লিখেছেন বিরামহীন-আরাম
পবিত্র কুরআনে এরশাদ করা হয়েছে:
আমি বললাম, হে আদম! তুমি ও তোমার স্ত্রী জান্নাতে বসবাস কর এবং যেথা ইচ্ছা আহার কর, কিন্তু এই বৃক্ষের নিকটবর্তী হয়ো না, হলে তোমরা জালিমদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
(সূরা বাকারা, আয়াত ৩৫)
পবিত্র কুরআনে আরও এরশাদ করা হয়েছে:
অতঃপর তাদের লজ্জাস্থান, যা গোপন রাখা হয়েছিল, তা প্রকাশ করার জন্য; শয়তান তাদেরকে কুমন্ত্রণা দিল এবং বলল- পাছে তোমরা উভয়ে ফেরেশতা হয়ে যাও কিংবা তোমরা স্থায়ী (বাসিন্দা) হও, এ জন্যই তোমাদের প্রতিপালক এই বৃক্ষ সম্বন্ধে নিষেধ করেছেন।
(সূরা আরাফ, আয়াত ২০)
>>> এই দুই আয়াত থিকা আমরা কী বুঝলাম?
১. জান্নাতে হাগা-মুতার কোনো সুবন্দোবস্ত না থাকলেও যেথা ইচ্ছা ও যথা-ইচ্ছা আহার করা যায়। কিন্তু শরীরে বিপাক ক্রিয়া না থাকলে আহার কইরা কী লাভ? পেট ভর্তি থাকলে আমি কাচ্চি বিরানী সামনে থাকলেও খাই না। বেহেশতিরা হুদাই খাইবো ক্যান?
২. জান্নাতে বৃক্ষ আছে। যেমন, গন্দম বৃক্ষের ফল। ফলমূলও আছে। তার মানে - মাটি আছে। সেই মাটিতে ফার্টিলাইজার আছে। ইউরিয়া আছে। তার মানে পুরা ইকোসিস্টেম আছে। আলহামদুলিল্লা! এ তো পুরা পৃথিবীর মতোন, দেখা যায়!
৩. "অতঃপর তাদের লজ্জাস্থান, যা গোপন রাখা হয়েছিল" - ক্যান, ভাই? গন্ধম খাওয়ার আগে এবং পৃথিবীতে পাঠানির আগে আদম-হাওয়ার লজ্জাস্থান আল্লায় ক্যান বানাইসিল? আদমের কি বেহেশতেও বিচি ছিল? থাকলে ঐ বিচির কাজ কী ছিলো? লজ্জাস্থান যদি থাকেই, আদম-হাওয়ার কি নাভিও ছিল?
৪. "শয়তান তাদেরকে কুমন্ত্রণা দিল" - ক্যান, ভাই? শয়তান একে তো আদমরে সেজদা দেয় নাই এবং আল্লায় নাখোশ হইলেন তার উপ্রে; তারপরও বেহেশতবাসী আদম-হাওয়ারে কুমন্ত্রনা দেয়ার লাইগা ক্যামনে সে জান্নাতে থাকে, যদি না আল্লার এই ব্যাপারে একদম ইচ্ছা না-ই থাকে? আর একখান কথা: আল্লার শিরক এতো অপছন্দ, হেই আল্লায় আদমরে সেজদা দিতে কইলো ক্যা?
৫. আরেকটা কথা: বেহেশতে হুদাই আম, জাম, কাডল গাছ ফালাইয়া গন্দম গাছ লাগাইসে কোন মালী? জানেন কিছু?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন