আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শুক্রবার, ২৭ মে, ২০১৬

শেখ'স শপ - ০৭

লিখেছেন শেখ মিলন

১৯.
পরীক্ষার পর রেজাল্টের অপেক্ষায় অলস সময় কাটাচ্ছি। এক বিকেলে আড্ডার ফাঁকে রেজাল্টের কথা উঠতেই এক বন্ধু দু'হাত তুলে মোনাজাতের ভঙ্গিতে বললো, "হে আল্লাহ, তুমি যদি আমাকে পরীক্ষায় A গ্রেড পাইয়ে দাও, তাহলে তোমার মসজিদে ১০০টাকা দেবো।"

কাফের-মুরতাদ আমি বন্ধুটিকে প্রশ্ন করে বসলাম, "তোর আল্লাও ঘুষখোর?"

২০.
নিজ দায়িত্বে পড়বেন, কারো অনুভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে আমি দায়ী থাকবো না।

যখন আমি ছোট ছিলাম,  তখন প্রতিরাতে আব্বা বা আম্মার কাছ থেকে একটা করে গল্প শুনে ঘুমোতাম। আমার আব্বা একটা গল্প বলেছিলেন। শালিক পাখি ও হনুমানের গল্প। আজ আমি আপনাদের সেটি শোনাবো।

একদিন খুব বৃষ্টি হচ্ছে। একটা গাছে শালিক পাখি তার বাসাতে বাচ্চাসহ বসে আছে। পাশের একটা বাবলা গাছে এক হনুমান বসে বসে বৃষ্টিতে ভিজছে। শালিক পাখিটি তা দেখে হনুমানটিকে ডেকে বললো, "ও হুনুমান ভাই, বৃষ্টিতে ভিজছো কেন? আমি ছোট একটা পাখি, নিজের বাসা বানিয়ে থাকি, আর তুমি অত বড় একটা প্রাণী, নিজের থাকার মতো বাসা বানাতে পারো না?"

এই কথা শুনেই হনুমানের রাগ হয়ে গেল, সে অপমান বোধ কররো এবং লাফ দিয়ে উঠে পাখিটির বাসা ভেঙে দিলো। পাখিটি উড়ে গিয়ে অন্য গাছের ডালে বসে প্রাণ বাঁচালো আর এই বলে কাঁদতে থাকলো, ""নির্বোধকে বুদ্ধি দিয়ে বুদ্ধি হলো দূর, আমার ছায়ের-মায়ের বাসা ভেঙে করলো রে খানচুর..."

বর্তমানে মুক্তমনাদের পরিণতি হচ্ছে এরকম। তারা ধার্মিকদের কুসংস্কার ও ভুলগুলো ধরিয়ে দিলে বা সুবুদ্ধি দিলেই ধার্মিকরা ধর্মানুভূতিতে আঘাত পাচ্ছে এবং তাদের (মুক্তমনাদের) হত্যা করছে।

২১. 
আস্তিকেরা বলে, "ঈশ্বরের জন্মও নেই, ঈশ্বরের মৃত্যুও নেই।"

এখানেই স্পষ্ট যে, ঈশ্বরই নেই।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন