লিখেছেন পুতুল হক
মাননীয় নবী, ভালো আছেন নিশ্চয়ই। আপনি, বোধহয়, আজকাল খুব ব্যস্ত সময় কাটান। যে হারে দলে দলে মুমিন এখন আপনার সাক্ষাৎপ্রার্থী, তাতে আপনার সময় পাওয়া মুশকিল। একটা কথা জিজ্ঞেস করি আপনাকে। আপনার কেন নবী হতে ইচ্ছে হয়েছিল? নেতা হবার বাসনায়, নাকি খাদিজার প্রতি গোপন ক্ষোভে?
আপনার যে-দিকটি আমাকে সব চাইতে অবাক করে, তা হল - আপনার অকৃতজ্ঞতা। আপনি আপনার পিতামাতার প্রতি কৃতজ্ঞ না। ধরলাম, তার পেছনে কারণ ছিল। আপনি যে পালনকর্তার প্রতিও কৃতজ্ঞ থাকেননি। থাকেননি খাদিজার প্রতিও। আপনার বন্ধু সাথীদের প্রতি, যারা আপনার জীবন কেড়ে নেয়নি। যাদের প্রতি আপনার কৃতজ্ঞ থাকা উচিত ছিল, তাদের আপনি বরং সীমাহীন অপমান করেছেন।
আপনার এই বৈশিষ্ট্য মুমিনের মধ্যে পুরোপুরি আছে। এমন অকৃতজ্ঞ আপনার অনুসারীরা! মানুষের হাজার বছরের কষ্টকর অর্জন এই সভ্যতার সবকিছুকে "কোরানের অবদান" বলে এক কথায় কথা শেষ করে দেয়।
নবী, আপনি কি গুলশানে এসেছিলেন কখনো? যেখানে আপনাকে খুশি করার জন্য আপনার প্রেতাত্মারা মানুষ মেরে ফেললো? গুলশানের নিরাপত্তার জন্য আমাদের সরকার আজকাল উঠে-পড়ে লেগেছে। সারা পৃথিবীটাই আসলে গুলশান, যেখানে আপনার প্রেতাত্মাদের হাত থেকে নিরাপত্তা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। মানুষ আর প্রেতের লড়াই চলছে।
সভ্যতা মানুষকে প্রেতের সাথে লড়াই থেকে মুক্তি দিতে পারেনি। তাই মনে হয়, এতো অগ্রগতির পরেও আমাদের সভ্যতা, জ্ঞান অপূর্ণ। আমরা ইতিহাসের সব সময়ই কোনো না কোনো প্রেতের সাথে লড়াই করেছি এবং বিজয়ী হয়েছি। আপনার প্রেতকেও আমরা হার মানাবো।
আমরা বিজয়ী হব এবং আপনি হবেন পরাজিত। কেন, জানেন? কারণ প্রেতকেও মানুষ সৃষ্টি করে। এবং প্রেতকে মানুষই শেষ করবে। একটা সময়ে পুরনো প্রেত-কাহিনী কোরান ঠাঁই নেবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন