লিখেছেন কামিকাজি
সেই ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি, বাংলাদেশ ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশ। অবশ্যই না।
বাংলাদেশের ৯০ ভাগ মুসলিমের ৯০ ভাগ ঠিকমত নামাজ পরে না, জাকাত তো দেয়ই না। কুরবানির সময় ফেতরার নামে চামড়া অথবা অল্প কিছু টাকা দেয়। কার গরু কত দামি, সেই নিয়ে প্রতিযোগিতা। মুখে মুখে ১০০ বার ইন্ডিয়াকে গালি দিলেও হিন্দু দেশের গরু ছাড়া কুরবানি দিতে পারে না।
এই দেশে এক গলিতে চারটা আলিশান মার্বেল পাথরের ৩ তলা, ৪ তলা মসজিদ থাকে, নামাজ পড়ার লোক পাওয়া যায় না। কিন্তু পর্যাপ্ত স্কুল নাই, হাসপাতাল নেই।
বিজ্ঞান সম্পর্কিত সেমিনারে লোকজন পাওয়া না গেলেও ভণ্ড পীরের দরগায় লাখো মানুষের যাতায়াত। ২০১৬ সালেও পানি পড়া, তাবিজ, জীন ভুতে আমরা বিশ্বাস করি।
নায়লা নাঈমদের বেশরিয়তী বাংলাদেশে মুছলিমদের জন্য কোনো সমস্যা না হলেও ব্লগারদের লেখা বাংলাদেশে অনেক বড় সমস্যা। ব্লগার মানেই নাস্তিক, নাস্তিকদের ফাঁসি চাই। নাস্তিকদের হত্যা করলে সবাই মনে মনে খুশি হয়, যাক ইসলামকে রক্ষা করা গেল।
সুদ, ঘুষ, মদ বিক্রি, পতিতালয় বাংলাদেশে আইনত সিদ্ধ হলেও প্রকাশ্যে প্রেম করলেই গ্রেফতার।
ধর্মীয় শিক্ষার নামে মাদ্রাসাতে চলে শিশুদের মগজধোলাই, ভিখারির ট্রেনিং দিয়ে আলিয়া মাদ্রাসার নামে চাঁদা উত্তোলন। হুজুরদের দ্বারা পাশবিক নির্যাতন ও যৌন হয়রানি। কিন্তু আমরা সবাই চুপ।
বাংলাদেশের মোটামুটি সবাই জন্মসুত্রে মুসলমান, যার অধিকাংশই কুরান-হাদিস ঠিকমত পড়েনি। কলেমা পড়ে আর মানুষের মুখে মুখে শুনেই সবাই মুসলমান। ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে তেমন জ্ঞান না থাকলেও নবীকে নিয়ে কথা বললে তাদের রক্তে আগুন ধরে যায়। যদি সবাইকে নামাজ রোজা ঠিকমত পালন করত, ঈমানের পরীক্ষা দিয়ে মুসলমান হতে হত, তাহলে বাংলাদেশে মুসলমানরা থাকতো সংখ্যালঘু।
অবশ্য "ব্লগার মানেই নাস্তিক না, নাস্তিক মানেই ব্লগার না", এই ক্ষুদ্র চিন্তাটুকু যে দেশের মানুষ ভাবতে পারে না, সেই দেশে ইসলামের নামে ভণ্ডামি চলবে, তা অবশ্যম্ভাবী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন