লিখেছেন জর্জ মিয়া
শোনা যাচ্ছে, সমকামীদের ক্লাবে হামলাকারী ওমর মতিন নিজেই ছিলো একজন সমকামী। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এই যে, ধর্মীয় স্পিরিট ছাড়া এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটানো সম্ভব নয়। হত্যাকারী সমকামী, বিষমকামী, উভকামী বা যে কেউ হতে পারে, তবে চালিকাশক্তিটি ধর্ম থেকে উদ্ভুত।
ইছলাম ধর্মে সমকামের সাজা হচ্ছে মৃত্যুদণ্ড। এখানে একটা ব্যাপার লক্ষণীয় যে, যদি হামলাকারী মতিন সমকামী হয়ে থাকে, তবে সে আইসিস-এর আনুগত্যের পরে কিংবা ধর্মীয় জ্ঞান থেকে জেনেছে, তার অনিবার্য সাজা - মৃত্যু। সেক্ষেত্রে সমকামীদের হত্যা করলে একদিকে যেহেতু অশেষ ছওয়াব পাওয়া যাবে, অন্যদিকে সমকামকে ইছলামী দৃষ্টিকোণ থেকে ঠিক কীভাবে দেখে বা কী তার পরিণতি, সেটাও প্রকাশ পাবে।
আল্লাহর হুকুম অমান্যকারীকে সাজা এবং তার আইন-কানুন, বিধি-বিধান প্রকাশ করে দিতে তো ঐ আল্লাহতালাই বলে দিয়েছেন। এ বিষয়ে লুত (আঃ)-কে নিয়ে কোরানে রচিত সুরা আরাফ, সুরা-আনকাবুত গুলি দেখা যেতে পারে।
কাজেই হামলাকারী ওমর চেয়েছে ইহকালীন পাপের প্রায়শ্চিত্ত আর পরকালীন সাজা মাফ। এটাকে অন্যদিকে ঘোরানোর কোনো সুযোগ নেই। মতিন ওমর মারা যাবার আগেও স্বীকার করে গেছে, সে আইসিস-এর অনুগত।
অতএব এই হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ তার ধর্মীয় শিক্ষা। অন্য কোনো কারণ থাকতেই পারে না। দুনিয়াতে বিষমকামীর পাশাপাশি সমকামীর সংখ্যা খুব কম নয়। কোনো সমকামী শুধুমাত্র অন্য সমকামীকে হত্যা করেছে, এমন কোনো নজির নেই।
হত্যাকারী তার মস্তিস্কে কোনোরকম গণ্ডগোলের কারণেও যদি এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকে, তবে সেই গণ্ডগোলের মূলেও ঐ ধর্মটিই জড়িত। একজন সমকামী-হত্যাকারী ব্যক্তি পরকালে জান্নাতে গিয়ে কী কী পুরষ্কার পাবে, একটু দেখে নেবেন দয়া করে কোরান ও সহি হাদিসসমুহ থেকে। উন্নত বক্ষের অধিকারিণী ৭২ রমণী, সাথে মদের পেয়ালা হাতে মুক্তাসদৃশ অসংখ্য চিরতরুণ, যারা কিনা আবার সর্বদাই থাকবে জান্নাতির সেবায় নিয়োজিত।
মতিন যদি আসলেই সমকামী হয়ে থাকে, তবে তার এই উপলব্ধি নিশ্চয়ই হয়েছিল যে, এই দুনিয়াতে সমকামের সাজা হচ্ছে মৃত্যুদণ্ড, কিন্তু পরকালে সে অবাধে তার সমকামী যৌনাচার করার সুযোগ পাবে চিরতরুণ সেই বালকদের সঙ্গে, যারা সেবায় নিয়োজিত মদের পেয়ালা হাতে, যারা চোখের সামনে ঘুরঘুর করছে প্রতিনিয়ত।
নিজের ভালোটা পাগলেও বোঝে। ওমর সমকামী হয়ে থাকলে নিজের ভালোটা সেও বুঝে নিয়েছে ৪৯ সমকামীকে হত্যার মাধ্যমেই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন