১.
গত কয়েক বছর সরকার তার কাজে ও আচরণে নানানভাবে স্পষ্ট করেই বুঝিয়ে দিয়েছে, নাস্তিকরা তাদের চক্ষুশূল, তাই চাপাতির কোপে নাস্তিকদের মৃত্যুতে তার নীরব ও পরোক্ষ সমর্থন আছে। তো নিশ্চিতভাবে অনুমিত সেই কথাটিই মদিনা সনদ প্রবর্তক প্রধানমন্ত্রী উচ্চারণ করেছেন শুধু। তাই এ নিয়ে এতো শোরগোলের হেতুটা ঠিক বোধগম্য নয়। মনে পুষে রাখা 'নাস্তিক হত্যা যায়েজ' কথাটা প্রকাশ করে ফেলেছেন বলে?
মুখে 'ভালোবাসি' বললেই ভালোবাসা প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় না। কাজে ও আচরণে প্রমাণ থাকতে হয়। তিনি যদি বলতেন, "নাস্তিকরা, তোমাদের বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করা হলো; তোমরা নিশ্চিতভাবে লিখে যাও," সেটা কিন্তু বিশ্বাসযোগ্য হতো না, কারণ তা সরকারের কাজ ও আচরণ দিয়ে সমর্থিত নয়। সেটা নিয়ে বরং শোরগোল তোলা যেতে পারতো।
তবে তাঁর বাণীতে একেবারেই নতুন কিছু যে ছিলো না, তা নয়। এই যেমন: ধর্মের সমালোচনার নামে নাস্তিকরা যা করছে, তা নোংরামি ও পর্ন। অতএব ভাইলোগ, এখন থিকা ধর্মকারী কিন্তুক একখান পর্ন ব্লগ। খিয়াল কৈরা!
২.
মদিনা সনদে পরিচালিত বাংলাস্তানের মুছলিমরা গর্ব করতে পারে এ নিয়ে: ছহীহ ইছলামী জঙ্গি গোষ্ঠী আইসিস-এ যোগ দিয়ে দ্বীনের পথে লড়াই করে শাহাদত বরণ করেছে বাংলাস্তানী এক বীর মুছলিম।
৩.
বাংলাস্তানকে বিলকুল ইছলামী রাষ্ট্র হিসেবে কায়েম করার পথ সুগম হলো অবশেষে। ইছলামের মুখ-উজ্জ্বলকারী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জঙ্গি দল আইসিস-এর শাখা আছে বাংলাস্তানে। আলহামদুলিল্যা। সংগঠনটির মুখপত্রের চলতি রজব মাসের সংখ্যায় এ কথা জানানো হয়েছে।
৪.
"বাংলার মাটি জঙ্গির ঘাঁটি, বুঝে নিক নাস্তিকরা" - অচিরেই এমন স্লোগান শোনা যাবে ইনশাল্যা। বাংলাস্তানে ইছলামী জঙ্গিদের ঘাঁটি স্থাপনের বিশদ পরিকল্পনা আছে আইসিস-এর। দেশে ক্ষমতাসীন আওলামা লীগ সরকারের কাছ থেকে সার্বিক সহযোগিতা তারা নিশ্চয়ই পাবে। সুবহানাল্যা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন