আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

মঙ্গলবার, ৩১ মে, ২০১৬

লিটন ভাইয়ের স্ত্রী

লিখেছেন জর্জ মিয়া

গতকাল লিটন ভাই (ফ্ল্যাটের মালিক ভাইবেন না কেউ আবার) সন্ধ্যায় চায়ের দোকানে বইসা আড্ডায় আমারে কইতেছে, "বুচ্ছেন, ওস্তাদ, এইবার আর লাগামু না। সামনে ঈদের মার্কেট, এখন একটু ব্যবসায় মন দিতে হবে। তাছাড়া ৪১ দিন না লাগাইলে আসলে মজাও লাগে না।"

দোকানের সবাই তার দিকে চোখ বড় করে তাকিয়ে আছে। কয় কী এই দাড়িওয়ালায়! কী সব অশ্লীল লাগালাগির কথাবার্তা! যাই হোক, ব্যাপারটা ক্লিয়ার করে দিলাম কথার মাধ্যমেই। তাদের উদ্দেশেই বললাম, "৪১ দিন কিংবা ৩ দিনের লাগানো আসলে তাবলীগ-জামাতের কথা বলা হয়েছে। এই দিনগুলি মুমিন মুছুল্লিরা আল্যার ইবাদতে স্পেশালি খাটান, তাই একে লাগানো বলে, আরও ব্যাখ্যা করে বলতে গেলে - এটাকে আল্যার রাস্তায় লাগানো বলে।"

আমি উঠে চলে যাবো, এমন সময়ে বললাম তাকে, "লিটন ভাই, আপনাকে আর আপনার স্ত্রীকে দেখেছিলাম, মানে ভাবীকে দেখেছিলাম মটর সাইকেলে পেছনে বসিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রথমে দূরে থেকে দেখে ভেবেছিলাম মালের বস্তা নিয়ে যাচ্ছেন বুঝি দোকানে। কাছে আসার পরে দেখলাম, বোরখা পরিহিতা হাত-মোজা, পা-মোজাসহ এক হিজাবিনী আপনার পেছনে। যেহেতু আপনি দ্বীনদার লোক, সেহেতু অবশ্যই নিজের বিবিকে ছাড়া অন্য কোনো জেনানাকে আপনার বাইকে তুলবেন না, এটা তো মোটামুটি নিশ্চিত ছিলাম, তাই অনুমান করলাম, এটা আপনার স্ত্রীই হবেন।... দুঃখিত, ভাই, বস্তা ভাবার জন্য। কিছু মনে করবেন না।"

আমার কথা শুনে লিটন ভাই মনে বেশ কষ্টই পেয়েছেন, বোঝা গেল। তিনি বললেন, "মিয়া, তুমি আর আমার লগে কথা কইবা না! আমার বউরে তোমার মালের বস্তা মনে হইছে, সেইটা আবার আমার কাছেই কইতাছো।"

এবার আবার তারে কইলাম, "দেখেন, ভাই, দূর দিয়া দেখছিলাম তো! আর মানুষই তো ভুল করে, ভুল হয় না শয়তানের।" এর পরে ধর্মকারী থেকে ডাউনলোড করে রাখা একটা ছবি মোবাইল থেকে দেখালাম তাকে। দেখিয়ে বললাম, "লিটন ভাই, আপনে কি পারবেন আলাদা করতে, কোনটা বস্তা আর কোনটা হিজাবিনী-জেনানা? পারলেও কষ্ট হবে আপনার। আমিও ঠিক এমন ভুলটাই করেছিলাম।"


এবারে লিটন ভাই আর থাকতে না পেরে চায়ের বিল মিটিয়ে দিয়ে চলে গেলেন। কাউকে কিছু না বলেই। অন্য সময়ে সবাইকে পীড়াপীড়ি করেন নামাজে যাবার জন্যে, আজকে সেটাও করলেন না। পেছন থেকে ডাকলাম বেশ কয়েকবার। জবাবে তিনি বললেন, "দোকানে কাজ আছে, তোরা থাক, আমি পরে আসুমনে।"

লিটন ভাইয়ের সাথে আমার আজকে সকালে দেখা হয়েছে। আমাকে চায়ের দোকানে দেখা মাত্রই তিনি উঠে চলে গেলেন।

দুষ্টু যাজিকারা - ২৩


নবী সমীপে খোলা চিঠি - ২

লিখেছেন পুতুল হক

মাননীয় নবী,

শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন। আজকে আপনার সাথে কোনো কুতর্ক করার ইচ্ছে আমার নেই। একান্ত ভগ্ন মনে মনের কিছু কথা আপনার সাথে শেয়ার করছি। আমি জানি, যে-কথাগুলো আমি আপনার সাথে শেয়ার করবো, তা আপনাকে আনন্দে পুলকিত করবে। আমি এবং আমার মত আরো অসংখ্য মানুষ, যারা স্বপ্নতাড়িত হয়ে একটি ধর্মহীন আনন্দময় সমাজের জন্য সংগ্রাম করে যাই, আপনি হয়তো ভাবতে বসবেন যে, আমাদের পরাজয় নিশ্চিত। জয়-পরাজয়ের কথাতে পরে আসছি। আগে আমি কিছু কথা আপনার সাথে শেয়ার করি।

নবী ভাই (প্রায়ই আপনার সাথে আমার বাতচিত হয়, তাই ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করলে আলাপ করতে সুবিধা হয়), আপনি কি আমাকে পরিষ্কার করে বলতে পারবেন, ‘ইসলাম’ আসলে কী? জন্মের পর থেকে শুনে আসছি, ইসলাম একটি ধর্মের নাম, যা থেকে কেবল শান্তি আর শান্তি নির্গত হয়। এর প্রতিটি নিয়মকানুন থেকে শুধু শান্তি বুদবুদ আকারে ফেটে বের হয়। যেমন, মেয়েরা সারা শরীর কালো বোরকায় ঢেকে রাখবে, তাতে শান্তি। মাথার চুল দেখতে দেবে না, তাতে শান্তি। জায়গায়-অজায়গায় মসজিদ বানাবে, তাতে শান্তি। মসজিদ থেকে মাইকিং করবে 'হিন্দুর ঘরবাড়ি পোড়াও', তাতে শান্তি। বিধর্মীকে ঘৃণা কর, তাতে শান্তি। নাস্তিকের কল্লা কাটো, তাতে শান্তি। মতের মিল না হলে মুসলমানেরও কল্লা কাটো, তাতে শান্তি। মেয়েদের ধরে ধরে বাজারে বিক্রি কর, তাতে শান্তি। স্কুলে বোমা মেরে শত শত শিশুর লাশ ফেলো, তাতে শান্তি। আরো এতো অসংখ্য পদ্ধতিতে এহেন ইসলামী শান্তির জন্ম হয় যে, বলে শেষ করা যাবে না।

তাহলে, নবী ভাই, ইসলাম অনুসরণ করলে আমাদের শান্তির অভাব হবে না, তাই তো? এখন আমাদের অনেক মসজিদ, মসজিদে অনেক মাইক, অনেক বোরকা-হিজাব-জোব্বা-টুপি। আমরাও এখন নাস্তিকদের কল্লা ফেলি, হিন্দুর মেয়েকে পিতার সামনে ধর্ষণ করি। দেশকে ১০০% মুসলমানের দেশে পরিণত করতে আমরা অনেকটাই সফলকাম। আমাদের ঘরে, বাইরে, পথে, ঘাটে, টেলিভিশনে, রেডিওতে, সিনেমায়, কবিতায়, আলোচনায়, সম্ভাবনায় এখন কেবল ইসলাম আর ইসলাম। চারদিকে ইসলামের ছড়াছড়ি। স্বীকার করতে দ্বিধা নেই, চারিদিকে ‘ইসলামী শান্তির’ ছড়াছড়ি। যত ইসলাম, তত শান্তি। সত্য বটে!

আপনি আপনার উম্মতদের শিখিয়েছেন আপনার কথায় বিশ্বাস রাখতে। আমরা বিশ্বাস করলাম, আমরা শান্তিতে আছি। নবী, আপনি কি শান্তিতে ছিলেন, যখন বেঁচে ছিলেন? যখন আপনি মারা গেলেন, আপনার দাফন হয়নি দুই দিনেও, তখন কি আপনি শান্তিতে ছিলেন? আপনার প্রিয় সখা আলী, প্রিয় কন্যা ফাতিমা, প্রিয় নাতি হাসান-হুসেন কি শান্তিতে ছিলেন? কোথায় কীভাবে হারিয়ে গেলেন প্রিয় বিবি আয়েশা? আপনার মত একজন পুত্রকে জন্ম দিয়ে পিতামাতার মনে কতটুকু গর্ব আর শান্তি অনুভূত হতে পারে, জিজ্ঞেস করেছেন কখনো নিজেকে?

নবী আপনি ইসলামের নামে শান্তির কোনো তরিকা বাতলে যাননি। আমরা সেটা বুঝতে পেরেছি। শত শত মসজিদ আপনার ভণ্ডামির মুখোশকে আড়াল রাখতে পারছে না। লক্ষ কোটি মাইক আপনার হিংসার ধ্বনিকে ঢেকে রাখতে পারছে না। আপনি নিজেই আপনার কাপড় খুলে ফেলেছেন সেই আমলেই। আমরা শুধু বলছি, আপনি ন্যাংটা, তবে ন্যাংটা কিন্তু আপনি নিজেই হয়েছেন। আমাদের বিজিত হবার আসলে কোনো সুযোগ নেই। তাই আমরা জয়ের জন্য মরিয়া নই। আমরা শুধু সত্যের বর্ণনাকারী। একখানা পোশাক জোগাড় করতে পারলে আপাতত আপনার ইজ্জত বাঁচে, হয়তো তাই আপনি জয়ের জন্য হিংস্র।

আমার বোরখা-ফেটিশ – ১৮২


সোমবার, ৩০ মে, ২০১৬

হুদাইবিয়া সন্ধি - ১৭: চুক্তি ভঙ্গ - তিন!: কুরানে বিগ্যান (পর্ব- ১২৭): ত্রাস, হত্যা ও হামলার আদেশ – একশত এক

লিখেছেন গোলাপ

(আগের পর্বগুলোর সূচী: এখানে)

"যে মুহাম্মদ (সাঃ) কে জানে সে ইসলাম জানে, যে তাঁকে জানে না সে ইসলাম জানে না।"

হুদাইবিয়া সন্ধিচুক্তি সম্পন্ন করার ঠিক এক বছর পর ৬২৯ সালের মার্চ মাসে স্বঘোষিত আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) যে ওমরা পালন করেছিলেন, সেই ওমরা পালন শেষে মদিনায় প্রত্যাবর্তন কালে তিনি কার অভিপ্রায়ে ও কীভাবে আবারও হুদাইবিয়া সন্ধিচুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেছিলেন, তার আলোচনা আগের পর্বে করা হয়েছে। এর আগের বছর হুদাইবিয়া সন্ধি বর্ষে মুহাম্মদের যে-অনুসারীরা তাঁর সঙ্গে মক্কা যাত্রায় অংশগ্রহণ করে তাঁর "স্বপ্ন-দর্শন"ঘোষণার সম্পূর্ণ বিপরীত পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন ও অত্যন্ত অবমাননাকর শর্তে কুরাইশদের সাথে মুহাম্মদের সন্ধিচুক্তি স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করে হতাশা ও মর্মবেদনাগ্রস্ত হয়েছিলেন, এই ওমরা পালনে মুহাম্মদ “শুধু” তাঁর সেই অনুসারীদেরই সঙ্গে এনেছিলেন। ওহুদ যুদ্ধের চরম পরাজয়ের পর যে-উদ্দেশ্য সাধনের প্রয়োজনে মুহাম্মদ 'শুধু তাঁর ওহুদ যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী' অনুসারীদের সঙ্গে নিয়ে ঐ যুদ্ধের পরদিন হামরা আল-আসাদ অভিযান পরিচালনা করেছিলেন (পর্ব: ৬৮), সেই একই উদ্দেশ্য সাধনের লক্ষ্যে হুদাইবিয়া সন্ধিচুক্তির এক বছর পর এই ওমরা পালনে তিনি "শুধু" তাঁর হুদাইবিয়া অনুসারীদেরই সঙ্গে এনেছিলেন।

অনুসারীদের হতাশাগ্রস্ত পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ, তাঁদের মনোবল চাঙ্গা করা ও নিজের হৃতগৌরব পুনরুদ্ধার ও নেতৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রয়োজনে মুহাম্মদ সচরাচর যে-দুটি কৌশল (পর্ব: ১২২) অবলম্বন করতেন, হুদাইবিয়া সন্ধিচুক্তি শেষে মদিনায় প্রত্যাবর্তন কালে পথিমধ্যেই তিনি তাঁর প্রথম কৌশলটি প্রয়োগ করেন (পর্ব: ১২৩); মদিনায় ফিরে আসার দেড়-দুই মাস পর ‘খায়বার’-এর নিরীহ জনপদবাসীর ওপর আগ্রাসী ও নৃশংস হামলাটি ছিল তাঁর দ্বিতীয় কৌশল (পর্ব: ১২৪); সে কারণেই তিনি 'খায়বার হামলা' কালে শুধু তাঁর হুদাইবিয়ায় অংশগ্রহণকারী অনুসারীদেরই সঙ্গে নিয়েছিলেন।

‘খায়বার’ হামলাটি সংঘটিত হয়েছিল হিজরি ৭ সালের মহরম মাসের শেষার্ধে (মে-জুন, ৬২৮ সাল); মুহাম্মদের নেতৃত্বে তাঁর অনুসারীরা খায়বারের বিভিন্ন দুর্গ একে একে দখল করে নেন ও তাঁদের অধিবাসীদের অবরোধ করে রাখেন সুদীর্ঘ ১৩-১৯ রাত্রি পর্যন্ত। পরিশেষে তাঁদের সম্পূর্ণ বিজয় অর্জিত হয় হিজরি ৭ সালের সফর মাসে (যার শুরু হয়েছিল জুন ১০, ৬২৮ সাল); এই সময়টিতে মুহাম্মদ হুদাইবিয়া সন্ধিচুক্তির যে-শর্তটি লঙ্ঘন করেছিলেন তা ছিল নিম্নরূপ।

মুহাম্মদ ইবনে ইশাকের (৭০৪-৭৬৮) বর্ণনা: [1] [2] [3]
(আল-তাবারী ও আল-ওয়াকিদির বর্ণনা, ইবনে ইশাকের বর্ণনারই অনুরূপ)  

'যখন খায়বার বিজয় সম্পন্ন হয়, আল-বাহয গোত্রের আল-হাজ্জাজ বিন ইলাত আল-সুলামি আল্লাহর নবীকে বলে, "আমার পত্নী উম্মে শেয়েবা বিনতে আবু তালহার কাছে আমার টাকাপয়সা আছে" - যখন তারা একত্রে বসবাস করতো, তখন তার গর্ভে তার যে-সন্তানের জন্ম হয়, তার নাম ছিল মুরিদ - "টাকাপয়সাগুলো আছে মক্কার ব্যবসায়ীদের কাছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে, সুতরাং আমাকে অনুমতি দিন, যেন আমি সেখানে গিয়ে টাকাপয়সাগুলো আনতে পারি।" 

তাঁর অনুমতি পাওয়ার পর সে বলে, "হে আল্লাহর নবী, আমাকে অবশ্যই মিথ্যা কথা বলতে হবে।" তিনি বলেন, "তাদেরকে তাই বলো।"

আল-হাজ্জাজ বলেছে, "আমি যখন মক্কায় আসি, দেখি যে, আল-বেইদা গিরিপথের (মক্কার আল-তানিম গিরিপথ) স্থানটিতে কিছু কুরাইশ খবর সংগ্রহের চেষ্টা করছে ও আল্লাহর নবীর কী অবস্থা, তা জানতে চাচ্ছে; কারণ তারা শুনেছে যে, আল্লাহর নবী 'খায়বার' গিয়েছে। তারা জানতো যে উর্বরতা, সুরক্ষা ও জনসংখ্যার বিচারে ঐ স্থানটি হিজায-এর প্রথম স্থানীয় একটি শহর, তাই তারা সেখান দিয়ে অতিবাহিত হওয়া আরোহীদের জিজ্ঞাসা করে খবর সংগ্রহের চেষ্টা করছে। আমি যে মুসলমান, তা তারা জানতো না, তাই তারা যখন আমাকে দেখে বলে, "এ হলো আল-হাজ্জাজ বিন ইলাত। তার কাছে অবশ্যই খবর আছে। হে আবু মুহাম্মদ আমাদেরকে বলো, আমরা শুনেছি যে, ঐ বাটপাড়টা (highwayman) খায়বার গিয়েছে, যেটি ইহুদিদের একটি শহর ও হিজায এর একটি বাগান।" [4]

আমি বলি, ‘আমি তা শুনেছি ও আমার কাছে যে-খবর আছে, তা তোমাদের খুশি করবে।" তারা আগ্রহ নিয়ে আমার উটটির উভয় পাশে এগিয়ে আসে ও বলে, "সেটা কী, হাজ্জাজ।"

আমি বলি, “সে এমনভাবে পরাজিত হয়েছে যে, রকম তোমরা কখনোই শোনোনি; আর তার অনুসারীদের হত্যা করা হয়েছে, এমন অবস্থা, যা তোমরা কখনোই শোনোনি; আর মুহাম্মদ হয়েছে বন্দী। খায়বারের লোকেরা বলেছে, 'আমরা তাকে হত্যা করবো না, পরিবর্তে আমরা তাকে মক্কার জনগণের কাছে পাঠাবো, যেন তার তাদের লোকদের হত্যা করার প্রতিশোধ স্পৃহায় ওরা নিজেরাই তাকে হত্যা করে।"
     
তারা উঠে যায় ও চিৎকার করে মক্কার লোকদের বলে, "তোমাদের জন্য এক খবর আছে! তোমাদের শুধু মুহাম্মদকে তোমাদের কাছে পাঠানোর অপেক্ষায় থাকতে হবে, যাতে তোমাদের মধ্যে কেউ তাকে হত্যা করে।"

আমি বলি, "মক্কায় আমার টাকাপয়সা সংগ্রহের ব্যাপারে ও আমার কাছে যারা ঋণী, তাদের কাছ থেকে টাকাপয়সা সংগ্রহের ব্যাপারে তোমরা আমাকে সাহায্য করো, কারণ আমি খায়বার যেতে চাই ও অন্য বণিকদের সেখানে পৌঁছার আগেই মুহাম্মদ ও তার পলাতক অনুসারীদের লুটের মাল আমি কব্জা করতে চাই ।" [5]

তারা উঠে যায় ও এত দ্রুততায় আমার টাকাপয়সা গুলো সংগ্রহ করে দেয়, যা আমি কল্পনাও করিনি যে, তা আমার দ্বারা কখনো সম্ভব হতে পারতো। আমি আমার স্ত্রীর কাছে যাই ও তার কাছে যে নগদ টাকাপয়সাগুলো মজুদ আছে সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করি, তাকে বলি যে, সম্ভবত আমার খায়বার যাওয়া উচি,ত যাতে অন্য বণিকদের সেখানে পৌঁছার আগেই আমি কেনাকাটার সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারি।

যখন আব্বাস এই খবরটি শুনতে পায় ও আমার সম্পর্কে জানতে পারে, সে আমার পাশে এসে দাঁড়ায় ও যে-খবরটি আমি নিয়ে এসেছি, সে সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করে; সে সময় আমি এক বণিকের তাঁবুর ভিতরে ছিলাম। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করে জানতে চাই যে, যদি আমি বিশ্বাস করে তাকে এক গোপন সংবাদ জানাই, তবে সে তা গোপন রাখতে পারবে কি না। সে বলে যে, সে তা পারবে। তখন আমি বলি, "তাহলে অপেক্ষা করো যে পর্যন্ত না আমি তোমার সাথে গোপনে মিলিত হতে পারি, কারণ তুমি তো দেখতেই পাচ্ছ যে, আমি এখন আমার টাকাপয়সা সংগ্রহ করছি; সুতরাং কাজটি শেষ হওয়া পর্যন্ত তুমি আমার কাছ থেকে যাও (তাবারী: 'এবং সে আমাকে রেখে চলে যায়')।”

অতঃপর, যখন আমি মক্কায় আমার যা কিছু আছে, তার সবকিছুই সংগ্রহ করি ও ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিই, আমি আব্বাসের সাথে মিলিত হই ও তাকে বলি, "আমি যে-খবরটি তোমাকে বলবো, তা তিন রাত্রি পর্যন্ত গোপন রাখবে, তারপর তোমার যা ইচ্ছা হয়, তাই বলবে; কারণ আমার আশংকা এই যে, আমার পেছনে ধাওয়া করা হতে পারে।" যখন সে বলে যে, সে তা-ই করবে, আমি বলি, "আমি যখন আসি তখন তোমার ভাতিজা তাদের রাজার কন্যাকে (অর্থাৎ সাফিয়া) বিবাহ করার অপেক্ষায় ছিল [পর্ব:১২৪]; খায়বার বিজয় হয়েছে ও তার ভিতরে যা কিছু ছিল, তা নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সেগুলো এখন মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের সম্পত্তিতে পরিণত হয়েছে।"

সে বলে, "এ কী বলছো, হাজ্জাজ?" আমি বলি, "হ্যাঁ, আল্লাহর কসম, কিন্তু আমার এই গোপন সংবাদটি তুমি গোপন রেখো। আমি মুসলমান হয়েছি ও শুধু আমার টাকাপয়সা গুলো নিতে এসেছি, আশংকা করছিলাম যে, আমি হয়তো এ থেকে বঞ্চিত হবো। তিন রাত অতিবাহিত হবার পর তোমার যেভাবে ইচ্ছা, সেভাবেই এই খবরটি প্রকাশ করতে পারো।"

যখন তৃতীয় দিনটি আসে, আব্বাস তার লম্বা ঢিলেঢালা পোশাক পরে ও নিজেকে সুবাসিত করে তার লাঠিটি নিয়ে কাবা ঘরে যায় ও তা প্রদক্ষিণ করে। যখন লোকেরা তাকে দেখে, তারা বলে, "হে আবুল ফজল, ভীষণ দুর্ভাগ্যের সময় এটিই হলো প্রকৃত দৃঢ়তা!"

সে জবাবে বলে, "কক্ষনোই না, যার নামে তোমরা শপথ করো, সেই আল্লাহর কসম, মুহাম্মদ খায়বার জয় করেছে ও তাদের রাজার কন্যাকে বিবাহ করার অপেক্ষায় আছে। তাদের যা কিছু ছিল, তার সবকিছুই সে জব্দ করেছে ও এখন তা তার ও তার অনুসারীদের সম্পত্তি।" তারা জিজ্ঞাসা করে, "তোমার এই এই সংবাদটি কে এনেছে?" সে বলে, "লোকটি হলো সেই, যে তোমাদের সংবাদটি এনেছে। সে মুসলমান হিসাবে তোমাদের কাছে এসেছিল ও তার টাকাপয়সা নিয়ে সে মুহাম্মদ ও তার অনুসারীদের সাথে যোগ দেয়ার জন্য চলে গিয়েছে, সে তার সাথেই থাকবে।"

তারা বলে, "হায় আল্লাহ, আল্লাহর শত্রু পালিয়ে গেছে। যদি আমরা তা জানতাম, তবে তার ব্যবস্থা আমরা করতাম।" প্রায় একই সাথে সঠিক সংবাদটি তাদের কাছে এসে পৌঁছে।'

- অনুবাদ, টাইটেল, ও [**] যোগ - লেখক।
                                                             
>>> মুহাম্মদ ইবনে ইশাক, আল-তাবারী ও আল-ওয়াকিদির ওপরে বর্ণিত প্রাণবন্ত (Vivid) বর্ণনায় যে-বিষয়টি অত্যন্ত স্পষ্ট, তা হলো - হুদাইবিয়া সন্ধিচুক্তি সম্পন্ন করার মাত্র দুই-আড়াই মাস পর মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ তাঁর আল-হাজ্জাজ ইবনে ইলাত আল-সুলামি নামের এক অনুসারীকে কুরাইশদের সঙ্গে প্রতারণার অনুমতি দিয়েছিলেন, “যেটি ছিল হুদাইবিয়া সন্ধিচুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন! কারণ হুদাইবিয়া সন্ধির একটি শর্ত ছিল এই যে, ‘তারা একে অপরের প্রতি কোনোরূপ গোপন অভিসন্ধি বা প্রতারণার আশ্রয় নেবেন না (পর্ব: ১২৫)!’

জগতের প্রায় সকল তথাকথিত মডারেট (ইসলামে কোনো কোমল-মোডারেট বা উগ্র শ্রেণীবিভাগ নেই) সাধারণ মুসলমানদের দৃঢ় বিশ্বাস এই যে, “মুহাম্মদ ছিলেন সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মানুষ।” নিজ উদ্দেশ্য সাধনের প্রয়োজনে মুহাম্মদ যে কখনো প্রতারণার আশ্রয় নিতে পারেন, কিংবা তিনি তাঁর অনুসারীদের কখনো প্রতারণার আশ্রয় নেয়ার অনুমোদন দিতে পারেন, তা তাঁরা কল্পনাও করতে পারেন না। ইসলামের প্রচার ও প্রসারের প্রয়োজনে, কিংবা কোনো অমুসলিম রাজ্যে মুসলমান পরিচয় প্রকাশে নিপীড়ন অথবা মৃত্যুঝুঁকির আশংকাথাকলে, কিংবা কোনো যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে একজন মুসলমান মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নিতে পারেন - ইসলামী পরিভাষায় যার নাম হলো 'তাকিয়া (Taqyya)';এই তথ্যটি হয়তো তাঁদের অনেকেই কম-বেশি অবগত আছেন। কিন্তু তাঁদের অধিকাংশই কল্পনাও করতে পারেন না যে, অবিশ্বাসীদের সঙ্গে মিথ্যা ও প্রতারণা করার অনুমতি শুধুমাত্র ঐ সকল কারণগুলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। আদি উৎসের বিশিষ্ট মুসলিম স্কলারদেরই ওপরে বর্ণিত বর্ণনায় আমরা জানতে পারি যে, পার্থিব উদ্দেশ্য সাধনের প্রয়োজনে একজন মুসলমান অবলীলায় অবিশ্বাসীদের সঙ্গে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নিতে পারেন। আদি উৎসের ওপরে বর্ণিত বর্ণনায় যা অত্যন্ত স্পষ্ট, তা হলো - মুহাম্মদ নিজেই তাঁর এক অনুসারীকে এমনটি করার অনুমতি দিয়েছিলেন, আর সেটা তিনি করেছিলেন ঐ লোকদের সঙ্গে, যাদের সঙ্গে তিনি তা করবেন না মর্মে মাত্র দুই-আড়াই মাস পূর্বে এক লিখিত সন্ধিচুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন। [6]
           
উদ্দেশ্য সাধানের প্রয়োজনে মুহাম্মদ "তাঁর অনুসারীদের"কীভাবে প্রতারণার আশ্রয় নেয়ার অনুমতি ও আদেশ দিতেন, তার বিস্তারিত আলোচনা ইতিমধ্যেই করা হয়েছে। আমরা জেনেছি কীভাবে মুহাম্মদ তাঁর অনুসারীদের প্রতারণার আশ্রয়ে ক্বাব বিন আল-আশরাফ কে খুন করার আদেশ জারী করেছিলেন (পর্ব ৪৮);আমরা জেনেছি প্রতারণার আশ্রয়ে মুহাম্মদ অনুসারীরা কীভাবে আবু রাফিকে খুন করেছিলেন (পর্ব ৫০); আমরা জেনেছি খন্দক যুদ্ধে মুহাম্মদ কীভাবে নুইয়াম বিন মাসুদ বিন আমির নামের এক অনুসারীকে প্রতারণার আশ্রয়ে কুরাইশ, ঘাতাফান ও বনি কুরাইজা গোত্রের লোকদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির লক্ষ্যে নিয়োগ করেছিলেন (পর্ব ৮৫)

মুহাম্মদ শুধু যে তাঁর অনুসারীদেরই প্রতারণার আশ্রয় নেয়ার অনুমতি ও আদেশ দিতেন, তাইই নয়, নিজ উদ্দেশ্য সাধনের প্রয়োজনে "মুহাম্মদ নিজে"কীভাবে প্রতারণার আশ্রয় নিতেন, তার বিস্তারিত আলোচনাও ইতিমধ্যেই করা হয়েছে। আমরা জেনেছি বনি নাদির গোত্রকে উচ্ছেদ ও তাদের সম্পত্তি লুট করার অভিপ্রায়ে মুহাম্মদ কীভাবে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছিলেন (পর্ব ৫২); আমরা জেনেছি খন্দক যুদ্ধে কীভাবে তিনি ঘাতাফান গোত্রের দলপতি ইউয়েনা বিন হিসন-কে উৎকোচ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন (পর্ব: ৮১); আমরা জেনেছি খন্দক যুদ্ধ শেষে তিনি কীভাবে প্রতারণার আশ্রয়ে বনি কুরাইজা গোত্রের ওপর গণহত্যা চালিয়েছিলেন (পর্ব ৮৭)।

মুহাম্মদের স্বরচিত কুরান ও আদি উৎসের বিশিষ্ট মুসলিম ঐতিহাসিকদেরই রচিত সিরাত ও হাদিসের আলোকে 'হুদাইবিয়ার সন্ধি' উপাখ্যানের বিস্তারিত আলোচনায় মুহাম্মদের চরিত্রের এই বিশেষ দিকটি আবারও অত্যন্ত স্পষ্ট।

ইসলামী ইতিহাসের ঊষালগ্ন থেকে আজ অবধি প্রায় প্রতিটি ইসলাম বিশ্বাসী প্রকৃত ইতিহাস জেনে বা না জেনে ইসলামের ইতিহাসের এ সকল অধ্যায়গুলো যাবতীয় চতুরতার মাধ্যমে গোপন ও বিকৃত করে এসেছেন। বিষয়গুলো অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিধায় বাংলা অনুবাদের সাথে মূল ইংরেজি অনুবাদের প্রাসঙ্গিক অংশটিও সংযুক্ত করছি।

The narrative of Muhammad Ibne Ishaq: [1] [2] [3]

When Kaybar had been conquered al-Hajjaj b. 'Ilat al-Sulami of the clan al-Bahz said to the apostle, 'I have money with my wife Umm Shayba d. Abu Talha-when they had livedtogether he had a son called Mu'rid by her - and money scattered among the Meccan merchants, so give me permission to go and get it.' Having got his permission he said, 'I must tell lies, O apostle.' He said, 'Tell them.'

Al-Hajjaj said, 'When I came to Mecca I found in the pass of al-Bayda' (The pass of al-Tan'im in Mecca.) some men of Quraysh trying to get news and asking how the apostle fared because they had heard that he had gone to Khaybar. They knew that it was the principal town of the Hijaz in fertility, fortifications, and population, and they were searching for news and interrogating passing riders. They did not know that I was a Muslim and when they saw me they said, "It is al-Hajjaj b. 'Ilat. He is sure to have news. Tell us, O Abu Muhammad, for we have heard that the highwayman has gone to Khaybar which is the town of the Jews and the garden of the Hijaz." I said, "I have heard that and I have some news that will please you." They came up eagerly on either side of my camel, saying, "Out with it, Hajjaj!" I said, "He has suffered a defeat such as you have never heard of and his companions have been slaughtered; you have never heard the like, and Muhammad has been captured." The men of Khaybar said, "We will not kill him until we send him to the Meccans and let them kill him among themselves in revenge for their men whom he has killed."They got up and shoulted in Mecca, "Here's news for your! You have only to wait for this fellow Muhammad to be sent to you to be killed in your midst." I said, "Help me to collect my money in Mecca and to get in the money owed to me, for I want to go to Khaybar to get hold of the fugitives from Muhammad and his companions before the merchants get there." They got up and collected my money for me quicker than I could have supposed possible. I went to my wife and asked her for the money which she had by her, telling her that I should probably go to Khaybar and seize the opportunity to buy before the merchants got there first.

When 'Abbas heard the news and heard about me he came and stood at my side as I was in one of the merchants' tents, asking about the news which I had brought. I asked him if he could keep a secret if I entrusted it to him. He said he could, and I said, "Then wait until I can meet you privately, for I am collecting my money as you see, so leave me (T. and he left me) until I have finished"; and so, when I had collected everything I had in Mecca and decided to leave, I met 'Abbas and said, "Keep my story secret for three nights, then say what you will for I am afraid of being pursued." When he said that he would, I said, "I left your brother's son married to the daughter of their king, meaning Safiya, and Khaybar has been conquered and all that is in it removed and become the property of Muhammad and his companions." He said, "What are you saying, Hajjaj?" ----

(চলবে)

তথ্যসূত্র ও পাদটীকা:

[1] “সিরাত রসুল আল্লাহ”- লেখক: মুহাম্মদ ইবনে ইশাক (৭০৪-৭৬৮ খৃষ্টাব্দ), সম্পাদনা: ইবনে হিশাম (মৃত্যু ৮৩৩ খৃষ্টাব্দ), ইংরেজি অনুবাদ:  A. GUILLAUME, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, করাচী, ১৯৫৫, ISBN 0-19-636033-1, পৃষ্ঠা ৫১৯-৫২১ http://www.justislam.co.uk/images/Ibn%20Ishaq%20-%20Sirat%20Rasul%20Allah.pdf

[2] “তারিক আল রসুল ওয়াল মুলুক”- লেখক: আল-তাবারী (৮৩৮-৯২৩ খৃষ্টাব্দ), ভলুউম ৮, ইংরেজী অনুবাদ: Michael Fishbein, University of California, Los Angeles, নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি প্রেস, ১৯৮৭, ISBN 0-7914-3150—9 (pbk), পৃষ্ঠা (Leiden) ১৫৮৬-১৫৯০ http://books.google.com/books?id=sD8_ePcl1UoC&printsec=frontcover&source=gbs_ge_summary_r&cad=0#v=onepage&q&f=false

[3]“কিতাব আল-মাগাজি”- লেখক:  আল-ওয়াকিদি (৭৪৮-৮২২ খৃষ্টাব্দ), ed. Marsden Jones, লন্ডন ১৯৬৬; ভলুম ২, পৃষ্ঠা ৭০২-৭০৫
ইংরেজি অনুবাদ: Rizwi Faizer, Amal Ismail and Abdul Kader Tayob; ISBN: 978-0-415-86485-5 (pbk); পৃষ্ঠা ৩৪৫-৩৪৭

[4] হিজায: বর্তমান সৌদি আরবের পশ্চিম অঞ্চল। এটির সীমানা হলো: পশ্চিমে লোহিত সাগর, উত্তরে জর্ডান, পূর্বে নাজাদ ও দক্ষিণে আসির। এর প্রধান শহর হলো জেদ্দা, কিন্তু এই স্থানের বিশেষ পরিচিতি সম্ভবতঃ ইসলামের পবিত্র-ভূমি মক্কা ও মদিনা শহরের অবস্থান।

[5] Ibid “সিরাত রসুল আল্লাহ”- ইবনে হিশামের নোট নম্বর ৭৬৭, পৃষ্ঠা ৭৭০

[6] ইসলামে মিথ্যা ও প্রতারণা:

কোরান 'অবমাননার' রকমফের

আর যে কোনও দশটা বইয়ের সঙ্গে কোরানের কোনও ইতরবিশেষ নেই। কারণ কোরান আলাদা কোনও মহিমা বহন করে না, কোরানের নেই অলৌকিক শক্তি, নেই আরোপিত পবিত্রতা, নেই কথিত ঐশী বৈশিষ্ট্য। অন্য সব বইয়ের মতোই কোরান আগুনে পোড়ে, জলে... থুক্কু, পানিতে ডোবে; কেউ কোরানের পাতা ছিঁড়লে তার যৌনকেশও ছেঁড়া পড়ে না। বস্তুত কোরান সম্পর্কে আল্যা এতোটাই উদাসীন যে, কোরানকে বিশ্রীভাবে 'অবমাননা' করলেও  নাজিল হয় না সামান্যতম ঐশী শাস্তিও।

নিচের খুদে ছবিগুলোয় একের পর এক ক্লিক করে সর্বমোট সাতটি নমুনা দেখুন। প্রক্সি ব্যবহারকারীদের জন্য সরাসরি লিংক: http://imgur.com/a/9TKfJ


এবং একটি ভিডিও। অত্যন্ত অরুচিকর, তবে সেটিও প্রমাণ করে, কোরান নেহাতই একটি গ্রন্থ মাত্র, যার 'অবমাননা' করলে কোনও ঐশী প্রতিক্রিয়া হয় না।

পর্দা - নারীনিয়ন্ত্রণে ইছলামের প্রধান অস্ত্র

লিখেছেন তসলিমা আক্তার লিমা

ধর্ম যখন মানুষের চেয়ে বড় হয়ে ওঠে, তখন কল্যাণের চেয়ে অকল্যাণই বেশি ঘটে একটি জাতির জীবনে। তা-ই হয়ে এসেছে চিরকাল, ইতিহাস তা-ই বলে। অথচ কে না জানে, মানুষের জন্য ধর্ম এসেছিল, ধর্মের জন্য মানুষ নয়। আজ যেন মানুষ হয়ে গেছে গৌণ আর ধর্ম হয়ে উঠেছে মূখ্য এক শ্রেণীর মোল্লা-পুরোহিতদের কাছে। আর এই ধর্মের নামে তথাকথিত শরিয়ত-এর খাতিরে নারী সমাজকে বলি হতে হচ্ছে মোল্লাতন্ত্র আর পুরোহিতের যাঁতাকলে।

ইসলাম ধর্মে নারীকে যতটা অবরুদ্ধ রাখার প্রচেষ্টা করা হয়েছে, আর সকল ধর্ম মিলেও তার সমান হবে না। ইসলামী দেশ এবং এর রীতিনীতির মধ্যে যা আসে, তার মধ্যে পর্দাপ্রথা বা হিজাব অন্যতম। আমাদের দেশ সাংবিধানিকভাবে ধর্মীয় হলেও গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা বিদ্যমান। যেহেতু আমাদের দেশে এখনও কোরান ও সুন্নাহর শাসন ব্যবস্থা চালু হয়নি, তাই নাগরিকরা কিছুটা ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করে আসছেন। কিন্তু কোরান ও সুন্নাহভিত্তিক শাসনব্যবস্থা চালুর জন্য মরিয়া কিছু উগ্র ইসলামী রাজনৈতিক দল এবং এর অঙ্গ সংগঠনগুলো ইসলামী বিভিন্ন কট্টরপন্থী নিয়মনীতি চালু করে দিয়েছে। তার মধ্যে হিজাব উল্লেখ্যযোগ্য। কারণ তাদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু নারী। তারা জানে, একটি নারীকে বন্দী করতে পারলে পরিবারকে বন্দী করা সম্ভব। তাছাড়া নারী জাতি সহনশীল এবং তুলনামুলকভাবে কম প্রতিবাদী হওয়ায় তাদেরকেই লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে উগ্র ইসলামী গোষ্ঠীগুলো। আর এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের সর্বত্র।

কিন্তু একজন স্বাধীনচেতা মানুষ হিসেবে আমি কখনোই এই আরোপিত হিজাবকে সমর্থন করতে পারি না। বাংলাদেশের শতকরা ৯০ জনের মত মুসলিম। স্বাভাবিকভাবে জন্মসূত্রে প্রজন্মের পর প্রজন্ম হচ্ছে মুসলিম। নারী-পুরুষের সংমিশ্রণে এই দেশ। আর নারী ও ইসলাম নিয়ে কথা উঠলেই কথা আসে পর্দাপ্রথার অর্থাৎ হিজাবের। ইসলামে নারী ও পুরুষ সবাইকে পোশাকের বিষয়ে নির্দেশ দেয়া আছে। কিন্তু কাজ ভেদে, খেলাধূলার ধরন ভেদে, আবহাওয়া ও তাপমাত্রা ভেদে, ভৌগলিক অবস্থান ও অঞ্চল ভেদে, কখনো বা সময়ের প্রভাবে পোশাক যুক্তিসঙ্গত কারণেই পাল্টায়, যাতে ঐ বিশেষ সময়ে, বিশেষ অবস্থায় মানুষ তার ক্রিয়াকর্মের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে পারে। কিন্তু ইসলামে নারীর পোশাক সংক্রান্ত বিভিন্ন আদেশ-নির্দেশ পোশাকের এই যৌক্তিক কার্যকারণগুলোকে মানে না। তাই এত বিতর্ক।

অর্থনৈতিকভাবে নির্ভরশীল মুসলিম নারীসমাজ এই অবস্থা থেকে মুক্তিলাভের জন্য কোনো আন্দোলন বা প্রতিবাদ করতে পারেননি। মুসলিম নারীদের মুক্তির সংগ্রামে এই পর্দাপ্রথা হয়ে উঠেছে প্রধান অন্তরায়। দাসত্বের এই প্রতীকের জন্য তারা ক্রমাগত নিম্নমুখী হচ্ছে। পুরুষ আধিপত্যের শেকল ছিঁড়ে নিজ গৃহের বন্দীত্ব থেকেই মুক্তি পাচ্ছে না। কিন্তু তাই বলে নারীরা এর বিরোধিতা করেনি তা নয়। মুসলিম রমণীরা প্রতিবাদ করে যাচ্ছেন এসব প্রথার বিরুদ্ধে। ১৯২৩ সালে মিশরে প্রথম একটি প্রতিবাদ হয়, মিশরের ফেমিনিস্ট ইউনিয়নের প্রধান মিজ হুদার নেতৃত্বে। তিনি ও তার সমর্থকরা প্রকাশ্যে তাঁদের পর্দা ছুঁড়ে ফেলে দেন সমুদ্রে। তুরস্কে হিজাবের বিরুদ্ধে সরকার থেকে লড়াই শুরু হয় ১৯২৭ সালে। তখন কম্যুনিস্ট সরকার ছিল ক্ষমতায়। সেই সময় ৭,০০০ মহিলা প্রকাশ্যে তাদের হিজাব ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। কিন্তু ইসলামের সাথে শত্রুতা করার জন্য তাদের ৩০০ জনকে হত্যা করা হয়েছিল। আজকের যে কট্টর আফগানিস্তান, সেখানেও বাদশা শাহ-এর সময় স্বাধীনতা উৎসবে, ১৯২৮ সালে পর্দাপ্রথার শেকল থেকে নারীকে মুক্তি দেয়ার জন্য তিনি তার স্ত্রীকে জনসম্মুখে পর্দা ছাড়া উপস্থিত হতে বলেছিলেন। পরে মুসলিম মৌলবাদীর ক্রমাগত প্রতিবাদের মুখে নারীমুক্তির সব ধরনের প্রকল্প তাঁকে বাদ দিতে হয়েছিল। ক্ষমতাও ছাড়তে হয় তাকে। ইরানের রেজা শাহ ১৯৩৬ সালে একটি বিশেষ আইন করে 'চাদর' পরা বন্ধের আদেশ দেন। কিন্তু সংস্কৃতির বিপক্ষে তার এই আদেশ জনপ্রিয়তা পায়নি এবং জনপ্রতিবাদের মুখে ১৯৪৬ সালে তিনি আবার তা পুনর্বহাল করেন।

পর্দা নারীর মুক্ত বিচরণকে রুদ্ধ করে দেয়, এটি বলার অবকাশ রাখে না। যদিও মুসলিম রমণীদের অনেকে তাদের প্রয়োজনমত এসব নিয়মকানুনকে একটু মোচড়ে নিজের সুবিধামত ব্যবহার করেন। কিন্তু খুব একটা সরব প্রতিবাদে তারা সহজে জড়াতে চান না সাধারণত পরিবার, সমাজ, ধর্ম এবং রাষ্ট্র আরোপিত শাস্তির ভয়ে। কিন্তু ‘হিজাবের’ অর্থ কেবল পোশাকের মাঝে জড়িত মনে করলে ভুল করা হবে। এর সাথে জড়িয়ে রয়েছে আরো অনেক নিয়ম-নীতি। যদি প্রশ্ন ওঠে যে, মুসলিম নারীর কি ঘরের বাইরে যাওয়ার অনুমতি আছে? এর উত্তরে অবশ্যই বলতে হবে, তার নিজের বাড়ির চার দেয়ালের মধ্যে লুকিয়ে থাকাটাও হিজাবের বা পর্দাপ্রথার অংশ। ইমাম সূয়ূতী র. বলেন, এটি সকল নারীর জন্য হিজাবের আয়াত। এতে মাথা ও চেহারা ঢাকা ওয়াজিব করা হয়েছে। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. উক্ত আয়াতের তাফসীরে বলেন, আল্লাহ তা’আলা মুমিনদের স্ত্রীদের আদেশ করেছেন তারা যেন প্রয়োজনের মুহূর্তে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় ওপর দিয়ে পর্দা ঝুলিয়ে চেহারা ঢেকে রাখে এবং শুধু এক চোখ খোলা রাখে। (তাফসীরে ইবনে কাসীর: ৩/৮২৪)

কী জঘন্য দৃষ্টিভঙ্গী নারীর প্রতি! যারা গোঁড়া/উগ্র মৌলবাদী কিংবা ইসলামী শাসন কায়েমে বিশ্বাসী, তাদের মতে - এই আদেশ সকল মুসলিম রমণীর জন্য। আজকের আধুনিক সমাজে যখন দেখি কোনো সম্প্রদায়ের যাবতীয় ধ্যান-ধারণা এবং চেতনা দিয়ে নারীকে পর্দা বা হিজাবের মধ্যে আবদ্ধ রাখার দলগত এবং ব্যক্তিগত চেষ্টায় লিপ্ত, তখন অবাক এবং প্রতিবাদ না করে পারি না। এই একবিংশ শতাব্দীতে বিশ্ব যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন আমাদের বাংলাদেশে চলছে নারীকে হিজাবের আবরণে আবদ্ধ করার প্রচেষ্টা। পর্দাপ্রথা ও ইসলামের দোহাই দিয়ে নারীকে অবরুদ্ধ করে রাখা হচ্ছে। সময় এসেছে পর্দা ছুঁড়ে ফেলে নিজের সমাজের কুসংস্কার ও অন্ধ ধর্মীয় বিশ্বাস-এর মোহ থেকে মুক্ত করে যুক্তি এবং বাস্তবতার আলোকে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করার।

সবজান্তা ধর্ম

রবিবার, ২৯ মে, ২০১৬

ইসলামে নারী অধিকারের জোয়ার - ২

লিখেছেন জিওর্দানো ব্রুনো


ইসলামে নারীরা আসলে Defective মাল। তারা অভিশাপ দেয় বেশি। নারীর কারণে তুরষ্কের সম্রাট সুলাইমান-এর সাম্রাজ্য ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। আসলে তার কথা ১০০% সত্য। ইসলামের ইতিহাস পড়লে সেটা বোঝা যায়। আসুন ইসলামী ইতিহাস থেকে শিখি:
আবু মুসার বর্ণনা মতে নবী (দ:) বলেছেন: “পুরুষদের মধ্যে অনেকেই ত্রূটিমুক্ত কিন্তু নারীদের মধ্যে কেউ ত্রূটিমুক্ত নয়, কেবল ইমরানের কন্যা মেরী এবং ফারাওয়ের স্ত্রী আয়েশা ছাড়া।” (সহিহ মুসলিম, বই ৩১ হাদিস ৫৯৬৬)
এসব Defective মালকে সকাল-বিকাল পেটানো উচিত এবং এত কোনো পাপ নেই:
ওমর বিন খাত্তাব বর্ণনা করেন, নবী বলেছেন “কোনো স্বামীকে পরকালে প্রশ্ন করা হবেনা কেন সে বউকে পিটিয়েছিল।” (সুনান আবু দাউদ, বই ১১ হাদিস ২১৪২)
এর আগে একটি হাদিসে (এবং কোরানেও) বউ পেটানোর লাইসেন্স তো পেয়ে গেছেন, এবার দেখা যাক, তাদের কে কীভাবে আরো অত্যাচার করা যায়। যে নারীদের কারণে পৃথিবীতে এত সমস্যা, তাদের এত সহজে ছেড়ে দেওয়া ঠিক হবে না, কী বলেন, ভাইয়েরা? এখন দেখুন, আপনি যখন খুশি তখন আপনার বিবি বা বিবিগনের সাথে ছহবত করতে পারবেন,
তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্যক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদের ব্যবহার কর। (কোরান ২:২২৩)
যদি কোনো কারণে আপনার স্ত্রী রাজি না হয়, তাহলে নিচের হাদিস তাকে দেখান:
আবু হুরাইরা হতে বর্ণিত: আল্লার নবী বলেছেন: “যদি কোনো স্বামী তার স্ত্রীকে বিছানায় ডাকে (সহবাসের উদ্দেশ্যে) আর স্ত্রী মানা করে যার ফলে সামী রাগ্বান্বিত অবস্থায় ঘুমাতে যান, তাহলে ফেরেস্তারা সেই স্ত্রীকে সকাল পর্যন্ত অভিশাপ দিতে থাকে।” (সহিহ বুখারী, ভল্যুম ৮ , হাদিস ৪৬০, সহিহ মুসলিম ভল্যুম ২ হাদিস ৩৩৬৮)
সে যদি রান্না ঘরে ব্যস্ত থাকে, তাহলেও ছাড় দেবেন না:
স্বামী যখন (যৌন) প্রয়োজনে নিজ স্ত্রীকে আহ্বান করে, তখন তার ডাকে সাড়া দেয়া স্ত্রীর কর্তব্য, যদিও সে চুলায় রান্নার কাজে ব্যস্ত থাকে। (তিরমিজি ১১৬০, ইবনে মাজা ৪১৬৫)
সারাদিন রোজা রাখার পরে আপনার স্ত্রী ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন? সমস্যা নেই:
তোমাদের জন্য রমজানের রাত্রে তোমাদের বিবিগনের নিকট গমন করা জায়েজ করা হইয়াছে, তোমার বিবিগন তোমাদের আচ্ছাদন আর তোমরা তাদের আচ্ছাদন, আল্লাহ জানিতে পারিলেন যে তোমরা নিজেদের ক্ষতি করিতেছিলে, সুতরাং তিনি তোমাদের অপরাধ মার্জনা করিলেন এবং তোমাদের দোষ ছাড়িয়া দিলেন, সুতরাং এখন উহাদের সহিত সহবাস কর। (কোরান ২:১৮৭)
আল্লাহর অশেষ রহমতে শুধু মাত্র মাসিক ঋতুস্রাব-এর সময়ে স্ত্রীরা না বলার অধিকার পেয়েছেন। যদিও সাহাবীরা এটাতেও ছাড় দিতে চাইছিলেন না, যার কারণে নবীজি রেগে গিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন "সহবাস করা ছাড়া আর সব কিছুই জায়েজ।" (তাফসির ইবনে কাসীর খন্ড ১ম, ২য়, ৩য়, প: ৬১০, তাফসির পাবলিকেশন কমিটি হতে প্রকাশিত)

(চলবে)

গরুপূজারি গাধাগুলো - ১৫২

পূর্ণাকারে দেখতে ছবির ওপরে ক্লিক করতে হবে 

নবীর বিবিধ বিবি বিবাহ বিষয়ে ইছলামী পিছলামী

লিখেছেন শুভ্র আহমেদ

- আচ্ছা নবীজি (সঃ)-এর চোদ্দটি স্ত্রী ছিল কেন? অন্যদের জন্য চার বিয়ের বিধান কিন্তু তাঁর জন্য আনলিমিটেড? 
- উনি নবী ছিলেন তাই... 
- ওহহো। তাইলে নবীর জন্য বেশি সুবিধা? আর সাধারণদের জন্য আলাদা। ব্যাপারটা রাজতন্ত্রের মত হয়ে গেল না? 
- ভাই, আপনি বেশি বুঝেন? 
- স্যরি, ভাই, ভুল হইছে। আচ্ছা নাহয় নবী হিসেবে অনেক বিয়ে করলেন, কিন্তু সেগুলোর দরকারটা কী ছিল? 
- তিনি অনেককে আশ্রয় দিয়েছেন। যাদের বিয়ে করেছেন সকলেই ছিলেন অসহায়া।
- সত্যিই নবীজি বড়ই মেহেরবান। একটা প্রশ্ন করি?
- কী প্রশ্ন?
- আশ্রয় দিতে হলে কেন বিয়েই করতে হবে? কেন আশ্রম বানালেন না?
- আশ্রম বানানোর টাকা কি আপনার বাপ দিবে?
- কেন, ভাই, তিনি তো নবী। তিনি চাইলে মরুভুমির বালুকে স্বর্ণ বানায়ে ফেলতে পারতেন...
- ঐ মহিলাদের শারীরিক চাহিদার ব্যাপার ছিল...
- বুঝলাম বুঝলাম। কিন্তু সে জন্য তো তাদের তার অসহায় সাহাবীদের সাথে বিয়ে দিতেও পারতেন। তাই না?
- ভাই, কথা প্যাঁচান ক্যা?
- আচ্ছা, মানলাম আশ্রয় দিছেন। তো আপনার বাবা যদি এরকম অসহায় মহিলাদের এভাবে আশ্রয় দেয়া শুরু করেন...
- ঐ বেটা শালা নাস্তিক, কথায় কথায় বাপ টানস ক্যান?
- বিরাট ভুল হয়ে গেছে, ভাই...
- হুম। আর যেন না হয়। অভদ্রের বাচ্চা। মা-বাপ কিছু শেখায় নাই নাকি?
- স্যরি, ভাই।
- হুম। ইট'স ওকে।
- ভাই, হুজুর যে জয়নবকে বিয়ে করলেন, পালক পুত্রের স্ত্রী। ব্যাপারটা কেমন না?
- এটাই হল তোদের, নাস্তিকদের, প্রব্লেম। না পড়েই না জেনেই ফাল পারস। এটা ছিল হেকমত। বুঝলি? এর মাধ্যমে তখনকার কুসংস্কার দূর করা ছিল উদ্দেশ্য।
- কী কুসংস্কার?
- ঐ যুগে পালকপুত্রের স্ত্রীকে বিয়ে করাকে নোংরা ভাবা হত। হুজুর সেই অহেতুক কুসংস্কার অনুসরণ করেননি। এখানেই হুজুরের ব্যক্তিত্বের প্রতিফলন।
- বুঝলাম, ভাই। কিন্তু আয়েশার মত বাচ্চা মেয়েকে বিয়ে করার কারণ কী? এটা তো খারাপ, তাই না?
- না, ঐ যুগের প্রেক্ষাপটে খারাপ না। ঐটা ঐ যুগের চল ছিল।
- এ কী, ভাই। এখন দেখি যুগের দোহাই দ্যান। কই, যয়নবের ব্যাপারে তো যুগের দোহাই এড়ায়ে গেলেন!
- ঐ বেটা, ঐ! বেশি বুঝস!
- স্যরি, ভাই, স্যরি।
- আয়েশারে বিয়ার কারণ ছিল। হুজুর অনেক হাদিস মাসায়েল আয়েশাকে শিখায় দিয়ে গেছিলেন।
- পুরুষ সাহাবী কম পড়েছিল?
- মানে?
- না, না, কিছু না...

অন্ধত্বের তিনটি প্রধান কারণ

শনিবার, ২৮ মে, ২০১৬

একটি খোলা-তরবারি কবিতা

নির্মলেন্দু গুণের "একটি খোলা কবিতা" অবলম্বনে লিখেছেন নাস্তিকথন

আসুন আমরা ইসলাম সম্পর্কে বৃথা বাক্য
ব্যয় না করে একটি মুশরিকের কল্লা
নামিয়ে দিয়ে বলি: 'এই হচ্ছে প্রকৃত ইসলাম।
জিহাদকে বন্ধ রেখে, কাফিরকে উপদেশ দিয়ে
অযথা সময় নষ্ট ক'রে লাভ নেই, আসুন
আমরা প্রগতির দরোজাটা বন্ধ করে দিই।'

গণতন্ত্রের পথ খোলা রেখে
সম্ভব নয় প্রকৃত খিলাফতের স্বপ্ন দেখানো।
নিরপেক্ষ কলবে ঈমান থাকবার কথা নয়,
সে বেরিয়ে যাবেই; ওটাই ঈমানের ধর্ম ।
মডারেটের ভাবনা ভিন্ন হলেও শরিয়া আইন একটাই।

ঈমানদার নবী তাই বিধর্মী উপড়ে ফেলেছিল সময়মত,
নইলে কাফিরবেষ্টিত হেজাজে ইসলাম কি ফলতো?
যুক্তির আক্রমণ থেকে অন্ধ ধর্মকে
রক্ষা করতে হয় যুক্তিদাতার কল্লা কেটে।
বিধর্মীর বোনকে করতে হবে ধর্ষণ, অথবা দাসী,
প্রচণ্ড ত্রাসসৃষ্টি ছাড়া
পৃথিবীতে কবে কোথায় ইসলাম প্রতিষ্ঠা পেয়েছে?
কাফির কতল ছাড়া ইসলাম বৃক্ষের
পুষ্টিসাধনের সংকল্প হচ্ছে গায়েবি কল্পনা।

সুন্নত লাভ কি সম্ভব জেহাদ ব্যতিরেকে?
কিংবা কাফির জেনানা ধর্ষণ ছাড়া?
এলেমহীন মডারেট বেহেশত চান
সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম স্থাপন করে,
বিজ্ঞ আলেম পরামর্শ দেন খিলাফতের।
তাতে কিছু রক্তপাত হয় বটে,
হয়তো কেটে ফেলতে হয় লাখো বিধর্মীর কল্লা
কিন্তু দোযখ থেকে মুক্তির পথে ওটা এমন কিছু নয়।
আল্লার বিধানে দরাদরি নেই। এটা ফরজ।

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম দিয়েই হুরলাভের ভ্রান্ত প্রত্যাশায়
সময় নষ্ট না করে আসুন আমরা জিহাদের পথেই চলি।

দ্বীনবানের দীন বাণী - ৪০

ভিডিওসূত্র: https://youtu.be/tpTioeHjxn4

সুরা নাস্তিক ব্লগার

অবতীর্ণ হয়েছে এন. জেড আহমেদ-এর ওপর

(আয়াত সংখ্যা - ৫, ঢাকায় অবতীর্ণ)

بعيدا مع الكمبيوتر المحمول المدونين ملحد، والتي تتيح لي بوم الأحمر، وأنها أيضا سوف يتم تدميرها.

১. ধ্বংস হোক নাস্তিক ব্লগারদের ল্যাপটপ, যার দ্বারা সে আমার পশ্চাদ্দেশ লাল করে দেয়, এবং ধ্বংস হোক তারা নিজেরাও।

لم أكن أرى ما يفعلونه مع المدونين الحادي تحولت الى عمل جبان؟

২. তারা কি দেখেনি আমি পূর্ববর্তী নাস্তিক ব্লগারদের সাথে কী রূপ কাপুরুষোচিত আচরণ করেছি?

لم أي معرفة من منهم لا يعمل، على الرغم من أنها أكثر علمية كثيرا عن القرآن، فشلوا في فهم المعنى الحقيقي للكتاب المقدس. وهذا هو مجرد إنجاز لي. ذهبت مع يخطفها من الدماغ، وأنهم قدموا المؤمنين الحقيقيين.

৩. কোনো কাজে আসেনি তাদের অর্জিত জ্ঞান, কুরান সম্পর্কে তারা অনেক বেশি জানলেও বিজ্ঞানময় কিতাবের প্রকৃত অর্থ বুঝতে তারা ব্যর্থ। আর এই কৃতিত্ব কেবলই আমার। তাদের মগজ আমি নিয়ে গিয়েছি ছোঁ মেরে, আর তা দান করেছি প্রকৃত মুমিনদের।

في الواقع، فإن العالم سوف تشغيل أسلحتهم حادة، لضرب جميع المؤمنين حتى يتمكنوا من فهم. علياء كبير.

৪. নিশ্চয়ই দুনিয়াতে তাদের ধাওয়া করবে ভোঁতা চাপাতি, যাতে তারা মুমিনদের প্রতিটা কোপ উপলব্ধি করতে পারে। আল্যা মহান।

صديقة وزوجاتهم النخيل حبل حول عنقه.

৫. আর তাদের গার্লফ্রেন্ড ও স্ত্রীদের গলায় খর্জুর রশি।

নিত্য নবীরে স্মরি – ২৩৯


শুক্রবার, ২৭ মে, ২০১৬

ইছলামের স্বরূপ

বাণী: জেসমিন জুঁই

শেখ'স শপ - ০৭

লিখেছেন শেখ মিলন

১৯.
পরীক্ষার পর রেজাল্টের অপেক্ষায় অলস সময় কাটাচ্ছি। এক বিকেলে আড্ডার ফাঁকে রেজাল্টের কথা উঠতেই এক বন্ধু দু'হাত তুলে মোনাজাতের ভঙ্গিতে বললো, "হে আল্লাহ, তুমি যদি আমাকে পরীক্ষায় A গ্রেড পাইয়ে দাও, তাহলে তোমার মসজিদে ১০০টাকা দেবো।"

কাফের-মুরতাদ আমি বন্ধুটিকে প্রশ্ন করে বসলাম, "তোর আল্লাও ঘুষখোর?"

২০.
নিজ দায়িত্বে পড়বেন, কারো অনুভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে আমি দায়ী থাকবো না।

যখন আমি ছোট ছিলাম,  তখন প্রতিরাতে আব্বা বা আম্মার কাছ থেকে একটা করে গল্প শুনে ঘুমোতাম। আমার আব্বা একটা গল্প বলেছিলেন। শালিক পাখি ও হনুমানের গল্প। আজ আমি আপনাদের সেটি শোনাবো।

একদিন খুব বৃষ্টি হচ্ছে। একটা গাছে শালিক পাখি তার বাসাতে বাচ্চাসহ বসে আছে। পাশের একটা বাবলা গাছে এক হনুমান বসে বসে বৃষ্টিতে ভিজছে। শালিক পাখিটি তা দেখে হনুমানটিকে ডেকে বললো, "ও হুনুমান ভাই, বৃষ্টিতে ভিজছো কেন? আমি ছোট একটা পাখি, নিজের বাসা বানিয়ে থাকি, আর তুমি অত বড় একটা প্রাণী, নিজের থাকার মতো বাসা বানাতে পারো না?"

এই কথা শুনেই হনুমানের রাগ হয়ে গেল, সে অপমান বোধ কররো এবং লাফ দিয়ে উঠে পাখিটির বাসা ভেঙে দিলো। পাখিটি উড়ে গিয়ে অন্য গাছের ডালে বসে প্রাণ বাঁচালো আর এই বলে কাঁদতে থাকলো, ""নির্বোধকে বুদ্ধি দিয়ে বুদ্ধি হলো দূর, আমার ছায়ের-মায়ের বাসা ভেঙে করলো রে খানচুর..."

বর্তমানে মুক্তমনাদের পরিণতি হচ্ছে এরকম। তারা ধার্মিকদের কুসংস্কার ও ভুলগুলো ধরিয়ে দিলে বা সুবুদ্ধি দিলেই ধার্মিকরা ধর্মানুভূতিতে আঘাত পাচ্ছে এবং তাদের (মুক্তমনাদের) হত্যা করছে।

২১. 
আস্তিকেরা বলে, "ঈশ্বরের জন্মও নেই, ঈশ্বরের মৃত্যুও নেই।"

এখানেই স্পষ্ট যে, ঈশ্বরই নেই।

শরিয়তী তরিকায় মূত্রত্যাগ

বৃহস্পতিবার, ২৬ মে, ২০১৬

লওহে মাহফুজের সন্ধানে: ক্যাটম্যান সিরিজ - ২৩

লিখেছেন ক্যাটম্যান

মুক্তচিন্তা চর্চা, প্রচার ও প্রসারের কারণে ধর্মান্ধ মৌলবাদী জঙ্গীগোষ্ঠীর নৃশংস হামলার শিকার হুমায়ুন আজাদ, রাজিব হায়দার, অভিজিৎ রায়, ওয়াশিকুর রহমান বাবু, অনন্ত বিজয় দাশ, নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নিলয়, ফয়সল আরেফিন দীপন ও নাজিমুদ্দিন সামাদ সহ নিহত ও আহত সকল মুক্তচিন্তকের স্মরণে এই লেখাটি অপরিমেয় ভালোবাসার স্মারক স্বরূপ নিবেদন করছি।


উপর্যুক্ত হাদিসে কুদসিটির সারমর্ম হলো এই, একদিন মুহম্মদ ফজর নামাজের ওয়াক্ত প্রায় শেষ হওয়ার মুহূর্তে অনুসারীদের নিকট উপস্থিত হলেন এবং তাদেরকে সাথে নিয়ে তড়িঘড়ি নামাজ আদায় করলেন। একজন নবী হওয়া সত্ত্বেও কেন তিনি ফজরের সম্মিলিত নামাজে বিলম্বে উপস্থিত হয়েছেন, নামাজ অন্তে তার অনুসারীদের নিকট সেই কারণ ব্যাখ্যায় উদগ্রীব হলেন। আর বিলম্বে উপস্থিতির কোনও যথাযথ কারণ ব্যাখ্যা করতে না পেরে ইহলৌকিক জীবনে দর্শনাতীত ঈশ্বরকে ইহলৌকিক জীবনেই প্রত্যক্ষদর্শনের এক অলীক গল্প ফেঁদে বসলেন। হাদিসে যা ব্যক্ত হয়েছে নিম্নরূপে:
হঠাৎ দেখি আমার রব আমার সামনে সর্বোত্তম আকৃতিতে।
আল-হাদিসের সুবিধাবাদী ভাষ্যকারগণ ঈশ্বরকে প্রত্যক্ষদর্শনের মুহম্মদি স্বীকারোক্তিকে অস্বীকার করে বিষয়টিকে মুহম্মদের তন্দ্রায় বা স্বপ্নঘোরে ঈশ্বর-দর্শনের স্বীকারোক্তি বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করতে পারেন। কারণ হাদিসটির বর্ণনায় তন্দ্রার প্রসঙ্গ এসেছে। তবে তন্দ্রার প্রসঙ্গ বর্ণিত হলেও স্বপ্নের প্রসঙ্গ হাদিসটির কোথাও বর্ণিত হয়নি। তাই তাদের তেমন প্রয়াস ধোপে টিকবে না। তাছাড়া মুহম্মদ স্বকপোলকল্পিত ঈশ্বরকে প্রত্যক্ষদর্শনের অভিজ্ঞতাটি নিখাদ প্রমাণ করতে আলোচ্য হাদিসে কিছু জীবন্ত অনুভূতিও ব্যক্ত করেছেন, যেমন:
আমি দেখলাম তিনি (আল্লাহ) নিজ হাতের তালু আমার ঘাড়ের ওপর রাখলেন, এমনকি আমি তার আঙ্গুলের শীতলতা আমার বুকের মধ্যে অনুভব করেছি।
অর্থাৎ মুহম্মদের ঘাড়ে ধরে আল্লাহ বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি বাস্তবিকই মুহম্মদের সামনে উপস্থিত। শুধু তাই নয়, মুহম্মদ তার বুকের মধ্যে আল্লাহর হস্তস্থিত আঙ্গুলের শীতলতাও অনুভব করেছেন।

তবে মুহম্মদ সেই রাতে নিজ ঘাড়ে যৌনসঙ্গমে রত কোনো নারীর হাতের তালু ও আঙ্গুলের স্পর্শকে স্বকপোলকল্পিত ঈশ্বরের হাতের তালু ও আঙ্গুলের স্পর্শ বলে চালিয়ে দিয়েছেন কি না, এ বিষয়ে সন্দেহের যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে। কারণ মুহম্মদের ছিল একাধিক স্ত্রী ও অসংখ্য যৌনদাসী, যাদের সাথে দিবারাত্রী যৌনসংগমে লিপ্ত থাকাটা মুহম্মদের জন্য ছিল পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ আদায়ের চেয়েও অতীব গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের সামিল। হয়ত তেমনই কোনো যৌন-ইবাদতের রাতে যৌনসঙ্গমে রত কোনো নারীর হাতের তালু ও আঙ্গুলের স্পর্শ নিজের ঘাড়ে অনুভব করেছিলেন যৌনবিকারগ্রস্ত মুহম্মদ। আর সারারাত্রিব্যাপী যৌন-ইবাদতে মশগুল থেকে ভোরে ফজরের সম্মিলিত নামাজে যখন তিনি অতিশয় বিলম্বে উপস্থিত হলেন, তখন নিজের অনুসারীদের নিকট নিজের অনাকাঙ্ক্ষিত বিলম্বের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে স্বকপোলকল্পিত ঈশ্বরকে প্রত্যক্ষদর্শনের এক অলীক গল্প ফেঁদে বসেছেন হয়ত। সে কারণে ঈশ্বরকে প্রত্যক্ষদর্শন বিষয়ক গল্পময় হাদিসটির বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে হাদিসটির শেষে সত্যায়নসূচক সনদও যুক্ত করেছেন মুহম্মদ। যেমন:
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: নিশ্চয় এ বাক্যগুলো সত্য, তোমরা এগুলো শিখ ও শিক্ষা দাও।
এক্ষেত্রে মুহম্মদের উক্ত বাণীর শিক্ষা অনুসরণ করে আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারি যে, ফজরের সম্মিলিত নামাজে একদিন বিলম্বে উপস্থিত হওয়ার মধ্য দিয়ে ঈশ্বর বা আল্লাহকে প্রত্যক্ষদর্শনের দুর্লভ অভিজ্ঞতা অর্জন করেন মুহম্মদ। এমন বিলম্বে উপস্থিতির সাধনা তিনি যদি আরও আগেভাগে করতেন, তাহলে হয়ত আরও আগেভাগেই ঈশ্বরকে প্রত্যক্ষদর্শনের অভিজ্ঞতাটি অর্জন করতেন। তবে তেমন অভিজ্ঞতা অর্জনেচ্ছায় মুহম্মদ দ্রুততার সাথে না এগিয়ে ধাপে ধাপে এগিয়েছেন। আর এক্ষেত্রে যে ধাপসমূহ তিনি অনুসরণ করেছেন তা নিম্নরূপ:

প্রথমত: বাইবেলের অনুকরণে আল-কুরআনে ঈশ্বরকে প্রত্যক্ষদর্শনের সম্ভাব্যতা অস্বীকার করেছেন।

দ্বিতীয়ত: ঈশ্বরকে প্রত্যক্ষদর্শন বিষয়ে আল-কুরআনে গৃহীত অসম্ভাব্যতার অবস্থান হতে বিচ্যুত হয়ে পরবর্তীকালে শর্তসাপেক্ষে ( অর্থাৎ মৃত্যু পরবর্তী জীবনে) ঈশ্বরকে প্রত্যক্ষদর্শনের সম্ভাব্যতা স্বীকার করেছেন আল-কুরআন ও মুহম্মদি হাদিসে কুদসিতে।

তৃতীয়ত: আল-কুরআন ও মুহম্মদি হাদিসে কুদসিতে গৃহীত পারলৌকিক জীবনে ঈশ্বরকে প্রত্যক্ষদর্শনের অবস্থান হতে বিচ্যুত হয়ে ইহলৌকিক জীবনেই ঈশ্বরকে প্রত্যক্ষদর্শনের এক নতুন স্বীকারোক্তি প্রদান করেছেন চরম সুবিধাবাদী সুচতুর মুহম্মদ।

বিধায় আমরা বুঝতে পারি, মুহম্মদ তার ঈশ্বর ‘আল্লাহর’ যে-বৈশিষ্ট্যসমূহ স্বীয় প্রবর্তিত আল-কুরআন ও আল-হাদিসে ব্যক্ত করেছেন, সেখানে নানাবিধ স্ববিরোধী বর্ণনা বিদ্যমান। তবে বহুমাত্রিক স্ববিরোধী বর্ণনা সত্ত্বেও মূসা ও অন্যান্য নবীর তুলনায় প্রতারক মুহম্মদ একেবারেই আলাদা। কেননা, অন্যান্য নবীদের কেউই ইহলৌকিক জীবনে ঈশ্বরকে প্রত্যক্ষদর্শনের স্বীকারোক্তি প্রদান করেননি; কিন্তু মুহম্মদ ইহলৌকিক জীবনে ঈশ্বরকে প্রত্যক্ষদর্শনের সম্ভাব্যতা অস্বীকার করা সত্ত্বেও ইহলৌকিক জীবনেই ঈশ্বরকে প্রত্যক্ষদর্শনের অলীক স্বীকারোক্তি প্রদান করেছেন। ঐশী প্রতারণার এমন অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনের কারণে মুহম্মদকে তাই শ্রেষ্ঠ নবী বিবেচনা করা হয়। অপরপক্ষে মূসার পরমেশ্বর ও মুহম্মদের আল্লাহ যদি একই পরম সত্তা হতেন, সেক্ষেত্রে বাইবেলের বর্ণনানুযায়ী ঈশ্বরকে প্রত্যক্ষদর্শনের অব্যবহিত পরেই মুহম্মদের মৃত্যু অনিবার্য ছিল। কিন্তু পরিহাসের বিষয় হলো এই যে, মুহম্মদের ক্ষেত্রে তেমন কিছুই ঘটেনি। তাই ঈশ্বরকে প্রত্যক্ষদর্শন প্রসঙ্গে বাইবেল, আল-কুরআন ও আল-হাদিসের এমন স্ববিরোধী অবস্থান পুনরায় প্রমাণ করে যে, মূসার পরমেশ্বর ও মুহম্মদের ঈশ্বর ‘আল্লাহ’ এক পরম সত্তা নন। মূলত মূসার পরমেশ্বরকে চোলাই করে এক ভিন্ন বৈশিষ্ট্যসূচক ঈশ্বরের ধারণা তৈরি করেছেন মুহম্মদ।

(চলবে)

ধর্ম ও যুদ্ধ - মেইড ফর ইচ আদার

বুধবার, ২৫ মে, ২০১৬

গুগল থাকতে ঈশ্বর কেন?

লিখেছেন কামিকাজি

পৃথিবীর একটি বড় প্রশ্ন হল: "ঈশ্বরের অস্তিত্ব আছে কি?" বেশিরভাগ মানুষ উত্তর দেবে, "হ্যাঁ, আছে।" যদি প্রশ্ন করা হয়, "আপনি কি তার অস্তিত্ব অনুভব করেন?" অনেকেই বলবে, "হ্যাঁ. করি।" কিন্তু ঈশ্বর যে আসলেই আছে. তার প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। অনেক মুমিনকেই পাল্টা প্রশ্ন করতে শুনেছি, "আপনি কি অক্সিজেন, হাইড্রোজেনের অস্তিত্ব টের পান? ঈশ্বর হল অদৃশ্য কিন্তু অনুভব করতে হয়।" কিন্তু মূল যে-ব্যাপারটা ধার্মিকরা এড়িয়ে যায়: অক্সিজেন-হাইড্রোজেনের অস্তিত্ব বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় প্রমাণ করা সম্ভব, কিন্তু ঈশ্বরের বেলায় সেই প্রশ্ন তোলাই বাহুল্য।

কিছু মানুষ ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন, কেউ কেউ ঈশ্বর বলতে কিছু আছে, তা বিশ্বাস করতে নারাজ। এটা সম্পূর্ণ তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। ঠিক যেমনটা কিছু বাচ্চা সুপারম্যান, স্পাইডারম্যান অথবা সান্টা ক্লজ আছে বলে বিশ্বাস করে, আবার কিছু স্মার্ট বাচ্চা মনে করে, এগুলো ছেলেভোলানো কল্পকাহিনী।

ধর্ম কেন এত বড় বিষয়, মাঝেমধ্যে ভাবতে অবাক লাগে। ধর্ম আমাদের মানবসমাজে এত বছরে কী উন্নয়ন সাধিত করেছে, তার তালিকা চাইলে কিছুই পাওয়া যাবে না। কিছু লোক কিছু ধর্মের অনুসারী মানুষের উদাহরণ দিয়ে থাকেন। যেমন, মুসলমানদের ক্ষেত্রে ইবনে সিনা, খ্রিষ্টানদের ক্ষেত্রে মাদার তেরেসা - যদিও এঁর কথিত মহৎ কর্ম প্রবলভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। কিন্তু তাদের ভাল কাজে ধর্মের ভুমিকা কোথায়?

একজন ভাল মনের ধার্মিক মানুষ ভাল কাজ করলে সেখানে ধর্মকে কৃতিত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু যখন একজন ধার্মিক খারাপ কাজ করে, ধর্মের নামে মানুষ হত্যা করে, তখন ধার্মিকরা চিৎকার করে ওঠে, "এখানে ধর্মের কোনো দোষ নেই, কেউ খারাপ কাজের জন্য ধর্মকে ব্যবহার করলে এখানে ধর্মের দোষ কোথায়?"

অনেকেই বলে. ''বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর।' এটা একদম ডাঁহা মিথ্যা কথা। বিশ্বাসে কিছুই মেলে না। আজ পর্যন্ত ভণ্ড পীর-ফকিরদের স্বপ্নে পাওয়া তাবিজ অথবা পানি-পড়া ছাড়া বিশ্বাসে কিছু মিলেছে কি না, আমার জানা নেই। অধ্যবসায়, পরিশ্রম, অজানাকে জানার আগ্রহ থেকেই মানুষ নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কার করেছে। যদি ঈশ্বর বিশ্বাস করে কেউ খাদ্যের আশায় বসে থাকতো, তাহলে সবাইকে না খেয়েই মরতে হত।

ঈশ্বর যদি থেকেই থাকে, তাহলে এ কেমন ঈশ্বর, যেখানে বিধর্মীরা একের পর এক মানুষের জন্য উন্নয়ন করেই যাচ্ছে, আর ধার্মিকরা নামাজ পড়ার ভিন্নতার কারণে নিজেদের মধ্যে মারামারি করে শেষ হয়ে যাচ্ছে? যেখানে বিধর্মীরা নিজেদের দেশকে উন্নতির চরম শিখরে নিয়ে যাচ্ছে, গ্রহ থেকে গ্রহে অনুসন্ধান চালাচ্ছে, সেখানে ধার্মিকরা বেহেস্তে যাওয়ার জন্য দুনিয়াবী কাজকর্মে আগ্রহী নয়। দিনে পাঁচবার মাথা ঠুকে, আর জোব্বা-দাড়ি লাগিয়ে, বউ পিটিয়ে, নাস্তিকদের কুপিয়ে ৭২ হুর পাওয়ার নেশায় উদগ্রীব। বিধর্মী অঞ্চলের মানুষ সভ্যতার চরম উৎকর্ষে, আর আফ্রিকায় হাজার হাজার শিশু না খেতে পেয়ে মারা যাচ্ছে। এ কেমন বৈষম্য, এ কেমন ঈশ্বর, যে নিজের সন্তানদের কাউকে সুখে রাখে, কাউকে না খাইয়ে মারে?

খরা, দুর্যোগ, খাদ্যাভাব, প্রাকৃতিক দুর্যোগ নাকি ঈশ্বরের পরীক্ষা! এইসব পরীক্ষা নিয়ে নাকি তিনি ধার্মিকদের ঈমান পরীক্ষা করেন। তাহলে বিধর্মী দেশগুলোতে কেন দুর্যোগ হয়, তাদের কেন পরীক্ষা দিতে হয়, তার উত্তর আজও পেলাম না। আর এসব দুর্যোগ যদি প্রাকৃতিক কারণে হয়ে থাকে, তাহলে ঈশ্বরকে ভয় পাবার কারণ কী?

তাই ভাবি, ঈশ্বরের সাথে দেখা হলে বলতাম, ''তোমাকে আমার দরকার নেই, আমি আমার সব প্রশ্নের উত্তর গুগলেই পাই।''

হা-হা-হাদিস – ১৭৫

কতো রসময় কথা গুপ্ত আছে হাদিসে!

Narated By Abu Huraira : Allah's Apostle said, "Once Solomon, son of David said, '(By Allah) Tonight I will have sexual intercourse with one hundred (or ninety-nine) women each of whom will give birth to a knight who will fight in Allah's Cause.' On that a (i.e. if Allah wills) but he did not say, 'Allah willing.' Therefore only one of those women conceived and gave birth to a half-man. By Him in Whose Hands Muhammad's life is, if he had said, "Allah willing', (he would have begotten sons) all of whom would have been knights striving in Allah's Cause."

ধর্মের চিড়িয়াখানায় - ১

লিখেছেন ধর্মহীন জিরাফ

১.
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আপনাদেরকে একটা কথা বলতে চাই:
...
কথাটা হল - আল্লাহ, ঈশ্বর, ভগবান বলে কিছু নেই।

২.
আমার কাছে 'ধর্মানুভূতি' ব্যাপারটা সেদিনই পরিষ্কার হয়ে যায়, যেদিন দেখি, বায়তুল মোকাররমে শত শত কোরান পোড়ালেও কোনো আন্দোলন হয় না। বুঝি, এটা আসলে মৌলবাদী আর ধর্মব্যবসায়ীদের ব্যবহারযোগ্য একটা হাতিয়ার, যেটার নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণভাবে তাদেরই কাছে।

৩.
যুক্তির দ্বারা বিশ্বাস ভুল প্রমাণিত হয়েছে সবসময়ই। এর উল্টোটা কখনোই ঘটেনি।

৪.
ইসলামকে নিয়ে অনেক বাজে গুজব প্রচলিত আছে। এরকম একটা হল - ইসলাম শান্তির ধর্ম। ব্যাপারটা মোটেই তা নয়। এটা মূলত ইসলামের বিরুদ্ধে চালানো ইহুদি-নাসারাদের প্রোপাগান্ডা। 

৫.
আপনি ৬ বছরের একটা বাচ্চাকে বিয়ে করলে আর ৯ বছর বয়সে তাকে বেডরুমে এনে ঢোকালে মহামানব হবার পথে এক ধাপ এগিয়ে যাবেন। আপনার জন্য শুভ কামনা।

ধর্মীয় জাদু


মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০১৬

ইছলাম ত্যাগের কারণসমূহ - ৩১

ব্রিটেনের কাউন্সিল অভ এক্স-মুসলিম নামের সংগঠনের উদ্যোগে #ExMuslimBecause নামে টুইটারে একটি প্রচারণা অত্যন্ত জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। প্রাক্তন মুছলিমরা উপস্থাপন করছে ইছলাম ত্যাগের বিবিধ কারণ। অতি দীর্ঘ ও ক্রমবর্ধমান এই কারণ-তালিকা থেকে কিছু সরস ও সিরিয়াস কারণ অনুবাদ করে প্রকাশ করা হচ্ছে ধারাবাহিকভাবে। এতে যুক্ত করা হচ্ছে/হবে ধর্মকারীর ঠিকানায় পাঠানো লেখা/ছবি/ভিডিওও।


Egyptian Atheist: আমি প্রাক্তন মুছলিম, কারণ ইছলামের সঙ্গে মাফিয়ার কোনও তফাত খুঁজে পাই না। মাফিয়াদের দল ত্যাগকারীতেও হত্যা করা হয়। 

NocturnalMission: আমি প্রাক্তন মুছলিম, কারণ এমন কোনও "পরম করুণাময়" আল্যায় আমি বিশ্বাস করতে চাই না, যে কিনা একদল মানুষকে দোজখের আগুনে অনন্তকাল ধরে পোড়াবে।

Muhammad Syed (PBUM): আমি প্রাক্তন মুছলিম, কারণ আপনার আসমানী-পিতা যতো যৌনতাবাতিকগ্রস্তই হোক না কেন, নারী-খতনা অনৈতিক ও অমানবিক।

EmmyC: আমি প্রাক্তন মুছলিম, কারণ বিজ্ঞান নিয়ে প্রচুর পড়াশোনা করেছি।

Rizwaan Khan: আমি প্রাক্তন মুছলিম, কারণ আমাদের জীবন একটিই এবং বিভ্রমের ভেতরে বসবাস করে সেই জীবনটাকে ধ্বংস করে ফেলার কোনও অর্থ হয় না।

LaFouz: আমি প্রাক্তন মুছলিম, কারণ আমার স্বামী ধর্মান্তরিত হয়ে ইছলাম গ্রহণ না করা পর্যন্ত আমার বিয়ের আমেরিকান সার্টিফিকেট আমার নিজের দেশে বৈধ নয়।

SentientSelf: আমি প্রাক্তন মুছলিম, কারণ আমি বিশ্বাস করি, যৌনদাসপ্রথা মানবতার বিরুদ্ধে নিকৃষ্টতম অপরাধ।

Ru: আমি প্রাক্তন মুছলিম, কারণ আবাল জিহাদীদের সঙ্গে বেহেশতে থাকার চেয়ে আইনস্টাইন, এপিকুরাস, টমাস পেইন, মারিয়া কুরির সঙ্গে দোজখে পোড়া শ্রেয়।

Khan: আমি প্রাক্তন মুছলিম, কারণ ইছলাম সম্পর্কে আমার মনে উদয় হওয়া সংশয়ের কারণে আমি বহু রাত কাটিয়েছি আল্যার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। এবং আমি এখন এখানে!

Maha: আমি প্রাক্তন মুছলিম, কারণ ১২ বছর আগে আমার পরিবার আমাকে ত্যাজ্য করেছিল আমি যথেষ্ট 'বিশুদ্ধ' ছিলাম না বলে। "আল্যা পতিতাদের ঘৃণা করে।" ধন্যবাদ, মা। ধন্যবাদ, বাবা।

এক জোড়া পোস্টার


এসো, কোরান তিলাওয়াত করি - ০৭

লিখেছেন ফাতেমা দেবী (সাঃ)

১৭.
বললাম, হে আদম, তুমি ও হাওয়া জান্নাতে বাস করো এবং যা ইচ্ছা খাও, যেখানে ইচ্ছা যাও; কিন্তু এই গাছের কাছে যেওনা। অন্যথায় উভয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শয়তান তাদেরকে সংকল্প থেকে বিচ্যুত করলো। ওরা গন্দম ফল ভক্ষণ করলো। উভয়কেই বের করে দিলাম জান্নাত থেকে। তাদের নির্দেশ দিলাম, তোমরা পরস্পর শত্রুরূপে নেমে পড়ো দুনিয়াতে। (২:৩৫-৩৬) সুরা বাকারা, আয়াত ৩৫-৩৬

- আল্লা তার তৈরি আদম ও হাওয়াকে জান্নাতের যেখানে খুশি যেতে বললেন, যা ইচ্ছা খেতে বললেন। কিন্তু গন্দম-গাছের কাছেও যেতে মানা করলেন। বললেন, ওদিকে গেলে ওরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আল্লার তৈরি আদম ও হাওয়ার ক্ষতির সমূহ সম্ভাবনা আছে, এমন জিনিস আল্লা তৈরি করেছিলেন কেন? তৈরি যদিও করেছিলেন, তা তাদের হাতের কাছেই রেখে দিয়েছিলেন কেন? বাচ্চাদের জন্য ক্ষতিকর এমন যে কোনো জিনিসের গায়ে লেখা থাকে, বাচ্চাদের নাগালের বাইরে রাখুন। বয়স্কদের দায়িত্ব বিপজ্জনক জিনিস বাচ্চাদের নাগালের বাইরে রাখা। তা না করলে বা করার পরেও যদি কোনো বাচ্চা তা দ্বারা ক্ষতির স্বীকার হয়, তার জন্য বাচ্চা দোষী নয়, দোষী প্রাপ্তবয়স্ক, যে বাচ্চাকে ঠিক মতো দেখাশোনা করেনি বা বিপজ্জনক জিনিসটি বাচ্চার নাগালের বাইরে রাখেনি।

- আল্লা কোরানে অনেকবার বলেছেন, তিনিই একমাত্র সর্বশক্তিমান। তার ইচ্ছা ছাড়া গাছের পাতা নড়ে না। তাহলে তারই তৈরি তুচ্ছ শয়তান কীভাবে আদম ও হাওয়াকে সংকল্প থেকে বিচ্যুত করতে পারলো? সর্বশক্তিমান আল্লার শক্তি কি তারই তৈরি শয়তানের চেয়ে অনেক কম?

মনে করুন, কেউ একজন একটা খাবার বানালো। তার বাচ্চাকে বললো, খাবারটা খেয়ো না। বাচ্চাটা তবুও খাবারটা একটু চেখে দেখলো। এজন্য কি সেই মানুষটি তার বাচ্চাকে চিরদিনের জন্য বাসা থেকে বের করে দেবে? এমন অসভ্য লোক কি পৃথিবীতে কেউ আছে? আদম-হাওয়া গন্দম খেয়েছিল বলেই কি তাদেরকে জান্নাত থেকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতে হবে? এবং শয়তান এবং আদমকে চিরশত্রু হিসেবে পৃথিবীতে মারামারি কাটাকাটিতে লিপ্ত থাকতে নির্দেশ দিতে হবে? পৃথিবীর নিষ্ঠুরতম মানুষটিও কি এমন জঘন্য কাজ করতে পারবে?

- আদম ও হাওয়াকে আল্লা বলেছিলেন, গন্দম ফল না খেতে, এমন কি ওই গাছের কাছেও না যেতে। অন্যথায় উভয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কিন্তু আদম ও হাওয়া গন্দম খাওয়ার পরে তাদের কোনো প্রকার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হয়েছিল ব'লে কোরানে লেখা নেই। তার মানে, কোরানে লেখা আল্লার ভবিষ্যৎবাণী ডাহা ভুল প্রমাণিত হয়ে গেছে সেই আদিতেই। কিন্তু তবুও কেন শুধু তুচ্ছ গন্দম খাওয়ার জন্য আল্লা আদম-হাওয়াকে জান্নাত থেকে বহিষ্কার করে দিলেন? কেমন হাস্যকর না! এটা তো অপরাধের পর্যায়েই পড়ে না? ক্ষমতা থাকলেই কি তার ফানি স্বৈর-ব্যবহার করতে হবে?

আমার বোরখা-ফেটিশ – ১৮১

সোমবার, ২৩ মে, ২০১৬

একটি এলান

পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে গতকাল সারারাতব্যাপী ছালাত আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহর এবাদতে মগ্ন ছিলাম বলে ধর্মকারী ব্লগের জন্য পোস্ট নাজিল করা সম্ভব হলো না।

ভবদীয়,
ধর্মপচারক

রবিবার, ২২ মে, ২০১৬

হুদাইবিয়া সন্ধি - ১৬: চুক্তি ভঙ্গ - দুই!: কুরানে বিগ্যান (পর্ব- ১২৬): ত্রাস, হত্যা ও হামলার আদেশ – একশত

লিখেছেন গোলাপ

(আগের পর্বগুলোর সূচী: এখানে)

"যে মুহাম্মদ (সাঃ) কে জানে সে ইসলাম জানে, যে তাঁকে জানে না সে ইসলাম জানে না।"

৬২৮ সালের মার্চ মাসে স্বঘোষিত আখেরী নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) হুদাইবিয়ায় কুরাইশদের সঙ্গে যে-লিখিত সন্ধিচুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন, সেই চুক্তির প্রতিটি শর্তের প্রতি মুহাম্মদ পূর্ণ বিশ্বস্ত ছিলেন - এই দাবিটি কী কারণে ইসলামের হাজারও মিথ্যাচারের একটি; মদিনায় প্রত্যাবর্তনের পর চুক্তির শর্ত অনুযায়ী মক্কা থেকে পালিয়ে আসা উম্মে কুলসুম বিনতে উকবা নামের এক মহিলাকে তাঁর ভাইদের কাছে ফেরত না পাঠিয়ে মুহাম্মদ কীভাবে এই চুক্তির প্রায় প্রত্যেকটি শর্ত ভঙ্গ করেছিলেন; কী অজুহাতে তিনি তা করেছিলেন; তাঁর সেই অজুহাত কী কারণে অভিসন্ধিমূলক ও প্রতারণা; ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনা আগের পর্বে করা হয়েছে। নিজ উদ্দেশ্য সাধনের প্রয়োজনে মুহাম্মদ তাঁর যে 'আল্লাহ' কে সৃষ্টি করেছিলেন (পর্ব: ১৪), তাঁর সেই আল্লাহকে মুহাম্মদ কী রূপে যথেচ্ছ ব্যবহারকরতেন, তার উজ্জ্বল উদাহরণ হলো তাঁর রচিত এই ৬০:১০-১১ শ্লোক দু'টি।

হুদাইবিয়া সন্ধিচুক্তি স্বাক্ষর শেষে মদিনায় প্রত্যাবর্তনের দেড়-দুই মাস পর, হিজরি ৭ সালের মহরম মাসে (যার শুরু হয়েছিল মে ১১, ৬২৮ সাল) মুহাম্মদ "শুধু” তাঁর হুদাইবিয়ায় অংশগ্রহণকারী অনুসারীদের সঙ্গে নিয়ে কী উদ্দেশ্যে খায়বারের নিরীহ জনগণের ওপর আগ্রাসী হামলা চালিয়েছিলেন, তার আংশিক আলোচনা ইতিমধ্যেই করা হয়েছে (পর্ব: ১২৪), এ বিষয়ের বিস্তারিত আলোচনা ‘খায়বার যুদ্ধ’ অধ্যায়ে করা হবে। খায়বার থেকে মদিনায় ফিরে আসার পর মুহাম্মদ রবিউল আওয়াল, রবিউস সানি, জমাদিউল আওয়াল, জমাদিউস সানি, রজব, শাবান, রমজান ও শাওয়াল মাস (জুলাই ৯, ৬২৮ সাল - মার্চ ১, ৬২৯ সাল) পর্যন্ত মদিনায় অবস্থান করেন। এই সময়টিতে মুহাম্মদ বিস্তীর্ণ অঞ্চলের অবিশ্বাসী জনপদের ওপর খায়বার হামলা ছাড়াও কমপক্ষে আরও সাতটি হামলার আদেশ জারি করেন। অতঃপর হুদাইবিয়া সন্ধি-স্বাক্ষরের ঠিক এক বছর পর, হিজরি ৭ সালের জিলকদ মাসে (যার শুরু হয়েছিল মার্চ ২, ৬২৯ সাল) মুহাম্মদ তাঁর আগের বছরের হুদাইবিয়ায় অংশগ্রহণকারী অনুসারীদের সঙ্গে নিয়ে ওমরা পালনের উদ্দেশ্যে মক্কায় আগমন করেন। [1] [2]

সন্ধিচুক্তির শর্ত অনুযায়ী, তিন দিনের এই ওমরা পালন শেষে মদিনায় ফিরে আসার প্রাক্কালে মুহাম্মদ হুদাইবিয়া সন্ধিচুক্তি আবারও ভঙ্গ করেন। আল-ওয়াকিদি ও ইমাম বুখারী সেই ঘটনার বর্ণনা লিপিবদ্ধ করেছেন।

আল-ওয়াকিদির (৭৪৮-৮২২ খৃষ্টাব্দ) বর্ণনা: [3] [4]

'ইবনে আব্বাস হইতে > ইকরিমা হইতে > দাউদ বিন আল-হুসায়েন-এর কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে 'ইবনে আবি হাবিবা আমাকে বলেছেন:

বস্তুত যখন আল্লাহর নবী আগমন করেন, তখন উমারা বিনতে হামজা বিন আবদ আল-মুত্তালিব ও তাঁর মাতা সালমা বিনতে উমায়া ছিলেন মক্কায়। আলী নবীর সাথে কথাবার্তা কালে বলে, "কেন আমরা আমাদের চাচার এই এতিম মেয়েটিকে মুশরিকদের মাঝে রেখে যাব?" নবী আলীকে বারণ করেন না, ও তিনি তার কাছে গমন করেন।

যায়েদ বিন হারিথা ছিলেন হামজার সম্পত্তির তত্ত্বাবধায়ক (trustee) এবং নবী সকল মুহাজিরদের - বাস্তুত্যাগীদের - ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করার কারণে তারা ছিলেন ভ্রাতৃতুল্য। তিনি বলেন, "তার ওপর আমার অধিকার বেশি, সে আমার ভাইয়ের কন্যা।"

যখন জাফর তা শুনতে পান, বলেন "খালা হলো মাতৃতুল্য, তার ওপর আমার অধিকারই বেশি এই কারণে যে, তার খালা আসমা বিনতে উমায়া আমার সাথেই থাকে।"

আলী বলেন, "আমার কাজিন-কে নিয়ে বিতর্ক করো না, কারণ মুশরিকদের মধ্য থেকে যে তাকে নিয়ে এসেছে, সে হলো আমি।আমি তা না করলে তোমরা ওর সাথে অন্তরঙ্গতার সুযোগ পেতে না। তাই আমার সাথে তার ঘনিষ্ঠতা তোমাদের চেয়ে বেশি।"

আল্লাহর নবী বলেন, "তোমাদের মধ্য আমি ফয়সালা করে দেবো! হে যায়েদ, তোমার ব্যাপারটি হলো, তুমি হলে আল্লাহ ও তার নবীর কাছ থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত ক্রীতদাস; হে আলী, তুমি হলে আমার ভাই ও সহচর। হে জাফর, তোমার ব্যাপারটি হলো, তোমার বাইরের চেহারা সাথে আমার মিল আছে ও তোমার স্বভাবের (ভেতরের চেহারার) সাথেও আমার আছে মিল। হে জাফর, তার ওপর তোমার অধিকারই বেশী। তার খালা হলো তোমার স্ত্রী [পর্ব-৩৮]।  একজন নারীর উচিত নয় যে, সে তার খালা বা ফুপুর স্বামীকে বিবাহ করে। অতঃপর আল্লাহর নবী জাফরের পক্ষে তার রায় দেন।

ইবনে ওয়াকিদ বলেছেন, যখন তিনি তার রায় জাফরের পক্ষে দেন, জাফর উঠে দাঁড়ান ও আল্লাহর নবীর চতুর্দিক ঘুরে লাফালাফি করেন। আল্লাহর নবী বলেন, "এটা কী জন্যে, জাফর?" তিনি জবাবে বলেন, "হে আল্লাহর নবী, যখন 'নিগাস' [আবিসিনিয়ার রাজার খেতাব] তাঁর রাজ্যের কোনো লোককে সন্তুষ্ট করে, সেই ব্যক্তিটি  দাঁড়িয়ে যায় ও 'নিগাস' এর চতুর্দিক ঘুরে লাফালাফি করে।" আল্লাহর নবীকে বলা হয়, "তাকে বিবাহ করুন।" তিনি বলেন, "সে হলো আমার পালিত ভাইয়ের (Foster brother) কন্যা, একই ধাই যাকে আমার সাথে লালন-পালান করেছে।"

আল্লাহর নবী সালামা ইবনে আবি সালামার সাথে তার বিবাহ দেন। আল্লাহর নবী প্রায়ই বলতেন, "আমি কি সালামা-কে পুরস্কৃত করেছি?"

- অনুবাদ, টাইটেল, ও [**] যোগ - লেখক।


ইমাম বুখারীর (৮১০-৮৭০ সাল) বর্ণনা: [4]

এই প্রসঙ্গে ইমাম বুখারীর বর্ণনা (৫:৫৯:৫৫৩৩:৪৯:৮৬৩) আল-ওয়াকিদির ওপরে বর্ণিত বর্ণনারই অনুরূপ। আল-বারার (Al-Bara) উদ্ধৃতি সাপেক্ষে এই ঘটনার বর্ণনায় ইমাম বুখারী আবারও উল্লেখ করেছেন যে, হুদাইবিয়া সন্ধি-চুক্তির শর্ত ছিল,"---মুহাম্মদ অবশ্যই খাপের ভেতরে তরবারি ছাড়া অন্য কোনো অস্ত্র মক্কায় নিয়ে আসবেন না; মক্কার কোনো লোককে অবশ্যই তাঁর সাথে নিয়ে যাবেন না, এমনকি সেই লোকটি যদি তাঁর সাথে যেতেও চায়, তবুও; এবং তাঁর কোনো অনুসারী যদি মক্কায় থেকে যেতে চায়, তিনি তাকে বাধা দেবেন না।"

("----Muhammad should not bring arms into Mecca except sheathed swords, and should not take with him any person of the people of Mecca even if such a person wanted to follow him, and if any of his companions wants to stay in Mecca, he should not forbid him. ----")

>>> আগের বছর মুহাম্মদের যে-অনুসারীরা ওমরা পালনে ব্যর্থ হয়ে হুদাইবিয়া থেকে মদিনায় প্রত্যাবর্তন করেছিলেন, হুদাইবিয়া সন্ধিচুক্তি সম্পন্ন করার ঠিক এক বছর পর (মার্চ, ৬২৯ সাল) মুহাম্মদ তাঁর সেই অনুসারীদের সঙ্গে নিয়ে এই ওমরা পালনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। আল ওয়াকিদি ও ইমাম বুখারীর ওপরে বর্ণিত বর্ণনায় যে-বিষয়টি অত্যন্ত স্পষ্ট, তা হলো, ওমরা পালন শেষে মদিনায় প্রত্যাবর্তন কালে মুহাম্মদ তাঁর সমবয়সী চাচা হামজা ইবনে আবদুল মুত্তালিবের কন্যা উমারা বিনতে হামজাকে মক্কা থেকে তুলে নিয়ে এসেছিলেন, "যা ছিল হুদাইবিয়া সন্ধি চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন! কারণ, সন্ধির শর্ত ছিল এই যে, মক্কার কোনো লোককে মুহাম্মদ অবশ্যই তাঁর সাথে নিয়ে যাবেন না, এমনকি সেই লোকটি যদি তার সাথে যেতেও চায়, তবুও না!"

চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, মক্কা থেকে মদিনায় পালিয়ে যাওয়া তাঁর অনুসারীকে শুধু যে তিনি কুরাইশদের কাছে ফেরত দেননি, তাইই নয় (পর্ব: ১২৫), চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে তিনি কুরাইশদের মধ্য থেকে তাঁদের চোখের সামনেই খোদ মক্কা থেকে তাঁদের একজনকে মদিনায় তুলে নিয়ে আসা সত্ত্বেও কুরাইশরা মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়াতে চাননি। অন্যদিকে মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের মানসিকতা ছিল তাঁদের এই মানসিকতার সম্পূর্ণ বিপরীত, যা গত নিরানব্বইটি পর্বে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করা হয়েছে। 

সত্য হলো:

কুরাইশরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে মুহাম্মদের সাথে শুধু একটাই যুদ্ধ করেছিলেন, সে যুদ্ধটি হলো "ওহুদ যুদ্ধ (পর্ব: ৫৪-৭১)!"তাঁরা তা কেন করেছিলেন ও সেই যুদ্ধে মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের কী হাল হয়েছিল, তার বিশদ আলোচনা ইতিমধ্যেই করা হয়েছে। খন্দক যুদ্ধে তাঁরা অংশ নিয়েছিলেন সত্যি, কিন্তু সেই যুদ্ধের উদ্যোক্তা তাঁরা ছিলেন না। কারা ছিলেনখন্দক যুদ্ধের উদ্যোক্তা ও সেই যুদ্ধেও মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের কী হাল হয়েছিল, তার বিশদ আলোচনাও ইতিমধ্যেই করা হয়েছে (পর্ব: ৭৭-৮৬)

কুরাইশরা মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের সাথে সর্বদাই সংঘর্ষ এড়াতে চেয়েছিলেন। কী কারণে তা তাঁরা করেছিলেন, তাও আদি উৎসের বিশিষ্ট মুসলিম ঐতিহাসিকদের বর্ণনায় অত্যন্ত স্পষ্ট!  আর তা হলো, তাঁদের উদার ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি ও ধর্মীয় সহিষ্ণুতা।শুধুমাত্র ভিন্ন-ধর্মাবম্বলী হওয়ার কারণে কোনো ধর্মগুরু ও তাঁর অনুসারীদের নির্মূল করার মানসিকতার অধিকারী কুরাইশরা কখনোই ছিলেন না। মুহাম্মদ ও তাঁর সহচরদের অনেকেই ছিলেন তাঁদেরই একান্ত পরিবার-পরিজন, নিকট-আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধব বা প্রতিবেশী। এই লোকগুলোর প্রতি ছিল তাঁদের মানবিক দুর্বলতা, স্বজনদের প্রতি তাঁদের সহিষ্ণুতা, অনুকম্পা ও মানবতাবোধ। যে-কারণে বদর যুদ্ধে তাঁদের চরম পরাজয় ঘটেছিল (পর্ব: ৩৪)!যে-কারণে ওহুদ যুদ্ধে তাঁরা মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের একান্ত নাগালের মধ্যে পেয়েও তাঁদেরকে নির্মূল করার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেননি (পর্ব: ৬৯); যে-কারণে বারংবার হুদাইবিয়া সন্ধি চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করার পরেও তাঁরা মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের বিরুদ্ধে কোনোরূপ আক্রমণাত্মক অভিযানে জড়াতে চাননি।

অতীত অভিজ্ঞতা থেকে কুরাইশরা কোনো শিক্ষাই গ্রহণ করেননি। মুহাম্মদের চরম সাফল্য ('মক্কা বিজয়') ও কুরাইশদের চরম পরাজয়ের কারণ ছিল এখানেই। হুদাইবিয়া সন্ধিচুক্তির সাথে এর কোনোই সম্পর্ক নেই।

ইসলামী ইতিহাসের ঊষালগ্ন থেকে আজ অবধি প্রায় প্রতিটি ইসলাম বিশ্বাসী প্রকৃত ইতিহাস জেনে বা না জেনে ইতিহাসের এ সকল অমানবিক অধ্যায়গুলো যাবতীয় চতুরতার মাধ্যমে বৈধতা দিয়ে এসেছেন। বিষয়গুলো অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিধায় বাংলা অনুবাদের সাথে মূল ইংরেজি অনুবাদের অংশটিও সংযুক্ত করছি।

The narrative of Al-Waqidi:

‘Ibne Abi Habiba related to me from Dawud b al-Husayn from Ikrima from Ibn abbas, who said: Indeed Umara bt Hamza b abd Al-Muttalib and her mother Salma bt Umays were in Mecca when the Messenger of God arrived. Ali spoke to the Prophet and said, “Why do we leave the daughter of our uncle, an orphan, in the midst of polytheists?” The prophet did not forbid Ali for going out to her, and he went to her. Zayd bin Haritha spoke, and he was the trustee of Hamza and the Prophet had established a brotherly bond between them when he fraternized the Muhajirin- emigrants - and established a brotherly pact between them. And he said: I have a greater right with her, the daughter of my brother. When Jafar heard that, he said, “The aunt is a mother, I have a greater right to her for her aunt, Asma bt Umays, is with me.” Ali said, “Do not dispute about my cousin, for it was I who set out with her from the midst of the polytheists. You do not have a relationship with her without me, and I am closer to her than you.”

The Messenger of God said, “I will judge between you! As for you O Zayd, you are the freedman of God and his Messenger; you, O Ali, are my brother and my companion. As for you, O Jafar, you bear a resemblance to my outer appearance (khalq) and my character (inner appearance). You, O jafar, have a greater right with her. Her aunt is your wife. A woman should not be married to the husband of her maternal or paternal aunt.” And the Messenger of God judged her for Jafar.

Ibn Waqid said, when he judged her for Jafar, Jafar stood up and skipped around the Prophet. The Prophet said, “What is this, O Jafar?” He replied, “O messenger of God, when the Negus satisfied one from his community, the man would stand up and skip around the Negus.” It was said to the Prophet, “Marry her!” He said, “She is the daughter of my foster brother who nursed with me.” The Messenger of God married her to Salama bin Abi Salama. The Prophet used to say, “Have I rewarded Salama?”’ 

(চলবে)

[কুরানের উদ্ধৃতি সৌদি আরবের বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ (হারাম শরীফের খাদেম) কর্তৃক বিতরণকৃত বাংলা তরজমা  থেকে নেয়া, অনুবাদে ত্রুটি-বিচ্যুতির দায় অনুবাদকারীর। কুরানের ছয়জন বিশিষ্ট ইংরেজি অনুবাদকারীর ও চৌত্রিশ-টি বিভিন্ন ভাষায় পাশাপাশি অনুবাদ এখানে]

তথ্যসূত্র ও পাদটীকা:

[1] “সিরাত রসুল আল্লাহ”- লেখক: মুহাম্মদ ইবনে ইশাক (৭০৪-৭৬৮ খৃষ্টাব্দ), সম্পাদনা: ইবনে হিশাম (মৃত্যু ৮৩৩ খৃষ্টাব্দ), ইংরেজি অনুবাদ:  A. GUILLAUME, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, করাচী, ১৯৫৫, ISBN 0-19-636033-1, পৃষ্ঠা ৫৩০ http://www.justislam.co.uk/images/Ibn%20Ishaq%20-%20Sirat%20Rasul%20Allah.pdf

[2] “তারিক আল রসুল ওয়াল মুলুক”- লেখক: আল-তাবারী (৮৩৮-৯২৩ খৃষ্টাব্দ), ভলুউম ৮, ইংরেজী অনুবাদ: Michael Fishbein, University of California, Los Angeles, নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি প্রেস, ১৯৮৭, ISBN 0-7914-3150—9 (pbk), পৃষ্ঠা (Leiden) ১৫৯৩-১৫৯৪

[3]“কিতাব আল-মাগাজি”- লেখক:  আল-ওয়াকিদি (৭৪৮-৮২২ খৃষ্টাব্দ), ed. Marsden Jones, লন্ডন ১৯৬৬; ভলুম ২, পৃষ্ঠা ৭৩৮-৭৩৯
ইংরেজি অনুবাদ: Rizwi Faizer, Amal Ismail and Abdul Kader Tayob; ISBN: 978-0-415-86485-5 (pbk); পৃষ্ঠা ৩৬৩-৩৬৪

[4] অনুরূপ বর্ণনা:সহি বুখারী: ভলিউম ৫, বই ৫৯, নম্বর ৫৫৩
(বড় হাদিস, এই পর্বের প্রাসঙ্গিক অংশ)
‘Narrated By Al-Bara : -----Then Allah's Apostle took the writing sheet... and he did not know a better writing... and he wrote or got it the following written!" This is the peace treaty which Muhammad, the son of 'Abdullah, has concluded: "Muhammad should not bring arms into Mecca except sheathed swords, and should not take with him any person of the people of Mecca even if such a person wanted to follow him, and if any of his companions wants to stay in Mecca, he should not forbid him."

(In the next year)when the Prophet entered Mecca and the allowed period of stay elapsed, the infidels came to Ali and said "Tell your companion (Muhammad) to go out, as the allowed period of his stay has finished." So the Prophet departed (from Mecca) and the daughter of Hamza followed him shouting "O Uncle, O Uncle!" Ali took her by the hand and said to Fatima, "Take the daughter of your uncle." So she made her ride (on her horse). (When they reached Medina) 'Ali, Zaid and Ja'far quarreled about her. 'Ali said, "I took her for she is the daughter of my uncle." Ja'far said, "She is the daughter of my uncle and her aunt is my wife." Zaid said, "She is the daughter of my brother." On that, the Prophet gave her to her aunt and said, "The aunt is of the same status as the mother." He then said to 'Ali, "You are from me, and I am from you," and said to Ja'far, "You resemble me in appearance and character," and said to Zaid, "You are our brother and our freed slave." 'Ali said to the Prophet 'Won't you marry the daughter of Hamza?" The Prophet said, "She is the daughter of my foster brother."’