লিখেছেন যুক্তিবাদী পীর
বরাবরের মতই এবারও আমাদের ঈদের দিনের রাতের খানাপিনা দ্বীপের বাসাতেই হলো। অবশ্য এই বাসায় রাতের খানা-খাওয়ার অন্যতম কারণ হলো - এখানে মাল থুক্কু শরাবুন-তাহুরা পানের সুব্যবস্থা আছে। যাই হোক, ভোজন শেষ করে রাত আনুমানিক ১ ঘটিকায় আমি, দ্বীপ, শাওন, আরিফ এবং মৌলানা কাদের বাসের ছাদে বোতল খুলে বসে গেলাম। এমনিতে আমরা সবাই প্রায়ই বিভিন্ন কারণে কিংবা অকারণে শরাবুন-তাহুরার শরণাপন্ন হয়ে থাকি, তবে মৌলানা সাহেব এ ব্যাপারে পুরো আনাড়ি, সে স্রেফ ঈদের খুশিতে আমাদের মত কাফের/মুশরিকদের সাথে যোগ দিয়েছে, যে কারণে সে তৃতীয় পেগেই একেবারে বোল্ড আউট হয়ে মাঠের বাইরে চলে গেল এবং নানা রকমের উৎপাত শুরু করলো, যাকে সহজ ভাষায় মাতলামি বলে।
রাত আনুমানিক ৩ ঘটিকা।
মৌলানা: দোস্ত, টয়লেট করমু।
আমি: ছোট না বড়?
মৌলানা: ছোট।
আমি: তাইলে ছাদের ঐ কোণায় চলে যা, চুপচাপ কাম সাইরা আয়।
মৌলানা: না, ওইদিকে না।
আমি: কেন?
মৌলানা: ওইটা পশ্চিম দিক।
আমি: তাইলে নিচে যা।
কিছুক্ষণ পরে মৌলানা কাদের তার ঈমানদণ্ড চুলকাতে চুলকাতে ফিরে এলো।
মৌলানা: দেখ তো, দোস্ত, আমার এইখানে চুলকায় কেন!
আমি: কোথায় গেছিলি তুই?
মৌলানা: নিচে গেটের পাশে।
আমি: টয়লেট রেখে ঐ খানে কেন গেছিস?
মৌলানা: অন্ধকারে খুঁজে পাইনি।
আমি: টয়লেট করে পানি নিছোস?
মৌলানা: না, পাতা দিয়া কুলুখ করছি।
বি. দ্র. দ্বীপের বাসার গেটের কাছে যেসব পাতা পাওয়া যায়, তার মধ্যে চুতরা পাতা অন্যতম এবং মৌলানা হযরত আব্দুল কাদের জিলানী সেটাই নেশার ঝোকে কুলুখ হিসেবে ব্যবহার করেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন