৮৩৮-৯২৩ খৃষ্টাব্দ), ইমাম বুখারী (৮১০-৮৭০ সাল), ইমাম মুসলিম (৮২১-৮৭৫ সাল) প্রমুখ আদি ও বিশিষ্ট মুসলিম ঐতিহাসিকদের বর্ণনার আলোকে স্বঘোষিত আখেরি নবী মুহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ তাঁর হুদাইবিয়া অবস্থানকালে কুরাইশ প্রতিনিধি সুহায়েল বিন আমর-এর সাথে যে-লিখিত সন্ধি চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছিলেন, তার আলোচনা "চুক্তি আলোচনা (পর্ব: ১১৯)!"পর্বে করা হয়েছে। অতঃপর মুহাম্মদ সন্ধিচুক্তি সম্পন্ন করেন।

হুদাইবিয়া সন্ধিচুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পর পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহের আলোচনা শুরুর আগে এই চুক্তির শর্তাবলীর দিকে আর একবার মনোনিবেশ করা যাক: [1] [2] [3] [4] [5]

‘তারা আগামী দশ বছরযুদ্ধ বন্ধ রাখবে, যাতে জনগণ সহিংসতা পরিহার করে নিরাপদে থাকতে পারে এই শর্তে যে,

[১] যদি কোনো ব্যক্তি তার অভিভাবকদের অনুমতি ব্যতিরেকে মুহাম্মদের কাছে আসে, তবে তিনি তাকে তাঁদের কাছে ফেরত দেবেন; কিন্তু মুহাম্মদের পক্ষের কোনো ব্যক্তি যদি কুরাইশদের কাছে আসে, তবে কুরাইশরা তাকে তাঁর কাছে ফেরত দেবে না।

[২] আমরা একে অপরের প্রতি শত্রুতা (enmity) প্রদর্শন করবো না ও কোনোরূপ গোপন অভিসন্ধি বা প্রতারণার আশ্রয় নেবো না।

[৩] যে কোনো ব্যক্তি যদি মুহাম্মদের সঙ্গে সংযুক্ত ও চুক্তিবদ্ধ হতে ইচ্ছা করে, তবে সে তা করতে পারবে এবং যে কোনো ব্যক্তি যদি কুরাইশদের সঙ্গে সংযুক্ত ও চুক্তিবদ্ধ হতে ইচ্ছা করে, তবে সে তা করতে পারবে।" বানু খোজা গোত্র তৎক্ষণাৎ সেখানে ঘোষণা করে যে, 'আমরা মুহাম্মদের সাথে সংযুক্ত হলাম' এবং বানু বকর গোত্র একইভাবে কুরাইশদের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার ঘোষণা দেয়, আর যুক্ত করে:

[৪] 'তোমরা এই বছর অবশ্যই প্রত্যাবর্তন করবে ও আমাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে মক্কা প্রবেশ করবে না,

[৫] আর পরের বছর আমরা তোমার আসার পথ পরিষ্কার রাখবো, তুমি তোমার অনুসারীদের সঙ্গে নিয়ে সেখানে প্রবেশ করতে পারবে ও সেখানে তিন রাত্রি পর্যন্ত অবস্থান করতে পারবে। তোমরা আরোহীদের মত অস্ত্র সঙ্গে আনতে পারবে, যেমন খাপের ভিতরে তলোয়ার তোমরা এর চেয়ে বেশি কিছুই সঙ্গে আনতে পারবে না।'

মুহাম্মদ ইবনে ইশাকের (৭০৪-৭৬৮ সাল) বর্ণনার পুনরারম্ভ: [6] [7]

পূর্ব প্রকাশিতের (পর্ব: ১২১) পর:

‘চুক্তিনামাটি সম্পন্ন করার পর চুক্তিটির সাক্ষী হওয়ার জন্য আল্লাহর নবী মুসলমান ও মুশরিক প্রতিনিধিদের ডেকে পাঠান, যাদের মধ্যে ছিলেন: আবু বকর ইবনে আবি কুহাফা, উমর ইবনে আল-খাত্তাব, আবদুর রহমান বিন আউফ, আবদুল্লাহ বিন সুহায়েল বিন আমর, সাদ বিন আবু ওয়াককাস, (আল ওয়াকিদি: 'উসমান বিন আফফান, আবু উবায়েদা বিন জাররাহ, হুয়ায়েতিব বিন আবদ আল-উযযাহ), মাহমুদ বিন মাসলামা (তাবারী: 'বানু আবদ আল-আশাল গোত্রের এক সদস্য'), সে সময়ের মুশরিক মিকরাজ বিন হাফস বিন আখিয়াফ ও এই চুক্তিপত্রের লেখক আলী ইবনে আবু তালিব। [3]

আল্লাহর নবী অপবিত্র ভূখণ্ডে (Profane country) শিবির স্থাপন করেছিলেন, প্রায়শই তিনি পবিত্র এলাকায় (Sacred area) প্রার্থনা করতে অভ্যস্ত ছিলেন। চুক্তিনামাটি সম্পন্ন হওয়ার পর তিনি পশুগুলো কুরবানি করেন ও সেখানে বসে পড়েন এবং তাঁর মাথার চুল কামিয়ে ফেলেন। আমি শুনেছি যে, সেই সময় যে-ব্যক্তিটি তাঁর মাথার চুল কামিয়ে দিয়েছিলেন, তার নাম ছিল খিরাশ বিন উমাইয়া বিন আল-ফাদল আল-খুযায়ি (Khirash b. Umayya b. al-Fadl al-Khuza'i); যখন লোকেরা আল্লাহর নবীর এ সকল কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করে, তারা লাফ দিয়ে উঠে পড়ে ও তারাও তাইই করে।' 

'ইবনে আব্বাস হইতে বর্ণিত তথ্যের ভিত্তিতে < মুজাহিদ হইতে প্রাপ্ত হয়ে < আবদুল্লাহ বিন আবু নাজিহ আমাকে বলেছেন: [8]

"আল-হুদাইবিয়ার দিনে কিছু লোক তাদের মাথার চুল কামিয়ে ফেলে, পক্ষান্তরে অন্যরা তাদের চুল ছেঁটে ফেলে।" আল্লাহর নবী বলেন, "যারা চুল কামিয়ে ফেলেছে, তাদের প্রতি আল্লাহর শান্তি বর্ষিত হউক।" তারা বলে, "হে আল্লাহর নবী, যারা চুল ছেঁটেছে, তাদের প্রতিও কি?" এই প্রশ্নটি তাদেরকে তিন বার করতে হয়েছিল, যতক্ষণে না পরিশেষে তিনি যোগ করেন, "এবং যারা চুল ছেঁটেছে।" যখন তারা তাঁকে জিজ্ঞাসা করে জানতে চায়, কেন তিনি বারবার আল্লাহর শান্তি বর্ষণের নামোচ্চারণ-টি চুল কামানো ব্যক্তিদের প্রতি সীমাবদ্ধ রেখেছিলেন, তিনি বলেন, "কারণ তারা কোনো সন্দেহ করেনি।"

সেই একই উৎস আমাকে জানিয়েছে যে, আল্লাহর নবী হুদাইবিয়া সন্ধি বর্ষে যে-পশুগুলো কোরবানি করেছিলেন, তার মধ্যে ছিল আবু জেহেলের একটি উট, যার নাকে ছিল সিলভারের নাক-আংটা; যে-কারণে মুশরিকরা হয়েছিলেন রোষান্বিত (আল-তাবারী: 'তিনি এটি করেছিলেন, যাতে মুশরিকরা হয় রোষান্বিত’)।' [9]

আল তাবারীর (৮৩৮-৯২৩ খ্রিষ্টাব্দ) অতিরিক্ত বর্ণনা: [7] [10]

‘মুহাম্মদ বিন আবদ আল-আলা < মুহম্মদ বিন থাওয়ার < মামুর < আল-যুহরি < উরওয়া বিন আল-যুবায়ের < আল-মিসওয়ার বিন মাখরামা; এবং ইয়াকুব বিন ইবরাহিম < ইয়াহিয়া বিন সাইদ < আবদুল্লাহ বিন মুবারক < মামুর < আল-যুহরি < উরওয়া < আল-মিসওয়ার বিন মাখরামা ও মারওয়ান বিন আল-হাকাম [পর্ব: ১১৮] হইতে বর্ণিত হুদাইবিয়া উপাখ্যানের বর্ণনা:

সন্ধিচুক্তি সম্পন্ন করার পর আল্লাহর নবী তাঁর অনুসারীদের বলেন, "উঠে দাঁড়াও, কুরবানি করো ও মাথার চুল কামিয়ে ফেলো।"

আল্লাহর কসম, একজন লোকও উঠে দাঁড়ায় না, তিনি তিনবার এই কথাটি তাদেরকে বলেন। যখন কেউই উঠে দাঁড়ায় না, তিনি উঠে দাঁড়ান ও উম্মে সালামার [পর্ব-১০৮] তাঁবুর ভিতরে গমন করেন ও লোকদের মারফত কী ধরনের বিরোধিতার সম্মুখীন হয়েছেন, তা তাঁকে খুলে বলেন। উম্মে সালামা তাঁকে বলেন: "হে আল্লাহর নবী, আপনি কি তা সমর্থন করেন? বাইরে যান ও আপনার মোটাসোটা উটটি কুরবানি করার আগে ওদের কারও সাথে কোনো কথা বলবেন না, অতঃপর যে আপনার চুল কামিয়ে দেয়, সেই লোকটিকে ডেকে পাঠান, যেন সে আপনার মাথার চুল কামিয়ে দেয়।" 

তিনি উঠে দাঁড়ান, বাহিরে যান ও তা করার আগে তিনি কারও সাথে কোনো কথা বলেন না। তিনি তাঁর মোটাসোটা উটটি কুরবানি করেন ও যে-লোকটি তাঁর চুল কামিয়ে দেয়, তাকে তিনি ডেকে পাঠান, সে তাঁর চুল কামিয়ে দেয়। যখন তারা তা প্রত্যক্ষ করে, তারা উঠে দাঁড়ায় ও কুরবানি করে; অতঃপর তারা একে অপরের মাথার চুল কামিয়ে দেয়া শুরু করে, যতোক্ষণ না তারা তাদের প্রবল মর্মবেদনার কারণে একে অপরকে প্রায় মেরেই ফেলে (When they saw this, they rose up and slaughtered, and they began to shave each other, until they almost killed each other for grief)।’

অনুবাদ, টাইটেল, ও [নম্বর] যোগ – লেখক।

ইমাম বুখারীর (৮১০-৮৭০ সাল) বর্ণনা:

এই প্রসঙ্গে ইমাম বুখারীর বর্ণনা (৩:৫০:৮৯১) আল-তাবারীর ওপরে বর্ণিত অতিরিক্ত বর্ণনারই অনুরূপ। [11]

>>> মুহাম্মদ ইবনে ইশাকের ওপরে বর্ণিত বর্ণনায় আমরা জানতে পারি যে, মুহাম্মদ যে-পশুগুলো কুরবানি করেছিলেন তাদের মধ্যে ছিল আবু জেহেলের (আবু আল-হাকাম) একটি উট। আবু জেহেলের আসল নাম ছিল আমর বিন হিশাম বিন আল-মুঘিরা। তিনি ছিলেন কুরাইশ বংশোদ্ভূত, বানু মাখযুম গোত্রের নেতা। মুহাম্মদের আগ্রাসী প্রচারণার বিরুদ্ধে আবু লাহাবের (পর্ব: ১২) মতো তিনিও ছিলেন মুহাম্মদের এক শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। এই সেই আবু জেহেল, যাকে অমানুষিক নৃশংসতায় বদর যুদ্ধে হত্যা করা হয়েছিল, যার বিস্তারিত আলোচনা "নৃশংস যাত্রার সূচনা (পর্ব-৩২)" পর্বে করা হয়েছে:

'--তারপর আমি তার কল্লা কেটে ফেলি এবং আল্লাহর নবীর কাছে তা নিয়ে এসে বলি, “এই সেই আল্লাহর শত্রু আবু জেহেলের মুণ্ডু।" তখন আল্লাহর নবী আমাকে বলেন, "আল্লাহর কসম, তিনি ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নাই, তাই না?"  আমি বলি, "হ্যাঁ, এবং তার কল্লা আল্লাহর নবীর সামনে ছুঁড়ে মারি, তিনি আল্লাহকে ধন্যবাদ জানান।"'

ওপরে বর্ণিত আবু জেহেলের ঐ উটটি মুহাম্মদ, সম্ভবত, সেই সময়ই হস্তগত (গণিমত) করেছিলেন। আবু জেহেলের এই উটটিকে মুহাম্মদ জবাই করেছেন খবরটি শোনার পর কুরাইশরা হয়েছিলেন রোষান্বিত; আল-তাবারীর বর্ণনায় আমরা জানতে পারি যে, কুরাইশদেরকে রাগান্বিত করার উদ্দেশ্যেই মুহাম্মদ আবু জেহেলের এই উটটি জবাই করেছিলেন। 

আদি উৎসের ওপরে উল্লেখিত বর্ণনায় যে-বিষয়টি অত্যন্ত স্পষ্ট, তা হলো - যখন মুহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ কুরাইশ প্রতিনিধি সুহায়েল বিন আমরের সাথে সন্ধিচুক্তি সমাপ্ত করেছিলেন, তখন মুহাম্মদের প্রায় সকল অনুসারীই ছিলেন অত্যন্ত শোকাহত। আল-ওয়াকিদি, আল-তাবারী ও ইমাম বুখারীর বর্ণনায় যা সুস্পষ্ট, তা হলো: সেই অবস্থায় মুহাম্মদের সমস্ত অনুসারীরা তাঁদের নবীর কার্যকলাপে এতই মনঃক্ষুণ্ণ ছিলেন যে, সন্ধিচুক্তি সম্পন্ন করার পর যখন মুহাম্মদ তাঁদের কাছে এসে তাঁদেরকে পশু কুরবানি করা ও তাদের চুল কামিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন, তখন একজন অনুসারীও তাঁর সেই নির্দেশ মান্য করেননি, তিন তিন বার আদেশ করার পরেও নয়! অতঃপর তাঁরা নবীর আদেশ মান্য করেছিলেন অবশ্য।

প্রশ্ন হলো,
“অনুসারীদের এহেন হতাশাগ্রস্ত পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ, তাঁদের মনোবল চাঙ্গা করা ও সর্বোপরি তাঁর নিজের হৃতগৌরব পুনরুদ্ধার ও নেতৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রয়োজনে অতঃপর মুহাম্মদ কী কৌশল অবলম্বন করেছিলেন?”

>> এই ঘটনার পূর্বে মুহাম্মদের নবী জীবনের বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহের তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে এই প্রশ্নের সঠিক জবাব আমরা অতি সহজেই নির্ধারণ করতে পারি। আর তা হলো:


উদ্দেশ্য সাধনের প্রয়োজনে মুহাম্মদ তাঁর ঘটনাবহুল নবী-জীবনের বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন ও সংকটময় পরিস্থিতিতে যে-দু’টি কৌশল অবলম্বন করতেন, এখানেও ঠিক তাইই করেছিলেন! বিফল ও অক্ষম মুহাম্মদের মক্কার ওহি নাজিল (পর্ব: ৮ ও ২৬)-এর সাথে সফল ও শক্তিমান মুহাম্মদের মদিনার ওহি নাজিল (পর্ব: ২৭)-এর পার্থক্য কোথায়, তার আলোচনা ইতিমধ্যেই করা হয়েছে।

(চলবে)

তথ্যসূত্র ও পাদটীকা:

[1]“সিরাত রসুল আল্লাহ”- লেখক: মুহাম্মদ ইবনে ইশাক (৭০৪-৭৬৮ খৃষ্টাব্দ), সম্পাদনা: ইবনে হিশাম (মৃত্যু ৮৩৩ খৃষ্টাব্দ), ইংরেজি অনুবাদ:  A. GUILLAUME, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, করাচী, ১৯৫৫, ISBN 0-19-636033-1, পৃষ্ঠা ৫০৪ ৫০৫

[2] “তারিক আল রসুল ওয়াল মুলুক”- লেখক: আল-তাবারী (৮৩৮-৯২৩ খৃষ্টাব্দ), ভলুউম ৮, ইংরেজী অনুবাদ: Michael Fishbein, University of California, Los Angeles, নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি প্রেস, ১৯৮৭, ISBN 0-7914-3150—9 (pbk), পৃষ্ঠা (Leiden) ১৫৪৬- ১৫৪৭

[3] অনুরূপ বর্ণনা (Parallel): “কিতাব আল-মাগাজি”- লেখক:  আল-ওয়াকিদি (৭৪৮-৮২২ খৃষ্টাব্দ), ed. Marsden Jones, লন্ডন ১৯৬৬; ভলুম ২, পৃষ্ঠা ৬১১-৬১২ http://www.britannica.com/biography/al-Waqidi
ইংরেজি অনুবাদ: Rizwi Faizer, Amal Ismail and Abdul Kader Tayob; ISBN: 978-0-415-86485-5 (pbk); পৃষ্ঠা ৩০১

[4] অনুরূপ বর্ণনা- সহি বুখারী: ভলিউম ৫, বই ৫৯, নম্বর ৫৫৩
বড় হাদিস, এই পর্বের প্রাসঙ্গিক অংশ:
‘Narrated By Al-Bara : When the Prophet went out for the 'Umra in the month of Dhal-Qa'da, the people of Mecca did not allow him to enter Mecca till he agreed to conclude a peace treaty with them by virtue of which he would stay in Mecca for three days only (in the following year). -------"This is the peace treaty which Muhammad, the son of 'Abdullah, has concluded: "Muhammad should not bring arms into Mecca except sheathed swords, and should not take with him any person of the people of Mecca even if such a person wanted to follow him, and if any of his companions wants to stay in Mecca, he should not forbid him. -------"

[5] সহি মুসলিম: বই নম্বর ১৯, হাদিস নম্বর ৪৪০৪:                                     এই পর্বের প্রাসঙ্গিক অংশ: ‘----They laid the condition on the Prophet (may peace be upon him) that anyone who joined them from the Muslims, the Meccans would not return him, and anyone who joined you (the Muslims) from them, you would send him back to them. ---‘

[6]Ibid “সিরাত রসুল আল্লাহ”- লেখক: মুহাম্মদ ইবনে ইশাক, পৃষ্ঠা ৫০৫

[7] Ibid “তারিক আল রসুল ওয়াল মুলুক”- লেখক: আল-তাবারী, পৃষ্ঠা ১৫৪৯-১৫৫০

[8] আবদুল্লাহ বিন আবু নাজিহ - মৃত্যু ৭৪৮-৭৫০ সাল

[9] ‘আবু জেহেল (আবু আল-হাকাম) আমর বিন হিশাম বিন আল-মুঘিরা ছিলেন কুরাইশ বংশের বানু মাখযুম গোত্রের নেতা, তিনি ছিলেন মুহাম্মদের এক বিশিষ্ট প্রতিপক্ষ। আবু জেহেলের এই উটটি মুহাম্মদ সম্ভবত: বদর যুদ্ধে হস্তগত করেন, এই যুদ্ধে আবু জেহেল নিহত হয়’।– Ibid আল-তাবারী নোট নম্বর ৩৮২

[10] ibid অনুরূপ বর্ণনা (Parallel): “কিতাব আল-মাগাজি”- লেখক:  আল-ওয়াকিদি, পৃষ্ঠা ৬১৩, ইংরেজি অনুবাদ: পৃষ্ঠা ৩০২

[11] সহি বুখারী: ভলিউম ৩, বই ৫০, নম্বর ৮৯১
অনেক বড় হাদিস, এই পর্বের প্রাসঙ্গিক অংশ:
‘---- Then Suhail said, "We also stipulate that you should return to us whoever comes to you from us, even if he embraced your religion."--- When the writing of the peace treaty was concluded, Allah's Apostle said to his companions, "Get up and' slaughter your sacrifices and get your head shaved." By Allah none of them got up, and the Prophet repeated his order thrice. When none of them got up, he left them and went to Um Salama and told her of the people's attitudes towards him. --------

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন