লিখেছেন মৌলবাদী Big জ্ঞানী
১. মানবজীবনে কাল্পনিক ঈশ্বরের তুলনায় বাস্তবের কুকুর অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে নিজের বসতগৃহে নিরাপত্তার নিরিখে একটি কুকুরের অবদান অস্বীকার করা যায় না। তাই প্রত্যেকের উচিত নিজের বসতগৃহে ঈশ্বরের উপাসনা, আল্লাহর ইবাদত না করে কুকুর পালনের ব্যবস্থা করা।
২. কুকুর একটি প্ৰভুভক্ত প্রাণী। প্রভুর সাথে সে কখনোই বেঈমানি করে না। অপরদিকে, ঈশ্বর-আল্লাহ নামক কিছু কাল্পনিক চরিত্রের কোনো ক্ষমতাই নেই মানবিক আবেগ বোঝার। কল্পিত ঈশ্বরের সন্তান বিপন্ন হলে তার কিছুই করার থাকে না। অপরদিকে, কুকুর নিজের জীবন দিয়েও তার প্রভুকে শত্রুর হাত থেকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। অতএব, ঈশ্বরের পরিবর্তে কুকুর অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য।
৩. বাড়িতে অবসরের সঙ্গী রূপে একটি কুকুর শিশু-বৃদ্ধ সকলের কাছেই গ্রহণযোগ্য, আর কুকুরের সাথে মানুষের সম্পর্ক এবং বোঝাপড়ায় পারস্পরিক জটিলতা অনেক কম। অপরদিকে, ঈশ্বর-আল্লাহর সাথে মানুষের বাস্তব জীবনে মানবিক সম্পর্ক গড়ে তোলা কখনোই সম্ভব নয়। তাই অবসর সময়ে ঈশ্বর-আল্লাহের মাথা কপচানো নেহাত মূর্খামি ছাড়া আর কিছুই নয়।
৪. সমাজে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে মতভেদ নিয়ে প্ৰায়শই দাঙ্গা লেগে থাকে, কিন্তু ভিন্ন প্ৰজাতির কুকুর পালনকারীদের মাঝে কখনোই তেমন ঝামেলা হয় না। বরং কুকুরের বিষয়ে আলোচনার সূত্র ধরে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। সুতরাং এ থেকে প্রমাণিত হয় মানবজাতির মেলবন্ধনে ঈশ্বর-আল্লাহর তুলনায় কুকুর অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ।
৫. ঈশ্বর বিশ্বাসের সবচেয়ে বড় ক্ষতিকর দিকটি হ'ল - অহেতুক অর্থের অপচয়। যেমন, হিন্দুদের রয়েছে দৈনন্দিন পুজোর আয়োজনে ধূপকাঠি, মোমবাতি, ফুল, ফল/মিষ্টি কেনা, দূর্গাপুজোর সময় চাঁদা দেওয়া; মুসলিমদের মাসে মাসে মসজিদের চাঁদা দেওয়া, মহরমের চাঁদা দেওয়া, কোরবানির পশু কেনা... এইসব অহেতুক কারণে প্রচুর পরিমান টাকাপয়সা অপচয় হয়ে থাকে। পরিবর্তে বাড়িতে কুকুর পুষলে খরচ এর চেয়ে কম হয়। কুকুরকে বিশেষভাবে পরিচ্ছন্ন পরিবেশে রাখলে তার থেকে রোগ-জীবাণু ছড়ায় না, নিয়মিত কুকুরের চিকিৎসা করালে সে যথেষ্ট সুরক্ষিত থাকে।
অতএব, এবারে ভেবেচিন্তে আপনারাই সিদ্ধান্ত নিন: ঈশ্বর নাকি কুকুর... কে আপনার জন্য অধিক উপযোগী ও প্রয়োজনীয়?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন