লিখেছেন পুতুল হক
মাননীয় নবী,
ভালোবাসা জানবেন। আপনার কথা আমার রোজ মনে পড়ে। আমার আশেপাশের মুমিন-মুমিনাদের যখনই দেখি, তখনই আপনার কথা মনে পড়ে। এমন সাংঘাতিক প্রভাব আপনি তাদের ওপর ফেলেছেন যে, দেখলে হয়তো আপনিও হাসি আটকে রাখতে পারবেন না।
যেমন ধরুন, আপনার প্রভাবে কোনো মুসলমান পুরুষ চরিত্রবান থাকতে পারবে না। পৃথিবীতে যদিও বা পারে বেহেশতে চরিত্রবান থাকা সম্ভব নয়। বিবাহপ্রথার বাইরে গিয়ে যে-পুরুষ ৭২ হুরের সাথে সঙ্গম করবে, তাকে আর যা-ই বলা হোক, চরিত্রবান নিশ্চয়ই বলা যায় না।
নবী, আপনার প্রভাবে কোনো মুসলমানের পক্ষে অহিংস থাকা সম্ভব নয়। তাহলে তাকে ঈমানী দায়িত্ব অবহেলা করতে হবে। মুসলমানদের ঈমানী দায়িত্ব বিধর্মীকে ঘৃণা করা। পৃথিবীতে আল্লার আইন প্রতিষ্ঠা করা। এসব কিছুই মানুষকে হিংস্র করে।
আপনার প্রভাবে মুসলমান অজ্ঞানতার মাঝে বিজ্ঞান খুঁজে পায়। নির্লজ্জের মত অন্যের কষ্টের ফলকে, অন্যের আবিষ্কারকে কোরানের জ্ঞান বলে দাবি করে। আপনার প্রভাবে মুসলমান হয় বিশ্ববেহায়া।
আপনার প্রভাবে সভ্যতার এই পর্যায়ে এসেও মুসলমান এক ঘরে চার স্ত্রী রাখার কথা বৈধ বলে ভাবে। দাসীভোগ তাদের জন্য সুন্নত। নবী, আপনি কি লজ্জা পান না এখনো?... প্রভাবশালী নবী আপনি - স্বীকার করতেই হবে।
আপনার প্রভাবে লক্ষ লক্ষ মুসলিম নারী নিজেদের বস্তাবন্দী করে রাখে। আপনাকে খুশি করার জন্য তারা নিজেদের না-মানুষ ভাবে।
এতোটাই প্রভাব আপনার যে, আমাদের মধ্যে যারা মুসলমান, তারা ধর্মীয় কারণে আপনার ইচ্ছায় আপন মা, বাবা, ভাই বা বোনকে খুন করতে কুন্ঠিত হয় না। এসব কি আপনাকে খুব তৃপ্তি দেয়, নবী?
এবার আপনি একটু চোখ মেলে দেখুন। আপনাকে বা আপনার প্রভাবকে কখন তারা সামনে টেনে আনে? উত্তরটা আপনাকে আমিই বলে দিই। যখন তাদের যেভাবে প্রয়োজন, মুসলমান তখন সেভাবে আপনাকে গড়ে নেয়। সারা পৃথিবীতে আপনার কোনো নির্দিষ্ট আকার নেই, অনেকটা জলের মত আপনি। যে-পাত্রে রাখা হয়, সে পাত্রের আকার নেন।
আপনার আসল প্রভাব কী, জানেন, নবী? আপনি একদল লোভী মানুষ তৈরি করে গেছেন। বংশ পরম্পরায় সেই লোভ আরো বিস্তৃত হয়েছে। ইহকালে নিজেকে রাজা ভেবে রাজত্ব করার লোভ আর পরকালে চরিত্রহীন হবার লোভ। মুসলমানের লোভের কারণেই আপনার মৃত্যুর পরে দুইদিন আপনার লাশ ঘরে পড়ে ছিল। এর এতো বছর পরে প্রতিনিয়ত আপনার ব্যবচ্ছেদ চলছে। আপনার লোভের কারণেই মুসলমান সম্প্রদায়ের উন্মেষ। আর লোভের কারণে তারা মুসলমান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন