লিখেছেন মৌলবাদী Big জ্ঞানী
(পতিতালয় ভালো স্থান নাকি খারাপ স্থান, প্রয়োজনীয় নাকি অপ্রয়োজনীয়, সেই বিতর্ক এখানে অপ্রাসঙ্গিক। তবে পতিতালয় যে উপাসনালয়ের চেয়ে উত্তম, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। সে-কথাই প্রমাণ করা হয়েছে এই লেখায়।)
১.
মন্দিরে মুসলিমদের প্ৰবেশ নিষেধ, মসজিদে হিন্দুদের প্ৰবেশ নিষেধ; আমার মনে হয়, এর থেকে পতিতালয়ই ভালো, কারও প্রবেশেই নিষেধ নেই, সে হিন্দু বা মুসলিম যা-ই হোক না কেন!
(অবশ্যই ১৮ বছরের পরবর্তী বয়সীদের)
২.
গীতাপাঠ করে, মন্দিরে পুজো দিয়ে, কোরআন তেলাওয়াত করে, নামাজ আদায় করে কার কী লাভ হয়, জানি না, তবে পতিতালয়ে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ "শক্তি" খরচ করে এলে শরীর ও মন উভয়ই ভালো থাকে।
(কারণ যৌনতা আমাদের জীবনে আর পাঁচটি অভ্যাসের মতই সুস্থ একটি অভ্যাস)
৩.
মন্দিরের প্রণামী বাক্সে বা পীরের মাজারে লোকে টাকাপয়সা দান করে কী পায়, জানি না, তবে পতিতালয়ে যৌনকর্মীদের চাহিদার বেশি বখশিস দিলে তাঁরা খুশিও হন, এবং আরও বেশি সময় ধরে ভালো "পরিসেবা" দিয়ে customer কে খুশিও করে রাখেন।
(একজন মানুষ হয়ে আরেকজন মানুষকে খুশি করতে পারা একটি মহৎ গুণ)
৪.
ঈশ্বর বা আল্লাহ সব মানুষকে সমান দৃষ্টিভঙ্গীতে দেখেন কি না, আমার জানা নেই, তবে পতিতারা সকল "খদ্দের"-কে সমান চোখে দেখেন।
(সাক্ষাৎ দেবী যদি বলতে হয়, তো একজন যৌনকর্মীকেই বলবো)
৫.
মানুষ কাল্পনিক ঈশ্বর বা আল্লাহ'কে ভালোবেসে (?) সমাজের কতটা উপকারে কাজে আসে, তা জানা নেই, তবে একজন যৌনকর্মীকে ভালোবেসে যদি কেউ বিয়ে করে সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনে তাঁর অন্ধকার জগৎ থেকে, তবে একজন নারী তার প্রকৃত মর্যাদা পায়। তাঁকে আর কারও কাছে "শরীর বেচতে" হয় না।
(ঈশ্বরপ্ৰেমীরা কি আদৌ মানুষকে ভালোবাসতে জানেন?)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন