লিখেছেন বিরামহীন-আরাম
পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে- (সূরা আন-নাবা): আমি জলধর মেঘমালা থেকে প্রচুর বৃষ্টিপাত করি, (১৪) যাতে তদ্দ্বারা উৎপন্ন করি শস্য, উদ্ভিদ। (১৫) ও পাতাঘন উদ্যান। (১৬) নিশ্চয় বিচার দিবস নির্ধারিত রয়েছে। (১৭) যেদিন শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে, তখন তোমরা দলে দলে সমাগত হবে। (১৮) আকাশ বিদীর্ণ হয়ে; তাতে বহু দরজা সৃষ্টি হবে। (১৯) এবং পর্বতমালা চালিত হয়ে মরীচিকা হয়ে যাবে। (২০) নিশ্চয় জাহান্নাম প্রতীক্ষায় থাকবে, (২১) সীমালংঘনকারীদের আশ্রয়স্থলরূপে। (২২) তারা তথায় শতাব্দীর পর শতাব্দী অবস্থান করবে। (২৩) তথায় তারা কোন শীতল এবং পানীয় আস্বাদন করবে না; (২৪) কিন্তু ফুটন্ত পানি ও পূঁজ পাবে। (২৫) পরিপূর্ণ প্রতিফল হিসেবে। (২৬) নিশ্চয় তারা হিসাব-নিকাশ আশা করত না। (২৭) এবং আমার আয়াতসমূহে পুরোপুরি মিথ্যারোপ করত। (২৮) আমি সবকিছুই লিপিবদ্ধ করে সংরক্ষিত করেছি। (২৯) অতএব, তোমরা আস্বাদন কর, আমি কেবল তোমাদের শাস্তিই বৃদ্ধি করব। (৩০)
এই আয়াতগুলো থেকে আমরা কী বুঝলাম? আগেই কইসি, এই সুরায় সব ছাইঞ্চ অর্থাৎ বিগ্যান। আবার মিলায়ে নেন।
আমি জলধর মেঘমালা থেকে প্রচুর বৃষ্টিপাত করি, (১৪) যাতে তদ্দ্বারা উৎপন্ন করি শস্য, উদ্ভিদ। (১৫) ও পাতাঘন উদ্যান। (১৬) - >>> ছাইঞ্চ। কিন্তু হুজুর এই ঘটনাগুলাতো ১৪০০ বছর আগে খালি চোখেই দেখা যাইতো।
নিশ্চয় বিচার দিবস নির্ধারিত রয়েছে। (১৭) যেদিন শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে, তখন তোমরা দলে দলে সমাগত হবে। (১৮) - >>> এত অত্যাধুনিক মাইক আর লাউড স্পীকার থাকতে শিংগা ব্যবহারের কী দরকার? তার উপর ইস্রাফিলরে একটা শিংগায় ফুঁক দেয়ার লাইগা কেয়ামত পর্যন্ত খাড়া করাইয়া রাখার মানে কী? ইস্রাফিলের তো মাজা ধইরা যাইবো। আর একটা কথা: ইস্রাফিলের কি মুখ আছে? ফুসফুস আছে? নাইলে ফুঁক দিব ক্যামনে?
আকাশ বিদীর্ণ হয়ে; তাতে বহু দরজা সৃষ্টি হবে। (১৯) - >>> আবারো ছাইন্স। আকাশে দরজা তৈরি হইবো। ঐ দরজায় কি কব্জা থাকবো? দরজার হেন্ডেল থাকবো?
এবং পর্বতমালা চালিত হয়ে মরীচিকা হয়ে যাবে। (২০) - >>> এইখানে বলা হইছে, পর্বতমালা উশঠা খাইয়া আরবের মরুভূমিতে বিলীন হইয়া যাবে। আর মরুভূমিতে মরীচিকা না থাইকা কি চামচিকা থাকবো?
নিশ্চয় জাহান্নাম প্রতীক্ষায় থাকবে, (২১) সীমালংঘনকারীদের আশ্রয়স্থলরূপে। (২২) তারা তথায় শতাব্দীর পর শতাব্দী অবস্থান করবে। (২৩) - >>> কেয়ামতের পর পৃথিবী যখন থাকবো না, তখন কী দিয়া শতাব্দী মাপা হইবো? হিজরী বছরে নাকি গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে? এই ব্যাপারে আমার একটু কনফিউশান আছে?
তথায় তারা কোন শীতল এবং পানীয় আস্বাদন করবে না; (২৪) কিন্তু ফুটন্ত পানি ও পূঁজ পাবে। (২৫) - >>> পুঁজ হইতেসে জীবাণুর সাথে ফাইট দিয়া মরা রক্ত। ফুটন্ত পানি আর পূঁজ ছাড়াও আরও কত বাজে কেমিকেল আছে, কিন্তু নবী এই দুইটার বাইরে আর কিছু চিনতই না। কারণ তলোয়ারের কোপ দিলেই রক্ত পড়ে আর কাটা জায়গায় ঘা হইলেই দেখা যায় পুঁজ। তাই জাহান্নামরে এই দুই জিনিস দিয়া নবী ইচ্ছামত সাজাইছে।
পরিপূর্ণ প্রতিফল হিসেবে। (২৬) নিশ্চয় তারা হিসাব-নিকাশ আশা করত না। (২৭) - >>> হিসাব কইরাই কুলকিনারা পাই না, হুজুর। হিসাব করলে যে কী হইতো!
এবং আমার আয়াতসমূহে পুরোপুরি মিথ্যারোপ করত। (২৮) - >>> হুজুর, বুরাকের মত প্রাণীতে চইড়া সাত আসমান ঘুইরা আইসা উম্মে হানীর ঘরে রাইতের বেলায় ল্যান্ড করলে পুরোপুরি মিথ্যারোপ না কইরা কী করতাম, কন দেহি?
আমি সবকিছুই লিপিবদ্ধ করে সংরক্ষিত করেছি। (২৯) অতএব, তোমরা আস্বাদন কর, আমি কেবল তোমাদের শাস্তিই বৃদ্ধি করব। (৩০) - >>> মহাবিশ্বের এত সহস্র কুটি গ্রহ ফালাইয়া পৃথিবীর লাহান এদ্দুরা সাইজের গ্রহের এইটুকু সাইজের মানুষের পিছে পড়লেন ক্যান? আপনে আল্লা নাকি আর কিছু?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন