লিখেছেন সত্যের সন্ধানে
কোরানের বিষয় বস্তু আসলে কী? মুমিন বান্দারা সকাল-বিকাল কোরান তেলাওয়াত করেন। এক সময় আমিও করতাম। একদানা না বুঝে প্রতি রমজানে অন্তত একবার কোরান খতম দিতাম আর উঠতে-বসতে-খেতে-শুতে বিভিন্ন দোয়ার ফুলঝুরি তো ছিলই। প্রতি খতমের পরে আমার পিতা জুম্মার দিনে হুজুরকে বলতেন খতমের কথা, আর নামাজ শেষে ঘোষণা করা হতো অমুকের ছেলে কোরান খতম দিয়েছে আর সেই উপলক্ষে নামাজের পরে মিলাদ হবে। আমার মনে হয়, শতকরা ৯০ ভাগ মুমিন বান্দার একই অবস্থা। মোটামুটি কিছু না বুঝেই খতমের পর খতম সবাই দিয়ে যাচ্ছেন। সবার বাসায় হয়ত বাংলা ভার্শনও আছে, কিন্তু সেটা পড়ে কয়জন?
যখন থেকে অর্থ বুঝে পড়া শুরু করলাম, তখন দেখলাম, বাংলায় কোরান পড়া আরবি থেকেও কঠিন, আর মোটামুটি পুরো কোরানের আদ্যপান্ত একই জিনিস বারবার লেখা। কোনো বিষয় বস্তুর শুরু বা শেষ নির্ধারণ করা খুব কষ্টকর। কোনো সময় নষ্ট না করেই কোরানের একটা ফরম্যাট বানালাম, কোরানের যে কোনো সুরা ৮০% এই ফরম্যাটে ফিট হয়।
সুরা X
১. নিজের প্রশংসা নিজে
২. নিজের অন্য কোনো গুণের প্রশংসা নিজে
৩. কেউ দাসত্ব স্বীকার না করলে হুঁশিয়ারী
৪. আগে কাদের কীভাবে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল, তার ইঙ্গিত
৫. আবার নিজের প্রশংসা
৬. মুমিনদের বৈশিষ্ট্যাবলী কী হওয়া উচিত, তার বর্ণনা
৭. কোনো কিছুর কসম খাওয়া আর মুমিনদের জন্য কী পুরস্কার আছে, তার বর্ণনা
৮. নিজের সৃষ্টির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ তথাপি পানি বিজ্ঞান, বিগ ব্যাং সহ এর অনেক বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের ইঙ্গিত
৯. জিহাদ বা যুদ্ধের ডাক
১০. নিজের প্রশংসা
১১. হুঁশিয়ারী
১২. যুদ্ধে কী করণীয়, তার বর্ণনা
১৩. গনিমতের মালামাল ভাগ বাটোয়ারা
১৪. কথা নেই বার্তা নেই, নারীদের মর্যাদার ললিপপ খাওয়ানো
১৫. নিজের প্রশংসা
১৬. হুঁশিয়ারী
১৭. আগে কোনো গোত্রকে দেওয়া শাস্তির রেফারেন্স
১৮. কথা না শুনলে ঐ গোত্রের ভাগ্য বরণের হুমকি
১৯. নিজেকে ক্ষমাশীল বলে ঘোষণা
* ফরম্যাট ১৯ আয়াতের মধ্যে রাখতে বাধ্য হচ্ছি, কারণ তা নাহলে কোরানের মিরাকল ১৯ আইন ভঙ্গ হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন