লিখেছেন গোলাপ
"যে মুহাম্মদ (সাঃ) কে জানে সে ইসলাম জানে, যে তাঁকে জানে না সে ইসলাম জানে না।"
স্বঘোষিত আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও তাঁর অনুসারীদের অতর্কিত আগ্রাসী আক্রমণের শিকার হয়ে খায়বারের ভীত-সন্ত্রস্ত ইহুদি জনপদবাসী তাদের দুর্গ-মধ্যে আশ্রয় নিয়ে নিজেদের প্রাণ ও সম্পদ রক্ষার প্রচেষ্টায় মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের বিরুদ্ধে কীরূপ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন; পর পর দু'-তিন দিন ব্যর্থ হবার পরআলী ইবনে আবু তালিবের নেতৃত্বে মুহাম্মদ যে-হামলাকারী দলটি পাঠিয়েছিলেন, তার মোকাবিলায় দুর্গ-মধ্য থেকে কোন ইহুদি লোকটি সর্বপ্রথমবের হয়ে এসে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন; কে তাঁকে হত্যা করেছিলেন; এই যুদ্ধে আলী ইবনে আবু তালিব কীরূপ বীরত্বের পরিচয় দিয়েছিলেন, যুদ্ধক্ষেত্রে তিনি সাধারণ যুদ্ধ-ঢালের পরিবর্তে কোন বস্তুকে যুদ্ধ-ঢাল হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন; মুহাম্মদের জীবদ্দশায় বিভিন্ন যুদ্ধে আলী অসাধারণ বীরত্বের প্রকাশ করা সত্ত্বেও কী কারণে আলীসহ মুহাম্মদের নিজস্ব পরিবারের (হাশেমী বংশ) কোনো সদস্য সুদীর্ঘকাল মুসলিম জাহানের অধিপতি হবার সুযোগ পাননি; কারাতাদের সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছিলেন বলে শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত মুসলমানরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, তাঁদের সেই বিশ্বাসের ভিত্তি কী - ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনা আগের পর্বে করা হয়েছে।
ইসলাম-বিশ্বাসী পণ্ডিত ও অপণ্ডিতরা ইসলামের ইতিহাসের খায়বার যুদ্ধ আলোচনায় যে-উপাখ্যানগুলো তাঁদের ওয়াজ মাহফিল, বক্তৃতা, বিবৃতি, রেডিও-টেলিভিশন আলোচনা ও টক-শো, সামাজিক মেলামেশায় ইসলামের আলোচনা - ইত্যাদি অনুষ্ঠানে গর্বভরে বয়ান করেন; মাদ্রাসা-স্কুল-কলেজের পাঠ্য পুস্তক সিলেবাসে শিক্ষা বোর্ডের কর্তাব্যক্তিরা অন্তর্ভুক্ত করেন ও প্রশ্নপত্র তৈরি করেন; বুদ্ধিজীবীরা বই লেখেন; সাংবাদিকরা খবরের কাগজে আর্টিকেল লেখেন - তার সর্বাগ্রে ও শীর্ষস্থানেঅবস্থান করে খায়বার যুদ্ধে আলী ইবনে আবু তালিবের এই বীরত্বের ইতিহাস! সে-কারণেই আলীর বীরত্বের এই উপাখ্যান অসংখ্য ইসলাম-বিশ্বাসীরই মুখে মুখে।
প্রশ্ন হলো:
"আলী ইবনে আবু-তালিব ও তাঁর সঙ্গীদের এই বিজয় ও বীরত্বের 'রক্ত-মূল্য' কত ছিলো?"
অর্থাৎ,
"মুহাম্মদ ও আলীর নেতৃত্বে খায়বারের নিরপরাধ (তাঁরা মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের ওপর আক্রমণ করতে আসেননি, আক্রমণকারী মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীরা) ইহুদি জনগণের মোট কতজন লোককে নৃশংসভাবে হত্যা করার পর মুহাম্মদের প্রতিশ্রুত (পর্ব: ১২৩) এই আসন্ন বিজয় (কুরান: ৪৮:১৮-২১) কর্মটি সম্পন্ন হয়েছিলো?"
মুহাম্মদ ইবনে ইশাকের (৭০৪-৭৬৮ সাল) বর্ণনার পুনরারম্ভ: [1] [2] [3]
পূর্ব প্রকাশিতের (পর্ব: ১৩৩) পর:
আবদুল্লাহ বিন সাহল বিন আবদুল রহমান বিন সাহল নামের বানু হারিথা গোত্রের এক ভাই জাবির বিন আবদুল্লাহর কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আমাকে বলেছেন:
ইহুদি মারহাব অস্ত্রসহ তাদের দুর্গ থেকে বের হয়ে আসে ও কবিতার মাধ্যমে [সিরাতে- 'কবিতা'] নিজের বীরত্বগাথা বলতে বলতে সকলকে একক যুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করে। -- আল্লাহর নবী বলেন, "কে এই লোকটির সঙ্গে মোকাবেলা করবে?" মুহাম্মদ বিন মাসলামা বলে যে, সে তা করবে, কারণগতকাল যে-লোকটি তার ভাইকে হত্যা করেছে [পর্ব-১৩১], তার প্রতিশোধ নিতে সে অঙ্গীকারবদ্ধ। আল্লাহর নবী তাকে যেতে বলেন ও তার সাহায্যের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেন।
তারা একে অপরের দিকে এগিয়ে যায়, তাদের মাঝখানে ছিল এক পুরানো গাছ ও তার নরম ডাল-পালা, যার আড়ালে তারা আত্মগোপন করা শুরু করে। তারা একে অন্যের কাছে থেকে নিজেকে আড়াল করে। যখনই একজন গাছের আড়ালে লুকায়, অন্যজন তার তরবারি দিয়ে মাঝখানের ডাল-পালা ফালা-ফালা করে কেটে ফেলে তারা মুখোমুখি অবস্থান নেয়। ডাল-পালা শূন্য গাছটি এমনভাবে অবশিষ্ট থাকে, যেন মনে হয়, এটি সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা এক মানুষ। মারহাব আক্রমণ ও আঘাত করে মুহাম্মদ বিন মাসলামা-কে। সে তার তরবারির তীব্র আঘাতটি ঢাল দিয়ে প্রতিহত করে ও অবিচল থাকে। অতঃপর মুহাম্মদ হত্যা করে মারহাব-কে।
মারহাব নিহত হবার পর তার ভাই ইয়াসির দ্বন্দ্ব-যুদ্ধের আহ্বান নিয়ে বের হয়ে আসে। [সিরাতে: 'কবিতা']
হিশাম বিন উরওয়া [c. ৬৮০-৭৬৩ খ্রিষ্টাব্দ] হইতে বর্ণিত: আল-যুবায়ের বিন আল-আওয়াম [পর্ব: ১২৪]ইয়াসির-এর সাথে যুদ্ধের জন্য এগিয়ে আসে। তার মা সাফিয়া বিনতে আবদুল মুত্তালিব [মুহাম্মদের ফুপু: পর্ব-১২] বলে, "হে আল্লাহর নবী, সে কি আমার পুত্রকে হত্যা করবে?" তিনি জবাবে বলেন, "না, যদি আল্লাহ চায়, তোমার ছেলে তাকে হত্যা করবে।" অতঃপর, আল-যুবায়ের অগ্রসর হয়। যখন এই দুইজন একে অপরের সম্মুখীন হয়, আল-যুবায়ের হত্যা করে ইয়াসির-কে। হিশাম বিন উরওয়া আমাকে বলেছেন যে, আল-যুবায়ের কে যখন বলা হয়েছিল, "আল্লাহর কসম, ঐ দিন তোমার তরবারিটি নিশ্চয়ই খুব ধারালো ছিলো", জবাবে সে বলেছিল যে, সেটি ধারালো ছিলো না, শুধুই সে তা ব্যবহার করেছিল প্রবল শক্তিতে। [4]
আল-ওয়াকিদির (৭৪৮-৮২২ খ্রিষ্টাব্দ) বিস্তারিত বর্ণনা: [3]
'সেটি ছিল মারহাবের দুর্গ। বিবৃত আছে: মারহাব প্রতিদ্বন্দ্বী মদ্দা ঘোড়ার মত সম্মুখে এসে হাজির হয়, ও তাঁর বীরত্বগাথা শোনায় কবিতার মাধ্যমে:
"খায়বার জানে যে, আমি মারহাব, আছে যার শাণিত অস্ত্র;
এক প্রমাণিত সাহসী, মাঝে মাঝে আমি করবো আঘাত, মাঝে মাঝে হবো আঘাতপ্রাপ্ত।"
সে দ্বন্দ্বযুদ্ধের আহ্বান করে। মুহাম্মদ বিন মাসলামা বলে, "হে আল্লাহর নবী, আমি অন্যায়ের শিকার এক ক্ষুব্ধ ব্যক্তি। গতকাল আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে, সুতরাং আমাকে আপনি মারহাবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার অনুমতি দিন, কারণ সে হলো আমার ভাইয়ের হত্যাকারী।" আল্লাহর নবী তাকে দ্বন্দ্বযুদ্ধ করার অনুমতি দেন। তিনি তার জন্য দোয়া করেন ও তাকে তাঁর তরবারিটি দেন। মুহাম্মদ অগ্রসর হয় ও চিৎকার করে বলে,
"এই মারহাব, তুই কি দ্বন্দ্বযুদ্ধের আহ্বান করেছিস?"
সে বলে, "হ্যাঁ।" মারহাব কবিতার মাধ্যমে নিজের বীরত্বগাথা বলতে বলতে তার সামনে এগিয়ে যায়: [সিরাতে 'কবিতা']।---
মারহাব যে বর্ম-আবরণটি পরিধান করেছিলো তা ছিল ওপরে গুটানো। মুহাম্মদ তার দুই ঊরুতে আঘাত করে ও সেগুলো কেটে ফেলে। বিবৃত আছে: মুহাম্মদ বিন মাসলামা তার ঢাল দিয়ে নিজেকে রক্ষা করে - মারহাব যখন তরবারি সমেত তার হাতটি ওপরে উঠিয়েছিল, তখন তার বর্ম-আবরণটি ছিল ওপরে গুটানো; মুহাম্মদ তরবারি সমেত ঝুঁকে পড়ে তার দুই পা কেটে ফেলে, মারহাব ভূপাতিত হয়। মারহাব বলে, "হে মুহাম্মদ, আমাকে শেষ করে ফেলো!"
মুহাম্মদ জবাবে বলে, "মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ কর, আমার ভাই মাহমুদ যেমন করে সে স্বাদ গ্রহণ করেছে!" সে তাকে পেছনে ফেলে রেখে হেঁটে যায়। অতঃপর আলী তার কাছে যায় ও তার কল্লা কেটে ফেলে এবং তার মালামাল লুণ্ঠন করে।
তারা আল্লাহর নবীর সম্মুখে এসে লুটের মাল নিয়ে ঝগড়া করে। মুহাম্মদ বিন মাসলামা বলে, "হে আল্লাহর নবী, নিশ্চয়ই আমি তার পা দুটো কেটে ফেলেছিলাম, অতঃপর তাকে কেবল এ জন্যই জীবিত রেখেছিলাম, যেন সে তরবারির তিক্ত স্বাদ আস্বাদন করে ও ধুকে ধুকে মরে, যেমন করে আমার ভাই তিন দিন যাবত মৃত্যুকষ্টে তা করেছিল। তাকে শেষ করে না ফেলার পেছনে আমার কোনোই বাধা ছিল না। তার পা দুটো কেটে ফেলার পরই আমি তাকে শেষ করতে পারতাম।" আলী বলে, "সে সত্য বলেছে। তার পা দুটো কাটার পর আমি তার কল্লা কেটে ফেলেছিলাম।"
আল্লাহর নবী মারহাবের তরবারি, ঢাল, টুপি ও শিরস্ত্রাণ মুহাম্মদ বিন মাসলামা-কে প্রদান করেন। সেই তরবারিটি ছিল মুহাম্মদ বিন মাসলামার পরিবারের কাছে ও তার সাথে ছিল এক ডকুমেন্ট - তেইমার এক ইহুদি ওটা পড়ার আগে কেউই জানতো না যে, তাতে কী লেখা ছিলো। তাতে লিখা ছিলো, "এটি মারহাবের তরবারি। যে তার স্বাদ আস্বাদন করে, সে মৃত্যুবরণ করে।"
জাবির হইতে বর্ণিত > মুহাম্মদ বিন আল-ফাদল-এর পিতা হইতে > মুহাম্মদ বিন আল-ফাদল আমাকে জানিয়েছে, ও সালামা বিন সালামা হইতে বর্ণিত > আবদুল্লাহ বিন আবি সুফিয়ান-এর পিতা হইতে > আবদুল্লাহ বিন আবি সুফিয়ান হইতে > যাকারিয়া বিন যায়েদ আমাকে জানিয়েছে, এবং মুজামমি বিন হারিথা হইতে বর্ণিত > মুজামমি বিন ইয়াকুব-এর পিতা হইতে > মুজামমি বিন ইয়াকুব আমাকে জানিয়েছে। তারা সবাই আমাকে যা বলেছে, তা হলো, মারহাব-কে হত্যা করেছিলো মুহাম্মদ বিন মাসলামা।
তারা বলেছে: উসায়ের আবির্ভূত হয়। সে ছিল এক শক্তিশালী মানুষ, যদিও সে ছিল খাটো; অতঃপর সে চিৎকার শুরু করে, "এমনকি কেউ আছে, যে দ্বন্দ্বযুদ্ধ করবে?" মুহাম্মদ বিন মাসলামা তার কাছে আসে ও তারা একে অপরকে ঘাত-প্রতিঘাত করে, অতঃপর মুহাম্মদ বিন মাসলামা তাকে হত্যা করে।
তারপর ইয়াসির বের হয়ে আসে। সে ছিল অত্যন্ত বলিষ্ঠ ব্যক্তিদের একজন। মুসলমানদের ঠেকিয়ে রাখার জন্য তার কাছে ছিল এক বল্লম। আলী অগ্রসর হয়ে তার কাছে আসে, আল যুবায়ের তাকে বলে, "তোমার কাছে আমার সনির্বন্ধ অনুরোধ এই যে, তাকে তুমি আমার হাতে ছেড়ে দাও।" আলী তা-ই করে। ইয়াসির তার বল্লম নিয়ে অগ্রসর হয় ও তার দ্বারা লোকদের তাড়িয়ে দেয়। আল-যুবায়ের তার সাথে দ্বন্দ্বযুদ্ধ করে।
সাফিয়া বলে, "হে আল্লাহর নবী, আমি বিষণ্ণ। হে আল্লাহর নবী, আমার সন্তানকে হত্যা করা হবে।" তিনি বলেন, "বরং তোমার ছেলেই তাকে হত্যা করবে।" তারা একে অপরের সাথে যুদ্ধ করে ও আল-যুবায়ের তাকে হত্যা করে। আল্লাহর নবী তাকে বলেছিলেন, "তোমার আঙ্কল ও আন্টি যেন হয় তোমার মুক্তিপণের মাধ্যম।" অতঃপর তিনি যোগ করেন, "প্রত্যেক নবীরই শিষ্য থাকে, আল-যুবায়ের হলো আমার শিষ্য ও সে আমার ফুপুর ছেলে [পর্ব: ১২]।"
মারহাব ও ইয়াসির খুন হবার পর আল্লাহর নবী বলেন, "আনন্দ করো! খায়বার আমাদের স্বাগত জানিয়েছে ও অসুবিধা লাঘব করেছে।"
অতঃপর আমির বের হয়ে আসে, সে ছিল এক লম্বা মানুষ। যখন আমির আবির্ভূত হয়, আল্লাহর নবী বলেন, "তোমরা কি মনে করো যে, সে পাঁচ হাত লম্বা?" সে দ্বন্দ্বযুদ্ধের আহ্বান করে, তার তলোয়ার উঁচিয়ে আস্ফালন করে। সে যে বর্ম আবরণটি পরিধান করেছিল, তা ছিল লৌহ আবৃত। সে চিৎকার করে বলে, "কে আমার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে?" লোকজন তার কাছ থেকে পিছু হটে। আলীতার কাছে এগিয়ে যায় ও তাকে আঘাত করে। কিন্তু তার কোন কিছুই কাজে আসে না যতক্ষণে না সে তার দুই পায়ে আঘাত হানে। অতঃপর সে পড়ে যায়, আলী তাকে সাবাড় করে ও তার অস্ত্র নিয়ে নেয়।
আল-হারিথ, মারহাব, উসায়ের, ইয়াসির ও আমির ছাড়াও ইহুদিদের আরও বহু লোককে হত্যা করা হয়েছিল - কিন্তু যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তা করা হয়েছে এই কারণে যে, তারা ছিলো তাদের মধ্যে সাহসী। এই লোকদের সবাই ছিলো নাইম দুর্গের ভিতরে।'
- অনুবাদ, টাইটেল, ও [**] যোগ - লেখক।
আল-তাবারীর (৮৩৯-৯২৩ সাল) অতিরিক্ত বর্ণনা: [5]
ইবনে বাশার < মুহাম্মদ বিন জাফর < আউফ (বিন আবি জামিলাহ আল-আরাবী [৬৭৮-৭৬৩ সাল]) < মেইমুন (আবু আবদুল্লাহ) < আবদুল্লাহ বিন বুরায়েদা (৬৩৭-৭৩৩ সাল) < বুরায়েদা বিন আল-আসলামী (মৃত্যু: ৬৭৯-৬৮৪ সাল) হইতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে; এবং আবু কুরায়েব < ইউনুস বিন বুকায়ের (মৃত্যু: ৮১৫ সাল) < আল-মুসায়েব বিন মুসলিম আল-আউদি < আবদুল্লাহ বিন বুরায়েদা < তার পিতা (বুরায়েদা বিন আল-হুসায়েব) হইতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে:
আল-তাবারী আমাদের জানিয়েছেন যে, মারহাব-কে হত্যা করেছিল আলীইবনে আবু-তালিব।
ইমাম মুসলিমের (৮২১-৮৭৫ সাল) বর্ণনা: [6]
ইমাম মুসলিমের বর্ণনা (সহি মুসলিম: নম্বর-০১৯:৪৪৫০) মুহাম্মদ ইবনে ইশাক, আল-তাবারী ও আল ওয়াকিদির বর্ণনারই অনুরূপ, কিন্তু ঘটনার পূর্ণ বিবরণ সেখানে অনুপস্থিত(পর্ব-১২১)। ইমাম মুসলিমের এই দীর্ঘ হাদিসের বর্ণনা মতে মারহাব-কে খুন করেছিল আলী ইবনে আবু-তালিব।
তাঁর বর্ণনা মতে, মারহাবের সাথে প্রথমে যুদ্ধ করেছিলেন আমির নামের মুহাম্মদের এক অনুসারী, যিনি ছিলেন এই হাদিস বর্ণনাকারী ইবনে সালামাহ [<তার পিতা সালামাহ বিন আল-আকওয়া হইতে(পর্ব: ১১০)] এর আঙ্কল। লড়াইয়ের সময় আমির তার নিজের তরবারির আঘাতেই গুরুতর আহত হন ও মৃত্যুবরণ করেন। এই ঘটনায় মুহাম্মদের কিছু অনুসারী যখন বলাবলি শুরু করে যে, আমির জিহাদে অংশগ্রহণ করলেও যেহেতু সে নিজেই নিজের জীবন নাশ করেছে, তাই সে তার যাবতীয় কর্মের সুফল থেকে বঞ্চিত হবে। জবাবে মুহাম্মদ তাঁর অনুসারীদের নিশ্চিত করেন যে আমিরের জন্য অপেক্ষা করছে "দ্বিগুণ পুরষ্কার!"
এই দীর্ঘ হাদিসে আর যে-তথ্যটি আমরা জানতে পারি, তা হলো, হুদাইবিয়া সন্ধি (পর্ব: ১১১-১২৯) শেষে মদিনায় প্রত্যাবর্তন করার "মাত্র তিন দিন পর" মুহাম্মদ তাঁর হুদাইবিয়া যাত্রায় অংশগ্রহণকারী অনুসারীদের সঙ্গে নিয়ে খায়বারের জনপদের ওপর আগ্রাসী হামলার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন।
>>> ইসলামের ইতিহাস পড়ার সময় যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সর্বদাই মনে রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন, তা হলো, "ইসলামের যাবতীয় ইতিহাস একপেশে ও পক্ষপাতদুষ্ট (পর্ব:৪৪)!" এই ইতিহাসগুলো পড়ার সময় অতিরিক্ত সজাগ ও অনুসন্ধিৎসু না হলে এবং বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য-উপাত্ত যাচাই না করলে যে কোনো ব্যক্তিই বিভ্রান্ত হতে বাধ্য!
ইবনে হিশাম (মৃত্যু ৮৩৩ খৃষ্টাব্দ) সম্পাদিত ও A. GUILLAUME অনুদিত মুহাম্মদ ইবনে ইশাকের 'সিরাত' গ্রন্থে খায়বার যুদ্ধের যে-উপাখ্যান বর্ণিত হয়েছে, তা পাঠ করে খায়বার যুদ্ধে মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের বীভৎস ও নৃশংস কর্মকাণ্ডের প্রকৃত স্বরূপ জানা সম্ভব নয়। আর হাদিস গ্রন্থ? তার অবস্থা আরও খারাপ [বিস্তারিত: উমর ইবনে খাত্তাবেরঅভিপ্রায় (পর্ব: ১২১)!]। ইবনে হিশাম সম্পাদিত “সিরাত রসুল আল্লাহ” ও সমস্ত হাদিস গ্রন্থে (বিচ্ছিন্নভাবে) খায়বার যুদ্ধের যে-উপাখ্যান বর্ণিত হয়েছে, তা পাঠ করে সাধারণ পাঠকরা বিভ্রান্ত হতে পারেন এই ভেবে যে, খায়বারের মাত্র দু'জন লোককে হত্যা করে আলী ও তার সঙ্গীরা খায়বার যুদ্ধ জয় করে ফেলেছিলেন! বাস্তবিকইএই গ্রন্থগুলোতে খায়বার যুদ্ধ উপাখ্যানের এই পর্যায়ের বর্ণনায় মাত্র দু'জন (মারহাব ও ইয়াসির) ইহুদিকে হত্যার বর্ণনা ছাড়া আর কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই।
ইবনে হিশাম সম্পাদিত এই 'সিরাত' গ্রন্থের ৫১৮ পৃষ্ঠায় খায়বার যুদ্ধে যে মোট ১৮-২০ জনমুহাম্মদ-অনুসারী নিহত হয়েছিলেন, তাদের নাম ও গোত্রের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। [7]। কিন্তু, মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীরা কতজন ইহুদিকে হত্যা করেছিলেন, তার কোনো উল্লেখ ইবনে হিশাম সম্পাদিত এই সিরাত, আল-তাবারীর সিরাত ও হাদিস গ্রন্থে নেই! সে কারণেই, "শুধু" মুহাম্মদ ইবনে ইশাকের সিরাত, আল-তাবারীর সিরাত ও হাদিস গ্রন্থ পাঠ করে "খায়বার যুদ্ধের বীভৎসতা" সম্বন্ধে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া সম্ভব নয়।
বিষয়টি আর একটু খোলসা করা যাক:
“সশস্ত্র নৃশংস ১৪০০ জনের এক সন্ত্রাসী দল এক বিশেষ অভীষ্ট লক্ষ্যে একটি জনপদের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে ঐ জনপদের সমস্ত লোকদের যে কোনো মূল্যে (জখম-হত্যা-বন্দী ও দাস-দাসীকরণ) পরাস্ত করে তাদের সমস্ত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি লুণ্ঠন করার অভিপ্রায়ে ঐ জনপদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তারা এখন এই জনপদবাসীর দোরগোরায় উপস্থিত হয়ে তাঁদের বাড়ী-ঘর (দুর্গ) ঘেরাও করে রেখেছে। অতঃপর ঐ আক্রান্ত জনপদবাসী তাঁদের প্রাণ ও সম্পদ রক্ষার প্রচেষ্টায় প্রাণপণ লড়াইকরে চলেছেন। তাঁদের এই প্রতিরক্ষা এতটাই তীব্র ছিলো যে, এই আক্রমণকারীরা পর পর দুই-তিন দিন কোনো সুবিধেই করতে পারেনি (পর্ব: ১৩২)। অতঃপর তাদের সর্বাধিনায়ক তার এক ক্ষমতাবান অনুসারীকে নেতৃত্ব দিয়ে এই জনপদবাসীদের পরাস্ত করার জন্য পাঠিয়েছেন। অতঃপর সেই ক্ষমতাবান অনুসারী ও তার সঙ্গীরা বিপুল বীরত্বে মাত্র দু'জন ব্যক্তিকে হত্যা করে সেই জনপদ দখল করে ফেলেছিলেন - এমন বর্ণনা উদ্ভট, অযৌক্তিক ও নিঃসন্দেহে সত্যের অপলাপ।”
অন্যদিকে,
আল-ওয়াকিদির বর্ণনা অনেক বেশি স্বচ্ছ, প্রাণবন্ত ও বিস্তারিত। আল-ওয়াকিদির বিস্তারিত বর্ণনায় আমরা জানতে পারি, আলী ও তার সহযোগীরা খায়বারের জনপদবাসীর আল-হারিথ, মারহাব, উসায়ের, ইয়াসির ও আমির ছাড়াও ইহুদিদের আরও বহু লোককে হত্যা করেছিলেন।
প্রশ্ন ছিল:
"মুহাম্মদ ও আলীর নেতৃত্বে খায়বারের নিরপরাধ ইহুদি জনগণের মোট কতজন লোককে নৃশংসভাবে হত্যা করার পর মুহাম্মদের প্রতিশ্রুত "এই আসন্ন বিজয়" সম্পন্ন হয়েছিলো? আলী ইবনে আবু-তালিব ও তাঁর সঙ্গীদের এই বিজয় ও বীরত্বের 'রক্তমূল্য' কত ছিলো?"
এই প্রশ্নটির সুনির্দিষ্ট জবাবআমরা জানতে পারি আল-ওয়াকিদির বিস্তারিত বর্ণনায়। তাঁর বর্ণনা মতে, খায়বার যুদ্ধে মোট ৯৩ জন ইহুদিকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল। এদের অধিকাংশকেই হত্যা করা হয়েছিল এই 'নাটায়'। তাঁর বর্ণনামতে মুসলমানদের মোট নিহতের পরিমাণ ১৫ জন, অধিকাংশই এই নাটায়। [8]
অর্থাৎ প্রশ্নটির জবাব হলো:
"আলী ইবনে আবু-তালিব ও তাঁর সঙ্গীদের এই বিজয় ও বীরত্বের 'রক্তমূল্য' ছিলো খায়বারের অসংখ্য লোককে বন্দী করে দাস ও দাসীকরণ ও তাঁদের সমস্ত সম্পত্তি লুণ্ঠন করা ছাড়াও প্রায় তিরানব্বুই জন ইহুদিকে নৃশংসভাবে হত্যার হোলি খেলা!"
ইসলামী ইতিহাসের ঊষালগ্ন থেকে আজ অবধি প্রায় প্রতিটি ইসলাম বিশ্বাসী প্রকৃত ইতিহাস জেনে বা না জেনে ইতিহাসের এ সকল অমানবিক অধ্যায়গুলো যাবতীয় চতুরতার মাধ্যমে বৈধতা দিয়ে এসেছেন। বিষয়গুলো অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিধায় বাংলা অনুবাদের সাথে আল-ওয়াকিদির মূল ইংরেজি অনুবাদের অংশটিও সংযুক্ত করছি। ইবনে ইশাকের মূল ইংরেজি অনুবাদ ইন্টারনেটে বিনামূল্যে ডাউনলোড লিঙ্ক: তথ্যসূত্র [1]।
The detailed narrative of Al-Waqidi: [3]
‘It was the fortress of Marhab. It was said: Marhabappeared like a competing stallion reciting rajaz verse:
Khaybar knows that I am Marhab of the piercing weapons,
A proven brave, I will strike sometimes, and sometimes will be struck.
He called for a duel. Muhammad b Maslamasaid, “O Messenger of God, I am a wronged and angry person. My brother was killed yesterday, so permit me to fight Marhab for he is a killer of my brother.” The Messenger of God permitted him to duel. He prayed for him and gave him his sword. Muhammad went out shouting, “O Marhab, did you call for a duel?” He said, “Yes.” Marhab came out to him reciting rajaz. ---Marhab was wearing armor that was rolled up. Muhammad struck the thighs of Marhab and cut them. It was said: Muhammad b Maslama protected himself with the shield – the armor from Marhab’s legs was pulled up when he raised his hand with the sword, and Muhammad bent with the sword and cut his two legs, and Marhab fell. Marhab said, “Finish me off, O Muhammad!” Muhammad replied, “Taste death, just as my brother Mahmud tasted it!” and he walked past him. Then Ali passed by and struck off his head, and took his booty.
They quarreled before the Messenger of God about his booty. Muhammad b Maslama said, “O Messenger of God, surely I cut of his legs and left him only that he may taste the bitterness of the sword and the violence of death just as my brother did, for he stayed three days dying. Nothing prevented me from finishing him off. I could have finished him off after I cut his legs.” Ali said, “He is truthfull. I cut off his head after his legs had been cut off.” The Messenger of God gave Muhammad b Maslama Marhab’s sword, shield, cap and helmet. The family of Muhammad b Maslama has his sword, and with it a document – no one knew what it was until one of the Jews of Tayma read it. It said: This is the sword of Marhab. Whoever tastes it will die.
Muhammad b al-Fadl related to me from his father from Jabir, and Zakarriyya b Zayd related to me from Abdullah b Abi Sufyan, from his father, from Salama b Salama; and Mujammi b Yaqub from his father from Mujammi b Haritha. They all said that Muhammad b Maslama killed Marhab.
They said: Usayr appeared. He was a strong man though he was short, and he began to shout, “Is there anyone for a duel?” Muhammad b Maslama went out to him and they exchanged strokes and Muhammad b Maslama killed him.
Then Yasir came out. He was among the vigorous. He had a spear to keep back the Muslims. Ali went out to him and al-Zubayr said, “I entreat you leave him to me.” So Ali did. Yasir approached with his spear and drove the people with it. Al-Zubayr dueled him. Safiyya said, “O Messenger of God, it makes me sad. My son will be killed, O Messenger of God.” He said, “Rather your son will kill him.” He said: They fought each other and al-Zubayr killed him. The Messenger of God said to him, “May your Ransom be your uncle and aunt.” Then he added, “To every prophet is a disciple, and al-Zubyr is my disciple and the son of my aunt.”
When Marhab and Yasir were killed the Messnger of God said, “Rejoice! Khaybar welcomes and facilitates.”
Then Amir came out: He was a tall man. When Amir appeared, the Messenger of God said, “Do you think he is five arm lengths?” He called for a duel, brandishing his sword. He wore armor covered in Iron. He shouted, “Who will contest me?” The people recoiled from him. Ali went out to him and struck him. But all that did nothing until he struck his legs. Then he fell down, and Ali finished him off and took his weapons.
Al-Harith, Marhab, Usayr, Yasir and Amir were killed with many people from the Jews – but those who were named were mentioned because they were the brave ones. Those were all in the fortress of Naim.’
(চলবে)
[কুরানের উদ্ধৃতি সৌদি আরবের বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ (হারাম শরীফের খাদেম) কর্তৃক বিতরণকৃত বাংলা তরজমা থেকে নেয়া, অনুবাদে ত্রুটি-বিচ্যুতির দায় অনুবাদকারীর। কুরানের ছয়জন বিশিষ্ট ইংরেজি অনুবাদকারীর ও চৌত্রিশ-টি বিভিন্ন ভাষায় পাশাপাশি অনুবাদ এখানে।]
তথ্যসূত্র ও পাদটীকা:
[1] “সিরাত রসুল আল্লাহ”- লেখক: মুহাম্মদ ইবনে ইশাক (৭০৪-৭৬৮ খৃষ্টাব্দ), সম্পাদনা: ইবনে হিশাম (মৃত্যু ৮৩৩ খৃষ্টাব্দ), ইংরেজি অনুবাদ: A. GUILLAUME, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, করাচী, ১৯৫৫, ISBN 0-19-636033-1, পৃষ্ঠা ৫১২-৫১৪ http://www.justislam.co.uk/images/Ibn%20Ishaq%20-%20Sirat%20Rasul%20Allah.pdf
[2] অনুরূপ বর্ণনা: “তারিক আল রসুল ওয়াল মুলুক”- লেখক: আল-তাবারী (৮৩৮-৯২৩ খৃষ্টাব্দ), ভলুউম ৮,ইংরেজী অনুবাদ: Michael Fishbein, University of California, Los Angeles, নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি প্রেস, ১৯৮৭, ISBN 0-7914-3150—9 (pbk), পৃষ্ঠা (Leiden) ১৫৭৭-১৫৭৮
[3]“কিতাব আল-মাগাজি”- লেখক: আল-ওয়াকিদি (৭৪৮-৮২২ খৃষ্টাব্দ), ed. Marsden Jones, লন্ডন ১৯৬৬; ভলুম ২, পৃষ্ঠা ৬৫৫-৬৫৮; ইংরেজি অনুবাদ: Rizwi Faizer, Amal Ismail and Abdul Kader Tayob; ISBN: 978-0-415-86485-5 (pbk); পৃষ্ঠা ৩২২-৩২৪
[4] ‘হিশাম বিন উরওয়া আল-যুবায়ের ছিলেন উরওয়া বিন আল-যুবায়ের পুত্র। তিনি আনুমানিক ৬৮০ খ্রিষ্টাব্দে (হিজরি ৬১ সাল) মদিনায় জন্মগ্রহণ করেন, মৃত্যুবরণ করেন ৭৬৩ খ্রিষ্টাব্দে (হিজরি ১৪৬ সাল) বাগদাদে। তিনি ছিলেন এক মুহাদ্দিস ও আইনজ্ঞ (transmitter of traditions and a jurist)’।
[5] Ibid: “তারিক আল রসুল ওয়াল মুলুক” লেখক: আল-তাবারী - পৃষ্ঠা (Leiden) ১৫৭৯-১৫৮১
[6] ইমাম মুসলিম (৮২১-৮৭৫ সাল) - সহি মুসলিম: হাদিস নম্বর-০১৯:৪৪৫০
অনেক বড় হাদিস- এই পর্বের প্রাসন্গিক অংশ:
‘It has been narrated on the authority of Ibn Salama. He heard the tradition from his father who said: We arrived at Hudaibiyawith the Messenger of Allah (may peace be upon him) and we were fourteen hundred in number. -------------Thus, I reached Medinaahead of him. By God, we had stayed there only three nights when we set out to Khaibar with the Messenger of Allah (may peace be upon him). -------
Salama continued: When we reached Khaibar, its king named Marhab advanced brandishing his sword and chanting: Â Khaibar knows that I am Marhab (who behaves like). A fully armed, and well-tried warrior. When the war comes spreading its flames.
My uncle, Amir,came out to combat with him, saying: Khaibar certainly knows that I am 'Amir, a fully armed veteran who plunges into battles. They exchanged blows. Marhab's sword struck the shield of 'Amir who bent forward to attack his opponent from below, but his sword recoiled upon him and cut the main artery: in his forearm which caused his death. Salama said: I came out and heard some people among the Companions of the Holy Prophet (may peace be upon him) as saying: Amir's deed has gone waste; he has killed himself. So I came to the Holy Prophet (may peace be upon him) weeping and I said: Messenger of Allah. Amir's deed has gone waste. The Messenger (may peace be upon him) said: Who passed this remark? I said: Some of your Companions. He said: He who has passed that remark has told a lie, for 'Amir there is a double reward.
Then he sent me to 'Ali who had tore eyes, and said: I will give the banner to a man who loves Allah and His Messenger or whom Allah and His Messenger love. So I went to 'Ali, brought him beading him along and he had sore eyes, and I took him to the Messenger of Allah (may peace be upon him), who applied his saliva to his eyes and he got well. The Messenger of Allah (may peace be upon him) gave him the banner (and 'Ali went to meet Marhab in a single combat). The latter advanced chanting: Khaibar knows certainly that I am Marhab, a fully armed and well-tried valorous warrior (hero). When war comes spreading its flames. 'Ali chanted in reply: I am the one whose mother named him Haidar, (And am) like a lion of the forest with a terror-striking countenance. I give my opponents the measure of sandara in exchange for sa' (i.e. return the attack with one that is much more fierce). The narrator said: 'Ali struck at the head of Marhab and killed him, so the victory (capture of Khaibar) was due to him. This long tradition has also been handed down Through a different chain of transmitters.’
[7] Ibid: “সিরাত রসুল আল্লাহ”- লেখক: মুহাম্মদ ইবনে ইশাক, পৃষ্ঠা ৫১৮
[8] Ibid “কিতাব আল-মাগাজি”- লেখক: আল-ওয়াকিদি; ভলুম ২, পৃষ্ঠা ৬৯৯-৭০০; ইংরেজি অনুবাদ: Rizwi Faizer, Amal Ismail and Abdul Kader Tayob; ISBN: 978-0-415-86485-5 (pbk); পৃষ্ঠা ৩৪৪-৩৪৫
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন