বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন, ২০১৬

নাজিল হলো ফাজিল 'পরে - ১

লিখেছেন বিরামহীন-আরাম

পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে - (সূরা আন-নাবা): "তারা পরস্পরে কি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে? (১) মহা সংবাদ সম্পর্কে, (২) যে সম্পর্কে তারা মতানৈক্য করে। (৩) না, সত্ত্বরই তারা জানতে পারবে, (৪) অতঃপর না, সত্বর তারা জানতে পারবে। (৫) আমি কি করিনি ভূমিকে বিছানা (৬) এবং পর্বতমালাকে পেরেক? (৭) আমি তোমাদেরকে জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছি, (৮) তোমাদের নিদ্রাকে করেছি ক্লান্তি দূরকারী, (৯) রাত্রিকে করেছি আবরণ। (১০) দিনকে করেছি জীবিকা অর্জনের সময়, (১১) নির্মান করেছি তোমাদের মাথার উপর মজবুত সপ্ত-আকাশ। (১২) এবং একটি উজ্জ্বল প্রদীপ সৃষ্টি করেছি। (১৩)"

এই আয়াতগুলো থেকে আমরা কী বুঝলাম? এই সব পুরাপুরিই ছাইঞ্চ অর্থাৎ বিগ্যান। খালি ইশারা আর ইশারা। যাদের অন্তরে মোহর মারা, তারা কিছুই বুঝবে না। বুঝবে শুধু ফাজিলরা – মানে ফাজিল ডিগ্রীধারীরা। আপনি কি ফাজিল? নাহলে নিচে বাড়েন।

তারা পরস্পরে কি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে? (১) মহা সংবাদ সম্পর্কে, (২) যে সম্পর্কে তারা মতানৈক্য করে। (৩) না, সত্ত্বরই তারা জানতে পারবে, (৪) অতঃপর না, সত্বর তারা জানতে পারবে। (৫) - >> আল্লা হইলেন তিনি, আর জিগাইলেন নবীরে। তার উপ্রে ‘মতানৈক্য’, ‘জানতে পারবে’, ‘অতঃপর না, সত্বর তারা জানতে পারবে’ এইসবের ভিত্রে পুরাই লুপে পইড়া গেলেন না? ঠিক এইভাবেই কম্পুটার প্রোগ্রাম এর "Loop" এবং "Algorithm" আবিষ্কার হইলো। যারা এই কুরানের সাথে কম্পুটারের সম্পর্ক ঠিক ধরতে পারবে না, তারা বলবে, কুরান এতো সহজ বিষয় না। আগায় পাছায় আরো দশটা আয়াত পড়তে হবে, কোন কারনে এই রহমত নাজেল হইলো, তা জানতে হবে, আবার আরবি সাহিত্যও বুঝতে হবে। অথচ দেখেন, কুরান কী সহজ বিষয়! আপনি নিশ্চয় এখন বুঝতে পারেন, কম্পুটার বিজ্ঞান পুরাই কোরানের অবদান।

আমি কি করিনি ভূমিকে বিছানা (৬)>>> কী মুসিবত! যা কিছু কইবা, সব উদাহরন হইল বিছানা। হ গোলাকার পৃথিবী হইলো বিছানার মতন। ছাইঞ্চ, বুঝতে হপে!

এবং পর্বতমালাকে পেরেক? (৭)>>> সব দোষ ইস্কুরুপ করসে। তাই পর্বত হইল খালি পেরেকের মতন। 

আমি তোমাদেরকে জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছি, (৮)>>> ব্যাকটেরিয়া, এমিবা হইতে শুরু কইরা বহুত প্রাণী আছে, যাদের কোনো জোড়া নাই। এইখানে আণুবীক্ষণিক প্রানীদের হিসাবেই ধরা হয় নাই। অণুবীক্ষন আবিষ্কার হইলে এই ভুল আর হইতো না। 

তোমাদের নিদ্রাকে করেছি ক্লান্তি দূরকারী, (৯) - >>> এইটা ছাইঞ্চ। এই আয়াত না পড়লে তো আমরা ঝান্তামই না, নিদ্রা গেলে ক্লান্তি দূর হয়। আপনি ঝানতেন?

রাত্রিকে করেছি আবরণ। (১০) - >>> এইটাও ছাইঞ্চ। কারণ রাইতের বেলা সূর্য আল্লার আরশের নিচে থাকে। হারা রাইত ধইরা ইবাদত- বন্দেগী করে, যেন তারে ফজরের ওয়াক্তে ছাইড়া দেয়া হয়। আরেকটু খেয়াল করলেই ধরতে পারবেন, কোপা আমেরিকায় চিলির বিজয়ের কারণ। বাংলাদেশে যখন রাইত হয়, তখন বাংলাদেশের উল্টাপাশে নিশ্চয় আরশসহ আল্লারে দেখা যায়। বাংলাদেশের প্রতিপাদ স্থান হইল চিলি। আল্লার নূর দেইখাই তো তারা এই কাপ জিইতা গেলগা। এখন "বাংলাদেশের মানুষ কেন চিলিতে যখন রাইত তখন আল্লারে দেখেনা?" - এই জাতীয় প্রশ্ন কইরা নিজেরে শয়তানের দলে ভিড়াইবেন না। তোমরাই বল, তার কোন অবদানরে অস্বীকার করবা? 

দিনকে করেছি জীবিকা অর্জনের সময়, (১১) - >>> রাইতে কেউ জীবিকা অর্জন করে না। রাইতের কাম খালি বিছানায়। কী ঠিক কি না? আমি কিন্তু খালি ঘুমের কথা কইতেছিলাম, অন্য কিছু বুঝলে অজু কইরা আসেন।

নির্মান করেছি তোমাদের মাথার উপর মজবুত সপ্ত-আকাশ। (১২) - >>> এইটা কিলিয়ার ছাইঞ্চ। আকাশ যদি মজবুতই না হবে তাইলে “আমার চান্দিতে আকাশ ভাইঙ্গা পড়সে” এই বাগধারাটাই সৃষ্টি হইতো না।

এবং একটি উজ্জ্বল প্রদীপ সৃষ্টি করেছি। (১৪) - >>> নিশ্চয় সূর্য হইলো প্রদীপের মতন। হাইড্রোজেন-হিলিয়াম ফিশন আর মোমে-তেলে পুড়া প্রদীপ নিশ্চয় একই জিনিস। কোনো সন্দেহ নাই আমার। আপনার আছে?

(সূরার বাকি অংশ নাজেল হচ্ছে)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন