লিখেছেন শুভ্র আহমেদ
- আচ্ছা নবীজি (সঃ)-এর চোদ্দটি স্ত্রী ছিল কেন? অন্যদের জন্য চার বিয়ের বিধান কিন্তু তাঁর জন্য আনলিমিটেড?
- উনি নবী ছিলেন তাই...
- ওহহো। তাইলে নবীর জন্য বেশি সুবিধা? আর সাধারণদের জন্য আলাদা। ব্যাপারটা রাজতন্ত্রের মত হয়ে গেল না?
- ভাই, আপনি বেশি বুঝেন?
- স্যরি, ভাই, ভুল হইছে। আচ্ছা নাহয় নবী হিসেবে অনেক বিয়ে করলেন, কিন্তু সেগুলোর দরকারটা কী ছিল?
- তিনি অনেককে আশ্রয় দিয়েছেন। যাদের বিয়ে করেছেন সকলেই ছিলেন অসহায়া।
- সত্যিই নবীজি বড়ই মেহেরবান। একটা প্রশ্ন করি?
- কী প্রশ্ন?
- আশ্রয় দিতে হলে কেন বিয়েই করতে হবে? কেন আশ্রম বানালেন না?
- আশ্রম বানানোর টাকা কি আপনার বাপ দিবে?
- কেন, ভাই, তিনি তো নবী। তিনি চাইলে মরুভুমির বালুকে স্বর্ণ বানায়ে ফেলতে পারতেন...
- ঐ মহিলাদের শারীরিক চাহিদার ব্যাপার ছিল...
- বুঝলাম বুঝলাম। কিন্তু সে জন্য তো তাদের তার অসহায় সাহাবীদের সাথে বিয়ে দিতেও পারতেন। তাই না?
- ভাই, কথা প্যাঁচান ক্যা?
- আচ্ছা, মানলাম আশ্রয় দিছেন। তো আপনার বাবা যদি এরকম অসহায় মহিলাদের এভাবে আশ্রয় দেয়া শুরু করেন...
- ঐ বেটা শালা নাস্তিক, কথায় কথায় বাপ টানস ক্যান?
- বিরাট ভুল হয়ে গেছে, ভাই...
- হুম। আর যেন না হয়। অভদ্রের বাচ্চা। মা-বাপ কিছু শেখায় নাই নাকি?
- স্যরি, ভাই।
- হুম। ইট'স ওকে।
- ভাই, হুজুর যে জয়নবকে বিয়ে করলেন, পালক পুত্রের স্ত্রী। ব্যাপারটা কেমন না?
- এটাই হল তোদের, নাস্তিকদের, প্রব্লেম। না পড়েই না জেনেই ফাল পারস। এটা ছিল হেকমত। বুঝলি? এর মাধ্যমে তখনকার কুসংস্কার দূর করা ছিল উদ্দেশ্য।
- কী কুসংস্কার?
- ঐ যুগে পালকপুত্রের স্ত্রীকে বিয়ে করাকে নোংরা ভাবা হত। হুজুর সেই অহেতুক কুসংস্কার অনুসরণ করেননি। এখানেই হুজুরের ব্যক্তিত্বের প্রতিফলন।
- বুঝলাম, ভাই। কিন্তু আয়েশার মত বাচ্চা মেয়েকে বিয়ে করার কারণ কী? এটা তো খারাপ, তাই না?
- না, ঐ যুগের প্রেক্ষাপটে খারাপ না। ঐটা ঐ যুগের চল ছিল।
- এ কী, ভাই। এখন দেখি যুগের দোহাই দ্যান। কই, যয়নবের ব্যাপারে তো যুগের দোহাই এড়ায়ে গেলেন!
- ঐ বেটা, ঐ! বেশি বুঝস!
- স্যরি, ভাই, স্যরি।
- আয়েশারে বিয়ার কারণ ছিল। হুজুর অনেক হাদিস মাসায়েল আয়েশাকে শিখায় দিয়ে গেছিলেন।
- পুরুষ সাহাবী কম পড়েছিল?
- মানে?
- না, না, কিছু না...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন