লিখেছেন পুতুল হক
৮৬.
বেশ কয়েকবছর আগে বাংলায় কোরআন পড়েছিলাম। কেমন খাপছাড়া কথা, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একই কথা বারবার করে বলা, এই ধমকাচ্ছে, এই ভয় দেখাচ্ছে, এই অভিশাপ দিচ্ছে, এই লোভ দেখাচ্ছে, এই আবার নিজের মহিমার কথা নিজেই বলছে, কখনো ফার্স্ট পারসন কখনো বা থার্ড পারসন, মাথামুণ্ডু ধরতে পারি না। ছন্দ বা সুর কোথায়, সেটাও খুঁজে পাইনি। হয়তো অনুবাদের কারণে, হয়তো আমার মোটামাথার কারণে, কে জানে বাপু!
৮৭.
ইহুদিরা ষড়যন্ত্র করে আল-কোরআন নামের একটা বই লেখে। সেই বইয়ের প্রচারের জন্য তারা মোহাম্মদ নামের এক জঙ্গি তৈরি করে।
সব দোষ ইহুদি-নাসারার।
৮৮.
অনেক মুসলিমকে বলতে শুনেছি, তারা ভূত বিশ্বাস করে না। তাদের ভাষায় - ভুত বলে পৃথিবীতে কিছু নেই, এসবই মানুষের কল্পনা, কুসংস্কার। কিন্তু তারা জ্বীন আর ফেরেস্তা আছে বিশ্বাস করে। দু'দুটো ফেরেস্তা মানুষের কাঁধে খাতা-কলম নিয়ে বসে আছে। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার সময়, ভালোবাসার সময়, চুরি-ডাকাতি করার সময়, প্রতিটি মুহূর্তে তারা মানুষের কাঁধে বসে থেকে শুধু লিখতে থাকে। আর জ্বীনদের নাকি আলাদা দেশ আছে, তারা ঘর-সংসার করে, তাদের বাচ্চা হয়।
ভূত দেখেনি বলে ভূত বিশ্বাস করে না, কিন্তু না দেখেও জ্বীন আর ফেরেস্তার কথা প্রবলভাবে বিশ্বাস করে।
৮৯.
কল্পনার স্বর্গ-নরক না থাকলে দুনিয়াতে অনেক লোক বেকার হয়ে পড়বে।
৯০.
নানুমণি বুরখা পরতেন না। বাইরে যাবার সময় একটা ওড়না জড়িয়ে নিতেন। অনেক বাল্কি ছিলেন, তার ওপর অসুস্থ। খুব কষ্ট হত তাঁর। ঘেমে অস্থির হয়ে বলেছিলেন, "মেয়েদেরকে ঢেকে রাখার জন্য ছেলেদের কেন যে এতো ইচ্ছা?" আমি বলেছিলাম, "আল্লাহর ইচ্ছা।" নানুমণি বলেছিলেন, "রাখো তোমার আল্লাহর ইচ্ছা, সব পুরুষের বুদ্ধি!"
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন