লিখেছেন সাঈদুর রহমান
এবার আসছি দ্বিতীয় অংশে, যেখানে আমি দেখাতে চাচ্ছি, বর্তমান কোরআনের বেশির ভাগ আয়াত মূলত জীবরাঈলের কথা।
আল্লাহই অবতীর্ণ করিয়াছেন সত্যসহ কিতাব এবং তুলাদন্ড। তুমি কি জান, সম্ভবত কিয়ামত আসন্ন? (কোরআন ৪২:১৭) - আয়াতটি মুহাম্মদকে উদ্দেশ্য করে জীবরাঈলের কথা। জীবরাঈল নিশ্চিত না, কেয়ামত কখন হবে। যদি আল্লাহর কথা হত, তাহলে 'সম্ভবত' শব্দটা এখানে থাকত না!
এগুলো হচ্ছে আল্লাহর আয়াত, তোমার নিকট যথাযথ ভাবে তিলাওয়াত করিতেছি। (কোরআন ৩:১০৮) - এখানে আল্লার বাণী নেই, অরিজিনাল কোরআন থেকে আল্লার বাণী শুনানোর আগে/পরে জীবরাঈল মুহাম্মদকে যে-কথাগুলো বলত, সেটাই বর্তমান কোরআনের লেখকেরা তুলে ধরেছেন।
যখন আমরা এক আয়াতের স্থলে অন্য আয়াত উপস্থিত করি এবং আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেন তিনিই সে সম্পর্কে ভাল জানেন; তখন তারা বলেঃ আপনি তো মনগড়া উক্তি করেন। (কোরআন ১৬:১০১) - আল্লাহ ভাল জানেন মানে হল - এগুলো আল্লার নয়, জীবরাঈলের কথা।
হে ঈমানদারগণ, তোমাদের কি হল, যখন আল্লাহর পথে বের হবার জন্যে তোমাদের বলা হয়, তখন মাটি জড়িয়ে ধর, তোমরা কি আখেরাতের পরিবর্তে দুনিয়ার জীবনে পরিতুষ্ট হয়ে গেলে? (কোরআন ৯:১৩৮) - আল্লাহ কি জানেন না? নাকি জীবরাঈলের না জানাটা যুক্তিসঙ্গত?
আল্লাহ চাহেন তো (ইনশাল্লাহ) তোমরা অবশ্যই মসজিদে হারামে প্রবেশ করবে নিরাপদে মস্তকমুন্ডিত অবস্থায় এবং কেশ কর্তিত অবস্থায়। (কোরআন ৪৮:২৭) - আল্লাহ 'ইনশাল্লাহ' বলতে যাবে কেন? জীবরাঈল বললেই সেটা যুক্তিসঙ্গত হয়, তাই নয় কি?
হে মানুষ, কিসে তোমাকে তোমার মহামহিম পালনকর্তা সম্পর্কে বিভ্রান্ত করল? (কোরআন ৮২:৬) - আল্লাহ কি জানেন না?
অতঃপর তোমাদের কি হল যে, মুনাফিকদের সম্পর্কে তোমরা দু’দল হয়ে গেলে? (কোরআন ৪:৮৮) - আল্লাহ কি জানেন না?
তোমাদের কি হল যে, তোমরা আল্লাহ তা’আলার শ্রেষ্ঠত্ব আশা করছ না। (কোরআন ৭১:১৩) - আল্লাহ কি জানেন না?
শপথ আকাশের এবং যিনি তা নির্মাণ করেছেন, তাঁর। (কোরআন ৯১:৫) এবং তাঁর, যিনি নর ও নারী সৃষ্টি করেছেন (কোরআন ৯২:৩) - আল্লাহ কি নিজের কাছে নিজে শপথ করছেন, নাকি জীবরাঈলের শপথ করাটা যুক্তিসঙ্গত?
আবু লাহাবের হস্তদ্বয় ধ্বংস হোক এবং ধ্বংস হোক সে নিজে। (কোরআন ১১১:১) - আল্লাহ কি নিজেই নিজের কাছে প্রার্থনা করছেন, নাকি জীবরাঈল আল্লাহর কাছে বলাটা যুক্তিসঙ্গত?
ওপরোক্ত আয়াতগুলোর ক্ষেত্রে আমার মন্তব্য এবং পয়েন্টগুলো সম্পূর্ণভাবেই যুক্তিযুক্ত। তাহলে নিঃসন্দেহে বলা যায়, যদি অরিজিনাল কোরআনের লেখক কোনো ঈশ্বর (আল্লাহ) বলে দাবি করা হয়েও থাকে, বর্তমান কোরআন তার বাণী নয়। বর্তমান কোরআনকে আরবিতে অনুবাদ করে নিজের মত করে জীবরাঈল মুহাম্মদকে শুনিয়েছিল। কিন্তু প্রতিটি ক্ষেত্রেই অরিজিনাল কোরআনের আয়াত না বলে বর্তমান কোরআনে জীবরাঈলের সাথে মুহাম্মদের কথোপথন কথা তুলে ধরা হয়েছে। এর মানে হল - বর্তমান কোরআন কোনো ঈশ্বরের নয়, জীবরাঈলের বাণী। কোরআন পড়ে নিশ্চিত হোন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন