লিখেছেন ফাতেমা দেবী (সাঃ)
১৮.
বললাম, হে আদম, তুমি ও হাওয়া জান্নাতে বাস করো এবং যা ইচ্ছা খাও, যেখানে ইচ্ছা যাও; কিন্তু এই গাছের কাছে যেওনা। অন্যথায় উভয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। - সুরা বাকারা, আয়াত ৩৫ (কোরান ২:৩৫)
শয়তান তাদেরকে সংকল্প থেকে বিচ্যুত করলো। ওরা গন্দম ফল ভক্ষণ করলো। উভয়কেই বের করে দিলাম জান্নাত থেকে। তাদের নির্দেশ দিলাম, তোমরা পরস্পর শত্রুরূপে নেমে পড়ো দুনিয়াতে। - সুরা বাকারা আয়াত ৩৬ (কোরান ২:৩৬)
- জান্নাতে কি এখনো সেই বিষবৃক্ষটি সবিষে বেঁচেবর্তে আছে? নাকি আল্লাতালাচাবি তাকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলেছে মানবজাতিকে সমূহ ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে?
- কোনো জান্নাতবাসী যদি ভুলক্রমে আবার আল্লার তৈরি বিষফল ভক্ষণ করে ফেলে, তাহলে তাকেও কি আদম ও হাওয়ার মতো জান্নাত থেকে বের করে দেবে মহান আল্লাতালাচাবি?
- যার কাছে গেলেও মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এমন জিনিস কিন্তু আল্লাপাক মানুষ তৈরি করার আগেই তৈরি করে রেখেছিলেন। দেখলেন তো, আল্লা মানবজাতির জন্য কেমন ক্ষতিকারক? অতঃপর আপনারা আল্লার কোন ক্ষতিকে অস্বীকার করবেন?
১৯.
যারা কুফরি করে এবং আমার নির্দেশকে প্রত্যাখ্যান করে তারা আগুনবাসী, সেখানে হবে ওরা চিরস্থায়ী। - সুরা বাকারা আয়াত ৩৯ (কোরান ২:৩৯)
কোনো মানুষ আল্লার নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করলেই দয়ালু আল্লা তাকে চিরদিনের জন্য আগুনে নিক্ষেপ করবেন। আল্লার নির্দেশগুলি হলো, দাসী-সম্ভোগ করো, বৌ পেটাও, তুচ্ছ চুরির জন্য জেল-জরিমানা না করে মানুষের হাত কেটে ফেলো, অমুসলমানদের সাথে বন্ধুত্ব করো না, মেয়েদেরকে ছেলেদের অর্ধেক সম্পদ দাও ইত্যাদি। কোনো বিবেকবান মানুষ যদি বিবেকের তাড়নায় ইত্যাকার ঘৃণ্য কাজ করতে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলেই আল্লা দয়াময় তাকে চিরস্থায়ী আগুনে নিক্ষেপ করবেন। দেখলেন তো, আল্লা কতো দয়াময়?
২০.
আমি যা অবতীর্ণ করেছে তাতে বিশ্বাস করো। আমার আয়াতে অবিশ্বাস করো না এবং আয়াতের বিনিময়ে সামান্য মূল্য নিয়ো না এবং আমাকেই ভয় করো। - সুরা বাকারা আয়াত ৪১ (কোরান ২:৪১)
- আল্লা বারবার তার আয়াতে মানুষকে বিশ্বাস করতে বলছেন। যে কোনো লেখক কোনো বই লিখলে কি বারবার পাঠকদের উদ্দেশে বলে, আমার লেখাতে বিশ্বাস করো, নইলে খবর আছে?
- বৈজ্ঞানিক গবেষণায় কিছু আবিষ্কৃত হলে সে বিষয়ে যদি বিজ্ঞানী বই লিখেন, সেখানে কি কোনো বিজ্ঞানী বলেন, আমার লেখায় বিশ্বাস না করলে খবর কইরা দিমু? নাকি তিনি তাতে পুরো বিষয়টা সুন্দর করে বিশ্লেষণ করেন, তথ্য, উপাত্ত ও প্রমাণ দেন? আল্লার লেখা সত্যি হলে, তিনি তাতে তথ্য-উপাত্ত-যুক্তি-প্রমাণ না দিয়ে শুধু বারবার ভিত্তিহীনভাবে বিশ্বাস করতে বলেছেন কেন, ভয় দেখিয়েছেন কেন? মানুষের বিশ্বাস বা অবিশ্বাসে আল্লা এতোটা নির্ভরশীল কেন? সূর্যের চারদিকে পৃথিবী ঘোরে - এতে কিছু মানুষ অবিশ্বাস করলে কি সোলার সিস্টেমে কোনো সমস্যা হবে?
- আল্লা আর আয়াতের বিনিময়ে সামান্য মূল্যও নিতে মানা করেছেন। অথচ মোসলমান হুজুরেরা আল্লার আয়াত শিক্ষা দেওয়াকে রমরমা পেশা হিসেবে চালিয়ে যাচ্ছে। আল্লার আয়াতকে ও আল্লাকে ওরা একটুও পাত্তা দেয় না কেন?
- আল্লা মানুষকে কেন নির্দেশ দিচ্ছেন তাকে ভয় পাওয়ার জন্য? তিনি কি ভয়ংকর ভূত-পেত্নী?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন