মঙ্গলবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৬

আল্লাহ কি বিজ্ঞানের কাছে পরাজিত? - ১

লিখেছেন শ্রোডিঞ্জারের বিড়াল

বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে কুরানের অনেক বাণী মিথ্যা প্রমাণিত হয়ে যাচ্ছে। বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কার ধর্মের অস্তিত্বের জন্যে হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে এই বিজ্ঞানের কল্যাণেই মানুষ ধর্ম নামক ভাঁওতাবাজি থেকে মুক্তি পাবে। তো চলুন, বন্ধুরা, আল্লাহর বাণীকে মিথ্যা প্রমাণিত করা কিছু চমকপ্রদ বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের কথা জেনে নিই।

১. "তিনি যা ইচ্ছা, সৃষ্টি করেন, যাকে ইচ্ছা কন্যা-সন্তান এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন।" [কুরান ৪২:৪৯]

>> বিজ্ঞানীরা এখন বিভিন্ন জেন্ডার সিলেকশন মেথড, যেমন: sperm-shorting, micro-short, PGD, LLC-এর মাধ্যমে ইচ্ছেমত পুত্র- বা কন্যাসন্তান জন্ম দিতে পারে! PGD মেথড এ সফলতার হার ৯৯.৯৯%।

২. ''অথবা তাদেরকে দান করেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই এবং যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করে দেন। নিশ্চয় তিনি সর্বজ্ঞ, ক্ষমতাশীল।" [কুরান ৪২:৫০]

>> আল্লাহ এক সুইডিশ মহিলাকে বন্ধ্যা করে দিয়েছিল, কিন্তু বিজ্ঞানীরা তার জরায়ু প্রতিস্থাপন করেন এবং মহিলাটি পরে আল্লাহকে মিথ্যা প্রমাণিত করে সন্তানও জন্ম দেন! বিজ্ঞানীদের কাছে আল্লাহ পরাজিত হন!

৩. "বলুন, তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং দিয়েছেন কর্ণ, চক্ষু ও অন্তর। তোমরা অল্পই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।" [কুরান ৬৭:২৩]

>> বিজ্ঞানীরা বহু জন্মান্ধকেই দৃষ্টি দিয়েছেন, যাদেরকে আল্লাহ দৃষ্টি দিতে পারেনি! বিজ্ঞানীরা এমন এক শিশুরও অপারেশন করতে যাচ্ছেন, যাকে আল্লাহ চোখই দেননি! আল্লাহ থেকে বিজ্ঞানীরা অধিক ক্ষমতাবান!

৪. "তিনি মানবকে এক ফোটা বীর্য থেকে সৃষ্টি করেছেন। [কুরান ১৬:৪] "অতএব, মানুষের দেখা উচিত কি বস্তু থেকে সে সৃষ্ট হয়েছে। সে সৃষ্ট হয়েছে সবেগে স্খলিত তরল থেকে। এটা নির্গত হয় মেরুদন্ড ও বক্ষপাজরের মধ্য থেকে [কুরান ৮৬:৫-৭]

>> বিজ্ঞানীরা বীর্য ছাড়াই মানুষ সৃষ্টি করে দেখিয়েছেন। উদাহরণ - Human cloning. ক্লোন-মানব তৈরিতে বীর্য তো দূরের কথা, কোনো পুরুষেরই দরকার নেই! একটি ডিম্বাণুর DNA-কে স্পার্মের বদলে দেহকোষ থেকে সংগৃহীত DNA দ্বারা প্রতিস্থাপিত করে মানুষ জন্ম দেয়া সম্ভব হয়েছে।

৫. "তুমি কি দেখ না যে, আল্লাহর অনুগ্রহে জাহাজ সমুদ্রে চলাচল করে, যাতে তিনি তোমাদেরকে তাঁর নিদর্শনাবলী প্রদর্শন করেন? নিশ্চয় এতে প্রত্যেক সহনশীল, কৃতজ্ঞ ব্যক্তির জন্যে নিদর্শন রয়েছে। [কুরান ৩১:৩১] তিনি ইচ্ছা করলে বাতাসকে থামিয়ে দেন। তখন জাহাজসমূহ সমুদ্রপৃষ্ঠে নিশ্চল হয়ে পড়ে যেন পাহাড়। নিশ্চয় এতে প্রত্যেক সবরকারী, কৃতজ্ঞের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে [কুরান ৪২:৩৩]

>> আল্লাহ সেই আদিম যুগের পালতোলা জাহাজ নিয়া পইড়া আছেন! বিজ্ঞানীরা বহু আগেই ইঞ্জিনের জাহাজ বানাই ফেলসে! উনি বাতাস থামায় দিলেও জাহাজ চলবে!

(চলবে)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন