সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের 'কেউ কথা রাখেনি' কবিতার ছহীহ ভার্শন লিখেছেন মাওলানা কুদ্দুস আলী
কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটলো, কেউ কথা রাখেনি
ছেলেবেলায় এক মুয়াজ্জিন তার মাগরেবি আজান হঠাৎ থামিয়ে বলেছিল
জুম্মাবারের দিন ক্বাযা আজান শুনিয়ে যাবে
তারপর কত জুম্মাবার চলে গেলো, কিন্ত সেই মুহাজ্জিন
আর এলো না
পঁচিশ বছর প্রতিক্ষায় আছি।
মামা বাড়ির আল্লামা কদর আলী বলেছিল, বড় হও বাছাধন
তোমাকে আমি নবীর মত মেরাজ দেখাতে নিয়ে যাবো
সেখানে উম্মে হানী আর মুহাম্মদ মাথায় যৌন পিপাসা নিয়ে কিভাবে
খেলা করে!
কদর আলী, আমি আর কত বড় হবো? গনিমতের মাল লাগানোর ইচ্ছে অপূর্ণ রেখে
যখন আমি বেহেস্তে ৭২ টা হুরপরি লাগাব, তখন তুমি আমাকে
নবীর মেরাজ দেখাবে?
একটাও যৌনদাসী কিনতে পারিনি কখনও
গনিমতের মাল দেখিয়ে দেখিয়ে ভোগ করেছে লস্করবাড়ির ছেলেরা
ভিখারীর মতন দাঁড়িয়ে দেখেছি
ভিতরে সঙ্গম উৎসব
পানির মত স্বচ্ছ সেক্সি সুবর্ণ কঙ্কণ পরা ফর্সা হুরেরা
কত রকম আসনে করেছে
আমার দিকে তারা ফিরেও চায়নি!
মাদ্রাসার হুজুর আমার কাঁধ ছুঁয়ে বলেছিলেন, দেখিস, একদিন, আমরাও...
হুজুর এখন ধ্বজভঙ্গ, আমাদের করা হয়নি কিছুই
সেই মেরাজ, সেই হুরপরির যৌনলীলা, সেই নবীর একাধিক দাসীর সঙ্গে উৎসব
আমায় কেউ ফিরিয়ে দেবে না!
বুকের মধ্যে সুগন্ধি রুমাল রেখে এক মুমিনা বলেছিল,
যেদিন আমায় সত্যিকারের ভালবাসবে
সেদিন তুমি আমার জন্য মুহাম্মদের মত আয়াত নাজিল করবে।
ভালোবাসার জন্য আমি হেরা গুহায় গিয়েছি
বাণিজ্যফেরত কাফেলা করেছি লুট
আল্যার নুরানী চাপার অপেক্ষায় থেকে লিখেছি ১০৮টি সূরা
তবু কথা রাখেনি সেই মুমিনা, এখন তার বুকে শুধুই মুয়াজ্জিনের আতরের গন্ধ
কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটল, কেউ কথা রাখে না!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন